banner

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2504 বার পঠিত

ঘরের সাজ

 

6_126032

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকা, সেই সঙ্গে ঈদের শপিং এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে কীভাবে যে রোজার মাসটা শেষ হতে যাচ্ছে টেরই পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন পরই ঈদ। আর ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদের দিন আমরা সবাই সেজেগুজে পরিচ্ছন্ন পরিপাটি হয়ে থাকতে পছন্দ করি। শুধু নিজে সাজলেই হবে? নিজের ভালোবাসার ঘরেও আনতে হবে ঈদের আনন্দ। তা না হলে ঈদের সব আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রুচিরও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই তো আজকাল সবাই সচেতন। তাই ঈদের দিন ঘরের সাজটা কেমন হবে সেটা নিয়ে রইল আজকের আয়োজন।

 

ড্রইং রুম : ঈদের দিন যে ঘরটি বেশি অতিথিদের চোখে পড়ে সেটি হল ড্রইং রুম। কারণ প্রথমেই যখন কোনো গেস্ট ঈদের দিন বাসায় বেড়াতে আসে তখন আমরা তাকে সাধারণত ড্রইং রুমেই প্রথমে নিয়ে যাই। তাই ড্রইং রুমকে সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হবে। তবে যেভাবেই সাজই না কেন প্রথমে যেটা খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল ঘরের আয়তন। এর ওপর ভিত্তি করে সোফা, কার্পেট, পর্দা, ঝাড়বাতি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। যেমন ঘরের আয়তন যদি বড় হয় তাহলে আমরা বড় সোফা রাখতে পারি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সেন্টার টেবিল, ল্যাম্পশেডও রাখা যেতে পারে। এছাড়া বসার ঘরটিতে আরও নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে হলে সিলিংয়ে যদি বিম থাকে তবে সেখানে স্পটলাইটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর ফলে ঘরটি উজ্জ্বল ও আরও বড় লাগবে। এছাড়া আমরা কিছু তাজা ফুলও ইনডোর প্লান্ট ও ড্রইং রুমে রাখতে পারি। ফুল পবিত্রতার প্রতীক। ফুলের স্নিগ্ধ গন্ধ অতিথির মন যেমন কেড়ে নেবে সেইসঙ্গে বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের মনমানসিকতারও পরিচয় বহন করবে।

 

ডাইনিং রুম : ডাইনিং রুমটিও খুব ছিমছাম ও পরিপাটিভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হবে ঈদের দিন। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বাঙালির ভালোবাসা চিরকালীন। আর সেই খাওয়ার জায়গাটি যদি নিখুঁত, পরিপাটি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই ঘরে কোনো বাড়তি জিনিসপত্র না রেখে ডাইনিং রুমের একপাশে ডিনার ওয়াগন রেখে সেখানে সব থালাবাসন, চামচ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে ঈদের দিন যে কোনো সময় অতিথি এলে সেগুলো সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

খাবার ঘরে আলো পর্যাপ্ত থাকলে ভালো হয়। এখানেও ফলস সিলিংয়ে আলোর ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ডাইনিং রুমের দেয়াল কোনো ফলের ছবি দিয়ে সাজাতে পারেন। আবার ডাইনিং টেবিলে রানার ব্যবহার করতে পারেন। রানার বিভিন্ন মার্কেটেও পাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে আপনি নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। রানারে লেস বা কাতান কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন নিজের পছন্দমতো। এছাড়া পর্দা, ডেকোরেশনগুলোও ফার্নিচারের সঙ্গে মিল রেখে সাজাতে পারেন। ঈদের আগের রাতে সবকিছু গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার অতিথিদের মুগ্ধ দৃষ্টি ঈদের আনন্দকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। শেষ কথা হল- যেভাবেই ঈদের দিন ঘর সাজান না কেন, সবকিছুতেই যেন আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকে। আনন্দে থাকুন। সবার জন্য রইল ঈদের শুভেচ্ছা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/যুগা/আরএ/এ/২৪জুলাই ২০১৪.

Facebook Comments