banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

পানি প্রবাহে অলৌকিক পাথরের উৎস

দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি নেয়ামত প্রাপ্ত জাতি হলো বনি ইসরাইল। তাদের মধ্যে একবার প্রচণ্ড পানি সংকটের অবস্থা বিরাজ করছিল। বনি ইসরাইলের ১২ জাতি/গোষ্ঠীর প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষ এ পানির কষ্টে পতিত হন। এ পাথরের উৎস কোথায়? কি এমন পাথর, যার মধ্যে আঘাত করলে পানির নহর প্রবাহিত হয়।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর উম্মতের জন্য পানির আবেদন করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে একটি পাথরে আঘাত করার জন্য নির্দেশ দেন।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তাঁর জাতির জন্য আল্লাহর নির্দেশে যে পাথরকে আঘাত করেছেন, তা কি সাধারণ পাথর ছিল নাকি বিশেষ কোনো পাথর ছিল, এ ব্যাপারে একাধিক মতপার্থক্য রয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনাগুলো হলো-

>> হজরত কাতাদাহ বর্ণনা করেন, পাথরটি ছিল তুর পাহাড়ের, বনি ইসরাইল তা সঙ্গে সঙ্গে রাখতো। যখন পানির প্রয়োজন হতো মুসা আলাইহিস সালাম স্বীয় লাঠি দ্বারা আঘাত করলে ১২টি নির্ঝর প্রবাহিত হতো এবং তা দিয়ে বনি ইসরাইলের ৬ লক্ষ মানুষ পানির প্রয়োজন পূরণ করতো। (তাফসিরে কবির)

>> এটি ছিল জান্নাতি পাথর। হজরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাত থেকে নিয়ে এসেছিলেন। আর লাঠিটিও ছিল জান্নাতি। এ দুটি নিজিস একের পর এক হাত বদল হতে হতে হজরত শোয়ায়েব আলাইহিস সালামের নিকট পৌঁছে। তিনি এগুলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে দান করেন। (তাফসিরে মাজহারি)

>> আল্লামা জমখশরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এটি ছিল সাধারণ পাথর, যা মুসা আলাইহিস সালামের ওপর আদেশ হয়েছিল যে কোনো পাথরের ওপর আঘাত করার জন্য। মুসা আলাইহিস সালাম তাই করেছিলেন।

>> মুফাসসিরিনে কেরামগণ মুসা আলাইহিস সালামের একটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, মুসা আলাইহিস সালাম কখনো প্রকাশ্যে গোসল করতেন না বা উলঙ্গ হতেন না। যার ফলে তার কাওমের লোকেরা মনে করতো মুসা আলাইহিস সালাম একশিরা (অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত।

একবার তিনি গোসল করার জন্য প্রসবণে ঢুকেছেন। তার পরিধেয় কাপড় খুলে একটি সাধারণ পাথরের উপর রাখেন। তিনি গোসল করার পর পাথরের দিকে উদ্যত হতেই দেখেন, পাথরটি দ্রুত বেগে ছুটে চলেছে।

মুসা আলাইহিস সালামও পাথরের পিছনে ছুটলেন। পাথরটি এলাকাবাসীর কাচারীর সামনে এসে থেমে যায়। যেখানে এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিল। তার কাওমের লোকেরা তাঁকে দেখে তাদের অহেতুক ধারণা পাল্টে নিল।

তার পর নির্দেশ হলো পাথরটি সংরক্ষণের জন্য। যা পরবর্তীতে কাজে আসবে। পাথরটি ছিল নরম এবং সাদা। প্রায় এক হাত পরিমান চতুর্ভূজ। প্রতিটি কোনে তিনটি উঁচু প্রান্ত ছিল। যেগুলো থেকে ১২টি নির্ঝর প্রবাহিত হতো।

পানি প্রবাহদানকারী পাথরটি ছিল হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও বনি ইসরাইল জাতির জন্য আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত ও নেয়ামত। যা যুগে যুগে মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ তাআলার মহা ক্ষমতার প্রমাণ বহন করবে। স্বীকৃতি প্রদান করবে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব যুগের সব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

