জেলা প্রতিনিধি
অপরাজিতাবিডি ডটকম
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়া চৌদুয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বেত্রাঘাতে ওই বিদ্যালয়ের ৮ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
রোববার সকালে বিদ্যালয়ের কোচিংয়ে না আসায় প্রধান শিক্ষক এনামুল হক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হোসনেয়ারা খাতুন (১৪), আঁখি খাতুন (১৪), বৃষ্টি (১৪), ইসমত আরা (১৪), বন্যা (১৪), লাবনী (১৪), মারুফা (১৪) ও দশম শ্রেণির ছাত্রী রেশমা খাতুনকে (১৬) বেত্রাঘাত করেন।
এতে ওই ৮ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা সংবাদ পেয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে হোসনেয়ারা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক থেকে প্রধান শিক্ষকের সাঙ্গ-পাঙ্গরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে অবস্থিত সাদালী ডায়াগনস্টিকে ভর্তি করে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান অসুস্থ ছাত্রীকে দেখতে সাদালী ডায়াগনস্টিকে উপস্থিত হলে ডায়াগনস্টিকের মালিক নাজমুল পিছনের দরজা দিয়ে ওই ছাত্রীকে বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে হোসনেয়ারা খাতুন জানান, কোচিংয়ে আসতে বিলম্ব হওয়ায় প্রধান শিক্ষক এনামুল হক আমাদেরকে বেত্রাঘাত করেন।
হোসনেয়ারার বাবা মারফত আলী জানান, প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বেত্রাঘাতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.