banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: May 2025

 

রোজায় কী খাবেন, কী খাবেন না

রোজায় কী খাবেন আর কী খাবেন না, এই নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকেই। রোজা রেখে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে সব খাবারকেই মুখরোচক আর মজাদার মনে হয়। তখন যা দেখে তাই খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সবধরণের খাবার এই সময় শরীরের জন্য উপযোগী নয়। চলুন জেনে নেই রোজায় কী খাবেন আর কী খাবেন না।

অনেকেই সেহরিতেই চা কফি পান করে থাকেন। কিন্তু এটি একদমই ঠিক নয়। চা-কফির ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে, তাই সেহরিতে চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

পাউরুটি বা শুকনো খাবার খেয়ে রোজা রাখেন অনেকেই। কিন্তু এটি একদমই ঠিক নয়। কারণ এটি স্বাভাবিকভাবে আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করবে তবে তা অল্প সময়ের জন্য। এটি শরীরকে পানিশূন্য করে শক্তিহীন করে তুলবে। সুতরাং শুকনো ও প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকুন।

গরমকালে রোজা হলে মানুষ বেশি দুর্বলতা বোধ করে পানির অভাবে। প্রচণ্ড রোদ এবং গরমে দেহ পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই সেহরিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে নিন। প্রায় আধা লিটারের মতো পানি পান করবেন। প্রয়োজনে আরও বেশি পান করুন, কিন্তু এর চাইতে কম করবেন না। শরীর পানিশূন্য হয়ে গেলে শক্তি কমে যায়, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা দেহে এনার্জি ধরে রাখতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খাবেন পরিমাণ মতো। এতে ক্ষুধার উদ্রেকও কম হবে এবং এনার্জিও থাকবে অনেক।

একটি উপায়ে সারাদিন দেহকে পানিশূন্যতার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন, আর তা হলো পানিসমৃদ্ধ ফল রাখা সেহরির তালিকায়। আনারস, কমলা, তরমুজ ইত্যাদি ধরণের ফল খান প্রতিদিনের সেহরিতে এতে করেও পুরো দিন সুস্থ থাকতে পারবেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি খাবার আপনার দেহের এনার্জি লেভেল নষ্ট করে দেবে দিনের বেলায় যার কারণে আপনি দুর্বলতা অনুভব করবেন পুরো দিন।

খেজুর দেহের এনার্জি ধরে রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। খেজুর যে শুধুমাত্র ইফতারেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সেহরির সময়েও দুটো খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। এতে করে পুরো দিন দেহে এনার্জি পাবেন। ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত তেল চর্বি ধরণের খাবার খাবেন না একেবারেই সেহরিতে। বিশেষ করে খিচুড়ি, পোলাও বা বিরিয়ানি ধরণের খাবার তো একেবারেই নয়। কারণ এগুলো পুরো দিনই আপনার পেটের সমস্যা ও অস্বস্তির জন্য দায়ী থাকবে।

 

ঈদের নাটকে চঞ্চল-তিশা

ঈদের জন্য নির্মিত সাত পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেন চঞ্চল চৌধুরী ও নুশরাত ইমরোজ তিশা। মাসুম শাহরীয়ারের রচনায় এবং আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘লজ্জাবতী লায়লাকে নিয়ে জুলফিকারের চমক’। সম্প্রতি উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এই ধারাবাহিক নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়।

নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা নির্লজ্জের মতো নানা অন্যায়-অনিয়মে ডুবে আছি। একমাত্র লজ্জাই আমাদের মুক্তির উপায়। লজ্জাবতী লায়লার লজ্জার কারণ চিহ্নিত হয় একটা অসুখ, সোশাল অবস্টাগ্রল সিনড্রম। তার এই লজ্জাকে ঘিরেই দ্বিতীয় কিস্তিতে আমরা আমাদের টিভি নাটকের নানা অসঙ্গতিগুলো দেখবো স্যাটায়ারের আদলে।’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার, আশরাফুল আশিস, আইরিন আফরোজ, শাহনেওয়াজ রিপন, রাশেদ মামুন অপু, বিনোদন সাংবাদিক পান্থ আফজাল, আঁঁখি আফরোজ, জয়নাল জ্যাক, খায়রুল আলম টিপু, আহমেদ সুজন প্রমুখ। ‘লজ্জাবতী লায়লাকে নিয়ে জুলফিকারের চমক’ নাটকটি দেশ টিভির ঈদ অনুষ্ঠান মালায় প্রচার হবে জানা গেছে।

 

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর সবজি মুরগি

স্বাস্থ্যকর খাবার সবসময়ের জন্যই প্রয়োজন, সেহরিতে তো অবশ্যই। দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকতে হয় বলে আমাদের শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সেহরির খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। তবে ঘুম ভেঙে উঠে খেতে হয় বলে অনেকেরই মুখে ঠিকভাবে রুচি থাকে না। সেজন্য সেহরির খাবার হওয়া চাই মুখরোচক। তেমনই একটি খাবার সবজি মুরগি। রইলো রেসিপি

Murgi

উপকরণ : গাজর ফুলকপি আলু টুকরা করা পরিমাণমতো, মুরগি ৫০০ গ্রাম মাঝারি টুকরা, লবণ-তেল-হলুদগুড়া- পরিমাণমতো, আদা রসুনবাটা এক টেবিলচামচ, পেঁয়াজকুচি আধকাপ, মরিচগুড়া এক চা চামচ, জিরাগুড়া এক চা চামচ, গরম মসলা গুড়া আধ চা চামচ, টকদই, কাঁচামরিচ চেরা ৫/৬ টি, গোলমরিচ গুড়া আধ চা চামচ, সয়াসস ও ভিনেগার এক টেবিল চামচ করে, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো।

প্রণালি : মাংস লবণ, গোলমরিচ গুড়া, টকদই, সয়াসস ও সিরকা দিয়ে কিছুক্ষণ মেখে রাখুন। সবজিগুলো লবণ দিয়ে একটু সেদ্ধ করে রাখুন। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে সব মসলা দিয়ে কষান। এবার মাংস দিয়ে কষিয়ে সবজি ও পানি দিন। মাখা মাখা হলে কাঁচামরিচ চেরা, জিরাগুড়া , গরমমসলা গুড়া, ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

রোজায় ত্বক সুস্থ রাখতে

শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। রমজান মাসের খাদ্যাভাস বছরের অন্যান্য দিনের মতো নয়। আর তাই এসময়ে ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হলে নিতে হবে বাড়তি কিছু যত্ন। সেহরি ও ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি যতটা সম্ভব বেশি পানি পান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নিজের দিকেও। গরম এবং পানিশূন্যতার কারণে যেন অসুস্থ হয়ে না যান সেজন্য যতটা সম্ভব রৌদ্র এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হবেন। এছাড়াও নিতে হবে বাড়তি কিছু যত্ন। চলুন জেনে নেই- শরীরের পর্যায়ক্রমিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন জরুরি। প্রতিটি মানুষেরই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করবে, আর জিঙ্ক ত্বককে বিকিরণ থেকে রক্ষা করবে। আপনার ত্বক এমনকি পুরো শরীরের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন প্রতি রাতে গড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুম। তাই সুস্থ-সুন্দর থাকতে একটু কষ্ট হলেও রাত না জেগে চেষ্টা করুন একটা ভালো ঘুম দেওয়ার।

Roja

প্রতিদিন সাবান ব্যবহারে আপনার ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই একটি ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন, যা আপনার ত্বককে রুক্ষতা থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। প্রতিদিন গোসলের পর মনে করে লোশন লাগান, এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। গাজর, বাঁধাকপি ও ওলকপি একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। মুখ ধোয়ার জন্য এই পানি ব্যবহার করতে পারেন। বাকি ভেজিটেবল ম্যাশ করে নিন। ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, বাঁধাকপিতে প্রচুর মিনারেল রয়েছে। ওলকপি পাওয়ারফুল ক্লিনজার। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই কম্বিনেশন খুবই উপকারী। ডিমের কুসুমের সঙ্গে আধা চামচ মধু, ১ চা চামচ মিল্ক পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

