banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন রুনা লায়লা

দীর্ঘ সংগীতজীবনে বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা। তবে এবারের সম্মাননা বা পুরস্কারের বিষয়টি একটু ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ব্যারিনু ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ রুনা লায়লাকে ‘ডিস্টিংগুইশ সেলিব্রেটি লিজেন্ড অ্যাওয়ার্ড’এর জন্য মনোনীত করেছে। বাংলায় যাকে বলা হচ্ছে, ‘বিশিষ্ট তারকা কীর্তিমান পুরস্কার’। ‘ইন্সপায়ারিং ওম্যান ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে ২৫ মে রুনা লায়লার হাতে সম্মানজনক এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

রুনা লায়লা জানান, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউনাইটেড নেশনস প্লাজায় ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ক্রিয়েটিভিটি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’ অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ, উপমহাদেশ ও বিশ্ব সংগীতে অবদান এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে রুনা লায়লা বলেন, ‘প্রতিটি সম্মাননাই এক ধরনের স্বীকৃতি। সে হিসেবে প্রতিটি সম্মাননাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এত বছর যেসব পুরস্কার পেয়েছি, প্রতিটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এটা আরও বেশি সম্মানের। কারণ, এটি দেওয়া হবে জাতিসংঘে। শুধু আমার নয়, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বলে মনে করছি। একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করছি। বিশেষ করে সংগীতের মানুষদের জন্য বিষয়টি আরও আনন্দের।’

সংগীত, শিল্পচর্চা এবং নারী উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে তিনি এই সম্মাননা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ারে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমের রুনা লায়লাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রুনা লায়লা বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। ২০১৫ সালে রুনা লায়লা তার সংগীত জীবনের পাঁচ দশক পূর্ণ করেছেন। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশী’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

 

পবিত্র কাবা শরীফ মুসলিম উম্মাহর জন্য নিরাপদস্থান

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ছিলেন মুসলিম উম্মাহর ইমাম। আর তা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আর ইমামের ইবাদতের জন্য ক্বিবলা হিসেবে বাইতুল্লাহকে নির্ধারণ করেছেন। নির্ভয়ে নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগির জন্য বাইতুল্লাহকে করেছেন নিরাপদ নগরী।

আর হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল যে, বাইতুল্লাহকে রুকু, সিজদা ও তাওয়াফের জন্য পূতঃপবিত্র করার জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কা`বা) লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিলাম। এবং (বলেছিলাম) তোমরা মাক্বামে ইবরাহিমকেই (ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দাঁড়ানোর জায়গাকে) নামাজের জায়গারূপে গ্রহণ করো।

আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে (আলাইহিস সালাম) তাগিদ দিয়ে বলেছিলাম, আমার এই গৃহকে (কা`বা) তাওয়াফকারী, ই`তিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২৫)

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম-এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলঅ এখানে বাইতুল্লাহর দুটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
>> বাইতুল্লাহ হচ্ছে এমন এক পুণ্যস্থান বা নিরাপদ ভূমি; যেখানে মুসলিম উম্মাহ’র কেউ একবার গেলে বারবার যাওয়ার জন্য ব্যকুল থাকে। এটা এমন এক স্পৃহা যা কখনও মিটে না, বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পায়।

>> বাইতুল্লাহ হলো নিরাপদস্থল। এখানো কোনো শত্রু বা বিপদের ভয় থাকে না। তাই জাহেলিয়াতের যুগেও মানুষ কোনো প্রাণের দুশমনকেও আক্রমণ করতো না। ইসলাম এ মর্যাদা ও পবিত্রতাকে শুধু স্থায়ীই করেনি বরং তা আরও বিশেষভাবে আরোপ করেছে।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ বাইতুল্লাহ চত্ত্বরে স্থাপিত ঐতিহাসিক মাকামে ইবরাহিমের পাশে তাওয়াফ সমাপ্ত করে দুই রাকাআত নামাজ আদায়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

