banner

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 15, 2024

 

নৈঃশব্দ্য

চলো ডুব দেই নৈঃশব্দ্যে,
চুষে নেই স্থির মুহূর্তগুলো।

পৃথিবীর বুকে অন্তত একবার
সবকটি ভাষার গলা টিপে ধরে
চলো নীরব হই, একটু দাড়াই।

দেখো, মুহূর্তটা কেমন অচেনা হয়ে উঠবে,
কোন তাড়া নেই, ইঞ্জিনের শব্দ নেই,
একটা আকস্মিক বিস্ময়ে একত্রিত হবো সবাই
আমি, তুমি, সে।

তিমিদের গায়ে আঘাত করা
থামিয়ে দিবে শীতল সাগরের মাঝিরা,
লবণ জমানো সেই লোকটা থেমে গিয়ে
চোখ রাখবে তাঁর আহত হাতের উপর।

যারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুদ্ধের,
বিষাক্ত গ্যাস, আর আগুনের যোগান দিচ্ছিল যারা,
আচমকা জিতে যাবে তাঁরা কোন মৃতপ্রায় উত্তরজীবী ছাড়াই।
পরিষ্কার জামা গায়ে জড়িয়ে
এরা হেঁটে বেড়াবে ভাইদের সাথে,
ছায়ার নিচে, চুপচাপ।

চলো লেনদেন সেরে ফেলি
মৃত্যুর সাথে।

চলো একবার — না করি কিছুই,
হয়তো এই বিশাল নীরবতা
ব্যঘাত ঘটাবে আমাদের বিষণ্ণতায়।
হয়তো পৃথিবী আমাদের শেখাবে—
যখন নৈঃশব্দ্যে থেমে যায় সবকিছু,
পর মুহূর্তেই জেগে উঠে জীবন।

Shariful Islam
অক্টোবর ২৫, ২০১৭, ঢাকা ।
[উৎসাহ, নেরুদা’র কিপিং কোয়াইট]

 

“ডুব” বিশিষ্ট্য ব্যক্তিদের স্ট্যাটাস

ডুব হচ্ছে ২০১৭ সালের একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে এটি জীবনী সম্পর্কিত একটি নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করবেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজ, এসকে মুভিজ এবং ইরফান খান ফিল্মসের ইরফান খান। চলচ্চিত্রটির শিল্পীগন হলেন ইরফান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী এবং পার্ণো মিত্র। গল্পটি তৈরি হয়েছে পরিবারের প্রধান সদস্যের মৃত্যুর পরে দুইটি পরিবারের অটুট বন্ধনের কাহিনী নিয়ে। যেখানে একজন মধ্যবয়স্ক লেখক এক তরুনীর প্রেমে পড়েন যিনি তার মেয়ের বন্ধু। চলচ্চিত্রটির প্রধান ভাষ্য হচ্ছে যে,”মৃত্যু সবসময় সব কিছু নিয়ে যায় না,অনেক সময় কিছু দিয়েও যায়।”
ডুব মুভি নিয়ে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে ফারুকী আইএনএসকে জানায়, “ডুব: নো বেড অফ রোজেস’ সিনেমাটি তৈরি করা আমার জন্য মোটেও সহজ ছিলো না। সিনেমার নামের মতই এটি ছিলো কষ্টসাধ্য, অর্থাৎ ‘নো বেড অফ রোজেস’। তবে দেশের বাইরে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগছে।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “ডুব’য়ের মুক্তি নিয়ে এ পর্যন্ত যত বাধা ও সমস্যার মুখে পড়েছি আজকের আয়োজনে দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমি সব ভুলে গিয়েছি। দেশের বাইরে অগণিত দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসায় সিক্ত হয়ে খুবই ভালো লাগছে। এখন অপেক্ষায় আছি কবে বাংলাদেশের দর্শক ছবিটি দেখতে পাবে।”

ডুব নিয়ে বিশিষ্ট্য ব্যক্তিরা,

ইরফান খান বলেছেন, ” ‘ডুব’ করার একমাত্র কারণ ফারুকী ”

Nusrat Imrose Tisha…পেজ থেকে,
“ডুব চলছে…..।

Anisul Hoque স্যারে পেজ থেকে,
“দেশের চাইতে বিদেশেই তো হলের সংখ্যা বেশি। আগামীকাল বাংলাদেশের সিনেমার বিশ্বযাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। অভিনন্দন,
সংশ্লিষ্ট সবাইকে।”

গায়ক লুৎফর হাসান তার ফেসবুক পেজে লেখেছেন,
“Mostofa Sarwar Farooki ভাই, কিছু মন খারাপের সংবাদেও আনন্দ আছে। খোঁজ নিলাম, দৌড়ঝাঁপ করলাম। ডুবের টিকেট শেষ। দমবন্ধ অবস্থায় আছি। হয়তো ম্যানেজ হবে, তবে এই টিকেট ফুরিয়ে যাওয়ার খবরে আনন্দিতই। শুভকামনা ভাই ”

কবি হাসনাউল রেজা ফিরোজ ফেসবুক স্ট্যাটাস,
“জাভেদের জীবনে এই দুই নারীর প্রভাব সবচেয়ে বেশী।একজন নুসরাত ইমরোজ তিশা, যিনি জাভেদের বড় মেয়ে।আরেকজন পার্নো মিত্র, যিনি জাভেদের দ্বিতীয় স্ত্রী।
বলার অপেক্ষা রাখেনা,দুজনেই অত্যন্ত অত্যন্ত সু অভিনেত্রী।
তাদের অভিনয় দেখার জন্য হলেও হলে গিয়ে দেখতে হবে “ডুব”…
#ডুব চলছে আপনার পাশের প্রেক্ষাগৃহে”

আহারে জীবন, আহা জীবন, জলে ভাসা পদ্ম জীবন।’
ডুব…..

