banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

চিকেন কারি উইথ টমেটো

আমাদের খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে অন্তত তিনদিন মুরগির মাংস থাকেই। এটি আমাদের পুষ্টিচাহিদা পূরণ করতে কার্যকর। চিকেনের নানা মুখরোচক পদ অনেকেরই পছন্দ। প্রতিদিনকার থেকে একটু আলাদা করেই এই মুরগির মাংস রান্না করতে পারেন আপনি চাইলেই। তেমনই একটি পদ চিকেন কারি উইথ টমেটো।

উপকরণ : মুরগির মাংস (দেড় কেজি) বা ১ টি, তেল ১/২ কাপ, টুকরা করা টমেটো ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ, রসুন কুচি ১/২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ১/২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ কুচি ১/২ টেবিল চামচ, টমেটো পিউরি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, ধনেপাতা, কুচি দেড় টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী।

গুঁড়া মশলার জন্য : ছোট এলাচ ২ টি, দাড়চিনি দেড় টুকরা, বড় এলাচ ১ টি, লবঙ্গ ১ টি, জায়ফল ১/৪ অংশ চা চামচ, জয়ত্রি ১/২ চা চামচ বা ছোট টুকরা।

প্রণালি : মশলা আলাদা টেলে গুঁড়া করে একত্রে রাখুন। মুরগির চামড়া ছাড়িয়ে নিন। হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে ছোট টুকরা করুন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন ভেজে টমেটো টুকরা করে দিন। নাড়তে থাকুন। টমেটো নরম হলে আদা, মরিচ ও লবণ দিয়ে টমেটো পিউরি ও চিনি দিন। ২ মিনিট নেড়ে মাংস দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজুন। ঢেকে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়ুন। পানি টেনে আসলে মাংস নেড়ে নেড়ে ভাজুন। মাংস সিদ্ধ এবং ভাজা হলে গুঁড়া মশলা এবং ধনেপাতা দিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নামান।

 

সর্দি-কাশি সারাতে যা খাবেন

ঠান্ডা, ধুলোবালি কিংবা এ্যালার্জিজনিত কারণে সর্দি-কাশি দেখা দেয় অনেকেরই। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার এই ইনফেকশনকে দূর করার জন্য অনেকে নিজে নিজেই ঔষধ গ্রহণ করেন, কেউ বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সাধারণ ঠান্ডা ও কাশি দূর করতে পারে কিছু আপনার ঘরে থাকা কিছু মশলা।

তীব্র কাশি ও ঠান্ডা এবং গলাব্যথা যাই হোকনা কেন রসুনের একটি কোয়া চিবানো প্রয়োজন আপনার। রসুনে অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে যা ঠান্ডা-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ১ টি টমাটো, ২ কোয়া রসুন ও লেবুর রস মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করে পান করলে ভালো ফল পাবেন।

দারুচিনিতে ভাইরাস নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে যা শুধু ভারাসের ইনফেকশন প্রতিরোধই করেনা বরং নিরাময়েও সাহায্য করে। ১ কাপ গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়া, ১ চিমটি মরিচের গুঁড়া এবং মধু মিশান। দিনে অন্তত দুই বার এটি পান করুন ভালো ফল পেতে।

ব্যাকটেরিয়ানাশক উপাদানে পরিপূর্ণ গোলমরিচ। গোলমরিচ শুধুমাত্র খাবারে উষ্ণ ও মসলাযুক্ত স্বাদই যুক্ত করেনা বরং কফ নরম করে ও নাকের সর্দি পরা বন্ধ করতে সাহায্য করে। গরম স্যুপের উপর গোলমরিচ ছিটিয়ে নিন অথবা ১ চামচ মধুর সাথে ১ চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা ও কাশি দূর হবে।

নিঃশ্বাসের সজীবতা দিতে পারে লবঙ্গ। প্রতি গ্রাম লবঙ্গে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আধা কাপ জামে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ঠিক সেই পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে আধা চামচ লবঙ্গে।

ঠান্ডা ও কাশি দূর করার জন্য সকালে ১ কাপ গরম আদা চা পান করুন। ১ কাপ পানিতে ১ চামচ আদা কুচি ও চা-পাতা ফুটিয়ে নিন। এর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে গলায় শীতল অনুভূতি পাবেন। আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শুধু লালা নিঃসরণকেই উৎসাহিত করেনা বরং মিউকাস নিঃসরণেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই কাশির উপসর্গ দূর হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশি দূর করার জন্য দাদী-নানীরা হলুধ-দুধ ব্যবহার করে আসছেন যা আসলেই অনেক কার্যকরী। হলুদ প্রদাহরোধী উপাদান, কারকিউমিন ও ভোলাটাইল অয়েলে পরিপূর্ণ। তাই হলুদ ঠান্ডা-কাশি ও গলাব্যথা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

পরিপাক প্রক্রিয়াকে শান্ত করতে ও নিঃশ্বাসে সজীবতা আনতে সাহায্য করে মৌরি। পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ঠান্ডা ও কাশি দূর করতেও সাহায্য করে মৌরি।

 

ঘর সাজাতে কর্নার টেবিল

শিল্পচর্চার মাধ্যমে কখনো কখনো কুঁড়েঘরকেও নিজের মতো সাজিয়ে বিশাল অট্টালিকায় পরিবর্তিত করা যায়। ঘর যেমন সাজানো যায় নানা রঙের বাতি, ওয়ালমেট কিংবা ফুলের ঝাড় দিয়ে তেমনি সাজানো যায় সোপিস দিয়েও। আপনার ঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে সোপিসের তুলনা নেই। ঘরের একটি কোনায় থাকা সোপিসটি আপনার ঘরের সৌন্দর্য যেমন একদিকে বৃদ্ধি করছে তেমনি আপনার রুচিবোধের একটি ছাপ রেখে যাচ্ছে আপনার প্রতিটি কাজের মাধ্যমে।

