banner

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

 

শিশুদের বয়সানুযায়ী কাজের তালিকা

...
অনেকক্ষেত্রে আমরা বাবা মায়েরা সন্তানের প্রতি ভালোবাসার দরুন, তাদের দিয়ে কোনো কাজ করাতে চাইনা,ভাবি বড় হলে তখন করবে।ভাবুন তো,কোনো কাজ না পারা ছেলে/মেয়েটি দেশে/বিদেশে হল লাইফে কিভাবে কি করবে?অথবা,আপনার স্বামী/স্ত্রীই যখন একেবারেই প্রচন্ড আদরে বড় হওয়া,কোনো কাজ না পারা মানুষ হোন, আপনার কেমন লেগেছে /লাগবে?
সন্তানকে নিয়ে একসাথে কাজ করলে বরং বাবামার সাথে সন্তানের বন্ধুত্ব বাড়ে।সম্পর্ক হয় গভীর। আমরা বয়স অনুযায়ী আমাদের সন্তানদের ঘরের কাজ ভাগ করে দিতে পারি।

...
২-৩ বছর

এ বয়সে শিশুরা সব কাজ করতে চায়,ঘর ঝাড়া থেকে রুটি বানানো সব।বাধা দেবেন না।করতে দিন,যদি সন্তানের ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকে।এতে তার কাজে আগ্রহ বাড়বে।আর বিরক্ত হওয়া যাবে না।
মূলত এ বয়সে,শিশুদের কিছু নিয়ে আসতে বলুন,বা,নির্দিষ্ট কিছু রেখে আসতে বলতে পারেন।যেমন,শিশুর নিজের ডায়পার নিয়ে আসা,ও ফেলে আসা।
খেলনা গুছাতে বলা।
ময়লা কাপড় বালতিতে ধুতে দেয়া।
খাবার টেবিলে ম্যাট বিছাতে দেয়া।
কম ধূলাযুক্ত স্থান মুছতে দেয়া।

...
৪-৫ বছর

নিজের খেলনা একাই গুছানো
বিছানা গুছানো
নিজের রুম গোছানো
হালকা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার বানানো, যেমন স্যান্ডউইচ বানানো
রান্না ঘর গুছাতে সাহায্য করা,যেমন হাড়ি,পাতিল, প্লেট জায়গা মত রাখা
ছোট,নিচু,আসবাবপত্র মুছতে দেয়া
গাছে পানি দেয়া

10-11
৬-৭ বছর

ময়লা ফেলা
চারকোণা কাপড় (টাওয়েল,রুমাল) ভাজ করা
জিনিষ মিলিয়ে রাখা,যেমন,মোজা মিলিয়ে রাখা
রান্নার কাজে সাহায্য করা – সবজি(মটরশুঁটি, আলু,পটল,গাজর) ছেলা
সন্তানকেও খাবার বানাতে দেয়া – সালাদ, কাস্টারড বানানো
বাগান করতে দেয়া
নিজের রুম নিজে ঝাড়ু দেয়া ও মোছা
মাকড়শার ঝুল ঝাড়া
বাথরুমে টয়লেট পেপার রাখা

...
৮-৯ বছর

বাল্ব /লাইট লাগানো বা বদলানো
কাপড় ধোয়া,ভাজ করা ও গুছিয়ে রাখা
বাজার করতে সাথে নিয়ে যাওয়া ও বাজার গুছিয়ে রাখা
খাবার টেবিল নিজে নিজে গুছানো
নিজের প্লেট,গ্লাস নিজে ধোয়া
আসবাবপত্র মোছা
রান্না ও বেক করা,যেমন,ডিমের জরদা বানানো, কেক/বিস্কুট বানানো
হ্যান্ডওয়াস রিফিল প্যাক ভরা

...
১০-১১বছর

নিজের বাথরুম ধোয়া
সিম্পল খাবার রান্না করা
রান্নাঘর নিজে গুছানো, হাড়ি,পাতিল ধোয়া
ছোট সেলাই করা – বোতাম লাগানো, হেম দেয়া
বাজার করা টুকটাক

...
১২বছর ও তার উপরে

কাপড় আয়রন করা
ছোট ভাইবোন কে দেখে রাখা
সবধরনের রান্না করতে দেয়া
পুরো বাসা ঝাড়ু দেয়া,মোছা
ইলেক্ট্রনিক কাজ করা
বাজারের লিস্ট করা ও নিজে বাজার করা
বাসা মেরামতের কাজে সাহায্য করা

কাজের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে ভাগ করা উচিৎ না।শিশুরা কাজ ভাগ করে না,আমরা ওদের এই ভুল ধারণা দেই,এটা মেয়ের কাজ আর এটা ছেলের….

