banner

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

 

যে সাতটি নিয়ম মেনে বাড়তি মেদকে গুডবাই বলবেন

অতিরিক্ত ওজনের জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আমরা চাই বা খুঁজি খুব দ্রুত ওজন কমানোর নানান কৌশল। অনেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
এটা সঠিক সমাধান নয়। কিছু কৌশল আর ব্যায়াম আছে যা বেশ দ্রুতই ওজন কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
আসুন জেনে নেই কৌশল সমুহ:
img20171107_234749
১.রাতের খাবারের ৪ ঘন্টা পর ঘুম
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন রাতে, এতে খাবারের অতিরিক্ত চর্বি ক্ষতি করবে না। রাতে জেগে থাকলে অল্প অল্প খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন না। এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়। ফলে শরীরে মেদ জমে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন।তাহলে ঘুমানোর আগেই হজম হয়ে যায়।
img20171107_235139
২.পাচঁফোড়ন সম্মিলিত মশলা
রান্নায় আমরা নানান রকম মশলা খেয়ে থাকি। তার মধ্যে বেশ কিছু পাঁচ ফোড়ন মশলা ওজন কমাতে সহায়ক। তারমধ্যে গোল মরিচ, আদা, দারচিনি ইত্যাদি মশলা ওজন কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে ও হার্ট ভালো রাখে।
img20171108_000224
৩.গ্রিন টি
গ্রিন টি ওজন কমাতে উপকারী। প্রতিটি দানায় রয়েছে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক পলিফেনল ও কোরোজেনিক এসিড। তাই দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারলে বছরে ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যেতে পারে। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটিসান দিয়েগোতে একটি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে যে গ্রিন টি ওজন কমায়।
img20171108_000552
৪.ফজরের পর পরই ঘুম থেকে উঠুন
ওজন কমাতে হলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারলে তা শরীরকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে, শরীরে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয় ফলে ওজন কমে। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে কিছুক্ষণ হাঁটা যেতে পারে।
img20171108_000741
৫.পানি পান করুন পর্যাপ্ত
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ওজন কমানো অন্যতম সহায়ক। পানি পানে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে পুষ্টিগ্রহণ করতে পারে। পানি পান করলে শরীর থেকে দূষিত চর্বি জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। তাই ওজন কমাতে হলে পানি পানের কোন বিকল্প নেই।
img20171108_001046
৬.সরবত (লেবু-মধু):
ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানির সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাবেন। লেবু-মধু পানীয় ওজন কমাতে দারুণ পদ্ধতি।

এছাড়া ওজন কমানোর জন্য কিছু ব্যায়াম বা খেলাধূলা

গ্রীষ্মকালের লম্বা দিন ও আবহাওয়ার উষ্ণতা – ওজন কমাবার যথার্থ সময়।
img20171108_001701
সাঁতার :
সাঁতার হল পুরো শরীরের জন্য একটি সুন্দর ব্যায়াম। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আরো কর্মক্ষম হয়।সাঁতারের ফলে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ থেকে ৫৫০ পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় হয় ।
img20171108_001540
শিখুন সাইকেল চালানো:
সাইকেল চালানোর ফলে পায়ের পেশির সংকোচন প্রসারণ হয় যা খুব ভাল ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। নিয়মিত সাইকেল চালালে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে, ওজন বাড়ানোর প্রবণতাও তেমনও কমে যায়।
img20171108_001627
ভলিবল :
খেলার মধ্যে সব ধরনের খেলা গুরুত্বপূর্ণ তবে
ওজন কমাতে চাইলে ভলিবল খেলতে পারেন। ভলিবল একটি মজার এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ ওজন কমানোর কৌশল। ভলিবল খেলা ক্যালরি ক্ষয়ের সাথে সাথে হাত ও চোখের জন্য উপকারী।

 