সারাদিন রোজা রেখে বিকেলে ভেঙে ফেলতাম : পপি

রমজান মাস রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস, নাজাতের মাস। প্রত্যেক মুসলমানই চেষ্টা করেন প্রতিটি রোজা রাখার। তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। শুটিংসহ অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি তারাও রোজা রাখার চেষ্টা করেন। চিত্রনায়িকা পপিও তেমনটাই করেন। পাঠকদের জন্য রমজানের দ্বিতীয়দিনে চিত্রনায়িকা পপি জানালেন তার প্রথম রোজা রাখার অভিজ্ঞতা

‘ছোটবেলার সব কিছুই আনন্দের ছিল। তখন খুলনার খালিশপুরে থাকতাম। আমি যখন ছোট তখন রোজা শীতের মধ্যে আসত  উফ, সে কি হাড় কাঁপানো শীত! তার মধ্যে সেহরির সময় উঠে মাকে দেখতাম রান্না চড়াতেন। মা এমনভাবে উঠতেন যেন আমরা আওয়াজ না পাই। কারণ আমরা উঠলেই তাদের সঙ্গে সেহরি খেয়ে রোজা রাখার বায়না থাকত   তখন ছোট থাকায় মা চাইতেন না রোজা রাখি। তবে সেহরি খেলেই রোজা আর ভাঙানো যেত না। দিনে বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতাম কখন ইফতারের সময় হবে কখন মসজিদ থেকে আজানের আওয়াজ আসবে  ছোটবেলার রোজা রাখার কথা মনে হলেই উৎফুল্ল হয়ে উঠি।’

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ লাগত বিকেলের দিকে  পানি খাওয়ার জন্য হাহাকার করে উঠতাম। কোনো কোনোদিন না পেরে বিকেলের দিকে রোজা ভেঙে ফেলতাম। অথচ সারা দিন না খেয়ে থেকেছি । আসরের আজানের দিকে রোজা ভেঙেছি অনেকবার। তবে কাউকে বলতাম না। সবাই জানত আমি রোজা রাখছি সেইসব কথা মনে পড়লে এখন হাসি পায়।’

অনেকদিন পর ‘রাজপথ’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন পপি  জাভেদ জাহিদের পরিচালনায় পপির বিপরীতে দেখা যাবে জায়েদ খানকে  পপিকে সর্বশেষ রুপালী পর্দায় দেখা যায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়া কয়েক বছরের পুরনো ‘পৌষ মাসের পিরিত’ ছবিতে  এছাড়া ‘সোনাবন্ধু’ নামের আরেকটি ছবি মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে  গেল সপ্তাহে ‘মেন্টাল’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন পপি, যেটি ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে ।

 

আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন রুনা লায়লা

দীর্ঘ সংগীতজীবনে বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা। তবে এবারের সম্মাননা বা পুরস্কারের বিষয়টি একটু ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ব্যারিনু ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ রুনা লায়লাকে ‘ডিস্টিংগুইশ সেলিব্রেটি লিজেন্ড অ্যাওয়ার্ড’এর জন্য মনোনীত করেছে। বাংলায় যাকে বলা হচ্ছে, ‘বিশিষ্ট তারকা কীর্তিমান পুরস্কার’। ‘ইন্সপায়ারিং ওম্যান ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে ২৫ মে রুনা লায়লার হাতে সম্মানজনক এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

রুনা লায়লা জানান, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউনাইটেড নেশনস প্লাজায় ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ক্রিয়েটিভিটি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’ অনুষ্ঠানে সম্মাননা গ্রহণ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ, উপমহাদেশ ও বিশ্ব সংগীতে অবদান এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে রুনা লায়লা বলেন, ‘প্রতিটি সম্মাননাই এক ধরনের স্বীকৃতি। সে হিসেবে প্রতিটি সম্মাননাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এত বছর যেসব পুরস্কার পেয়েছি, প্রতিটিই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এটা আরও বেশি সম্মানের। কারণ, এটি দেওয়া হবে জাতিসংঘে। শুধু আমার নয়, এটা পুরো বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বলে মনে করছি। একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করছি। বিশেষ করে সংগীতের মানুষদের জন্য বিষয়টি আরও আনন্দের।’

সংগীত, শিল্পচর্চা এবং নারী উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে তিনি এই সম্মাননা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ারে এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে রুনা লায়লার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমের রুনা লায়লাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

রুনা লায়লা বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তাঁর সুনাম আছে। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। ২০১৫ সালে রুনা লায়লা তার সংগীত জীবনের পাঁচ দশক পূর্ণ করেছেন। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশী’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

 

পবিত্র কাবা শরীফ মুসলিম উম্মাহর জন্য নিরাপদস্থান

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ছিলেন মুসলিম উম্মাহর ইমাম। আর তা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আর ইমামের ইবাদতের জন্য ক্বিবলা হিসেবে বাইতুল্লাহকে নির্ধারণ করেছেন। নির্ভয়ে নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগির জন্য বাইতুল্লাহকে করেছেন নিরাপদ নগরী।

আর হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল যে, বাইতুল্লাহকে রুকু, সিজদা ও তাওয়াফের জন্য পূতঃপবিত্র করার জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কা`বা) লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিলাম। এবং (বলেছিলাম) তোমরা মাক্বামে ইবরাহিমকেই (ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দাঁড়ানোর জায়গাকে) নামাজের জায়গারূপে গ্রহণ করো।

আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে (আলাইহিস সালাম) তাগিদ দিয়ে বলেছিলাম, আমার এই গৃহকে (কা`বা) তাওয়াফকারী, ই`তিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২৫)

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম-এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলঅ এখানে বাইতুল্লাহর দুটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
>> বাইতুল্লাহ হচ্ছে এমন এক পুণ্যস্থান বা নিরাপদ ভূমি; যেখানে মুসলিম উম্মাহ’র কেউ একবার গেলে বারবার যাওয়ার জন্য ব্যকুল থাকে। এটা এমন এক স্পৃহা যা কখনও মিটে না, বরং দিন দিন তা বৃদ্ধি পায়।

>> বাইতুল্লাহ হলো নিরাপদস্থল। এখানো কোনো শত্রু বা বিপদের ভয় থাকে না। তাই জাহেলিয়াতের যুগেও মানুষ কোনো প্রাণের দুশমনকেও আক্রমণ করতো না। ইসলাম এ মর্যাদা ও পবিত্রতাকে শুধু স্থায়ীই করেনি বরং তা আরও বিশেষভাবে আরোপ করেছে।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ বাইতুল্লাহ চত্ত্বরে স্থাপিত ঐতিহাসিক মাকামে ইবরাহিমের পাশে তাওয়াফ সমাপ্ত করে দুই রাকাআত নামাজ আদায়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

পাশাপাশি হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও ইসমাইল আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন কা`বা চত্ত্বরকে ইবাদত-বন্দেগির জন্য পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে রাখে।

আল্লাহ তাআলার এ নির্দেশ আজও বিদ্যমান। আজও কাবা প্রাঙ্গণ নিরাপদ। তাওয়াফ শেষ করে হজ ও ওমরা পালনকারীরা মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করে।

বাইতুল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিকারী; হজ ও ওমরা পালনকারী দর্শণার্থীদের জন্য বাইতুল্লাহ চত্ত্বর সদা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন। আল্লাহ তাআলা নির্দেশের এ ধারা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকবে অবিরাম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ কা`বার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে; মাকাকে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করতে; নিরাপদ সম্মিলনস্থলের পবিত্র রক্ষা করতে; ইবাদাতকারী, তাওয়াফকারী, ই`তিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীসহ প্রত্যেকের অধিকারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা ও দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক ব্যবসা