পাশাপাশি হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও ইসমাইল আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন কা`বা চত্ত্বরকে ইবাদত-বন্দেগির জন্য পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে রাখে।

আল্লাহ তাআলার এ নির্দেশ আজও বিদ্যমান। আজও কাবা প্রাঙ্গণ নিরাপদ। তাওয়াফ শেষ করে হজ ও ওমরা পালনকারীরা মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করে।

বাইতুল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিকারী; হজ ও ওমরা পালনকারী দর্শণার্থীদের জন্য বাইতুল্লাহ চত্ত্বর সদা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন। আল্লাহ তাআলা নির্দেশের এ ধারা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে অবিরাম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ কা`বার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে; মাকাকে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করতে; নিরাপদ সম্মিলনস্থলের পবিত্র রক্ষা করতে; ইবাদাতকারী, তাওয়াফকারী, ই`তিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীসহ প্রত্যেকের অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা ও দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক ব্যবসা

দিন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে ক্যারিয়ার আর ব্যবসার ধারণা। ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের থেকে শুরু করে বড় কর্পোরেট হাউজগুলো এখন নিত্য নতুন ব্যবসা নিয়ে হাজির হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে দুই কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীরা কোনো না কোনো ভাবে একজন ভোক্তা। ফলে তাদের টার্গেট করেই মূলত এখন ব্যবসা পরিকল্পনা করছেন অনেকে। যেখানে পোস্টার, ব্যানার বা সংবাদমাধ্যমে শত কোটি টাকা খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে স্বল্প খরচে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে সামাজিক এই মাধ্যমগুলো। ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন মানুষ দেখতে চায় না। পত্রিকার প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিলে পেজ উল্টিয়ে আর টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিলে রিমোর্ট ঘুরিয়ে অন্যত্রে চলে যায় টার্গেট ক্লাইন্ট। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নিজেই এসে সচল থাকে এসব বিজ্ঞাপনে। সাধারণ মানুষের কাছে শৈল্পিক উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

অনেকেই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া অনেকেই যারা আগে থেকে ই-কমার্স ব্যবসা করছেন তারাও মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বেশি নির্ভরশীল। আপনার যে কোনো ছোট বা বড় ব্যবসাকেও প্রমোট করতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে। তার আগে কেনো ব্যবসা ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতা নেবেন বা কীভাবে এ খাতে ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে জানতে হবে আপনার ব্যবসা কী? আপনার টার্গেট ক্লায়েন্ট কে? আপনার টার্গেট ইভেন্ট কোনটি? তবে ফেসবুক কীভাবে আপনার জন্য ব্যবসা নিয়ে আসছে? চলুন একপলকে জেনে নেওয়া যাক।

❏ ফেসবুকে খুঁজুন আপনার ক্লায়েন্টকে

আপনি যদি কনজিউমার কেন্দ্রিক কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায় শুরু করেন যেমন: ক্যাফে, বুটিক,পার্লার, ই-কমার্স বা এফ-কমার্স ওয়েবসাইট তবে অনেকেই ফেসবুকে আপনার পণ্য নিতে সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এ জন্য লাগবে না বাড়তি কোনো দোকান ভাড়া কিংবা যাতায়াত খরচ। ব্যবসায় শুরু ও তার প্রচার যদি এভাবেই করা যায়, তাহলে তা লাভজনক না হয়ে উপায় কী?

❏ রেজিস্টার করুন ফেসবুক বিজনেস পেজে

যদি আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুজ অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তবে চাইলে আজই আপনি রেজিস্টার করে ফেলতে পারেন ফেসবুক বিজনেস পেজে। আপনার ব্যক্তিগত পেজই আপনার ভিজিটর বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। আর কখনো যদি জানতে চান ফেসবুক বিজনেস কেস স্টাডিজ তবে গুগল তো রয়েছেই। জাস্ট ক্লিক অ্যান্ড সার্চ।