টুকিটাকি টিপস রান্নাবান্নার

রান্না-বান্না করতে গিয়ে মাঝে মাঝে কিছু ঝামেলায় হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক রান্না-বান্নার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস।
img20171107_185756
মুগডালের উজ্জ্বলতা
কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন, তাহলে ডালের রঙ আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে।
এছাড়া ডালে বাগার দিবার সময়, রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিতে হবে।
img20171107_185550
দ্বিগুণ স্বাদে মাছ রান্না
মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ দুইশত গুন বেড়ে যাবে।
img20171107_191645
বেরেস্তা স্বাদ
গোস্ত জাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
img20171107_185526
সুস্বাদু ডিম
ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরমাবস্থায় ডিম ছিলবেন না, ঠান্ডা করে ছিলুন এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
img20171107_185609
তৈলের ব্যবহার
কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে যা দেবেন তার সাথে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।
img20171107_185423
রান্নায় সাবধানতা
চুলায় হাড়ি পাতিলে ঢাকনা থাকলে তা খালি হাতে ধরবেন না। গরম থাকলে হাত পুড়ে যেতে পারে। ভর্তা বানাতে মরিচ খালি হাতে ঢলবেন না, হাত জ্বলে আপনি কষ্ট পেতে পারেন। যে কোন মাছ ভাঁজতে কড়াই থেকে একটা নিদিষ্ট দূরে থাকুন। মাছে পানি থাকলে কিংবা ফুটে আপনার গায়ে/চোখে তৈলের চিটকা পড়তে পারে। সাবধানে কাজ করবেন।
img20171107_185123
শুকনো মরিচের ঝাঁজ
শুকনা মরিচ ভাজলে বা পুড়লে বাতাসে একটা ঝাঁজ তৈরী হয় এতে হাচি, কাঁচি এসে নাস্তা নাবুদ হয়ে যেতে পারেন। ভাজার সময় রান্নাঘরের দরজা জানালা ভাল করে খুলে দিন। প্রয়োজনে এডজাষ্টার ফ্যান থাকলে তা চালিয়ে দিন।
img20171107_185008
সুন্দর সবজীর রং
সবজীর রং ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভাল। আর কিছু সব্জী আছে যাদের সামান্য সিদ্ব করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে।

 

সন্তানদের মাঝে পজেটিভ থটস তৈরী করুন (পর্ব-২)- ফাতিমা খান

আমার বাচ্চাদের সাথে ডিলিংস এর ব্যাপারে যেটুকু জ্ঞান জন্মেছে তার থেকে কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স শেয়ার করছি। হয়ত সময়ে অসময়ে আপনাদেরও কাজে লাগতে পারে।
img20171107_104806
♥ছোট হোক বা বড়, সন্তানের যেকোন সাফল্য বা ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করুন। বাচ্চাদের জন্য প্রশংসার চেয়ে বড় টনিক হয়ত দুটো নেই।
img20171107_112231
♥অসফলতা বা কোন বিরূপ পরিস্থিতিতে সন্তান উদ্বিগ্ন হলে তাচ্ছিল্য না করে সাহস দিন। ” আমি জানি তুমি পারবে, না পারলেও চেষ্টা করে দেখো ” জাতীয় উতসাহমূলক কথাগুলো আজ না হলেও পরবর্তীতে তাদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করবে।
img20171107_111310
♥তাদের শখের কাজগুলোকে মূল্যায়ন করুন। সম্ভব হলে এগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন। মাঝে মাঝে নিজেদের হাতে গড়া পুরানো শিল্পগুলোর দিকে তাকিয়ে তারা অনেক উদ্দীপিত হবে।
img20171107_112045
♥অবসরে প্রাকৃতিক পরিবেশে একসাথে ঘুরে বেড়ানো বা সময় কাটানো যেতে পারে। এতে করে পারিবারিক বন্ধন শক্ত হওয়ার সাথে সাথে মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটবে।
img20171107_111439
♥ঘরে বসেও অবসরে মজার কোন মুভি দেখা, গান শোনা, ছবি আকা বা গল্প বলার প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে। বাচ্চাদের সৃজনশক্তি বাড়াতে এর জুড়ি নেই।
img20171107_111847
♥পারিবারিক অশান্তি বা মনোমালিন্যের মাঝে বেড়ে ওঠা শিশুগুলো সাধারনত বুজদিল হয়ে থাকে। ইতিবাচক চিন্তা করার মত সাহস তারা হারিয়ে ফেলে।
img20171107_104855
♥সন্তানদের রাগ, দুঃখ বা ক্ষোভকে প্রকাশ করতে দিন। এতে তার মন ভারমুক্ত হবে। বাচ্চা জেদ করে কান্নাকাটি করা কালীন ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া মারাত্নক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সারাজীবন তার মনে এর নেগেটিভ প্রভাব রয়ে যায়।
img20171107_111340
♥সারাদিনে কি কি ভাল কাজ করল তার একটা ডায়রী মেইন্টেইন করতে দিন। সপ্তাহ বা মাস শেষে এগুলোর জন্য পুরষ্কার দিন। দেখবেন ওই ভাল কাজগুলো একদিন না একদিন তার অভ্যাসে পরিণত হবে।
img20171107_104634
ছোটবেলা থেকে পজিটিভ থিংকিং বা ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখালে বয়সের সাথে সাথে এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। পজিটিভ এনার্জি সঞ্চিত বাচ্চাগুলো অনেক বিরূপ পরিস্থিতেও সহজে বিচলিত হয়না, বিষন্নতায় ভুগে না। ইতিবাচক চিন্তা তাদের মনোবলকে বলিষ্ঠ করে, জীবনীশক্তিকে বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশী। শারিরীক সুস্থতা তো বটেই, মানসিকভাবে সুস্থ সন্তান আমাদের কার না কাম্য!