দিন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে ক্যারিয়ার আর ব্যবসার ধারণা। ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের থেকে শুরু করে বড় কর্পোরেট হাউজগুলো এখন নিত্য নতুন ব্যবসা নিয়ে হাজির হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে দুই কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীরা কোনো না কোনো ভাবে একজন ভোক্তা। ফলে তাদের টার্গেট করেই মূলত এখন ব্যবসা পরিকল্পনা করছেন অনেকে। যেখানে পোস্টার, ব্যানার বা সংবাদমাধ্যমে শত কোটি টাকা খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে স্বল্প খরচে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে সামাজিক এই মাধ্যমগুলো। ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন মানুষ দেখতে চায় না। পত্রিকার প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিলে পেজ উল্টিয়ে আর টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিলে রিমোর্ট ঘুরিয়ে অন্যত্রে চলে যায় টার্গেট ক্লাইন্ট। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নিজেই এসে সচল থাকে এসব বিজ্ঞাপনে। সাধারণ মানুষের কাছে শৈল্পিক উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

অনেকেই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া অনেকেই যারা আগে থেকে ই-কমার্স ব্যবসা করছেন তারাও মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বেশি নির্ভরশীল। আপনার যে কোনো ছোট বা বড় ব্যবসাকেও প্রমোট করতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে। তার আগে কেনো ব্যবসা ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতা নেবেন বা কীভাবে এ খাতে ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমে জানতে হবে আপনার ব্যবসা কী? আপনার টার্গেট ক্লায়েন্ট কে? আপনার টার্গেট ইভেন্ট কোনটি? তবে ফেসবুক কীভাবে আপনার জন্য ব্যবসা নিয়ে আসছে? চলুন একপলকে জেনে নেওয়া যাক।

❏ ফেসবুকে খুঁজুন আপনার ক্লায়েন্টকে

আপনি যদি কনজিউমার কেন্দ্রিক কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায় শুরু করেন যেমন: ক্যাফে, বুটিক,পার্লার, ই-কমার্স বা এফ-কমার্স ওয়েবসাইট তবে অনেকেই ফেসবুকে আপনার পণ্য নিতে সরাসরি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এ জন্য লাগবে না বাড়তি কোনো দোকান ভাড়া কিংবা যাতায়াত খরচ। ব্যবসায় শুরু ও তার প্রচার যদি এভাবেই করা যায়, তাহলে তা লাভজনক না হয়ে উপায় কী?

❏ রেজিস্টার করুন ফেসবুক বিজনেস পেজে

যদি আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুজ অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তবে চাইলে আজই আপনি রেজিস্টার করে ফেলতে পারেন ফেসবুক বিজনেস পেজে। আপনার ব্যক্তিগত পেজই আপনার ভিজিটর বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। আর কখনো যদি জানতে চান ফেসবুক বিজনেস কেস স্টাডিজ তবে গুগল তো রয়েছেই। জাস্ট ক্লিক অ্যান্ড সার্চ।

❏ আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানান 

শুধু ফেসবুকেই থেমে থাকবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক ছাড়াও ব্যবহার করুন ইন্সটাগ্রাম, লিংকড ইন, টুইটার বা পিন্টারেস্ট। প্রত্যেক জায়গায় ছড়িয়ে দিন আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজের লিঙ্ক। জানান আপনার ই-মেইল ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা।

❏ আপনার প্রোফাইল বা পেজকে করে তুলুন আকর্ষণীয়

আপনার প্রোফাইলের সার্থক ব্যবহার করুন। ফুটিয়ে তুলুন ইমেজ/ছবিতে আপনার ব্যবসায়ের ইউনিক অফার বা নতুন প্রোডাক্ট লাইন। তুলে ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরুন।

❏ ব্যবহার করুন কী-ওয়ার্ড

দ্রুত ব্যবসার প্রসারে ব্যবহার করুন স্পেসিফিক কী-ওয়ার্ড। যেন মানুষ যে কোনো ডিভাইসেই (ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল) সার্চ করুক না কেন, তা যদি আপনার ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং এ সবার প্রথমে যেন আপনার নাম আসে।

❏ সবাই পছন্দ করে এমন কন্টেন্ট ব্যবহার করুন

আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন ‘কনটেন্ট ইজ দ্য কিং’ আর এটি আক্ষরিক ভাবে সত্য। আপনার কন্টেন্ট যদি আকর্ষণীয় না হয় তবে আপনার পোষ্টটি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে ছবি বা ভিডিওতে সবচেয়ে বেশি কমেন্ট পরে। এছাড়া জিআইএফ, অ্যানিমেশন এগুলো বেশি শেয়ার করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মতে ব্র্যান্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কন্টেন্টের ৭৫ শতাংশ ইমেজে খরচ করে যার রেসপন্স রেট সবচেয়ে বেশি।

❏ যে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে

আপনার পেজ আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু সৃষ্টিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কাজের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আপনার দেওয়া মেসেজ যেন বিতর্কিত না হয়; তবে এতেও এক ধরনের মার্কেটিং হবে যাকে বলা হয় ‘নেগেটিভ মার্কেটিং’। এ ধরনের মার্কেটিং কোনো কোনো সময় কাজে দেয় তবে সেটা কতটা কাজে দেবে বা ক্ষতি হতে পারে সেটাও চিন্তা করে নিতে হবে। এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি ফলো করুন যেন তা মার্কেট ভাইব ধরতে পারে। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে পেজ ও কন্টেন্ট ম্যানেজ করার দায়িত্ব দিতে পারেন।

❏ এনগেজমেন্ট বাড়ান

আপনার ফলোয়ারদের সাথে সরাসরি কথা বলুন। তাদের মতামত ও প্রশ্নের স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দিন। তাদের আলচনার সুযোগ করে দিন। এতে আপনার এনডরসমেন্ট বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক পেজ থেকে আপনার ভিজিটরকে ওয়েবসাইটে নিয়ে যান। তুলে ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব। দরকার হলে তৈরি করুন ব্লগ ও সেখানে আলাদা একটি বিভাগ রাখুন পাঠক প্রতিক্রিয়া ও মতামতের। এতে আপনি আপনার ভোক্তারা আসলে কি চাচ্ছে তা অনুমান করতে পারবেন।

❏ আপনার ফেসবুক ফলোয়ারদের দিন কিছু এক্সট্রা বেনিফিট

কন্টেস্ট, কম্পিটিশন, ডিস্কাউন্ট প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখুন। আপনার ফেসবুক ফলোয়ারদের দিন এক্সট্রা বেনিফিট। তাদের কাছ থেকে রিভিউ নিয়ে পেজে অন্তর্ভুক্ত করুন। অনেকেই ফেসবুকে খুঁজে বেড়ান ইউনিক অফার, তারা হতে পারে আপনার প্রাইম কাস্টোমার। তাদের যদি আপনি সন্তুষ্ট রাখতে পারেন তারাই আপনাকে এনে দিবে আরও ক্লায়েন্ট।

❏ হিসেবে রাখুন প্রতিটি বিষয়

আপনার বিজেনেজ পেজে ঘটা যাবতীয় বিষয়ের হিসাব রাখুন। ফেসবুক পেজ ইনসাইট আপনাকে যাবতীয় তথ্য দিবে যে কোথা থেকে আপনার কাস্টোমাররা কীভাবে আপনার বিজনেসে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়াও আপনি ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ম্যানেজার ড্যাশবোর্ড থেকে জানতে পারবেন আপনার অ্যাড বিজনেস অবজেক্টের সাথে কেমন পারফর্ম করছে। বিশ্বাস করুন এই সবই করা সম্ভব শুধুমাত্র ফেসবুককে ব্যবহার করে। তাই আজই ভেবে নিন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তা নেবেন কিনা। এই বৈশাখ থেকেই আপনার ব্যবসায় খুলুক নতুন দিগন্ত ফেসবুকের মাধ্যমে।

