banner

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

 

চাইল্ড অ্যাবিউজ (চাইল্ড ইমোশনাল অ্যাবিউজ)

আফরোজা হাসান


আমার ছেলের সাথে নিয়মিত যে কাজগুলো করি তারমধ্যে একটা হচ্ছে কার্টুন দেখা। আমাদের দুজনেরই সবচেয়ে প্রিয় কার্টুনটা শুরু হলেই, চিৎকার করে বলে, আম্মু কার্টুন শুরু হয়েছে আর আমিও ছুটে যাই দেখার জন্য। কোনদিন যদি কোন কারণে একসাথে কার্টুন দেখা না হতো, প্রচণ্ড অভিমান করতো। একবার একটানা প্রায় একসপ্তাহ বিভিন্ন কারণে আমি ওর ডাকে সাড়া দিতে পারিনি। খেয়াল করলাম তিন-চার দিন পর থেকেই ধীরে ধীরে ওর অভিমান কমছে এবং আমাকে ডাকা ছেড়ে দিচ্ছে আস্তে আস্তে। তিন বছরে যে অভ্যাসটা গড়ে উঠেছিল, মাত্র একসপ্তাহে সেটা গতি হারালো। আবার অভ্যাসটা গড়তে অনেকদিন লেগেছিল আমার। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝে আমাকে ডাকতে ভুলে যায় আর কোন কারণে ওকে সঙ্গ দিতে না পারলে তেমন অভিমানও করে না।

আমার ব্যালকনি থেকে আমাদের বাড়ির মেইন গেইট দেখা যায়। সকালে যখন ছেলেকে তার বাবা স্কুলে নিয়ে যায় আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতাম। নীচে দাঁড়িয়ে উপর দিকে তাকিয়ে আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তারপর সে বাবার হাত ধরে গুটুগুটু পায়ে গেট দিয়ে বেড়িয়ে যেতো। একদিন ব্যস্ততার কারণে আমি ব্যালকনিতে দাঁড়াতে পারিনি। সেদিন স্কুল থেকে বেড়িয়ে সে একদম কান্না করে দিলো অভিমান আর কষ্টের প্রচণ্ডতায়। ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলছিল, আমি বার বার উপরে তাকিয়েছি কিন্তু তুমি ছিলে না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে একবার বেশ কয়েকদিন ব্যালকনিতে দাঁড়াতে পারিনি। যার ফলাফল প্রথম ঘটনার অনুরূপ। এখনো বেশির ভাগ সময় আমি ডাকলেই উপরের দিকে তাকায় সে, নয়তো না। আর কোনদিন না দাঁড়ালেও কোন অভিমান করে না।

চাইল্ড স্পেশালিস্টের সাথে কথা বলার পর জানলাম যে, শিশুরা যদি তাদের কোন আবেগের যথাযথ মূল্য না পায়, তাহলে একটা সময় সে আবেগের প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। আর নিজের আবেগকে প্রতিনিয়ত অবহেলিত হতে দেখার ফলে অন্যের আবেগকেও মূল্যায়ন করতে শিখতে পারেনা। এটা এক ধরণের ইমোশনাল অ্যাবিউজ যার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় শিশুদের নিজেদের আবেগের প্রকাশ ও অন্যেদের আবেগকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা।

বাবা-মাদের একটা সমস্যা হচ্ছে সন্তানদের ভালোর চিন্তায় বা ভালোবাসার কারণে, নিজেদের পছন্দ বা ভালোলাগা গুলোকে সন্তানদের উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। অনেক বাবা-মা আছেন নিজেদের জীবনের অপুর্ন স্বপ্নকে সন্তানদের দ্বারা পূরণ করতে চান। যার ফলে সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেন নিজেদের প্রত্যাশার ভার। জীবনে কি হতে বা কি পেতে চায় বোঝার আগেই শিশুদের শুনতে হয় তোমাকে ডাক্তার হতে হবে, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে কিংবা বিজ্ঞানী হতে হবে। নিজের স্বপ্নকে আবেগের সাথে উপলব্ধি করার আগেই বাবা-মার প্রত্যাশার বোঝা চেপে বসে কচি মন গুলোতে। স্বপ্নের পাখীরা আবেগের ডানার অভাবে হারিয়ে ফেলে উড়ার ক্ষমতা।

কম্পিটিশনের হাওয়া বইছে চারিদিকে। স্কুলের সাথে স্কুলের কম্পিটিশন, বাবা-মার সাথে বাবা-মাদের কম্পিটিশন, কোচিং সেন্টারের কম্পিটিশন, শিক্ষকদের কম্পিটিশন, হায় রে কম্পিটিশন……!!! নাইনটি পারসেন্ট মার্কস পেতে হবে, নাইটি ফাইভ পারসেন্ট মার্কস পেতে হবে……! এই ধরনের ইমোশনাল ব্লাকমেইল আর এক্সপেক্টটেশনের চাপে কোমল প্রাণ শিশুগুলোর শৈশবের আবেগ কোথায় যেন হারিয়ে যায়। আর সেই সাথে হ্রাস পায় আবেগের প্রকাশ, অনুভব, উপলব্ধির ক্ষমতা…….!!!

