banner

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 23 বার পঠিত

 

মুসলিম হবার ‘অপরাধে’ চিকিৎসা বঞ্চিত অন্তঃসত্ত্বা নারী!

 

কলকাতার কস্তুরী দাস মেমোরিয়াল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা মুসলিম নারী। অভিযোগ, হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সি কে সরকার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ওই রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগী নারী গত সাত মাস ধরে নিয়মিত ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তবে সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনার পরপরই চিকিৎসক ডা. সি কে সরকার বলেন, “পহেলগাঁও ঘটনার পর আমি মুসলমান রোগী দেখা বন্ধ করেছি। হিন্দুদের উচিত তোমার স্বামীকে হত্যা করা, তাহলে বুঝবে যন্ত্রণা কাকে বলে।”

চিকিৎসকের এমন বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যে হতবাক হয়ে পড়েন রোগী ও তাঁর পরিবার। বাধ্য হয়ে তাঁরা অন্যত্র চিকিৎসা নিতে যান। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই নিরাপদে রয়েছেন।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নেটিজেনদের প্রশ্ন, ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা কীভাবে একজন চিকিৎসকের নৈতিকতা এবং শপথের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

এদিকে আরও জানা যায়, কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতাল জে এন রে হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পতাকার প্রতি ‘অসম্মান’ দেখানোর অভিযোগ তুলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এ ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও চিকিৎসাসেবার মৌলিক নীতিমালা আদৌ কি এসব ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিদ্বেষের মধ্যেও অক্ষুণ্ণ থাকছে?

Facebook Comments