❏ ফেসবুক অ্যাড

আপনি যদি কোনো স্পেসিফিক গ্রুপের কাছে পৌঁছাতে চান তবে ফেসবুক অ্যাডভারটাইজিং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পন্থা হতে পারে। আপনি নির্ধারন করে দিতে পারেন কারা আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখবে। যেটা টেলিভিশন বা পত্রিকা করতে পারে না। যেমন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে গহনা বিক্রি করতে চান। এই গহনার টার্গেট ক্লাইন্ট কারা তা ঠিক করে দিতে পারবেন। এই ক্লাইন্ট ছেলে না মেয়ে হবে? বয়স ২৫ না ৫০ হবে? ঢাকার মানুষ দেখবে নাকি শুধু চট্টগ্রামের মানুষ এই বিজ্ঞাপন দেখবে তা ঠিক করে দেওয়া যায়। ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যম আপনি পাবেন লোকেশন, ইন্টারেস্ট, জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য, বয়স ও ব্যবহারসহ আরও নানান তথ্য। এ জন্য কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারেন।

 

নিজের প্রতি যত্নশীল হোন

ভালোবাসা একটি গাছের মতো। শুধু প্রয়োজন একটু উর্বর মাটি আর তাতে পর্যাপ্ত পানি। সাথে যদি যুক্ত হয় একটু মায়ামমতা তবে সেই গাছ যেমন দ্রুত বাড়ে তেমনি ফল দেয়, ফুল দেয় আপনার মনের মতো। তাই আপনি যখন কাউকে তার পাওনা পর্যাপ্ত ভালোবাসা দেবেন তখনই কেবল তার মনের বাগানে আপনার দেওয়া বীজ থেকে চারা গজাবে। আর এসব কাজের জন্য চাই নিজের ভালো থাকা। আর নিজের ভালো থাকার অন্তরালে থাকে নিজেকে ভালোবাসা। নিজেকে যখন কেউ ভালোবাসে না, দেখে রাখে না, পর্যাপ্ত যত্ন নেয় না তখন আপনার শরীর আপনার সাথে মনোমালিন্য করে থাকে। আর তাতে দেখা দেয় নিজের প্রতি ভালোবাসাহীনতা। জীবনে উত্থান পতন এলেও আমরা সেই আমাদেরই দোষ দেই। অথচ এই আমাদের বাইরের আমি ভেতরের আমিটাকে কত না যত্ন করে আকড়ে রেখেছে। বাইরের ঝড়ে ভিতর তছনছ হয়ে গেলেও বাইরের আবরণে থাকা শক্ত এই মানব যন্ত্রটিকে রেখেছে সচল। তা কেবলই সম্ভব হয় আপনার নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসার জন্য। খুব আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার নিজেকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন বিধায়ই আপনার প্রতি একটু বেশি যত্ন রাখতে আরেকটি মানুষ খোঁজেন। সবকিছুর গোড়াতেই থাকে এই ভালোবাসার বীজ। তাই সবার আগে ভালো রাখতে হয় নিজেকে।

দ্রুত নয়, ধীরে

কোনো কাজই দ্রুত করলে তার ফল ভালো হয় না। তাই জীবনে করা যেকোনো কাজ ধীরে সুস্থে করুন। যখন কোন কাজ আপনি ধীরে করবেন তার ভালো একটি ফল আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পাবেন। তাই নিজের প্রতি ভালোবাসাটাও আস্তে ধীরেই গড়ে তুলুন। আপনার পছন্দের কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। যত দ্রুত পারুন করে ফেলুন। দেখবেন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের সিঁড়ি দ্রুত উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে।

নিজের কাছে পরাজিত

নিজের কাছে নিজে যত পারুন পরাজিত হোন। নিজের গণ্ডিকে পেরিয়ে আরো বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যখন আপনাকে ছাপিয়ে সামনে যেতে পারবেন কেবল তখনই পারবেন নিজেকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসতে। তখনই কেবল আপনার নিজের প্রতি আপনার আত্মবিশ্বাস পুনরায় জন্ম নেবে আর আপনি পারবেন হাসি মুখে নিজেকে ভালোবেসে প্রাণবন্ত থাকতে।

নিজের প্রতি আস্থা
না বলা কোনো কথা নিজের ভেতর চেপে রাখবেন না। এতে আপনার মনের সাথে আপনার তীব্র সমস্যা তৈরি হয়। আর যার ফলে আপনি ভুগেন সিদ্ধান্তহীনতায়। তাই নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাসের প্রতি আটল থাকুন। আর মনে এমন কোনো কথা এলে তা লিখে ফেলুন। তা না হলে তা এমন কারো সাথে শেয়ার করুন যে আপনার বিশ্বস্ত। আর এতে আপনার নিজের কথার প্রতি আস্থা ফিরে আসবে। আপনি এটা মানতে শুরু করবেন যে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভুল হয়নি। আর এতে নিজের প্রতি নিজের ভালোবাসা বাড়ায়।

নিজেকে উপহার দিন
কেউ আপনাকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিলো কি না তা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনি আপনাকে নিজে কী দিচ্ছেন তা বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যেকোনো উপলক্ষ্যে নিজেকে নিজের পক্ষ থেকে উপহার দিন। তা হতে পারে আপনার পছন্দের আইসক্রিম কিংবা চকলেট। এতে করে আপনি আপনার নিজের সঙ্গ যেমন উপলব্ধি করতে পারবেন তেমনই নিজেকে উজাড় করে ভালোবাসতে পারবেন।

 

ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির সহজ রেসিপি

ফ্রুট কাস্টার্ড সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর রেসিপিও বেশ সহজ। দুধ, ডিম এবং ফল এর মিশ্রণে তৈরি করে ফেলতে পারেন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কাস্টার্ড। বাসায় অতিথি এলে কাস্টার্ড তৈরি করা থাকলে ঝটপট নাশতায় পরিবেশন করতে পারেন। কারণ এটি ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়। রইলো রেসিপি

উপকরণ : দুধ এক লিটার, ডিমের কুসুম দুইটা, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি ১/২ কাপ বা স্বাদ মত, কিসমিস দুই টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম দুই টেবিল চামচ, ফল (কলা, আম, আপেল, আঙুর, লাল বা সবুজ চেরি ফল, ডালিম/আনার, স্ট্রবেরি) কিউব করে কাটা প্রায় ২ কাপ।

ফ্রুট কাস্টার্ড সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এর রেসিপিও বেশ সহজ। দুধ, ডিম এবং ফল এর মিশ্রণে তৈরি করে ফেলতে পারেন পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কাস্টার্ড। বাসায় অতিথি এলে কাস্টার্ড তৈরি করা থাকলে ঝটপট নাশতায় পরিবেশন করতে পারেন। কারণ এটি ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়। রইলো রেসিপি

উপকরণ : দুধ এক লিটার, ডিমের কুসুম দুইটা, কাস্টার্ড পাউডার তিন টেবিল চামচ, চিনি ১/২ কাপ বা স্বাদ মত, কিসমিস দুই টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম দুই টেবিল চামচ, ফল (কলা, আম, আপেল, আঙুর, লাল বা সবুজ চেরি ফল, ডালিম/আনার, স্ট্রবেরি) কিউব করে কাটা প্রায় ২ কাপ।

 

জেগে উঠুন, সতর্ক হোন !

‘’আমাদের হয়ত দোষ ছিলো,এতরাতে একটা পার্টিতে কেন গেলাম! আমি বলছিনা যে ছেলেদের সাথে মিশা যাবে না। আমরা যেখানে পড়ছি ছেলেদের সাথে পড়ছি।ছেলেদের সাথে হয়ত মেশার প্রয়োজন হবে ! তবে আমি বলব কেউ যেন আমাদের মতো বোকা না হয়!সবাইকে বিশ্বাস না করে। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত শ্রেণীটা মনে হয় একটু বেশী অন্যরকম! এটা যাতে খেয়াল করে।‘’-এই কথাগুলো বলছিলেন বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষনের শিকার এক তরুণী একাত্তর চ্যানেলে একটি টক শোতে টেলি কনফারেন্সে।

তার প্রতি সমবেদনা রেখে বলছি ,তিনি যে উপলব্ধি করেছেন এই উপলব্ধিটা আমাদের প্রত্যেক নারীর মধ্যেই আসা উচিত।

‘’কেউ যেন আমাদের মতো বোকা না হয়!’’ হ্যা সত্যিই তাই!