তবে এই সোপিসের ক্ষেত্রেও আছে তারতম্য। সোপিস বলতেই আমরা কেবল ঘরের এক কোনে রাখা বা থাকা কাঁচের কিংবা মাটির অথবা চীনামাটির নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের মূর্তি কিংবা নানা ধরনের ঘর, পুতুল কিংবা নানা অবয়বকে বুঝি। তবে এর বাইরেও আছে আরো সোপিস। এগুলো হয়ে থাকে বিশাল বিশাল আকৃতির। এগুলোর মধ্যর কর্নারে থাকা পাতলা এবং দেখতে বেশ চিকুন আকৃতির টেবিল অন্যতম। এগুলো হয়ে থাকে অ্যান্টিক সোপিস। এগুলো কেবল আপনার ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না সাথে সাথে ঘরে আনে এক ভিন্ন ধারা আর আপনার রুচিবোধের মাঝে এক বিশাল পার্থক্য।

কর্নারে থাকা এই টেবিল গুলোর উপরে আপনি রাখতে পারেন সুন্দর একটি রিসিভার ফোন কিংবা কাঁচের একটি সুন্দর ফুলদানী। এই টেবিলের উপরে থাকে ছোট একটি গোলাকার কাঁচ আর নিচের পায়াটি থাকে বিশাল আকৃতির। তাতে খোঁদাই করে আঁকা থাকে নানা কারুকাজ।

এই সমস্ত টেবিলের উপর রাখতে পারেন বিশাল বিশাল আয়নাও। এই আয়নাতেও থাকে নানা কাজ, যেমন লতাপাতা, কিংবা কোনো গৃহবধূ, কাঁথার বুকে সুঁই আর সুতার সই পাতাতে থাকা গ্রামের ঘোমটা মাথায় দেওয়া বউ।

সোপিস টেবিলের যে জায়গাটিতে থাকে বসানো আয়নাটি তার ভিত্তি থাকে কখনো কাঠের অথবা কাঁচের। এর আয়তন হয়ে থাকে ছোট। তবে এর পায়াতে থাকে নানা কারুকাজ। কখনো এটি গাছের মূলের মতো বিশাল হয়ে ছড়িয়ে থাকে মেঝেতে বা কার্পেটে অথবা একটির উপর আরেকটি বেনির মতো পেঁচিয়ে থাকে। তাতে আবার রঙের সাহায্যে আনা হয় বৈচিত্র্য।

কোথায় পাবেন :  বিভিন্ন অ্যান্টিকের দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের এই অ্যান্টিক টেবিল সোপিসগুলো। এই অ্যান্টিক সোপিস টেবিলের দাম সাত হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

খাবার টেবিলে চামচ-ছুরির ব্যবহার

খাবার খেতে আমরা প্রায়শই রেস্টুরেন্টে যাই। আর সেখানে খাবার খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে চামচ আর ছুরি। খাবার খাওয়ার যেমন কিছু নিয়ম আছে এবং তার মাধ্যমে কিংবা আপনার আচরণের মাধ্যমেও যেমন অনেক না বলা কথা প্রকাশ পায়, তেমনি টেবিলে রাখা চামচ এবং ছুরিটিও টেবিলে রাখার মাধ্যমে অনেক না বলা কথা বলে। টেবিলে রাখা চামচ আর ছুরির মাধ্যমে অনেক কিছু প্রকাশ করা যায়।

ছুরি চামচ কোণ করে রাখলে :
ছুরি ও চামচ কোণ করে প্লেটের মাঝে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনি খাওয়ার ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছেন। একটু পর আবার নতুন করে খাওয়া শুরু করবেন।

ছুরি চামচ যোগ চিহ্নের মতো করে রাখলে :
প্লেটের মাঝে ছুরি ও চামচ দিয়ে যোগ চিহ্নের মতো তৈরি করে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনি দ্বিতীয় প্লেট খাবার জন্য প্রস্তুত এবং সেই হিসেবে ওয়েটার আপনাকে খাবার সরহরাহ করুক।

ছুরি চামচ পাশাপাশি লম্বা করে রাখলে :
ছুরি চামচ পাশাপাশি লম্বা করে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনার খাওয়া শেষ ওয়েটার টেবিল পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

ছুরি চামচ পাশাপাশি আড়াআড়ি করে রাখলে :
ছুরি চামচ পাশাপাশি আড়াআড়ি করে রাখার অর্থ আপনার খাওয়া শেষ এবং খাবার আপনার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে।

ছুরি চামচ একটির ভেতর অপরটি কোণ তৈরি করে রাখলে :
ছুরি চামচ একটির ভেতর অপরটি মূলত কাটা চামচের ভেতর ছুরি গেঁথে কোণ তৈরি করে রাখার অর্থ আপনার খাওয়া শেষ কিন্তু খাবার একেবারেই পছন্দ হয়নি আপনার।

ছুরি চামচের ব্যবহার সঠিক ব্যবহার :
খাওয়ার ছুরি কখনোই সাধারণ ছুরির মতো করে ধরবেন না। একবার টেবিল থেকে ছুরি চামচ তুলে তা আবার টেবিলে রাখবেন না। হাতে বা প্লেটে রাখুন।

চপস্টিকের ব্যবহার :
চপস্টিক খাবার বোল বা প্লেটের পাশে কখনোই রেখে দেবেন না। চপস্টিক রেস্টে রাখুন। খাবারে চপস্টিক খাড়া করে গেঁথে রাখা অভদ্রতা।