আমরা যেন ভুলে না যাই যে, সন্তানরা আমাদের সম্পত্তি না, আমাদের স্বপ্ন পূরণের কোন মাধ্যম না। বরং সন্তানরা আমাদের কাছে স্রষ্টার দেয়া আমানত। তাই তাদেরকে এমন করে গড়ে তোলা উচিত যাতে আমানতের খেয়ানত না হয়, বরং আমাদের জন্য হতে পারে সাদাকায়ে জারিয়া।

সাইকোলজি(পিএইচডি)

 

‘অপরাজিতা’ সালতামামি ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮

সুখ, স্বপ্নে.. নতুন বছরের আনন্দ হোক অফুরন্ত! জীবনের সব অপূর্ণ ইচ্ছা পূর্ণতা পাক… পূরণ হোক সব স্বপ্ন… সবার ভালবাসার পাত্র … হয়ে ওঠুন! যাইহোক, এমন কতকগুল রং ছড়ানো কথা নিয়ে চলে আসছে নতুন বছর।

চলে গেলো একটি বছর। চিরতরে ছুটি ২০১৭। পৃথিবীর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রবেশ করব আরো একটি নতুন বছরে। পেছনের ভালো কিছুকে আগলে ধরে ও মন্দ সব খবর পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া আবার শুরু হোক মানুষের পথচলা।

নতুন মানেই সম্ভাবনা। নতুন মানেই স্বপ্ন। নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় আজ কুয়াশার চাদর সরিয়ে উঁকি দিলল নতুন বছরের সূর্য।

প্রকৃতির নিয়মে সূর্যকে আরেকবার প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী। সঙ্গে এনেছে একটি নতুন বছর।

নারী সমাজের জন্য কেমন ছিল ২০১৭ সাল?

নারীরা ২০১৭ সালে বিশাল ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের এ বছর বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে অবস্থান ষষ্ঠ। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ-২০১৭-এর তথ্য অনুসারে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে নারী বৈষ্যমের হার সবচেয়ে কম। এ তথ্য অনুসারে ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭ নম্বরে। ইনডেক্স তৈরি করা হয় চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে-
১.অর্থনৈতিক কর্মকান্ড,
২.নারীর অংশগ্রহণ ও অংশগ্রহণের সুযোগ,
৩.শিক্ষাবিষয়ক অর্জন, স্বাস্থ্য ও মৃত্যুর হার এবং
৪.রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।
যা নারীর উত্তরণকেই প্রমাণ করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান দৃঢ়। ২০১৭ সালে সফলতায় দেশ, তথা বহির্বিশ্বে এদেশের নারী তার দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে।
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ বছরই টাইস্ অব লন্ডন তাকে দিয়েছে মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাব। যা এ দেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় প্রাপ্তি।
  • দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এ্যান্ড কিলবার্ন আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং ব্রিটিশ সরকারের ছায়ামন্ত্রী হিসেবে আছেন।
  • ব্রিটিশ পার্র্লামেন্টে উত্তর পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল এ্যান্ড এ্যাকটন আসনে লেবার পার্টি থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রুপা হক। এবং
  • তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের বেথনান গ্রিন এ্যান্ড বো আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলদেশী বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী।
  • এ বছরের জুন মাসে আর এক মানবতাবাদী বাঙালী নারী, বাংলাদেশ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারর্সন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অটিজম ডিজঅর্ডার বিষয়ে বিশ্বখ্যাত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অভিহিত হয়েছেন। এবং জুন মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাঁকে দুই বছরের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়।
  • এ বছর বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি আবিষ্কারেও এগিয়ে আছে বাঙালী নারী। মহাকাশে সহজে ব্যবহার করা যাবে এমন ছোট ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য নাসাতে কর্মরত বাংলদেশী বিজ্ঞানী মাহমুদা সুলতানা জিতে নিয়েছেন ২০১৭ সালের নাসার সেরা উদ্ভাবন পুরস্কার।
  • বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ট্রান্সপোর্ট এয়ার ক্রাফটের ‘নাজিয়া আফরিন’ প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পেয়েছেন ইন্সপায়ারিং উইমেন ইন ডিফেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৭।
  • ইন্সপায়ারিং উইমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন একজন সফল নারী গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ‘ফারজানা চৌধুরী’।
  • বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ডাঃ সায়েবা আক্তার নারীর মৃত্যু এড়াতে তার উদ্ভাবিত ‘সায়েবাস মেথড’ নিয়ে আলোচনায় আসেন এ বছর।
  • বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাহসী ভূমিকার জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ’ পুরস্কার লাভ করেণ শারমীন আক্তার।
  • হস্তশিল্পে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সোনা রানী রায়ের সেলাইকৃত নকশীকাঁথা স্পেনে আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলায় ‘সেরা তালিকায় স্থান পেয়েছে। সোনা রানীর ‘হোয়াইট অন হোয়াইট ময়ূর’ নামে নকশীকাঁথাটি স্পেনের লোয়েভে ক্রাফট প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

নারী নির্যাতন কেমন ছিল দেশে?

