banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

কালোই ছড়াচ্ছে আলো!

এত বঞ্চনার পরও থেমে থাকেননি গোলাপী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে স্বাবলম্বী হতেই হবে? স্বামীর সংসার হয়নি তাতে কী হয়েছে? মা-বাবা, ভাইবোনকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। ছুটে চললেন কাজের সন্ধানে। সেলাই প্রশিক্ষণ নিলেন। একটি মেশিনও কিনলেন। বাড়িতেই শুরু করলেন মেয়েদের জামা বানানোর কাজ। বদলে যেতে শুরু হলো তাঁর জীবনচিত্র। এর পাশাপাশি রংপুরে অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায় চাকরিও করছেন।

কালো হওয়ার ‘অপরাধে’ বিয়ের রাতেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর দমে যাননি। নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে অর্থ উপার্জন করছেন। পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করছেন এমন উদাহরণের ঘটনায় ২০১৫ সালের ‘নারী’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়ে গেলেন গোলাপী আক্তার।

রংপুর শহরের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ভ্যানচালক আবদুল গনির বড় মেয়ে গোলাপী আক্তার। অভাব-অনটনের সংসারে বেশি দূর পড়াশোনা এগোয়নি। মাত্র পঞ্চম শ্রেণিতেই পড়ালেখার পাট চুকে যায় তাঁর। এরপর ২০০৯ সালে রংপুর শহরের আদর্শপাড়া এলাকার আলী হোসেন নামের এক ভ্যানচালক তরুণের সঙ্গে ১৪ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। এ সময় যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। আর দেওয়া হয়েছিল নাকফুল ও কানের দুল। গোলাপী কি জানতেন, এক দিন পরই তাঁকে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসতে হবে?

একে তো বাল্যবিবাহ, তার ওপর যৌতুক, এই বিয়ের পরিণাম যা হওয়ার তা-ই হলো। সেই দিনের ঘটনা বলতে গিয়ে গোলাপী জানালেন, বিয়ের রাতেই (বাসর রাত) এলাকায় চোরের উপদ্রব রয়েছে, এমন অজুহাতে শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যরা তাঁর শরীর থেকে খুলে নেন নাকফুল ও কানের দুল। শরীরের রং কালো হওয়ার গঞ্জনা শুনতে হয়েছে রাতভর। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে রাতটা কাটলেও পরদিন সকালে ফিরে যেতে হয় বাবার সেই চিরচেনা বাড়িতেই। আর ফিরে যাওয়া হয় না স্বামীর সংসারে।

এরপর গোলাপী এখানে-ওখানে ঘুরে ফিরেছেন। কী করবেন তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএসের মানবাধিকার কর্মী বিলকিস বেগমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে আলোকিত ভুবনে এক বছরের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নিলেন গোলাপী। এরপর নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করলেন। এরই মধ্যে বিয়ের সম্পর্কটা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

২০১০ সালে যোগ দেন রংপুর শহরে অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায়। প্রতি মাসের বেতন আর নিজের সেলাই মেশিন দিয়ে আয়ও হয় বেশ। ব্যাংকেও টাকা জমিয়েছেন। মা-বাবা, দুই ভাই, এক বোনসহ শহরের কামারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে জীবন ভালোই কাটছে তাঁদের। এক ভাই অষ্টম ও বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। আরেক ভাই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে বাবার ভ্যান চালান। মা বর্তমানে অসুস্থ। তেমন একটা চলাফেরা করতে পারেন না।

গোলাপী বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা নারী অন্বেষণে ২০১৫ সালে রংপুর সদর উপজেলা, জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হই। পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ায় ইচ্ছে আছে অন্য সব ভাইবোনকে পড়ালেখা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার। আমার মতো অন্যদের জীবন যেন এ রকম না হয়।’ নিজেকেও প্রতিষ্ঠার অনেক দূরে নিয়ে যেতে চান। তাই মনেপ্রাণে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধের লড়াই।

