banner

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 217 বার পঠিত

 

ভ্রমণ করুন বোরা বোরা আইল্যান্ডে

সমুদ্রের জল কতটা স্বচ্ছ হতে পারে? এতটা যে আপনার মনে হবে কোন জলই নেই? দূর থেকে একটা টলটলে টারকুইশ রঙ চোখে পড়বে আপনার, কিন্তু কাছে এলে দেখবেন কোন রঙ নেই। সমুদ্রের তল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মাঝে যে জলের একটা ব্যারিয়ার আছে সেটা যেন চোখেই পড়ে না।
ভেসে চলা বোটগুলো পানিতে ভাসছে নাকি শূন্যে? জলের অনুভব ছাড়া দৃশ্যত যেন কোন জল নেই। হ্যাঁ, এমন স্বচ্ছ জলও আছে পৃথিবীতে। দেখতে হলে চলে যান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বোরা বোরা অঞ্চলে। ফ্রান্সের প্লিনেসিয়ার লিউয়ার্ড আইল্যান্ডগুলোর অন্যতম এই বোরা বোরা। সম্প্রতি U.S. News দ্বারা “the best island in the world” হিসেবে এটি স্বীকৃতি পেয়েছে।
এটি যেন মর্ত্যের বুকে স্বর্গ। স্বর্গে পা ফেলে আপনি ভুলে যাবেন পার্থিব সকল চিন্তা। শুধু বিস্ময়ের অনুভূতি নিয়ে কেটে যাবে আপনার ভ্রমণের সময়টা। বোরা বোরাকে সম্পূর্ণ রূপে উপভোগ করতে করুন এই কাজগুলো-
১। হেলিকপ্টার ট্রিপ
একটি হেলিকপ্টারে করে সারা আইল্যান্ডটি ঘুরে দেখুন। উপভোগ করুন সমূদ্রের রঙ, বিস্তৃত সৈকত আর সবুজে ঢাকা পর্বত ওটেমানু। উপভোগ করুন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই।
২। প্যারাসেইলিং
প্যারাসেইলিং করে সমূদ্রের টারকুইশ লাগুন দেখুন বার্ডস আই ভিউ থেকে। দেখুন একই পর্বত ওটেমানুকে। সাথে উপভোগ করুন সমূদ্রের প্রাণীদের জীবনাচরণ। স্বচ্ছ জলের নীচে দেখতে পাবেন কচ্ছপ, হাঙ্গর আর স্ট্রিংগ্রে।
৩। কাইট সার্ফিং
এটি প্যারাসেইলিং এবং উইন্ডসার্ফিং এর একটি সমন্বয়। এটি করতে হলে ছোট্ট একটা প্রশিক্ষণ নিতে হবে আপনাকে। তবে বেশ রোমাঞ্চকর হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আপনি থাকবেন সমুদ্রের একদম কাছাকাছি, কিন্তু উড়বেন শূন্যে!
৪। একুয়া বাইক
২ সিটের একটি বাইকে চড়ে একটি ভিন্নধর্মী রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন আপনি। অভিজ্ঞ একজন ড্রাইভার বাইক চালিয়ে আপনাকে নিয়ে নেমে যাবেন সমুদ্রের জলে। বাইক সহ ডুবন্ত অবস্থায় আপনি মাছেদের খাওয়াতে পারবেন। মজার না বিষয়টা?
৫। একুয়া সাফারি উইথ হেলমেট
সমুদ্রকে আরো কাছ থেকে একেবারে তলদেশে প্রবেশ করে উপভোগের সুযোগ এটি। স্নোরকেলিং এবং একটি নৌকা ভ্রমণ যুক্ত আছে এই প্যাকেজে। কোন অভিজ্ঞতার প্র্যোজন নেই। এপনি যদি ভাল সাঁতার না জানেন তাতেও কোন সমস্যা নেই। ১৫ ফুট গভীর পর্যন্ত হেটে চলে যেতে পারবেন আপনি, সাথে আপনার গাইড আপনাকে শোনাবেন মাছেসের গল্প, সমূদ্রের নানান কাহিনী।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার
Facebook Comments