এখন সময় এসেছে নারীদের সচেতন হবার।

বিশেষ করে একজন শিক্ষিত নারীকে তো অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

যে কথা বহু বছর আগে বেগম রোকেয়া বলে গেছেন- ভগিনীরা ! চক্ষু রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন, অগ্রসর হোন!”

আমরা নারীরা কি জাগ্রত? আমরা কি আমাদের ক্ষমতা আর অধিকার সর্ম্পকে সচেতন?উত্তর গুলো অবশ্যই নেতিবাচ হবে । চোখ বন্ধ করে বলা যায় না আমরা সচেতন নই। যারা সচেতন তাদের সংখ্যা গুটিকতক।আমাদের নারীরা লেখাপড়ায় ভালো করছে, তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে,আত্ননির্ভশীল হিসেবে গড়ে উঠছে,বড় বড় পদে কর্মরত আছে, সব ঠিক । কিন্তু গোড়ায় গলদ!

দু:খজনক হলে সত্য যে ,উনিশ শতকে বেগম রোকেয়া যে বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন আজকের শিক্ষিত নারী সমাজের মাঝে এখন পযর্ন্ত সেই বোঝ তৈরী হয়নি! তিনি বলেছিলেন-‘’আমরা সমাজের অর্ধাঙ্গ, আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোনো ব্যক্তি এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোড়াইয়া খোড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে। তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য যাহা আমাদের লক্ষ্য তাহাই।’

আমাদের নারীরা জানে না ,তার ভিতরের ক্ষমতা কত!সে কি করতে পারে।সমাজ বিনির্মানে তাকে যে ভূমিকা রাখতে হবে সে খেয়াল কয়জনের আছে!

মাতৃত্বের মতো বিশাল দায়িত্বের গুরুভার সর্ম্পকে আমাদের নারীরা কতটুকু সচেতন?

‘বন্ধু  ছাড়া লাইফটা ইম্পসিবল’,ফ্রি মিক্সিং,মডেলিং এর লোভনীয় অফার –এ সেন্সগুলো যে একধরনের লোভী পুরুয়ের ব্যবসায়ীক দৃস্টিভংগিতে তৈরী তা কি জানে আমাদের নারীরা?

প্রয়োজনে বন্ধু নিবার্চনের ক্ষেত্রে হ্যান্ডসাম, বিত্ত-বৈভব ইত্যাদির চেয়ে ছেলেটি কতটা চরিত্রবান সেটা কয়জন ভেবে দেখেন?

আমাদের নারীরা কেন এটা ভাবে না যে,বাংলাদেশে বেহেশতি বাতাস বইছেনা।এখানে অনেক চোর বদমাইশ আছে যাদের মেয়ে দেখলেই ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে ।সুতরাং আমি নিরাপদ তো!নিজের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন সে সচেতন থাকবে না?

এমনিতর হাজারো প্রশ্ন রয়েছে,যার উত্তর খুজে দেখলে আমাদেরকে হতাশই হতে হয়।

তাই নারীদেরকে বলবো-

‘জেগে উঠুন, সতর্ক হোন!

পরিবারে,আত্নীয়-স্বজনের সামনে,প্রতিবেশীদের মাঝে,যে প্রতিষ্ঠানে আপনি রয়েছেন সেখানে নিজের অবস্থান এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে আপনাকে টোকা দিয়ে দেখা তো দুরের কথা আপনার দিকে চোখ তুলে তাকাতে দ্বিধা বোধ করে।

মনে রাখতে হবে আপনার অধিকার কেউ আপনাকে দিয়ে যাবে না ,অধিকার আদায় করে নেয়ার মত যোগ্যতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে।

নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে লোলুপ দৃষ্টির সামনে নিজেকে উপস্থাপনের চেয়ে মনোযোগী হোন আপনি আগামী প্রজন্মের কারিগর হিসাবে কতটা যোগ্য হয়ে গড়ে উঠছেন।সাবধান হয়ে যান আপনি যেন এমন মা না হন যার অবহেলা আর সঠিক পরিচর্যার অভাবে ছেলে ধর্ষক হয়ে গড়ে উঠে।

অবাধ মেলামেশা নয়, প্রয়োজনে ছেলেদের সাথে মিশতে হলে দুরত্ব  বজায় রাখুন।কারন আপনি যে ছেলেটির সাথে মিশছেন সে যতই আপনাকে ‘তুই তুকারি ‘ করুক না কেন,ছোট  বা বড় বোন মনে করুক না কেন,আপনার ফিগার,হিপের মাপ,ঠোট,চোখ,হাসলে আপনাকে কেমন দেখায় ইত্যাদি সব কিছুই তার দৃষ্টি সীমানায় ভেসে বেড়াবেই! ছেলেদের দৃষ্টি বিপদজনক বলেই আল্লাহ এক্ষেত্রে সংযত থাকতে বলেছেন।একমাত্র কঠোর পরহেযগার পুরুষ ছাড়া আর যে কোন পুরুষেরই এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন নেই তা হলফ করে বলা যায়।

নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখুন।কারো সাথে একা কোথা দেখা করতে যায়া থেকে বিরত থাকুন।কারন সেখানে তৃতীয়জন থাকে শয়তান! হোক সে বয়ফ্রেন্ড, চাকুরির ইন্টারভিউ,কোন সুপারিশ,বড় ভাইয়ের বন্ধু,ডাকুনে চাচা,মামা ,খালু যে কেউ!

নারী শিল্পীদের বলছি,যারা নাটক সিনেমা আর মডেলিং করছেন,তারা আসুন একসাথে হোন আর যে সমস্ত স্ক্রীপ্টে নারীর অশ্লীল উপস্থাপন আছে তা বজর্ন করুন।নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থাপনকে হ্যা বলুন ,অশ্লীল উপস্থাপনকে না বলুন।

নিজের আব্রু রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হোন।কেন আপনি নিজেকে জোড়া চোখের তীক্ষ্ন দৃষ্টি দ্বারা  ক্ষত বিক্ষত করবেন? কাদের জন্য আপনি চিত্তহরণী হবেন?যাদের জিভ সব সময় ঝুলে থাকে তাদের জন্য? অবশ্যই না।

থানা ,ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার,বিভিন্ন মহিলা সংস্থা,সাংবাদিক ইত্যাদির ফোন নাম্বার সংগ্রহে রাখুন।আক্রান্ত হবার পূর্বাভাস দেখলেই তাদেরকে ইনর্ফম করুন।

শিক্ষিত হয়েছেন  তো নিজের ব্যাপারে নিজে সচেতন হোন। যোগ্য হয়ে গড়ে উঠুন এসব ধর্ষকদের মুখে লাথি মারার জন্য।

লিখেছেন-আকলিমা ফেরদেৌসী

 

কালোই ছড়াচ্ছে আলো!

এত বঞ্চনার পরও থেমে থাকেননি গোলাপী। নিজের পায়ে দাঁড়াতে স্বাবলম্বী হতেই হবে? স্বামীর সংসার হয়নি তাতে কী হয়েছে? মা-বাবা, ভাইবোনকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। ছুটে চললেন কাজের সন্ধানে। সেলাই প্রশিক্ষণ নিলেন। একটি মেশিনও কিনলেন। বাড়িতেই শুরু করলেন মেয়েদের জামা বানানোর কাজ। বদলে যেতে শুরু হলো তাঁর জীবনচিত্র। এর পাশাপাশি রংপুরে অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায় চাকরিও করছেন।

কালো হওয়ার ‘অপরাধে’ বিয়ের রাতেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর দমে যাননি। নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে অর্থ উপার্জন করছেন। পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করছেন এমন উদাহরণের ঘটনায় ২০১৫ সালের ‘নারী’ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার পেয়ে গেলেন গোলাপী আক্তার।

রংপুর শহরের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ভ্যানচালক আবদুল গনির বড় মেয়ে গোলাপী আক্তার। অভাব-অনটনের সংসারে বেশি দূর পড়াশোনা এগোয়নি। মাত্র পঞ্চম শ্রেণিতেই পড়ালেখার পাট চুকে যায় তাঁর। এরপর ২০০৯ সালে রংপুর শহরের আদর্শপাড়া এলাকার আলী হোসেন নামের এক ভ্যানচালক তরুণের সঙ্গে ১৪ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। এ সময় যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। আর দেওয়া হয়েছিল নাকফুল ও কানের দুল। গোলাপী কি জানতেন, এক দিন পরই তাঁকে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসতে হবে?