এ বছর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে চলি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করি।’ প্রতিবছর ২৫ নবেম্বর বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালিত হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন প্রায় ২২০ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৬ জনকে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৬ জন। পুলিশ সদর দফতরের নথি অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে মোট ৪৩ হাজার ৭০৬টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার মামলার ১ লাখ আসামি খালাস পেয়েছেন আর ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন ৮৮.৩৫ শতাংশ আসামি। নারী নির্যাতন মামলায় আসামি খালাসের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে ১ হাজার ৭৩৭টি ধর্ষণসহ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ বছরের ২৫ আগস্ট গণধর্ষণ এবং বর্বর খুনের শিকার হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের মেয়ে ‘রূপা’। বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় পৈশাচিক এ ঘটনা ঘটে। নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে বগুরার যুবলীগ নেতা আবদুল মতিনের ছোট ভাই শ্রমিকলীগ নেতা, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মাদকব্যবসা ও চোরাচালান মামলার আসামি তুফান সরকার। এ বছরের ১৭ জুলাই এসএসসি পাস করা এক কিশোরীকে তার বাড়িতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার ১০ দিন পর ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন কাউন্সিলর রুমকিসহ একদল সন্ত্রাসী মা- মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর নাপিত দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলার অভিযোগ অনুসারে তার মেয়েকে ভাল কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ জুলাই ও তারপরে কয়েকবার ধর্ষণ করে এ তুফান সরকার। এ ঘটনায় তুফান, তার স্ত্রী, বোনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বছর নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দেয়া রায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নরসিংদীর শিবপুরে এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে সুলতান মিয়া ওরফে জামাই সুলতান (৩৫), শফিকুল ইসলাম শরীফ (৩২), ও ওসমান গণি (৩৪) কে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। আসামীদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায় নিহত মাহমুদা আক্তার (২৮) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কিসমত আহমদাবাদ (চানপুর) গ্রামের মৃত বেল্লাল হোসেনের মেয়ে। এছাড়া ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী হত্যার আসামি তাঁদেরই সন্তান ঐশি রহমানের মামলার রায় প্রকাশ পায়। এ রায়ে তাকে মৃত্যুদন্ড- সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। রায়ের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো বিবেচিত হয়েছে বলে আদালত জানায় তা হলো ঐশির বর্তমান বয়স ১৯ বছরের কম এবং ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়ের আদর যত্নের অভাবে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত। সে এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। মাদকাসক্ত। হত্যার দুইদিন পরে সে নিজেই আত্মসমর্পণ করে। এবং ঐশির পরিবার পরিজনের মধ্যে কারও ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মীর কাজে নিযুক্ত বাংলাদেশী নারীদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা আলোচনায় ছিল এ বছর।

কালো কলমে অন্যান্য আলোচিত ঘটনা

এক বছরের আলোচিত বিষয় ছিল ‘রোহিঙ্গা’ ইস্যু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বর্তমানে ১৪ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে। নতুন বছরের জন্য যা এক বড় চ্যালেঞ্জ।

হৃদয়স্পর্শী ঘটনা অন্যতম হাওরে পাহাড়ি ঢল, উত্তরের বন্যা, পাহাড় ধসে মৃত্যু, জঙ্গি দমন, এক ঝাঁক গুণী মানুষের প্রয়াণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি।

২০১৭ সালেই ডানা মেলেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

প্রত্যাশা করতেই পারি এবার সকল বাধা সরিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র। সাফল্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ, মুছে যাবে ব্যর্থতার গ্লানি।

২০১৮ সালকে স্বাগতম

শুভ বিদায় ২০১৭ সালকে। ইংরেজি হ্যাপী নিউ ইয়ার (শুভ নববর্ষ) ২০১৮।
কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে আসল নতুন বছরের নতুন আলো। নতুন করে শুরুর দিন। অতীতের সব হিংসা-বিদ্বেষ পেছনে ফেলে, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সম্মিলনের দিন।

নতুন সালকে স্বাগত জানিয়ে এবং নতুন বছরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সংগঠন। ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

বিদায় বছরের সঙ্গে সঙ্গে বিগত দিনের দুঃখ বেদনা ভুলে নতুন দিনে নতুন করে সব শুরু করার তাগিদে মেতে উঠব আমরা। এগিয়ে যাবে দেশ; এমন প্রত্যাশায় শুভ বিদায় ২০১৭।

শুভেচ্ছা ২০১৮। শুভেচ্ছা সকল পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।