banner

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 26, 2025

 

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও পুনর্গঠনের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন

 

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার এবং বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তারা বলেন, বর্তমান কমিশনের সুপারিশে যৌনকর্মীদের পেশাগত স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান কমিশন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে সুপারিশ করেছে। তারা দাবি করেন, ইসলাম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে, তা যথেষ্ট এবং সেই অধিকার বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার বলেন, “এই কমিশনে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই পশ্চিমা ভাবধারায় প্রভাবিত এনজিও-সংশ্লিষ্ট। তারা বৃহত্তর নারী সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধি নন। নতুন করে কমিশন গঠন করে সংস্কারের প্রস্তাব আনা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশনের কিছু সুপারিশ কোরআন ও হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং অন্যান্য ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। যা দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।”

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরও দাবি জানান, ইসলাম অনুযায়ী নারীদের উত্তরাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, তবে ধর্মীয় বিধান পরিবর্তনের নামে কোনো চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার তারা মেনে নেবেন না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন কতিপয় সুপারিশ পেশ করলে তা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ইবিতে এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 

চোখ ঘষা: স্বস্তির ফাঁদে লুকানো বিপদ!

চোখ চুলকালে আমরা অনেকেই অবচেতনভাবে হাত দিয়ে ঘষে ফেলি। প্রথমদিকে এটি স্বস্তিদায়ক মনে হলেও, নিয়মিত বা জোরে চোখ ঘষার অভ্যাস আমাদের অজান্তেই নানা ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। চোখ শরীরের অন্যতম সংবেদনশীল অঙ্গ, তাই এর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

চোখ ঘষার ফলে কর্নিয়া বা কনজাংটিভার ওপর চাপ পড়ে, যা চোখে খসখসে ভাব, লালচে রঙ ও ঝাঁঝালো অনুভূতির জন্ম দিতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—নোংরা বা জীবাণুযুক্ত হাতে চোখ ঘষলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া, যারা গ্লুকোমার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে চোখ ঘষা চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়িয়ে অপটিক নার্ভের ক্ষতি করতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তি ক্ষয়ের ঝুঁকি তৈরি করে। আবার, নিয়মিত ঘষার ফলে চোখের চারপাশের নরম ত্বকে বলিরেখা বা ডার্ক সার্কেল দেখা দিতে পারে, যা বয়সের আগেই চেহারায় ক্লান্তির ছাপ ফেলে।

সবচেয়ে মারাত্মক একটি দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি হলো কর্নিয়ার গঠন বিকৃতি—যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কেরাটোকোনাস বলা হয়। এ অবস্থায় কর্নিয়া পাতলা ও শঙ্কু আকৃতির হয়ে পড়ে, ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় এবং তা সারাজীবনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে অ্যালার্জি বা ধুলোবালির কারণে চোখে অস্বস্তি হলে, তাৎক্ষণিকভাবে চোখ ঘষার পরিবর্তে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নেওয়া, কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করা অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আইড্রপ ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হালকা চাপ দিয়ে চোখ চেপে ধরা বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়াও আরাম পেতে সহায়ক হতে পারে।

চোখে যদি লালভাব, ব্যথা, ঝাপসা দেখা বা চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দেরি না করে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম। স্মরণে রাখা উচিত—চোখের প্রতি অবহেলা মানেই নিজের প্রতি অবহেলা।

সতর্ক থাকুন, চোখের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।