পজেটিভ প্যারেন্টিং
ট্রেইনার গ্রুপ,
লাইফস্প্রিং(মেন্টাল হেলথ ইন্সটিটিউট),ঢাকা
https://www.facebook.com/lifespringinstitute/

 

আসুন মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানি

অদৃশ্যমান অদৃশ্যমান
মৃত্যু (Death) মানে জীবের জীবনের সমাপ্তি। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে আমরা বলি মৃত।

মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়,
তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া।

মৃত্যু আসলে স্থায়ী জীবনে প্রবেশের দরজা। মৃত্যুর মাধ্যমেই আমরা পরকালের জিন্দেগীতে প্রবেশ করি।

...
মৃত্যুর ইসলামিক দৃষ্টিকোণঃ
মৃত্যু সম্পর্কে ক্বুরআনের কিছু আয়াত,

সূরা আলে ইমরানের ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,
“সমস্ত প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন তোমাদের পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।”

সূরা আলে ইমরানের ১৪৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে
“আল্লাহর আদেশ ছাড়া কারো মৃত্যু হয় না। এটা এমন এক পরিণতি যা সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে।”

সূরা আলে সূরা সাবা ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“বলুন, তোমাদের জন্যে একটি দিনের ওয়াদা রয়েছে যাকে তোমরা এক মহূর্তও বিলম্বিত করতে পারবে না এবং ত্বরান্বিত ও করতে পারবে না।”

সূরা লুক্বমান ৩৪  নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“নিশ্চয়ই কিয়ামত (-এর ক্ষণ) সম্পর্কিত জ্ঞান কেবল আল্লাহরই কাছে আছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনিই জানেন মাতৃগর্ভে কী আছে। কোন প্রাণী জানে না সে আগামীকাল কী অর্জন করবে এবং কোন প্রাণী এটাও জানে না যে, কোন ভূমিতে তার মৃত্যু হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত, সবকিছু সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন।”

সূরা আলে সূরা জুমার ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“নিশ্চয় তোমারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে।”

সূরা আলে সূরা আশশুরা ৮১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।”

সূরা আলে সূরা ওয়াকিআ ৬০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।”

সূরা আলে সূরা কাহফ ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।”

সূরা আলে সূরা কাহফ ৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“আমি জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং আমারই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।”

সূরা আলে সূরা হাজ্জ্ব ২৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“আমিই জীবনদান করি, মৃত্যুদান করি এবং আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।”

সূরা আলে সূরা আল আ’রাফ ১২৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“তারা বলল, আমাদেরকে তো মৃত্যুর পর নিজেদের পরওয়ারদেগারের নিকট ফিরে যেতেই হবে।”

সূরা আলে সূরা আনকাবুত ৫৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।”

সূরা আলে সূরা আল ইমরান ১৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“আর তোমরা মৃত্যুই বরণ কর অথবা নিহতই হও, অবশ্য আল্লাহ তা’আলার সামনেই সমবেত হবে।”

সূরা হাদীদ ২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।”

সূরা মুনাফিকুন ১১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
“প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।”

মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে মৃত্যু বাক্যটি ১০৮টি আয়াতে ১১৮বার উচ্চারিত হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র কয়েকটি আয়াত আপনাদের সামনে পেশ করা হল। প্রতিটি প্রাণীই মরণশীল। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে স্থায়ী নয় কেউ-ই।
রেফারেন্স:উইকিপিডিয়া,কোরআন।
অপেক্ষা অপেক্ষা

ফাতেমা শাহরিন
‘সাইকোলজি’