banner

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 15, 2025

 

“আমাকে পারতেই হবে”


ফাতেমা শাহরিন


স্টুডেন্ট অবস্থায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নাম লিখেছে অনামিকা দাশ। তার প্রতিষ্ঠানের নাম “কন্যে কারিগর”। “কন্যে কারিগর” এ রয়েছে, হাতের তৈরী চুড়ি, বালা, নেকলেস, ব্রেসলেট, কানের দুল ঘর সাজানোর পন্যসহ নানা রকম আইটেম। যার পুরোটাই অনামিকা দাশ নিজ হাতে করে থাকেন। প্রতিটি কাজই স্বপ্ন, স্বপ্নীল মনের বর্ণিল রং, ছবি আঁকে তার প্রতিটি সৃষ্টি।
তিনি একজন স্টুডেন্ট, পড়াশুনা মৃৎশিল্প, মাস্টার্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন।পড়াশুনার ব্যস্ততার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন এই সাহসী নারী।

ছোট বেলা থেকেই তার আকাঁ-আকিঁ ক্রাফ্টিং এর প্রতি অনেক শখ ছিল। বড় হওয়ার পর তার ইচ্ছাটা স্বপ হয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। আর তা হলো, নিজের কিছু করতে হবে এবং একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হতে হবে। আর তাই উদ্যোগ নেন একাই।

গত বছরের জুনের ৩১ তারিখে ফেইসবুকে “কারিগর…..” গ্রুপটি খুলেন। প্রথমে তিনি কাঠের উপর হ্যান্ড পেইন্ট করা গহনা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ভগবানের কৃপায় বেশ সাড়া পান।এর কিছু দিনপর একটা ফেইসবুক পেইজ খুলেনন তিনি আর নাম দেন “কন্যে কারিগর”। এভাবেই যাত্রাশুরু হয় অনামিকা দাশের “কন্যে কারিগর”।

গয়নার পাশাপাশি ঘর সাজানোর কিছু পন্য হাতে বানানো শুরু করেন,তাছাড়া হ্যান্ড পেইন্ট করা পাঞ্জবীও তৈরী করেন।

কাজের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতাও ছিল অনামিকার। যেহেতু অনামিকা ভার্সিটির হলে থাকতেন তাই তিনি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পেতেন না। তবুও গ্রাহকের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী কাজ করে সঠিক সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।তাছাড়া পন্য ডেলিভারী দেওয়া নিয়েও অনেক সময় সমস্যার মুখে পরতে হয় তাকে।

যেহেতু তিনি এখনও ছাত্রী তাই পন্যের দাম এমন ভাবে নির্ধারন করার চেষ্টা করেন যাতে সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

গহনা ৬০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে।আর পাঞ্জবী ১০০০টাকা থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। তার ব্যবসাটি এখন শুধুমাত্র অনলাইন ভিত্তিক। অনামিকার চাকরি করার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। আর তাই নিজ উদ্যোগেই স্বল্প পুজিঁ বিনিয়োগ ব্যবসাটি শুরু করেন।

অনামিকার মতে, ‘কোন মেয়ে যদি স্বনির্ভর হতে চায় তবে তার নিজ উদ্যোগটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ভবিষ্যতে একটি সমবায়সমিতির মাধ্যমে গ্রামের অস্বচ্ছ পরিবার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে অনামিকার।

তার ভাষ্য মতে, “একজন নারী হিসেবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, আমাকে পারতেই হবে আর যদি ভয় বা পিছিয়ে পরি তাহলে হেরে যাবো। আমাকে আমার কাঙ্খিত অবস্থান অর্জন করতেই হবে এই মনোভাব টাই সব সময় হৃদয়ে ধারণ করি।”

 

ছবিঘর:

১.

২.

৩.

 

 

মাতৃমৃত্যু রোধে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে : স্পিকার


নারী সংবাদ


মাতৃমৃত্যু রোধে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ রোববার সংসদ ভবনের শপথকক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি)-এর যৌথ উদ্যোগে এসপিসিপিডি প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক পলিসি ডায়লগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি এক লাখে মাতৃমৃত্যুহার ১৭৬ জন। ২০৩০ সালের মধ্যে এ হার ৭০ জনে নামিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
দুর্গম এলাকা বিশেষ করে পাহাড়ী এলাকা,হাওরাঞ্চল ও চরাঞ্চলে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের যে সকল অঞ্চলে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি সে অঞ্চলকে চিহ্নিত করে কারণ অনুসন্ধান করে সঠিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে অন্যান্য অঞ্চলে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক একটি সার্বজনীন মানদন্ড এসডিজি এর লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছে। এ দু’য়ের সমন্বয়ে প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট কাজগুলো বাস্তবায়নের দিকে আমাদের দৃষ্টি স্থির করতে হবে।
মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে যাতে জনগণ আরও বেশি সেবা গ্রহণ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদানকারী জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন সূচকে বাংলাদেশ এশিয়ার আঞ্চলিক অগ্রগতি থেকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ এমডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা দেখিয়েছে, সে ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে অবশ্যই এসডিজি এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবে।
চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) এর রিপ্রেজেনটেটিভ ড. আসা টরকেলসন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: আবদুর রব হাওলাদার, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এমপি, হুইপ শহিদুজ্জামান এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পলিসি ডায়লগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি।

সুত্র: (বাসস)