অসুস্থ মা সামেনা বেগম বলেন, ‘কত কষ্ট করি টাকাপয়সা জোগাড় করি মেয়েটাক বিয়া দিছি। তখন মোর জানা আছিল না ছোটকালে বেটির বিয়া দেওয়া যায় না।  সেই সংসার দুই দিনও টিকিল না। কালো বলিয়া এমন দুর্দশা হইল। কিন্তু তারপরও মেয়েটা কাজকাম করিয়া সংসারের বোঝা বহন করিয়া যাইতাছে। বেটি হামার হারে নাই।’

 

বাহুবলির নায়ক প্রভাসের আত্মত্যাগ

ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল ছবি এস এস রাজমৌলির ‘বাহুবলি ২ : দ্য কনক্লুশন’। কিন্তু এই ‘বাহুবলি’ করতে গিয়েই প্রবল অর্থকষ্টে ভুগেছেন প্রভাস। ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে অনেক। একসময় তার হাতে কার্যত অর্থই ছিল না! জি নিউজকে একথা জানিয়েছেন পরিচালক নিজেই।

রাজমৌলি জানিয়েছেন, বাহুবলির আগেও প্রভাসের তিনটি ছবি হিট ছিল। তাই অনেক প্রযোজকই বিগ বাজেটের ছবি নিয়ে তার পেছনে পড়েছিলেন। কিন্তু নিজেকে ‘ফোকাসড’ রাখতে প্রভাস সবাইকেই ফিরিয়ে দেন।

এমনকি ‘বাহুবলি’র জন্য কোনো পারিশ্রমিকও ‘দাবি’ করেননি তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে নিজেকে উজাড় করে কেবল ‘বাহুবলি’কেই দিয়ে গেছেন প্রভাস। এজন্য তাকে একসময় প্রচণ্ড অর্থ কষ্টেও ভুগতে হয়েছে।

পাশাপাশি ‘বাহুবলি’ করার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন ১৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন! বিভিন্ন জামা-কাপড়, জুতার ব্র্যান্ডের থেকেও তার কাছে বিশাল অঙ্কের এনডোর্সমেন্ট অফার আসে। কিন্তু মনোযোগে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় সেসবের দিকে ফিরেও তাকাননি তিনি।

মূলত প্রভাসের এই আত্মত্যাগের কারণেই সফলতাটাও এসেছে মধুর। বলিউডে হাজারির ক্লাব খোলার ঈর্ষণীয় সাফল্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাহুবলির কারণে হলিউডেও অফারও পেয়েছেন তিনি।

 

‘মা’ এ ধরণীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

ধরনীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ‘মা’। যার পদতলে রয়েছে জান্নাত। ‘মা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক। মানুষ যে ডাকে খুঁজে পায় সীমাহীন শান্তি। দুনিয়াতে মা-ই মানুষের একমাত্র নিরাপদ শান্তির ঠিকানা আর পরকালের মুক্তির অনন্য ঠিকানা।

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিবসটি পালন করা হয়। সে হিসেবে আজ (১৪ মে, রোববার) পৃথিবীর সর্বত্রই যথাযোগ্য মর্যাদা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

যদিও মায়ের ভালোবাসা কোনো নির্ধারিত দিনক্ষণের ওপর নির্ভর করে না। মা যেখানেই থাকুক মায়ের ভালোবাসা সন্তানের হৃদয়ে থাকবে নিরন্তর সবসময়।

১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

পরে ১৯৬২ সালে দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয়ে আসছে।

মায়ের ভালোবাসা যেমন কোনো দিনক্ষণ দিয়ে হয় না; তেমনি মায়ের ভালোবাসা হয় সম্পূর্ণ শর্তহীন। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবদি মাকে নিয়ে রচিত হয়েছে সুন্দর সুন্দর অসংখ্য ছন্দ, কবিতা, গান ও ছড়া।

মায়ের ভালোবাসা, মায়ের জন্য ভালোবাসা ও খিদমত প্রসঙ্গে রয়েছে কুরআন হাদিসে অসংখ্য উপদেশমালা।

কবির ভাষায়- ‘মা বড় ধন সবচে আপন, নেইকো যাহার তুল্য; এক ফোঁট দুধ অনেক দামি, কে দিবে তাঁর মূল্য’।

অন্য কবির ভাষায়- ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেন ভাই; ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।’

আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে রহমতের সুধা দিয়ে প্রতিটি মাকে সৃষ্টি করেছেন। মা সন্তানের জন্য করুণার আধার। সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা, করুণা ও মমত্ববোধ আল্লাহর অশেষ কুদরতেরই নিদর্শন। তাইতো সন্তানের দুনিয়া ও পরকালের সফলতা মায়ের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে।

মায়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন শুধুমাত্র মানুষের জন্যই প্রযোজ্য নয় বরং সমগ্র প্রাণিজগতের জন্য। সন্তান যখন কোনো বিপদাপদে পড়ে, তখন কারো ব্যাথা না লাগলেও মায়ের নাওয়া-খাওয়া-ঘুম বন্ধ হয়ে যায়।

কবি বলেন, ‘বিদেশে-বিরাজ্যে যাদের সন্তান মারা যায়; পশু-পাখি না জানিতে আগে জানে মায়’-এ কারণেই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি খেদমত পাওয়ার অধিকার শুধুমাত্র মায়ের।

কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো- আল্লাহ তাআলা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হকের পর সবচেয়ে বেশি আবশ্যক পালনীয় হলো মায়ের হক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওঠে এসেছে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক হাদিসে-

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবির নাম আলকামা। মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর জবান থেকে (তাওহিদের) কালেমা বের হচ্ছিল না। বিশ্বনবি এ খবর শুনে আলকামার ঘরে ছুটে গেলেন এবং আলকামার মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি পুত্রের ওপর অসন্তুষ্ট?

উত্তরে তিনি বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমার ছেলে আমার চেয়ে তার স্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব দিত। এ কারণে আমি তার প্রতি অসন্তুষ্ট।

তখন বিশ্বনবি উপস্থিত সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, কাঠ সংগ্রহ করে আলকামাকে জলন্ত আগুনে পুড়ে শেষ করে দাও।

আলকামার মা এ কথা শুনে গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার চোখের সামনে আমার সন্তানকে আগুনে জ্বালিয়ে দিলে আমি মা হয়ে কিভাবে তা সহ্য করব?

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন আলকামার মাকে অনুরোধ করলেন, হে আলকামার মা! তাহলে আপনানি আলকামাকে ক্ষমা করে দিন।

নতুবা আলকামা আপনার অসন্তুষ্টির কারণে পরকালে অনন্তকাল ধরে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। তখন আপনি তা কী করে সহ্য করবেন?

একথা শুনে আলকামার মায়ের মন নরম হয়ে যায়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্ষমা করে দেন। তারপর আলকামার জবানে (তাওহিদের) কালেমা জারি হয়ে যায় এবং কালেমা পড়তে পড়তেই ঈমানের সাথে হজরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যু হয়।

এ হলো মা। মায়ের দৃষ্টান্ত এমনই। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, মা তার সন্তানকে শর্তহীনভাবে ভালোবাসেন।

তাই পৃথিবীর সব সন্তানের উচিত, শুধু মা দিবসে মাকে ভালোবাসা জানানো নয় বরং দুনিয়ায় প্রতিটি দিনই শর্তহীনভাবে মাকে ভালোবাসা। মায়ের খেদমত করা। মায়ের হক যথাযথভাবে আদায় করা।

কেননা সন্তানের প্রতি মায়ের সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিহিত রয়েছে। দুনিয়ার সফলতা ও পরকালে জান্নাত প্রাপ্তিতে মায়ের প্রতি সদাচরণ করা সন্তানের জন্য আবশ্যক করণীয়।

মায়ের অবাধ্যতার কারণে সন্তান যেমন দুনিয়াতে লাঞ্ছনার শিকার হয় তেমনি পরকালে কঠিন আজাবেরও সম্মুখীন হতে হবে।

পরিশেষে…
মায়ের হক আদায়ে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। কেননা বিশ্বনবি বলেন, ‘দুনিয়াতে মায়ের দোয়া অতি দ্রুত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। আল্লাহ বান্দার সব গোনাহ ইচ্ছমতো ক্ষমা করতে পারেন।

কিন্তু মাতা-পিতার অবাধ্যতার গোনাহ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। বরং ওই অবাধ্য সন্তানকে এই পার্থিব জীবনেই মৃত্যুর আগে কঠিন শাস্তি দিয়ে থাকেন। (বায়হাকি)

হজরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যুকালীণ ঘটনাই তাঁর জলন্ত প্রমাণ। তাই মহান প্রভুর দরবারে প্রার্থনা। হে আল্লাহ! আপনি সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে মাকে শর্তহীনভাবে ভালোবাসার; মায়ের খিদমত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রচলনে আসছে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

দেশজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা প্রচলনের জন্য এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার জন্য এই প্রকল্পে শিখন প্রক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একীভূতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই ও অর্জনক্ষম উন্নয়ন পরিকল্পনা, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়িয়ে একটি শিক্ষক রিসোর্স পুল তৈরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেরণাদায়ী প্রক্রিয়া সূচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নতুন এই প্রকল্পটিতে বিদেশি সাহায্য-সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য প্রকল্পের যাবতীয় পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আইসিটি একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী জাতি গঠনের লক্ষ্য অর্জন করতে বাংলাদেশের জন্য হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব মূল কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে সেগুলো হলো- কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয়, অফিস সরঞ্জাম কেনা, আসবাবপত্র সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ব্যয় মেটানো, মনিটরিং ও মেনটরিং ব্যয়, প্রকল্প পরিচালন ব্যয়, সেমিনার ও কনফারেন্স খরচ এবং যানবাহন কেনা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৩৫ হাজার প্রতিষ্ঠানসহ বিপুলসংখ্যক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। এ স্তরে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে মাউশি অধিদফতর ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন মেয়াদে প্রথম পর্যায়ে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষার প্রচলন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ২৪ হাজার ২০৪ জন শিক্ষকও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটির ব্যবহারকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তাবে এক হাজার ৪৫২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় এবং ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হলেও পরে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যয় কমিয়ে এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নের সময় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা এ পরিকল্পনার আওতায় দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সেকশন ১২.৩.২.এ আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাই এ ধরনের প্রকল্প সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

 

নবজাতক কোলে নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন দুই মা

চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষে একেবারে সামনের বেঞ্চে দুই ছাত্রী বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সাধারণ এক দৃশ্য। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই অসাধারণত্বটা চোখে পড়ে। দুজনের কোলেই শিশু। নবজাতক। ২ এপ্রিল জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে এই ঘটনা দেখা গেল।
‘আমি পরীক্ষা দেব, এটাই ছিল আমার ইচ্ছা। তাই দুই দিনের নবজাতককে নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি।’ বললেন পরীক্ষার্থী বেবী আক্তার। ২০ বছর বয়সী বেবী আক্তার এবারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার্থী। অদম্য তাঁর ইচ্ছাশক্তি। পরীক্ষার পর কথা বলে জানা গেল, ৩১ মার্চ রাত আটটায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই মায়ের কোল আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। সন্তান জন্মের দুই দিন পর পরীক্ষা। বেবী আক্তার তবু চলে আসেন পরীক্ষা দিতে। সন্তানের নাম রেখেছেন খাদিজা।
সরিষাবাড়ীর শিমলা বাজারের মো. জাকারিয়ার স্ত্রী বেবী আক্তার। স্বামী এখন সৌদি আরবে আছেন কর্মসূত্রে। বেবী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। পরিবারের সবাই তাঁকে সহায়তা করেছেন। ২০১৫ সালে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদের মেয়ে বেবী আক্তারের সঙ্গে পৌর শহরের শিমলা বাজারের সোহরাব মণ্ডলের সৌদিপ্রবাসী ছেলে জাকারিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও বেবী আক্তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান। ২০১৫ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন স্থানীয় চর বাঙ্গালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম কোর্সে।
বেবীর মা আনোয়ারা বেগম বললেন, ‘মেয়ে আমার ধৈর্যশীল ও সংগ্রামী।’ বেবী আক্তারের শ্বশুর সোহরাব মণ্ডল যোগ করলেন, ‘আমার পুত্রবধূ বিয়ের পর লেখাপড়া বন্ধ না করে রাত জেগে লেখাপড়া করেছে।’
বেবীর কথা হলো। এবার আসি একই বেঞ্চের আরেক পরীক্ষার্থী মা লিপি খাতুনের (২১) কথায়। তিনি ২৬ দিনের নবজাত শিশুকে কোলে নিয়ে একই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর এসএস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে লিপি খাতুন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এই মা শিশুর নাম রেখেছেন জানিক।
৪ এপ্রিল কথা হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক রাশেদা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলার সময় মাঝেমধ্যে পরীক্ষার্থী মায়ের কাছ থেকে আমি এই দুই শিশুকে কোলে নিই। নতুন মায়েদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারও দেখি।’
সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব সৈয়দ আবদুর রউফ বলেন, ‘আমার ৩৮ বছর শিক্ষকতা জীবনে এমন পরীক্ষার্থী মা কখনো দেখিনি। এ ধরনের পরীক্ষার্থী মায়েরা যেন হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব। পাশাপাশি এ রকম আত্মপ্রত্যয়ী মায়েরা যেন শিক্ষাজীবন শেষে কর্মসংস্থানের নিশ্চিত সুযোগ পান।’
৪ এপ্রিল পরীক্ষার সময় বেবী আক্তার ও লিপি খাতুনকে দেখতে যান উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমাতুস জোহরা। তিনি বলেন, নারীরা এখন যে কত আত্মনির্ভরশীল হয়েছে, তার একটা দৃষ্টান্ত এই দুই পরীক্ষার্থী মা। নিজেদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না।
বেবী আক্তার ও লিপি খাতুন এইচএসসির সব কটি পরীক্ষাই দেবেন তাঁদের নবজাত শিশুকে কোলে নিয়ে। এভাবে পরীক্ষা দিতে তাঁদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নারীরা তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হবেন এবং এগিয়ে যাবেন—এমনই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।

