banner

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

 

রূপচর্চায় বরফ-লেবু এবং হাটা

ত্বক এবং শরীর যতবেশি সতেজ থাকে তাকে ততবেশি আকর্ষণীয় দেখায়। তাই লেবু ও বরফের পাশাপাশি হাটার কোন বিকল্প নেই। অপরূপ সতেজ ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পদ্ধতি জানা দরকার।

♥দীর্ঘ সময় মেকআপ ধরে রাখতে: মেকআপ শুরু করার আগে এক টুকরো বরফ নিয়ে ভাল করে মুখে ঘষে নিন। যখন দেখবেন জলটা একেবারে শুকিয়ে গেছে, তখন মেকআপ শুরু করুন। এমনটা করলে ফাউন্ডেশন খুব ভাল ভাবে ত্বকে শোষিত হয়।

♥সাধারণভাবে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শশার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে নিন। কটন বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগাতে থাকুন। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সাথে সাথে যদি জ্বালা করে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। তারপর বরফ লাগান।

♥ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকরী। একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সাথে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো মিশ্রণটা ত্বক শোষণ করে। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

♥ত্বককে টানটান করে: একটা কাপড়ের টুকরো নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো বরফ নিয়ে নিন। এবার সেটি ভাল করে মুখে ঘষুন কিছুক্ষণ। প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার কারণে বরফ ঘষা মাত্র মুখে রক্ত চলাচল খুব বেড়ে যায়, ফলে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।

♥চোখের ফোলাভাব কমায়: একটা কাপড়ে পরিমাণ মতো বরফের টুকরো নিয়ে নিন। এমনটা করলে চোখের ফোলা ভাব যেমন কমে যাবে, তেমনি ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও দূর হবে।

♥পুড়ে যাওয়া ত্বককে স্বাভাবিক করে: বরফের প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটি ত্বকে ঘষলে সে জায়গার তাপমাত্রা নিমেষে কমে যায়। তারপর ডিমের সাদা অংশের সাথে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস, কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে নিন।

♥হাঁটা রক্তের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। শরীরের রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

♥প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটা শরীরের ক্যালোরি ঝড়াতে সাহায্য করে। এতে ওজন কমে। তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই হাঁটুন।

♥নিয়মিতা হাঁটা হাড় ও পেশির শক্তি বাড়ায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট হাঁটা হাড়কে ভালো রাখে। বিশেষ করে পায়ের স্বাস্থ্য ভালো করে।

♥হাঁটা এনড্রফিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এনড্রোফিন মস্তিষ্কের এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান। এটি মেজাজকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 

আজকের রান্নার স্বাদ -২

গৃহিনীদের সারাদিনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটাতে হয় রান্নাঘরে। আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস যা আপনাদের রান্নাকে আরও মজাদার করে তুলবে।

♠মাছ রান্না
মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ দুইশত গুন বেড়ে যাবে। যদি তেলাপিয়া মাছে কোন গন্ধ থাকে তবে তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও ভিনিগার/লেবুর রস মাখিয়ে মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে নিলে গন্ধ থাকেনা।

♠ডাল রান্না
ডালে বাগার দিতেই হবে, রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিতে হবে। ডালের মজা জ্বালে! অর্থাৎ যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ বেড়ে যাবে ততই।

♠সবজী রান্না
রং ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভাল। আর কিছু সব্জী আছে যাদের সামান্য সিদ্ব করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে।

♠ভাজি রান্না
কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে যা দেবেন তার সাথে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।

♠রান্নায় সর্ষের স্বাদ
লাল সর্ষে তিতা বা ঝাজ বেশী হয়। হলুদ সর্ষে ব্যাবহার করলে তিতা হয়না। আরেকটি কথাঃ সর্ষে বাটার সময় লবন আর কাচামরিচ এক সাথে বাটলে তিতা হয়না।

♠লেবুর ভূমিকা রান্নায়
বর্ষাকালে লবণ গলে যায়। এক মুঠো পরিষ্কার চাল পুটলি করে বেঁধে লবণের পাত্রে রেখে দিলে লবণ গলবে না।

♠কাঁচের গ্লাস
কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে অনেক সময় ফেটে যায়। গরম কিছু ঢালবার আগে গ্লাসে একটি ধাতু নির্মিত চামচ রেখে ঢাললে গ্লাস ফাটবে না।

♠রান্নায় আলু
আলু এবং আদা বালির মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে অনেক দিন টাটকা থাকে।

 

অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল “সুবোধ” কে!!

গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের পাশেই থাকতেন পারভীন আক্তার নাম এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। স্বামী তাকে ছেড়ে গেছে অনেক আগেই। সোমবার রাতে তার প্রসব বেদনা ওঠে। পরিচিত একজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন তার গর্ভের সন্তানের অবস্থা ভালো নয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তির জন্য জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসারকে লেখেন।

এরই মধ্যে একজন জানান, রোগীর সিজার করতে হবে। বেশ কিছু টাকা খরচপাতি লাগবে। কিন্তু হাতে টাকা নেই শোনার পর তিনি পারভীন আক্তারকে নিয়ে দ্রুত অন্য কোথাও যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পরে তাকে নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানে তার কাছে ১৫শ’ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দেয়ায় সেখান থেকে পারভীন আক্তারকে অন্য কোথাও যেতে বলা হয়।

সকাল ৮টার দিকে পারভীনকে আজিমপুর মাতৃসদনে নেয়া হয়। সেখানে তার নামে কোনো কার্ড কিংবা রেজিস্ট্রেশন না থাকায় কর্তৃপক্ষ ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। বারবার অনুরোধের পর তাকে দ্বিতীয় তলার লেবার রুমে নিয়ে যান এক নারী চিকিৎসক। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের হয়ে যেতেই আয়া শাহিদা সেখানে যান।

এ হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না বলেই শাহিদা তাকে টেনে দোতলা থেকে নিচে নামান। পারভীন তখন ব্যথায় ছটফট করছিলেন। অন্য একটি হাসপাতালের ঠিকানা দিয়ে আয়া তাকে বের করে দেন।

ম্যাটারনিটি হাসপাতাল থেকে বের হতেই প্রসব বেদনায় রাস্তার ওপর বসে পড়েন পারভীন। সেখানেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। প্রথমে নড়াচড়া করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতক নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

… এবং সন্ধ্যার পর নবজাতককে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

তবুও ভালো শিশুটার দাফনটা অন্তত করা গেছে। যাবেই তো।

মধ্যম আয়ের এই দেশ রাস্তায় নবজাতকের জন্ম দেবার দৃশ্য সহ্য করতে পারে – কিন্তু রাস্তায় পড়ে থাকা লাশের গন্ধ সহ্য করতে পারে না যে।

কিছুই বলার নেই- শুধু একটা কথা ছাড়া।

শুনলাম গোয়েন্দারা নাকি সুবোধ সিরিজের সেই গ্রাফিতিগুলোর স্রষ্টাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

গোয়েন্দাদের বলছি আজিমপুর গোরস্থানে যান – দেখবেন একজন সদ্যজাত শিশু গোরস্থানের দেওয়ালে বসে হাসতে হাসতে বলছে –

“আমিই সুবোধ – পালিয়ে এসেছি – মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে!”

shomoy marma
(সৌজন্যে: bdflow24.com)