❏ আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানান 

শুধু ফেসবুকেই থেমে থাকবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক ছাড়াও ব্যবহার করুন ইন্সটাগ্রাম, লিংকড ইন, টুইটার বা পিন্টারেস্ট। প্রত্যেক জায়গায় ছড়িয়ে দিন আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের লিঙ্ক। জানান আপনার ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা।

❏ আপনার প্রোফাইল বা পেজকে করে তুলুন আকর্ষণীয়

আপনার প্রোফাইলের সার্থক ব্যবহার করুন। ফুটিয়ে তুলুন ইমেজ/ছবিতে আপনার ব্যবসায়ের ইউনিক অফার বা নতুন প্রোডাক্ট লাইন। তুলে ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরুন।

❏ ব্যবহার করুন কী-ওয়ার্ড

দ্রুত ব্যবসার প্রসারে ব্যবহার করুন স্পেসিফিক কী-ওয়ার্ড। যেন মানুষ যে কোনো ডিভাইসেই (ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল) সার্চ করুক না কেন, তা যদি আপনার ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং এ সবার প্রথমে যেন আপনার নাম আসে।

❏ সবাই পছন্দ করে এমন কন্টেন্ট ব্যবহার করুন

আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন ‘কনটেন্ট ইজ দ্য কিং’ আর এটি আক্ষরিক ভাবে সত্য। আপনার কন্টেন্ট যদি আকর্ষণীয় না হয় তবে আপনার পোষ্টটি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে ছবি বা ভিডিওতে সবচেয়ে বেশি কমেন্ট পরে। এছাড়া জিআইএফ, অ্যানিমেশন এগুলো বেশি শেয়ার করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মতে ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কন্টেন্টের ৭৫ শতাংশ ইমেজে খরচ করে যার রেসপন্স রেট সবচেয়ে বেশি।

❏ যে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে

আপনার পেজ আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু সৃষ্টিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কাজের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার দেওয়া মেসেজ যেন বিতর্কিত না হয়; তবে এতেও এক ধরনের মার্কেটিং হবে যাকে বলা হয় ‘নেগেটিভ মার্কেটিং’। এ ধরনের মার্কেটিং কোনো কোনো সময় কাজে দেয় তবে সেটা কতটা কাজে দেবে বা ক্ষতি হতে পারে সেটাও চিন্তা করে নিতে হবে। এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি ফলো করুন যেন তা মার্কেট ভাইব ধরতে পারে। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে পেজ ও কন্টেন্ট ম্যানেজ করার দায়িত্ব দিতে পারেন।

❏ এনগেজমেন্ট বাড়ান

আপনার ফলোয়ারদের সাথে সরাসরি কথা বলুন। তাদের মতামত ও প্রশ্নের স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দিন। তাদের আলচনার সুযোগ করে দিন। এতে আপনার এনডরসমেন্ট বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আপনার ভিজিটরকে ওয়েবসাইটে নিয়ে যান। তুলে ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব। দরকার হলে তৈরি করুন ব্লগ ও সেখানে আলাদা একটি বিভাগ রাখুন পাঠক প্রতিক্রিয়া ও মতামতের। এতে আপনি আপনার ভোক্তারা আসলে কি চাচ্ছে তা অনুমান করতে পারবেন।

❏ আপনার ফেসবুক ফলোয়ারদের দিন কিছু এক্সট্রা বেনিফিট

কন্টেস্ট, কম্পিটিশন, ডিস্কাউন্ট প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখুন। আপনার ফেসবুক ফলোয়ারদের দিন এক্সট্রা বেনিফিট। তাদের কাছ থেকে রিভিউ নিয়ে পেজে অন্তর্ভুক্ত করুন। অনেকেই ফেসবুকে খুঁজে বেড়ান ইউনিক অফার, তারা হতে পারে আপনার প্রাইম কাস্টোমার। তাদের যদি আপনি সন্তুষ্ট রাখতে পারেন তারাই আপনাকে এনে দিবে আরও ক্লায়েন্ট।