 

চকোলেট আইসক্রিম তৈরি করবেন যেভাবে

গরমে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার জন্য মন তো আকুপাকু করবেই। কিন্তু তা খেতে হবে রয়ে সয়ে। কারণ এই গরমে একটু অসাবধনতায় আপনি পড়তে পারেন কঠিন অসুখে। তাই গরম তাড়াতে আইসক্রিম খান আর যা কিছুই খান, তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। তাই ঘরেই তৈরি করতে পারেন চকোলেট আইসক্রিম। চলুন জেনে নেই-

উপকরণ: গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, চকলেটের দুটি ছোট বার, ক্রিম ১ টিন, ওভালটিন ৩ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, জেলাটিন গোলানো ২-৩ টেবিল-চামচ, সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি :

প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, চিনি, ওভালটিন ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে চকলেট দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। এখন কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর সিএমসি ও জেলাটিন গোলা মেলাতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ক্রিম মিলিয়ে বিট করে নিন। মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে জমাতে হবে। দুই ঘণ্টা পর পর বের করে বিট করতে হবে চার-পাঁচবার। শেষের বার মেরাং বানিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে জমাতে হবে। ২টি ডিমের সাদা অংশ ও গুঁড়া চিনি ২ টেবিল-চামচ একসঙ্গে বিট করে মেরাং বানাতে হবে। মিলিয়ে চূড়ান্তভাবে জমাতে হবে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জমার পর পরিবেশন করুন।

 

নিজেকে ভালোবাসুন

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জীবন ফুলের বিছানা নয়। জীবনে উত্থান, পতন, সমস্যা থাকবেই। নয়তো জীবন আপনার কাছে পানসে মনে হবে। আপনার কাছে জীবন শুধু দিন গিয়ে রাত আসার মতোই মনে হতে শুরু করবে। সময়ের কারণে আমরা নানাভাবে নানা কাজে যুক্ত হয়ে পড়ি। কখনো তা নিজের তাগিদে আবার কখনো তা কাছের মানুষকে খুশি করতে। এসবকিছুর মাঝে আমরা ভুলে যাই নিজের প্রতি নিজের মনোযোগ দিতে। কারো মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে নিতে নিজেকে দিয়ে কাজ করানোর শক্তিতে জং পড়ে যায়। আপনি যদি আপনার ভেতরে থাকা কার্যক্ষমতা আর দক্ষতাকে বিচার করতে না পারেন তবে আপনার জীবনের যোগফলের খাতায় শূন্য আসা অসম্ভব কিছু না। তাই আত্মকেন্দ্রিকতাকে চাবি বানিয়ে জীবন নামে তালাটাকে খুলতে শিখুন। দেখবেন আপনার চারপাশটা কত রঙিন। আত্মকেন্দ্রিকতার খাতায় নিজের নাম জুড়ে দিতে চাই কিছু কাজ আর অধ্যাবসায়, যা আপনাকে নিজের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে।