একে তো বাল্যবিবাহ, তার ওপর যৌতুক, এই বিয়ের পরিণাম যা হওয়ার তা-ই হলো। সেই দিনের ঘটনা বলতে গিয়ে গোলাপী জানালেন, বিয়ের রাতেই (বাসর রাত) এলাকায় চোরের উপদ্রব রয়েছে, এমন অজুহাতে শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যরা তাঁর শরীর থেকে খুলে নেন নাকফুল ও কানের দুল। শরীরের রং কালো হওয়ার গঞ্জনা শুনতে হয়েছে রাতভর। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে রাতটা কাটলেও পরদিন সকালে ফিরে যেতে হয় বাবার সেই চিরচেনা বাড়িতেই। আর ফিরে যাওয়া হয় না স্বামীর সংসারে।

এরপর গোলাপী এখানে-ওখানে ঘুরে ফিরেছেন। কী করবেন তা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএসের মানবাধিকার কর্মী বিলকিস বেগমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে আলোকিত ভুবনে এক বছরের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নিলেন গোলাপী। এরপর নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করলেন। এরই মধ্যে বিয়ের সম্পর্কটা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

২০১০ সালে যোগ দেন রংপুর শহরে অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায়। প্রতি মাসের বেতন আর নিজের সেলাই মেশিন দিয়ে আয়ও হয় বেশ। ব্যাংকেও টাকা জমিয়েছেন। মা-বাবা, দুই ভাই, এক বোনসহ শহরের কামারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে জীবন ভালোই কাটছে তাঁদের। এক ভাই অষ্টম ও বোন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। আরেক ভাই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে বাবার ভ্যান চালান। মা বর্তমানে অসুস্থ। তেমন একটা চলাফেরা করতে পারেন না।

গোলাপী বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা নারী অন্বেষণে ২০১৫ সালে রংপুর সদর উপজেলা, জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হই। পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ায় ইচ্ছে আছে অন্য সব ভাইবোনকে পড়ালেখা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার। আমার মতো অন্যদের জীবন যেন এ রকম না হয়।’ নিজেকেও প্রতিষ্ঠার অনেক দূরে নিয়ে যেতে চান। তাই মনেপ্রাণে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধের লড়াই।

অসুস্থ মা সামেনা বেগম বলেন, ‘কত কষ্ট করি টাকাপয়সা জোগাড় করি মেয়েটাক বিয়া দিছি। তখন মোর জানা আছিল না ছোটকালে বেটির বিয়া দেওয়া যায় না।  সেই সংসার দুই দিনও টিকিল না। কালো বলিয়া এমন দুর্দশা হইল। কিন্তু তারপরও মেয়েটা কাজকাম করিয়া সংসারের বোঝা বহন করিয়া যাইতাছে। বেটি হামার হারে নাই।’

 

বাহুবলির নায়ক প্রভাসের আত্মত্যাগ

ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল ছবি এস এস রাজমৌলির ‘বাহুবলি ২ : দ্য কনক্লুশন’। কিন্তু এই ‘বাহুবলি’ করতে গিয়েই প্রবল অর্থকষ্টে ভুগেছেন প্রভাস। ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে অনেক। একসময় তার হাতে কার্যত অর্থই ছিল না! জি নিউজকে একথা জানিয়েছেন পরিচালক নিজেই।

রাজমৌলি জানিয়েছেন, বাহুবলির আগেও প্রভাসের তিনটি ছবি হিট ছিল। তাই অনেক প্রযোজকই বিগ বাজেটের ছবি নিয়ে তার পেছনে পড়েছিলেন। কিন্তু নিজেকে ‘ফোকাসড’ রাখতে প্রভাস সবাইকেই ফিরিয়ে দেন।

এমনকি ‘বাহুবলি’র জন্য কোনো পারিশ্রমিকও ‘দাবি’ করেননি তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে নিজেকে উজাড় করে কেবল ‘বাহুবলি’কেই দিয়ে গেছেন প্রভাস। এজন্য তাকে একসময় প্রচণ্ড অর্থ কষ্টেও ভুগতে হয়েছে।

পাশাপাশি ‘বাহুবলি’ করার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন ১৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন! বিভিন্ন জামা-কাপড়, জুতার ব্র্যান্ডের থেকেও তার কাছে বিশাল অঙ্কের এনডোর্সমেন্ট অফার আসে। কিন্তু মনোযোগে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় সেসবের দিকে ফিরেও তাকাননি তিনি।

মূলত প্রভাসের এই আত্মত্যাগের কারণেই সফলতাটাও এসেছে মধুর। বলিউডে হাজারির ক্লাব খোলার ঈর্ষণীয় সাফল্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাহুবলির কারণে হলিউডেও অফারও পেয়েছেন তিনি।

 

‘মা’ এ ধরণীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

ধরনীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ‘মা’। যার পদতলে রয়েছে জান্নাত। ‘মা’ পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক। মানুষ যে ডাকে খুঁজে পায় সীমাহীন শান্তি। দুনিয়াতে মা-ই মানুষের একমাত্র নিরাপদ শান্তির ঠিকানা আর পরকালের মুক্তির অনন্য ঠিকানা।

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিবসটি পালন করা হয়। সে হিসেবে আজ (১৪ মে, রোববার) পৃথিবীর সর্বত্রই যথাযোগ্য মর্যাদা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

যদিও মায়ের ভালোবাসা কোনো নির্ধারিত দিনক্ষণের ওপর নির্ভর করে না। মা যেখানেই থাকুক মায়ের ভালোবাসা সন্তানের হৃদয়ে থাকবে নিরন্তর সবসময়।

১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

পরে ১৯৬২ সালে দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয়ে আসছে।

মায়ের ভালোবাসা যেমন কোনো দিনক্ষণ দিয়ে হয় না; তেমনি মায়ের ভালোবাসা হয় সম্পূর্ণ শর্তহীন। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবদি মাকে নিয়ে রচিত হয়েছে সুন্দর সুন্দর অসংখ্য ছন্দ, কবিতা, গান ও ছড়া।

মায়ের ভালোবাসা, মায়ের জন্য ভালোবাসা ও খিদমত প্রসঙ্গে রয়েছে কুরআন হাদিসে অসংখ্য উপদেশমালা।

কবির ভাষায়- ‘মা বড় ধন সবচে আপন, নেইকো যাহার তুল্য; এক ফোঁট দুধ অনেক দামি, কে দিবে তাঁর মূল্য’।

অন্য কবির ভাষায়- ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেন ভাই; ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।’

আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে রহমতের সুধা দিয়ে প্রতিটি মাকে সৃষ্টি করেছেন। মা সন্তানের জন্য করুণার আধার। সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা, করুণা ও মমত্ববোধ আল্লাহর অশেষ কুদরতেরই নিদর্শন। তাইতো সন্তানের দুনিয়া ও পরকালের সফলতা মায়ের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে।

মায়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন শুধুমাত্র মানুষের জন্যই প্রযোজ্য নয় বরং সমগ্র প্রাণিজগতের জন্য। সন্তান যখন কোনো বিপদাপদে পড়ে, তখন কারো ব্যাথা না লাগলেও মায়ের নাওয়া-খাওয়া-ঘুম বন্ধ হয়ে যায়।

কবি বলেন, ‘বিদেশে-বিরাজ্যে যাদের সন্তান মারা যায়; পশু-পাখি না জানিতে আগে জানে মায়’-এ কারণেই দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি খেদমত পাওয়ার অধিকার শুধুমাত্র মায়ের।

কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো- আল্লাহ তাআলা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হকের পর সবচেয়ে বেশি আবশ্যক পালনীয় হলো মায়ের হক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওঠে এসেছে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক হাদিসে-

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবির নাম আলকামা। মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর জবান থেকে (তাওহিদের) কালেমা বের হচ্ছিল না। বিশ্বনবি এ খবর শুনে আলকামার ঘরে ছুটে গেলেন এবং আলকামার মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি পুত্রের ওপর অসন্তুষ্ট?