 

নামে কি আসে যায়,কর্মই নামকে বড় করে -২

বর্তমানে আর একটি নাম অত্যন্ত জনপ্রিয় সেটি আনিসুল হক। হুমায়ুন নামধারীদের নামের শেষ অংশ মিল ছিলনা কিন্তু আনিসুল হক নামে যে তিনজন আছেন তাদের নামের কোথাও কোন বেমিল নেই।

১। আনিসুল হক (সাহিত্যিক)। (Anisul Hoque) । আজ যাকে আমরা সাহিত্যিক হিসেবে দেখছি তিনিও হুমায়ুন আহমেদের মতই অনেক গুলো প্রতিভার অধিকারী। বুয়েট থেকে পাশ করা এই অসাধারণ মানুষটি ইঞ্জিনিয়ারতো বটেই তার সাথে সাংবাদিক,সাহিত্যিক,নাট্যকার এবং বেশ ভাল মানের আর্টিস্টও বটে।
মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বদেশ প্রেম নিয়ে লেখা তার রচনা গুলো আমাদেরকে দেশ প্রেম শেখায় নিয়ে যায় উত্তাল সেই দিনগুলোতে। মনের মধ্যে বীরত্ব জন্ম দেয়।
প্রেমের উপন্যাস গুলোতে আমাদের জীবনের চতুর্থপর্বে এসেও প্রেম জাগায়,মনে হয় যেন এই বৃদ্ধ বয়সেও আমি এক তরুন কলেজ স্টুডেন্ট।

নিছক ছোটদের আনন্দ দেয়ার জন্য তিনি যখন গুড্ডু বুড়োকে নিয়ে নানা কান্ড ঘটাতে লাগলেন আমরা অবাক হয়ে দেখলাম সেটা কেবল ছোটরাই নয় সেই সাথে বড়রাও গো গ্রাসে গিলছে।

তার লেখা গদ্য কার্টুন কার না ভাল লাগে।

আচ্ছা ধরুন সব কিছু বাদ। এই আনিসুল হক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যে মানের ভক্ত তার বিনিময়ে তার স্থান আমার দৃষ্টিতে এক নাম্বার হবে এটাইতো স্বাভাবিক। তিনি বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশ দলকে যেভাবে সাপোর্ট করেন তার মুগ্ধকর।

২। আনিসুল হক (মেয়র)। এই আনিসুল হক সাহিত্যিক আনিসুল হকের থেকে বয়সে প্রবীন।তিনি আগে লাইম লাইটে ছিলেন না। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাকে চিনতাম এবং তার সাথে কয়েকবার আমার দেখাও হয়েছে। তখন তাকে আমার ঠিক সেরকম লাগেনি। বরং তিনি যখন মেয়র পদে দাড়ালেন আমার মনে হলো এই লোকটা নির্বাচিত হলে কিছুই করবেন না।

আহ আমার ধারণা ভুল প্রমান করে দিয়ে তিনি নির্বাচিত হওয়ার সামান্য এ কয়দিনের ব্যবধানে যা করেছেন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে যে প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ থেকে সাদেক হোসেন খোকাও তা করেন নি। হ্যা আমি দেখেছি একই সাথে এলাকার সব রাস্তা খুড়ে কাজ শুরু করেছেন। ভোগান্তি হচ্ছে কিন্তু তিনি কোন কাজ ফেলে রাখেন নি। তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচিত হওয়ার পর তার সাথে দেখা হলো। আমার মত সাধারণ মানুষকে হতবাক করে দিয়ে তিনি হাসিমুখে কথা বললেন। এবং আমার মনে হলো নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি যতটা বন্ধুভাবাপন্ন ছিলেন নির্বাচিত হওয়ার পর তা বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুন। এবং দেখবেন অবধারিত ভাবেই তিনি আপনার মনেও জায়গা দখল করে নেবে। যদিনা আপনি ঘোর বিরোধী না হন।

৩। আনিসুল হক (আইন মন্ত্রী)। তিন আনিসুল হকের মধ্যে শেষ জন হলেন বয়সে সব থেকে প্রবীন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আইনমন্ত্রী হওয়ার পর অনেক কিছু হয়েছে। অনেকের চোখ ভিজে উঠেছে আনন্দ অশ্রুতে এবং কারো কারো হয়তো বেদনায়।

তাই দেখা যাচ্ছে বাংলার আকাশে হুমায়ুন আর আনিসুল হক নাম দুটোতে একাধিক ব্যক্তি খ্যাতিমান হয়েছেন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

তাহলে আসুন আমি আপনি আমাদের সন্তানদের নামও ওরকম কারো সাথে মিলিয়ে রাখলে সন্তান তার মত হবে এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসি এবং তাদের মেধা বিকাশে আন্তরিক সহযোগিতা দেখাই। হয়তো সহযোগিতা পেলে সেই ছেলেটিই একদিন নাম কামাবে।
কুসুম কুমারী দাশের সেই কবিতার মত
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।”

হ্যা হুমায়ুন আর আনিসুল হক নামধারী মানুষ গুলো শুধু কথায় নয় কাজে বড় হয়েছেন। তাদের জন্য স্যালুট।
………………………..
#জাজাফী
উত্তরা