অন্যর সাথে তুলনা
সুন্দর এই পৃথিবীতে আমরা সবাই একে অন্যর থেকে আলাদা। আমাদের স্বপ্ন আলাদা, আমাদের কর্ম আলাদা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। তাই কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের চলন, বলন, ভাব বিনময় সব কিছুতেই আছে তারতম্য। আমাদের অক্ষমতাতেও আছে ঠিক তেমনি পার্থক্য। আপনি যখন কোনোকিছুতে খুব ভালো করেন তখন আপনাকে কেউ তুলনা করেনা। কিন্তু যখনই খারাপ করবেন আপনাকে তুলে ধরবে সবার সামনে। আর এতেই সৃষ্টি হয় নিজেকে নিয়ে অন্যর সাথে তুলনা। যা আপনার নিজস্বতাকে গলা টিপে হত্যা করে। তাই নিজের আত্মমর্যাদা আর নিজের ক্ষমতাকে বাচিয়ে রাখতে বাঁচিয়ে রাখুন নিজস্বতাকে।

মনস্থির করা
আপনি যখন কোনো বিষয়ে অস্থির থাকবেন আপনার কোনো কিছুতেই মন বসবে না। বরং এই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কাজটিও আপনার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে। আর এই বিরক্তির ফলে আপনার দ্বারা ভুলভাল কাজ হতে পারে। তাই সবার আগে মনস্থির করুন, এরপরে কাজের দিকে পা বাড়ান আর নিজের ভেতরে থাকা শক্তিকে জাগ্রত করুন।

ভালোবেসে শিখে নিন
কোনোকিছু শেখার পেছনে থাকা মূল মন্ত্র হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি যখন আপনাকে ভালোবাসবেন তখন আপনি আপনার জন্য কিছু শিখতে চাইবেন। ঠিক সেইভাবে, যেভাবে আপনি কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য করেন। এই ভালোবাসাই আপনাকে আপনার জন্য কাজ করায় আর নিজেকে চিনতে উৎসাহ দেয়।

যাত্রা
জীবন যতদিন থাকবে এই যাত্রাও ঠিক ততদিন থাকবে। আর এই জীবনের যাত্রার একমাত্র সঙ্গী হচ্ছেন আপনি। গ্যালারির বাইরে থাকা দর্শকরা যেমন খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয় তেমনই আপনার জীবনে থাকা গ্যালারির বাইরের মানুষগুলোও আপনাকে উৎসাহ দেয়। কিন্তু আপনাকে করতে হবে আপনার কাজগুলো তার জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠা।

 

বিশ্ব মা দিবস

আজ ১৪ মে রোববার বিশ্ব মা দিবস। মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শন জনক অনুষ্ঠান যা মায়ের সন্মানে এবং মাতৃত্ব, মাতৃক ঋণপত্র, এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য উদযাপন করা হয়। বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে দেখা যায়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিনটি পালন করা হয়। নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রোববার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে মা দিবস পালিত হয় ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার। তবে বাংলাদেশে মা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার।

মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান।

লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় মা দিবস।

দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে আনা জার্ভিস বলেছিলেন, ‘মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।’

দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে। এ দিনে মায়েদের উপহার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বিশেষ ধরনের শাড়ি বাজারজাত করছে। বাংলাদেশে দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়।

নাগরিক জীবনে দিনটি পালনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। গ্রামের চেয়ে শহরে এ আয়োজন থাকে বেশি। ঢাকায় আজ বিভিন্ন শপিংমলে মায়ের জন্য উপহার সামগ্রী কিনতে ভিড় করবেন সন্তানরা। ফোনে অনেকেই মাকে ভালোবাসা জানাবে।

মায়ের জন্য শাড়ি, গহনা, ব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনবে সন্তানরা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতাও এ দিবসকে ঘিরে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। আজাদ প্রডাক্টস প্রতিবছরের ন্যায় রত্নগর্ভা মাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।