❏ হিসেবে রাখুন প্রতিটি বিষয়

আপনার বিজেনেজ পেজে ঘটা যাবতীয় বিষয়ের হিসাব রাখুন। ফেসবুক পেজ ইনসাইট আপনাকে যাবতীয় তথ্য দিবে যে কোথা থেকে আপনার কাস্টোমাররা কীভাবে আপনার বিজনেসে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়াও আপনি ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ম্যানেজার ড্যাশবোর্ড থেকে জানতে পারবেন আপনার অ্যাড বিজনেস অবজেক্টের সাথে কেমন পারফর্ম করছে। বিশ্বাস করুন এই সবই করা সম্ভব শুধুমাত্র ফেসবুককে ব্যবহার করে। তাই আজই ভেবে নিন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নেবেন কিনা। এই বৈশাখ থেকেই আপনার ব্যবসায় খুলুক নতুন দিগন্ত ফেসবুকের মাধ্যমে।

❏ ফেসবুক অ্যাড

আপনি যদি কোনো স্পেসিফিক গ্রুপের কাছে পৌঁছাতে চান তবে ফেসবুক অ্যাডভারটাইজিং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পন্থা হতে পারে। আপনি নির্ধারন করে দিতে পারেন কারা আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখবে। যেটা টেলিভিশন বা পত্রিকা করতে পারে না। যেমন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে গহনা বিক্রি করতে চান। এই গহনার টার্গেট ক্লাইন্ট কারা তা ঠিক করে দিতে পারবেন। এই ক্লাইন্ট ছেলে না মেয়ে হবে? বয়স ২৫ না ৫০ হবে? ঢাকার মানুষ দেখবে নাকি শুধু চট্টগ্রামের মানুষ এই বিজ্ঞাপন দেখবে তা ঠিক করে দেওয়া যায়। ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যম আপনি পাবেন লোকেশন, ইন্টারেস্ট, জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য, বয়স ও ব্যবহারসহ আরও নানান তথ্য। এ জন্য কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারেন।

 

নিজের প্রতি যত্নশীল হোন

ভালোবাসা একটি গাছের মতো। শুধু প্রয়োজন একটু উর্বর মাটি আর তাতে পর্যাপ্ত পানি। সাথে যদি যুক্ত হয় একটু মায়ামমতা তবে সেই গাছ যেমন দ্রুত বাড়ে তেমনি ফল দেয়, ফুল দেয় আপনার মনের মতো। তাই আপনি যখন কাউকে তার পাওনা পর্যাপ্ত ভালোবাসা দেবেন তখনই কেবল তার মনের বাগানে আপনার দেওয়া বীজ থেকে চারা গজাবে। আর এসব কাজের জন্য চাই নিজের ভালো থাকা। আর নিজের ভালো থাকার অন্তরালে থাকে নিজেকে ভালোবাসা। নিজেকে যখন কেউ ভালোবাসে না, দেখে রাখে না, পর্যাপ্ত যত্ন নেয় না তখন আপনার শরীর আপনার সাথে মনোমালিন্য করে থাকে। আর তাতে দেখা দেয় নিজের প্রতি ভালোবাসাহীনতা। জীবনে উত্থান পতন এলেও আমরা সেই আমাদেরই দোষ দেই। অথচ এই আমাদের বাইরের আমি ভেতরের আমিটাকে কত না যত্ন করে আকড়ে রেখেছে। বাইরের ঝড়ে ভিতর তছনছ হয়ে গেলেও বাইরের আবরণে থাকা শক্ত এই মানব যন্ত্রটিকে রেখেছে সচল। তা কেবলই সম্ভব হয় আপনার নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসার জন্য। খুব আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার নিজেকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন বিধায়ই আপনার প্রতি একটু বেশি যত্ন রাখতে আরেকটি মানুষ খোঁজেন। সবকিছুর গোড়াতেই থাকে এই ভালোবাসার বীজ। তাই সবার আগে ভালো রাখতে হয় নিজেকে।