উত্তরে তিনি বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমার ছেলে আমার চেয়ে তার স্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব দিত। এ কারণে আমি তার প্রতি অসন্তুষ্ট।

তখন বিশ্বনবি উপস্থিত সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, কাঠ সংগ্রহ করে আলকামাকে জলন্ত আগুনে পুড়ে শেষ করে দাও।

আলকামার মা এ কথা শুনে গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার চোখের সামনে আমার সন্তানকে আগুনে জ্বালিয়ে দিলে আমি মা হয়ে কিভাবে তা সহ্য করব?

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন আলকামার মাকে অনুরোধ করলেন, হে আলকামার মা! তাহলে আপনানি আলকামাকে ক্ষমা করে দিন।

নতুবা আলকামা আপনার অসন্তুষ্টির কারণে পরকালে অনন্তকাল ধরে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। তখন আপনি তা কী করে সহ্য করবেন?

একথা শুনে আলকামার মায়ের মন নরম হয়ে যায়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্ষমা করে দেন। তারপর আলকামার জবানে (তাওহিদের) কালেমা জারি হয়ে যায় এবং কালেমা পড়তে পড়তেই ঈমানের সাথে হজরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যু হয়।

এ হলো মা। মায়ের দৃষ্টান্ত এমনই। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, মা তার সন্তানকে শর্তহীনভাবে ভালোবাসেন।

তাই পৃথিবীর সব সন্তানের উচিত, শুধু মা দিবসে মাকে ভালোবাসা জানানো নয় বরং দুনিয়ায় প্রতিটি দিনই শর্তহীনভাবে মাকে ভালোবাসা। মায়ের খেদমত করা। মায়ের হক যথাযথভাবে আদায় করা।

কেননা সন্তানের প্রতি মায়ের সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিহিত রয়েছে। দুনিয়ার সফলতা ও পরকালে জান্নাত প্রাপ্তিতে মায়ের প্রতি সদাচরণ করা সন্তানের জন্য আবশ্যক করণীয়।

মায়ের অবাধ্যতার কারণে সন্তান যেমন দুনিয়াতে লাঞ্ছনার শিকার হয় তেমনি পরকালে কঠিন আজাবেরও সম্মুখীন হতে হবে।

পরিশেষে…
মায়ের হক আদায়ে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। কেননা বিশ্বনবি বলেন, ‘দুনিয়াতে মায়ের দোয়া অতি দ্রুত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। আল্লাহ বান্দার সব গোনাহ ইচ্ছমতো ক্ষমা করতে পারেন।

কিন্তু মাতা-পিতার অবাধ্যতার গোনাহ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। বরং ওই অবাধ্য সন্তানকে এই পার্থিব জীবনেই মৃত্যুর আগে কঠিন শাস্তি দিয়ে থাকেন। (বায়হাকি)

হজরত আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যুকালীণ ঘটনাই তাঁর জলন্ত প্রমাণ। তাই মহান প্রভুর দরবারে প্রার্থনা। হে আল্লাহ! আপনি সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে মাকে শর্তহীনভাবে ভালোবাসার; মায়ের খিদমত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রচলনে আসছে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

দেশজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষা প্রচলনের জন্য এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার জন্য এই প্রকল্পে শিখন প্রক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একীভূতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই ও অর্জনক্ষম উন্নয়ন পরিকল্পনা, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়িয়ে একটি শিক্ষক রিসোর্স পুল তৈরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেরণাদায়ী প্রক্রিয়া সূচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নতুন এই প্রকল্পটিতে বিদেশি সাহায্য-সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য প্রকল্পের যাবতীয় পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আইসিটি একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী জাতি গঠনের লক্ষ্য অর্জন করতে বাংলাদেশের জন্য হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব মূল কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে সেগুলো হলো- কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয়, অফিস সরঞ্জাম কেনা, আসবাবপত্র সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ব্যয় মেটানো, মনিটরিং ও মেনটরিং ব্যয়, প্রকল্প পরিচালন ব্যয়, সেমিনার ও কনফারেন্স খরচ এবং যানবাহন কেনা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৩৫ হাজার প্রতিষ্ঠানসহ বিপুলসংখ্যক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। এ স্তরে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে মাউশি অধিদফতর ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন মেয়াদে প্রথম পর্যায়ে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষার প্রচলন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ২৪ হাজার ২০৪ জন শিক্ষকও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আইসিটির ব্যবহারকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তাবে এক হাজার ৪৫২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় এবং ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হলেও পরে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যয় কমিয়ে এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নের সময় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা এ পরিকল্পনার আওতায় দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সেকশন ১২.৩.২.এ আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। তাই এ ধরনের প্রকল্প সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

 

নবজাতক কোলে নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন দুই মা

চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষে একেবারে সামনের বেঞ্চে দুই ছাত্রী বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সাধারণ এক দৃশ্য। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই অসাধারণত্বটা চোখে পড়ে। দুজনের কোলেই শিশু। নবজাতক। ২ এপ্রিল জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে এই ঘটনা দেখা গেল।
‘আমি পরীক্ষা দেব, এটাই ছিল আমার ইচ্ছা। তাই দুই দিনের নবজাতককে নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি।’ বললেন পরীক্ষার্থী বেবী আক্তার। ২০ বছর বয়সী বেবী আক্তার এবারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষার্থী। অদম্য তাঁর ইচ্ছাশক্তি। পরীক্ষার পর কথা বলে জানা গেল, ৩১ মার্চ রাত আটটায় সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই মায়ের কোল আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। সন্তান জন্মের দুই দিন পর পরীক্ষা। বেবী আক্তার তবু চলে আসেন পরীক্ষা দিতে। সন্তানের নাম রেখেছেন খাদিজা।
সরিষাবাড়ীর শিমলা বাজারের মো. জাকারিয়ার স্ত্রী বেবী আক্তার। স্বামী এখন সৌদি আরবে আছেন কর্মসূত্রে। বেবী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। পরিবারের সবাই তাঁকে সহায়তা করেছেন। ২০১৫ সালে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদের মেয়ে বেবী আক্তারের সঙ্গে পৌর শহরের শিমলা বাজারের সোহরাব মণ্ডলের সৌদিপ্রবাসী ছেলে জাকারিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পরও বেবী আক্তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান। ২০১৫ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন স্থানীয় চর বাঙ্গালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম কোর্সে।
বেবীর মা আনোয়ারা বেগম বললেন, ‘মেয়ে আমার ধৈর্যশীল ও সংগ্রামী।’ বেবী আক্তারের শ্বশুর সোহরাব মণ্ডল যোগ করলেন, ‘আমার পুত্রবধূ বিয়ের পর লেখাপড়া বন্ধ না করে রাত জেগে লেখাপড়া করেছে।’
বেবীর কথা হলো। এবার আসি একই বেঞ্চের আরেক পরীক্ষার্থী মা লিপি খাতুনের (২১) কথায়। তিনি ২৬ দিনের নবজাত শিশুকে কোলে নিয়ে একই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সরিষাবাড়ীর মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর এসএস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে লিপি খাতুন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এই মা শিশুর নাম রেখেছেন জানিক।
৪ এপ্রিল কথা হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক রাশেদা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলার সময় মাঝেমধ্যে পরীক্ষার্থী মায়ের কাছ থেকে আমি এই দুই শিশুকে কোলে নিই। নতুন মায়েদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারও দেখি।’
সরিষাবাড়ী পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব সৈয়দ আবদুর রউফ বলেন, ‘আমার ৩৮ বছর শিক্ষকতা জীবনে এমন পরীক্ষার্থী মা কখনো দেখিনি। এ ধরনের পরীক্ষার্থী মায়েরা যেন হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব। পাশাপাশি এ রকম আত্মপ্রত্যয়ী মায়েরা যেন শিক্ষাজীবন শেষে কর্মসংস্থানের নিশ্চিত সুযোগ পান।’
৪ এপ্রিল পরীক্ষার সময় বেবী আক্তার ও লিপি খাতুনকে দেখতে যান উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আমাতুস জোহরা। তিনি বলেন, নারীরা এখন যে কত আত্মনির্ভরশীল হয়েছে, তার একটা দৃষ্টান্ত এই দুই পরীক্ষার্থী মা। নিজেদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে নারীরা আর পিছিয়ে থাকবে না।
বেবী আক্তার ও লিপি খাতুন এইচএসসির সব কটি পরীক্ষাই দেবেন তাঁদের নবজাত শিশুকে কোলে নিয়ে। এভাবে পরীক্ষা দিতে তাঁদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। নারীরা তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হবেন এবং এগিয়ে যাবেন—এমনই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।

