banner

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: September 2024

 

১৫ বছরে বিদেশে গেছে ১১ লাখ নারী কর্মী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে অর্থাৎ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (১১ জুন ২০২৪) ১১ লাখ ১৪ হাজার ৩১২ জন নারী কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সৌদি আরবে সব চেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন।

রবিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি।

সরকারি দলের সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতমিন্ত্রী জানান, বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া।

এগুরুত্ব বিবেচনায় সরকার অধিক হারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। বেসরকারি খাতকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের অংশ হিসেবে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। এজেন্সি সমূহ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি’র) বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে কর্মী প্রেরণ করছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর মাধ্যমে জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিজি, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিতভাবে স্বল্প খরচ-বিনা খরচে কর্মী পাঠানো হচ্ছে।

শ্রমিক পরিবারের নিরাপত্তায় ১২ বছরে ১৪২ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান

শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেহ কর্ম অক্ষম হলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা গত ১২ বছরে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৫ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মো নজরুল ইসলাম। সরকারি দলের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডলের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি তিনি আরো জানান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সেক্টরের শ্রমিকের কল্যাণ ও সুরক্ষা প্রদান করা। এ লক্ষ্য অর্জনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার পরিযায়ী শ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে বা কোন শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেহ কর্ম অক্ষম হলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শ্রমিক পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

রিমালে ৭৪৮২ কোটি টাকার ক্ষতি

সরকারি দলের এস এম আতাউল হকের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সারা দেশে টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

একই দলের মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে মৃত্যের সংখ্যা ২০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৭ জন। দুর্যোগ মোকাবিলায় নগদ ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিন টন চাল, ১১ হাজার ৫০০ ব্যাগ শুকনো খাবার, দুই কোটি ৪৫ হাজার টকার শিশু খাদ্য, দুই কেটি ৪৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য, ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহমঞ্জুরি বাবদ ৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

 

ইতিহাস গড়লো ওড়িশার প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক সোফিয়া

ভারতের ওড়িশায় ইতিহাস গড়েছেন ৩২ বছর বয়সী নারী রাজনীতিক সোফিয়া ফিরদৌস। ওড়িশার বারাবতী-কটক কেন্দ্রে প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক (এমএলএ) নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে ৮ হাজার এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।

সোফিয়ার জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ মকিমের মেয়ে তিনি। ২০২৪ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে সোফিয়া ফিরদৌস তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হয়ে জয়লাভ করলেন।

সোফিয়া কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২২ সালে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএমবি) থেকে এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্টে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০২৩ সালের কনফেডারেশন্স অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন সোফিয়া। এই সংগঠনের নারী শাখার পূর্ব জোনের সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

এ ছাড়া ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (সিআইআই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের কো-চেয়ার এবং আইএনডব্লিউইসি’র কোর মেম্বার ছিলেন সোফিয়া। বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ মিরাজ উল হককে বিয়ে করেছেন তিনি। ওড়িশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নন্দিনী শতপথীও এই আসন থেকেই ১৯৭২ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০২৪ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৪৭টি আসনের মধ্যে ৭৮টি আসনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং বিজু জনতা দলের (বিজিডি) ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়।

এদিকে, সদ্য সমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল গতবারের তুলনায় কম। ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে ১১৫ আসনে মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তবে এবার মাত্র ৭৮ জন প্রার্থী নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নেন। তাদের মধ্যে জয়লাভ করেন মাত্র ২৪ জন।