দ্রুত নয়, ধীরে

কোনো কাজই দ্রুত করলে তার ফল ভালো হয় না। তাই জীবনে করা যেকোনো কাজ ধীরে সুস্থে করুন। যখন কোন কাজ আপনি ধীরে করবেন তার ভালো একটি ফল আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পাবেন। তাই নিজের প্রতি ভালোবাসাটাও আস্তে ধীরেই গড়ে তুলুন। আপনার পছন্দের কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। যত দ্রুত পারুন করে ফেলুন। দেখবেন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের সিঁড়ি দ্রুত উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।

নিজের কাছে পরাজিত

নিজের কাছে নিজে যত পারুন পরাজিত হোন। নিজের গণ্ডিকে পেরিয়ে আরো বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যখন আপনাকে ছাপিয়ে সামনে যেতে পারবেন কেবল তখনই পারবেন নিজেকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসতে। তখনই কেবল আপনার নিজের প্রতি আপনার আত্মবিশ্বাস পুনরায় জন্ম নেবে আর আপনি পারবেন হাসি মুখে নিজেকে ভালোবেসে প্রাণবন্ত থাকতে।

নিজের প্রতি আস্থা
না বলা কোনো কথা নিজের ভেতর চেপে রাখবেন না। এতে আপনার মনের সাথে আপনার তীব্র সমস্যা তৈরি হয়। আর যার ফলে আপনি ভুগেন সিদ্ধান্তহীনতায়। তাই নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাসের প্রতি আটল থাকুন। আর মনে এমন কোনো কথা এলে তা লিখে ফেলুন। তা না হলে তা এমন কারো সাথে শেয়ার করুন যে আপনার বিশ্বস্ত। আর এতে আপনার নিজের কথার প্রতি আস্থা ফিরে আসবে। আপনি এটা মানতে শুরু করবেন যে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভুল হয়নি। আর এতে নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসা বাড়ায়।

নিজেকে উপহার দিন
কেউ আপনাকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিলো কি না তা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনি আপনাকে নিজে কী দিচ্ছেন তা বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যেকোনো উপলক্ষ্যে নিজেকে নিজের পক্ষ থেকে উপহার দিন। তা হতে পারে আপনার পছন্দের আইসক্রিম কিংবা চকলেট। এতে করে আপনি আপনার নিজের সঙ্গ যেমন উপলব্ধি করতে পারবেন তেমনই নিজেকে উজাড় করে ভালোবাসতে পারবেন।

 

ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির সহজ রেসিপি

ফ্রুট কাস্টার্ড সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর রেসিপিও বেশ সহজ। দুধ, ডিম এবং ফল এর মিশ্রণে তৈরি করে ফেলতে পারেন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কাস্টার্ড। বাসায় অতিথি এলে কাস্টার্ড তৈরি করা থাকলে ঝটপট নাশতায় পরিবেশন করতে পারেন। কারণ এটি ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়। রইলো রেসিপি

উপকরণ : দুধ এক লিটার, ডিমের কুসুম দুইটা, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি ১/২ কাপ বা স্বাদ মত, কিসমিস দুই টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম দুই টেবিল চামচ, ফল (কলা, আম, আপেল, আঙুর, লাল বা সবুজ চেরি ফল, ডালিম/আনার, স্ট্রবেরি) কিউব করে কাটা প্রায় ২ কাপ।

ফ্রুট কাস্টার্ড সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর রেসিপিও বেশ সহজ। দুধ, ডিম এবং ফল এর মিশ্রণে তৈরি করে ফেলতে পারেন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কাস্টার্ড। বাসায় অতিথি এলে কাস্টার্ড তৈরি করা থাকলে ঝটপট নাশতায় পরিবেশন করতে পারেন। কারণ এটি ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়। রইলো রেসিপি

উপকরণ : দুধ এক লিটার, ডিমের কুসুম দুইটা, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি ১/২ কাপ বা স্বাদ মত, কিসমিস দুই টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম দুই টেবিল চামচ, ফল (কলা, আম, আপেল, আঙুর, লাল বা সবুজ চেরি ফল, ডালিম/আনার, স্ট্রবেরি) কিউব করে কাটা প্রায় ২ কাপ।