বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্তন ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত না হওয়ায় এই রোগে প্রতিবছর হাজার হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন;বিশেষত আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে যেখানে সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের অভাব প্রবল। ঠিক এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের গর্ব ‘বুয়েট’-এর একটি তরুণ দল এনে দিল এক যুগান্তকারী প্রযুক্তি, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
জন হপকিন্স হেলথকেয়ার ডিজাইন কম্পিটিশন ২০২৫-এর ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক বিভাগে বিজয়ী হয়েছে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগের উদ্ভাবনী দল ‘নিওস্ক্রিনিক্স’।
তাদের তৈরি প্রযুক্তি—একটি AI-ভিত্তিক ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশন, যা নারীদের নিজে থেকেই ঘরে বসে স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ করে দেয়। শুধুমাত্র লক্ষণ বিশ্লেষণ করেই প্রাথমিক পর্যায়ে সম্ভাব্যতা শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যা পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণে সময়মতো পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।
এই প্রকল্পের মূল নেতৃত্বে ছিলেন ফাহমিদা সুলতানা,’নিওস্ক্রিনিক্স’ টিমের লিড ইনোভেটর।
একজন নারী হিসেবে, নারীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তার নেতৃত্ব এই প্রকল্পকে দিয়েছে এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি। বাস্তব অভিজ্ঞতা, নারীর সমস্যা সম্পর্কে অনুভব, এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা—এই তিনের সমন্বয়ে তিনি টিমকে এগিয়ে নিয়ে যান সঠিক সমাধানের পথে।
দলটির অন্যান্য সদস্যরা-এইচ এম শাদমান,
সাদাতুল ইসলাম,মো. হাসনাইন আদিল,পৃথু আনান।
তত্ত্বাবধান করেছেন-অধ্যাপক মো. সোহেল রহমান, বুয়েট।
তথ্য ও মেডিকেল সহায়তায় ছিলেন-জারিন তাসনিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ,রিবাতুল ইসলাম, রংপুর মেডিকেল কলেজ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে স্বাস্থ্যপরিসেবা এখনো শহরকেন্দ্রিক এবং নারীরা বহু সময় দ্বিধা বা লজ্জায় স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন, সেখানে এই প্রযুক্তি হতে পারে এক প্রযুক্তিনির্ভর আর্শীবাদ। এটা কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং নারীর স্বাস্থ্য অধিকার ও সচেতনতার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
অভিনন্দন নিওস্ক্রিনিক্স টিম এবং বুয়েট!
তোমাদের উদ্ভাবন একদিন লাখো নারীর জীবন বাঁচাবে।
#NeoScreennix
#WomenInTech
#HealthcareInnovation
#DigitalHealth
#BangladeshPride
#BreastCancerAwareness