banner

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: September 2024

সন্তানকে ‘ফ্যাটি লিভার’ থেকে নিরাপদে রাখবেন যেভাবে

আজকাল অনেক শিশুর লিভারে ফ্যাট জমে। কারণ আজকালকার বাচ্চারা বাড়ির খাবার খেতে পছন্দ করে না। বরং বারবার তাদের মন কেড়ে নেয় পিৎজা, বার্গার, মোমো, বিরিয়ানি, চাউমিনের মতো খাবার। এমনকী তাদের মধ্যে অনেকেই কোল্ড ড্রিংকস, চকোলেট এবং মিষ্টির পোকা।

আর এসব খাবারের কারসাজিতেই বিপদে পড়ে তাদের লিভার। এই অঙ্গে জমে ফ্যাট। আর এই সমস্যার নামই হল ফ্যাটি লিভার। এই সমস্যার দিকে প্রথমেই নজর না দিলে মুশকিল! সেক্ষেত্রে শরীরের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
তাই বিপদ বাড়ার আগেই এই প্রতিবেদন থেকে ছোটদের ফ্যাটি লিভারকে বশে আনার ৪ কৌশল সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। তাহলেই অনায়াসে সমস্যাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।
শিশুদের ​খেলতে পাঠান​
আপনার সন্তান কি মোবাইল, কম্পিউটারে গেম খেলে অভ্যস্ত? তাহলে আজ থেকেই তার এই অভ্যাসে বদল আনুন। তাকে সঙ্গে করে মাঠে যান।

সেখানে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলতে দিন। আপনি চাইলে তাকে ফুটবল বা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারেও তাকে ভর্তি করে দিতে পারেন। তাহলেই দেখবেন দ্রুত ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যাকে মাত দিয়ে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবে ছোট্ট সোনা।
​কমিয়ে ফেলুন ওজন​
সন্তানের ওজন বেশি থাকলে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যার থেকে মুক্তি মিলবে না। তাই আজ থেকেই ছোট্ট সোনার ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন।

সেক্ষেত্রে তাকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার পরামর্শ দিন। সে ব্যায়াম করতে না চাইলে সাঁতারে ভর্তি করে দিন। কিংবা তাকে সাইকেল চালাতেও বলতে পারেন। এই কাজটা করলেই উপকার মিলবে। দ্রুত কমে যাবে তার ওজন।
যেসব খাবার থেকে বিরত রাখবেন​
জানি আপনার সন্তান, ফাস্টফুডের জন্য পাগল! তাই সে রোজ রোজ বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, বার্গার খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। তবে ভুলেও তাকে এসব খাবার কিনে দেবেন না। এই ভুলটা করলে সমস্যা আরও বাড়বে। তবে শুধু এসব খাবারই নয়, এর পাশাপাশি চিপস, চকোলেটের থেকেও তাকে দূরে রাখতে হবে। এমনকী খেতে দেওয়া চলবে না কোল্ড ড্রিংকস। আশা করছি, এসব খাবার এবং পানীয়কে ডায়েট থেকে দূর করে দিলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​চেকআপে রাখুন​
বাচ্চার ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে মাঝে মাঝে চেকআপ জরুরি। তাই মাসে অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি যদি ওষুধ বদলে দেন বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে বলেন, সেগুলি সন্তানকে মেনে চলতে বলুন। এমনকী তিনি কিছু টেস্ট দিলেও তা করে নিতে হবে। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে ছোট্ট সোনা। তাই ঝটপট এই কাজে লেগে পড়ুন।

হার্টের সুরক্ষায় ৪ খাবার এড়িয়ে চলুন

 

যা কিছু খেতে আমরা পছন্দ করি তার সবই কি স্বাস্থ্যকর? বিশেষ করে আমাদের হার্ট ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক হতে হবে। সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম রিলে লন্ডনের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ডাঃ জেরেমি চারটি খাবার নিয়ে আলোচনা করেছেন। যে খাবারগুলো হার্ট ভালো রাখার খাতিরেই এড়িয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেই চারটি খাবারই আমরা প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে খেয়ে থাকি। তবে সব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এই চারটি খাবার, বিশেষ করে তার তালিকার তৃতীয় আইটেমটি সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করার সাথে একমত হবেন না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, ডাঃ জেরেমি কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন-

১. ফাস্ট ফুড
ফাস্ট ফুড চেইনের বেশিরভাগ খাবারই আসলে কেবল চটকদার। তাতে পুষ্টির কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। হার্ভার্ড হেলথের মতে, হ্যামবার্গার, ফ্রাই এবং চিনিযুক্ত কোমল পানীয় প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা ধমনী-ক্লগিং প্লেকের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অপরদিকে গবেষণায় দেখা গেছে যে ফল, শাকসবজি প্রদাহ বিরোধী খাবার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

২. কোমল পানীয়
ডাঃ জেরেমি নিয়মিত কোমল পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা প্রকাশ করে, যেখানে দেখা গেছে যারা সাপ্তাহিক দু্বারের বেশি চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করেন তারা কার্ডিওভাসকুলার রোগের উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হন। যারা প্রতিদিন কোমল পানীয় পান করেন তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়।

 