 

চকোলেট আইসক্রিম তৈরি করবেন যেভাবে

গরমে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার জন্য মন তো আকুপাকু করবেই। কিন্তু তা খেতে হবে রয়ে সয়ে। কারণ এই গরমে একটু অসাবধনতায় আপনি পড়তে পারেন কঠিন অসুখে। তাই গরম তাড়াতে আইসক্রিম খান আর যা কিছুই খান, তা যেন স্বাস্থ্যকর হয়। তাই ঘরেই তৈরি করতে পারেন চকোলেট আইসক্রিম। চলুন জেনে নেই-

উপকরণ: গুঁড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, চিনি ২ টেবিল-চামচ, চকলেটের দুটি ছোট বার, ক্রিম ১ টিন, ওভালটিন ৩ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক আধা টিন, জেলাটিন গোলানো ২-৩ টেবিল-চামচ, সিএমসি পাউডার গোলানো ১ টেবিল-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি :

প্রথমে গুঁড়া দুধ, পানি, কনডেন্সড মিল্ক, চিনি, ওভালটিন ও কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি প্যানে ঢেলে চকলেট দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। এখন কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর সিএমসি ও জেলাটিন গোলা মেলাতে হবে। ঠান্ডা হওয়ার পর ক্রিম মিলিয়ে বিট করে নিন। মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে জমাতে হবে। দুই ঘণ্টা পর পর বের করে বিট করতে হবে চার-পাঁচবার। শেষের বার মেরাং বানিয়ে একসঙ্গে মিলিয়ে জমাতে হবে। ২টি ডিমের সাদা অংশ ও গুঁড়া চিনি ২ টেবিল-চামচ একসঙ্গে বিট করে মেরাং বানাতে হবে। মিলিয়ে চূড়ান্তভাবে জমাতে হবে। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জমার পর পরিবেশন করুন।

 

নিজেকে ভালোবাসুন

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জীবন ফুলের বিছানা নয়। জীবনে উত্থান, পতন, সমস্যা থাকবেই। নয়তো জীবন আপনার কাছে পানসে মনে হবে। আপনার কাছে জীবন শুধু দিন গিয়ে রাত আসার মতোই মনে হতে শুরু করবে। সময়ের কারণে আমরা নানাভাবে নানা কাজে যুক্ত হয়ে পড়ি। কখনো তা নিজের তাগিদে আবার কখনো তা কাছের মানুষকে খুশি করতে। এসবকিছুর মাঝে আমরা ভুলে যাই নিজের প্রতি নিজের মনোযোগ দিতে। কারো মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে নিতে নিজেকে দিয়ে কাজ করানোর শক্তিতে জং পড়ে যায়। আপনি যদি আপনার ভেতরে থাকা কার্যক্ষমতা আর দক্ষতাকে বিচার করতে না পারেন তবে আপনার জীবনের যোগফলের খাতায় শূন্য আসা অসম্ভব কিছু না। তাই আত্মকেন্দ্রিকতাকে চাবি বানিয়ে জীবন নামে তালাটাকে খুলতে শিখুন। দেখবেন আপনার চারপাশটা কত রঙিন। আত্মকেন্দ্রিকতার খাতায় নিজের নাম জুড়ে দিতে চাই কিছু কাজ আর অধ্যাবসায়, যা আপনাকে নিজের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে।

অন্যর সাথে তুলনা
সুন্দর এই পৃথিবীতে আমরা সবাই একে অন্যর থেকে আলাদা। আমাদের স্বপ্ন আলাদা, আমাদের কর্ম আলাদা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। তাই কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের চলন, বলন, ভাব বিনময় সব কিছুতেই আছে তারতম্য। আমাদের অক্ষমতাতেও আছে ঠিক তেমনি পার্থক্য। আপনি যখন কোনোকিছুতে খুব ভালো করেন তখন আপনাকে কেউ তুলনা করেনা। কিন্তু যখনই খারাপ করবেন আপনাকে তুলে ধরবে সবার সামনে। আর এতেই সৃষ্টি হয় নিজেকে নিয়ে অন্যর সাথে তুলনা। যা আপনার নিজস্বতাকে গলা টিপে হত্যা করে। তাই নিজের আত্মমর্যাদা আর নিজের ক্ষমতাকে বাচিয়ে রাখতে বাঁচিয়ে রাখুন নিজস্বতাকে।

মনস্থির করা
আপনি যখন কোনো বিষয়ে অস্থির থাকবেন আপনার কোনো কিছুতেই মন বসবে না। বরং এই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর কাজটিও আপনার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে। আর এই বিরক্তির ফলে আপনার দ্বারা ভুলভাল কাজ হতে পারে। তাই সবার আগে মনস্থির করুন, এরপরে কাজের দিকে পা বাড়ান আর নিজের ভেতরে থাকা শক্তিকে জাগ্রত করুন।

ভালোবেসে শিখে নিন
কোনোকিছু শেখার পেছনে থাকা মূল মন্ত্র হচ্ছে ভালোবাসা। আপনি যখন আপনাকে ভালোবাসবেন তখন আপনি আপনার জন্য কিছু শিখতে চাইবেন। ঠিক সেইভাবে, যেভাবে আপনি কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য করেন। এই ভালোবাসাই আপনাকে আপনার জন্য কাজ করায় আর নিজেকে চিনতে উৎসাহ দেয়।

যাত্রা
জীবন যতদিন থাকবে এই যাত্রাও ঠিক ততদিন থাকবে। আর এই জীবনের যাত্রার একমাত্র সঙ্গী হচ্ছেন আপনি। গ্যালারির বাইরে থাকা দর্শকরা যেমন খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয় তেমনই আপনার জীবনে থাকা গ্যালারির বাইরের মানুষগুলোও আপনাকে উৎসাহ দেয়। কিন্তু আপনাকে করতে হবে আপনার কাজগুলো তার জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠা।

 

বিশ্ব মা দিবস

আজ ১৪ মে রোববার বিশ্ব মা দিবস। মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শন জনক অনুষ্ঠান যা মায়ের সন্মানে এবং মাতৃত্ব, মাতৃক ঋণপত্র, এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য উদযাপন করা হয়। বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে দেখা যায়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিনটি পালন করা হয়। নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রোববার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে মা দিবস পালিত হয় ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার। তবে বাংলাদেশে মা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার।

মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান।

লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় মা দিবস।

দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে আনা জার্ভিস বলেছিলেন, ‘মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাকে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।’

দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে। এ দিনে মায়েদের উপহার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বিশেষ ধরনের শাড়ি বাজারজাত করছে। বাংলাদেশে দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়।

নাগরিক জীবনে দিনটি পালনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। গ্রামের চেয়ে শহরে এ আয়োজন থাকে বেশি। ঢাকায় আজ বিভিন্ন শপিংমলে মায়ের জন্য উপহার সামগ্রী কিনতে ভিড় করবেন সন্তানরা। ফোনে অনেকেই মাকে ভালোবাসা জানাবে।

মায়ের জন্য শাড়ি, গহনা, ব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনবে সন্তানরা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতাও এ দিবসকে ঘিরে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। আজাদ প্রডাক্টস প্রতিবছরের ন্যায় রত্নগর্ভা মাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।