সৌখিন মনকে প্রশান্তি দিতে বাড়িকে সুন্দর করে সাজাতে সবাই কমবেশি চেষ্টা করেন। প্রয়োজনীয় আসবাবেব সঙ্গে স্থান পায় বাহারি ইনডোর প্লান্ট। কারণ, ঘরের মধ্যে প্রকৃতির সবুজ ছোঁয়া আলাদা আবেশ ছড়ায়। আজকাল সৌখিনতার প্রসার ঘটেছে আরও বেশি। থাকার ঘরের সঙ্গে ব্যবহৃত স্নানঘরটিও সাজিয়ে নিতে পারেন মনের মতো করে। সেখানেও স্থান পেতে পারে পছন্দের কোনো গাছ।
শহরের ফ্ল্যাট গুলোতে জায়গার খুবই অভাব। সেখানে সীমিত দৈর্ঘ্য-প্রস্থের স্নানঘরটির অবস্থা আরও করুন। কিন্তু শৈল্পিক মনটি সে কথা শুনবে কেন? স্নানঘরের মেঝেতে গাছের টব রাখা সম্ভব না হলে ক্ষতি নেই। বর্তমানে বাজারে আকর্ষণীয় ওয়ালটব পাওয়া যাচ্ছে। রোদ ছাড়া দীর্ঘদিন সতেজ থাকা গাছের সন্ধানও পাবেন খুব সহজে। তাই মনের মতো দুই তিনটি টবসহ গাছ কিনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে লতানো গাছ বেশি মানানসই। আবার ছোট নজরকাড়া ডালাপালাযুক্ত গাছও মানাবে।
ওয়াসরুম বা স্নানঘরের জানালায় তার দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ছোট্ট একটি টব। সে টবে শোভা পেতে পারে ছোট্ট আকৃতির মানিপ্লান্ট বা লতানো যেকোনো গাছ। দেয়ালের গায়ে যদি টব ঝোলানোর সুযোগ থাকে তবে সৌন্দর্য বাড়াতে দিতে পারেন আরও কয়েকটি টব।
খেয়াল রাখতে হবে, ছোট্ট একটুকরো ওয়াসরুমের সৌন্দর্য বাড়াতে গাছের আধিক্যে আবার হিজিবিজি না হয়ে যায়। পরিমাণে বেশি হলেও ক্ষতি নেই, তবে ছোট ওয়াসরুমে ছোট্ট আকৃতির টবই মানানসই। আর খোলামেলা ওয়াসরুমে দেয়ালের কোণায় রাখতে পারেন পছন্দের গাছ। কেউ কেউ গাছের সৌন্দর্য আরও বাড়াতে রঙিন আলো ব্যবহার করে থাকেন।
সবকিছুর মূলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ওয়াসরুম। সেখানে আলো আর গাছের মধুর মিলন ঘটাতে পারলে তো কথায় থাকে না। আপনার মনের সৌন্দর্য গুণও প্রকাশ পেতে পারে ওয়াসরুমের এমন সাজে। অপরের কাছে প্রশংসা কুড়াতে ইনডোর প্লান্ট বেশ সাহায্যকারী।
ইন্ডোর প্লান্টের যত্ন
– সপ্তাহে অন্তত একদিন সব গাছ রোদে দিতে হবে। গাছের ঠিকমতো বেড়ে ওঠা এবং বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো জরুরি। তবে দুপুরের কড়া রোদে গাছ রাখবেন না। সকালের হালকা রোদে গাছ রাখুন।
– গাছে ঘন ঘন পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পানি দিলে গাছ পচে যেতে পারে। পানি দেওয়ার সময় টবের মাটি আর্দ্র আছে কি-না, লক্ষ্য করুন।
– গাছের পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে থাকলে ঠাণ্ডা ও আলো কম পৌঁছায় এমন জায়গায় রাখুন। কারণ অতিরিক্ত আলো ও তাপের সংস্পর্শে এসে গাছের পাতা ও ফুলের রঙ হালকা হয়ে যায়।
– গাছের পাতায় বেশি ধুলো জমলে জোরে ঘসবেন না, নরম কাপড়ে অল্প পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। অথবা স্প্রে করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। পাতার নিচের অংশও পরিষ্কার করুন। ধুলো-ময়লার সঙ্গে পোকা বাসা তৈরি করে পাতায়।