৩. দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য

আমরাই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা শৈশবকালের পরেও দুধ পান করি, এবং আমরা এটি একটি ভিন্ন প্রজাতির থেকে খাই। তাই এ সম্পর্কে আরেকটু ভেবে দেখুন, এমনটাই বলেন ডাঃ জেরেমি। তবে অন্য অনেক বিশেষজ্ঞেরই দুধ সম্পর্কে মতামত ভিন্ন। হার্ভার্ড হেলথের একটি প্রবন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে দুধ কি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে? ডক্টর জোআন ম্যানসন উল্লেখ করেছেন, ফুল ফ্যাট দুধের পরিমিত ব্যবহার স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হতে পারে।

৪. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিষাক্ত, এমনটাই বলেন কার্ডিয়াক সার্জন জেরেমি। এমনকি মাঝারি বা মাঝে মাঝে গ্রহণ করলে তাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আমরা যদি আমাদের মঙ্গলকে অপ্টিমাইজ করার চেষ্টা করি, তাহলে অ্যালকোহল নির্মূল করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এমনটাই মত দেন ডাঃ জেরেমি।

 

রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হয়ে ওঠেন যারা

নিজের যোগ্যতায় নয় বরং উত্তরাধিকার সূত্রে ধনী হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কিন্তু এমনও নারী আছেন, যারা উত্তরাধিকার সূত্র বা ডিভোর্সের মাধ্যমে এতটাই ধনী হয়েছেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তারা।

ধনকুবেরদের তালিকা রাখা ফোর্বস জানিয়েছে, বর্তমানে শত কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আছে, এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ৭৮১ জন। আর তাদের মধ্যে নারী হচ্ছে ৩৬৯ জন।

গেল বছরের চেয়ে ধনী নারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। ২০২৩ সালে বিশ্বে সবচেয়ে ধনী নারীর সংখ্যা ছিল ৩৩৭ জন। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৬৯ জন। এই ধনী নারীদের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীর ৮ জনই উত্তরাধিকার সূত্রে এই বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন।

কেবলমাত্র একজন নারী নিজের যোগ্যতায় এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আর ডির্ভোসের কারণে বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে তালিকায় স্থান পেয়েছেন এক নারী।

টানা চার বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর খেতাব জিতে নিয়েছেন ল’রিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্রাঁসোয়া বেনেটকোর্ট মেয়ার্স। ফোর্বস চলতি বছরের এপ্রিলে জানায়, গেল ১২ মাসে বেনেটকোর্টের সম্পদের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সব মিলিয়ে তিনি এখন ৯৯.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ওয়ালটনে একজন উত্তরাধিকারী বা বেনেটকোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর খেতাব দখলের রেখেছেন। মায়ের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০১৯ সালে বেনেটকোর্ট প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় স্থান পান।

ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়াল্টনের একমাত্র মেয়ে অ্যালিস ওয়ালটন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন। বিগত কয়েক মাসে ওয়ালমার্টের শেয়ার ফুলে-ফেঁপে ওঠায় আরও ধনী হয়েছেন তিনি। অ্যালিস কখনও ওয়ালমার্টের পরিচালকদের আসনে বসেননি, বরং আঁকাআঁকি নিয়েই থেকেছেন। নিজের হোমটাউন আরকানসাসের বেন্টনভাইলে একটি আর্ট গ্যালারি খুলেছেন তিনি শিল্পপ্রেমী অ্যালিস। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭২.৩ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীর তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম ম্যাকেঞ্জি স্কট। অন্যরা যেখানে বাবা, স্বামী বা মায়ের সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছেন, ম্যাকেঞ্জি সেখানে ডিভোর্সের পর রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনী নারীদের তালিকায় স্থান করে নেন।

ম্যাকেঞ্জি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোসের স্ত্রী ছিলেন। তাদের ডিভোর্সের পর অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন। ব্যাস, আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৫৩ বছর বয়সী এই নারীর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন।

ধনীতম নারীদের এই তালিকায় একজন ভারতীয়ও রয়েছেন। তার নাম সাবিত্রী জিন্দাল। ৭৪ বছর বয়সী সাবিত্রী ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী। ২০০৫ সালে স্বামী ওম প্রকাশ জিন্দালের মৃত্যুর পর তার বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক হন সাবিত্রী। জিন্দাল গ্রুপের স্টিল, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট ও অবকাঠামো খাতে ব্যবসা রয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ধনীতম নারীদের তালিকায় ১২তম ছিলেন সাবিত্রী। তবে জিন্দাল গ্রুপের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলার।

তেল শোধনের ব্যবসা থেকে শুরু করে পেপার টাওয়ালের ব্যবসা করা জুলিয়া কোচ ও তার পরিবার বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম নারী। তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা জ্যাকুলিন মার্স ক্যান্ডি ও পেট ফুডের ব্যবসা থেকে ধনী হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা রাফায়েলা অ্যাপোন্তে-ডিয়ামান্তর অবস্থান তালিকায় সপ্তম। শীর্ষ ১০ এর তালিকায় তিনিই একমাত্র নারী যিনি নিজের যোগ্যতায় ধনী হয়েছেন। মিরিয়াম অ্যাডেলসন ও তার পরিবার রয়েছে তালিকার অষ্টম অবস্থানে। আর জিনা রাইনহার্টের অবস্থান নবম। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় অ্যাবিগেইল জনসন ১০ম স্থান দখল করেছেন।