প্রশিক্ষণ বদলে দিল শীলা, কাকলী, সাবিকুন্নাহারদের জীবন

টিনের চালের খোলা বারান্দা। সেখানে রাখা একটি কাঠের টেবিলে নেটের থান কাটছেন এক নারী। তিনি শীলা রানী। সফল একজন উদ্যোক্তা। নেটের ব্যাগ বানান আর সেগুলোর বিপণন করেন। এই ব্যবসায় তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। শীলার সঙ্গে গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীও কাজ করছেন। ৩২ বছর বয়সী এই নারীর জীবনের গল্প কিন্তু এমন ছিল না।
বিয়ের পর থেকেই শীলার সঙ্গী দারিদ্র্য আর স্বামীর নির্যাতন। স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে তাঁকেই সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। তিনি গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁকে মানুষের কটূক্তি, উত্ত্যক্ত আচরণ সহ্য করতে হয়েছে।
২০১৪ সালে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে শীলা জানতে পারেন ব্র্যাক দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তিনি এই ‘ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর পুওর অ্যান্ড ভালনারেবল উইমেন ইন বাংলাদেশ (ইইপি)’ প্রকল্পের অধীনে সাত দিনের প্রশিক্ষণ নেন।
প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, নারায়ণগঞ্জের চারটি জায়গায় এ প্রকল্পে ৩ হাজার ৬০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁরা বিউটি পারলার, সবজি চাষ, মোমবাতি তৈরি, কাটিং ও সেলাই কাজ, নার্সারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এ সময় জেন্ডার-বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতেও ৩ হাজার ২৬০ জন নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গোলাম মোস্তফা আরও বলছেন, প্রশিক্ষণ পাওয়া ৩ হাজার ৩৩৮ জন নারী সরাসরি আয় করছেন। আর তাঁদের মধ্যে ১১ জন নারী মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্প। শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই।
শিলা রানী বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নেওয়ার দুই দিন পরেই ৮০০ টাকা ধার করে ২০০ গজ নেটের থান আনি। নিজে কেটে নিজে সেলাই করি। সেই থেকে শুরু।’ শীলার স্বামী অসুস্থ কালিপদও এখন খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। শীলা সংসার চালায়, আমার চিকিৎসার খরচ দেয়।’
এমন আরেক সফল উদ্যোক্তা সাবিকুন্নাহার। রূপগঞ্জের জাঙ্গীর গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাঁচে মোমের দ্রবণ ঢালছেন। সাবিকুন্নাহারও ব্র্যাকের এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। গরমকালে আয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়, বলেন সাবিকুন্নাহার।
সাবিকুন্নাহার সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে গৃহনির্যাতন বন্ধে ঘরে ঘরে প্রচারণা ও পরিবারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। ব্র্যাকের এক গবেষণা জরিপে দেখা যায়, দরিদ্র নারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতামূলক কাজে সম্পৃক্ত করলে আয় দ্বিগুণ হয়। ২০১৪ সালে প্রশিক্ষিত নারীদের আয়মূলক কর্মকাণ্ড ছিল ৩২ শতাংশ। ২০১৫ সালে তাঁদের এ আয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬২ শতাংশে। ১ হাজার ৪০০ নারীর ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
এ গবেষণায় আরও দেখা যায়, অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি তাঁদের সিদ্ধান্তগ্রহণ ও সংসার পরিচালনায়ও দক্ষতা বাড়ে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার কারণে সমাজে তাঁদের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
আরেক নারী উদ্যোক্তা কাকলী আক্তার। তিনি ওড়নায় কারচুপির কাজ করেন। ২৭ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর স্বামী সুতায় রং করছেন। কাকলীর স্বামী বলেন, আগে অন্য কাজ করতাম। আয় বেশি হওয়ায় দুজনেই এখন এ কাজ করি। কাকলী সফল উদ্যোক্তা হিসেবে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন।
তবে গ্রামের নারীদের এ কাজ করতে গিয়ে কম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। পরিবারই ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। প্রশিক্ষণ নিতে দিতেই রাজি ছিল না অনেক পরিবার। তখন সেই পরিবারের শাশুড়িকে প্রশিক্ষণে যুক্ত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের কর্মসূচি সমন্বয়কারী খালেদা খানম বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য দরকার আত্মবিশ্বাস ও জেন্ডার-বিষয়ক সচেতনতা। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেমন অনেক নারী অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। আবার পেয়েছেন সামাজিক মর্যাদা। পাশাপাশি, তাঁরা অন্য নারীদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছেন। প্রকল্পের আওতায় নারীদের বাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক) সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ঋণ নেওয়া, কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ সহজ হয়েছে।

 

দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক ধরে রাখার কৌশল

লিপস্টিক এর ব্যবহার যথার্থ হতে হবে। আপনার ত্বক, পোশাক, ব্যক্তিত্ব, দিনের সময়, চেহারা এই সবকিছু মাথায় রেখেই লিপস্টিক বেছে নিতে হবে। তবে অনেকেরই অভিযোগ হচ্ছে ঠোঁটে বেশিক্ষণ লিপস্টিক থাকেনা। আর একারণে বারবার লিপস্টিক ব্যবহার করতে হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তাই চলুন জেনে নেই দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক ধরে রাখার উপায়।

প্রথমে লিপস্টিক লাগান। তার ওপরে পাউডার দিন। এবার হালকা করে টিস্যু পেপার দিয়ে দুই ঠোটেঁর মাঝে চাপা দিন।

যে লিপস্টিকই লাগান না কেন সরাসরি কখনো ঠোটেঁর ওপর লাগাবেন না। লিপব্রাশ দিয়ে হালকা ভাবে লাগাবেন।

লিপস্টিক লাগানোর আগে জিভ দিয়ে ঠোঁট সামান্য ভিজেয়ে নেবেন। লিপস্টিক ডানদিক থেকে বামদিকে লাগাবেন। ঠোটেঁর কোণের জন্য সামান্য ফাঁক রাখবেন।

যাদের ঠোঁট মোটা তারা লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের বাইরের অংশ কিছুটা ছেড়ে এঁকে নিন।

লিপ পেন্সিল লাইনারের বাইরের অংশ কভার স্টিক ফাউন্ডেশন ও পাউডার দিয়ে ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে দিনভর রাখতে পারেন। এরপর লিপ লাইন দিয়ে আঁকা ঠোঁটের ভেতরের অংশ ভরে দিন পছন্দসই বা মানানসই লিপস্টিক দিয়ে।

পাতলা ঠোঁট যাদের তারা ঠিক ঠোঁটের বর্ডার ধরে ভিতরটা রঙ করুন। যদি লিপস্টিক বর্ডার ছাপিয়ে বেরিয়েও যায় খুব একটা খারাপ লাগবে না।

 

ঘরেই গোলাপজল তৈরি করবেন যেভাবে

রূপচর্চায় গোলাপজলের ব্যবহার বেশ পুরানো। সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য রূপচর্চার অনন্য উপাদান হিসেবে নারীরা এর ওপর আস্থা রেখে আসছেন। তবে বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন। আর তার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। চলুন তবে শিখে নেই।

উপকরণ : গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি, তাপ নিরোধোক কাঁচের পাত্র (ঢাকনা সহ), ঝর্ণার পানি (মিনারেল ওয়াটার হলেও হবে), ছাঁকনি।

প্রণালি : গোলাপের পাঁপড়ি নিন। নিজের বাগানের গোলাপ হলে সবচেয়ে ভালো, যদি না থাকে তবে দোকান থেকে কিনে নিতে হবে। কেনা গোলাপের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলোতে কেমিকেল না থাকে, তাই ভালো করে ধুয়ে নেবেন। গোলাপ ফুল থেকে পাঁপড়ি আলাদা করে এক কাপ পরিমাণের মতো নিন ও কাঁচের পাত্রটিতে রাখুন। এবার ২ কাপ পানি সেদ্ধ করুন এবং ঐ গরম পানি পাঁপড়ি সহ কাঁচের পাত্রটিতে ঢেলে দিন। ঢাকনা দিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর অন্য একটি পাত্রে ছাঁকনির সাহায্যে গোলাপের পাঁপড়িগুলো থেকে পানি আলাদা করে ফেলুন। সব শেষে বোতল ভরে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন।

এই গোলাপজলে কোনো প্রিজারভেটিভ নেই, তাই এটি সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মতো ভালো থাকবে, এক সপ্তাহ পর অবশিষ্ট গোলাপ জল ফেলে দিয়ে নতুন করে তৈরি করতে হবে।

 

ইলিশ মাছের সুস্বাদু কাটলেট

বাঙালির ভোজনবিলাসে ইলিশ না হলে যেন চলেই না। একই ইলিশের হাজার রকমের রান্না। সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের কাটলেট রেসিপি।

উপকরণ : ৪-৫ টুকরো ইলিশ মাছ, ৪ চা চামচ বেসন, ৫ টুকরা পাউরুটি দিয়ে তৈরি ব্রেড ক্রাম্বস, ১ কাপ তেল, ১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি, ১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট, ১/২ লেবুর রস, ২টি কাঁচা মরিচ কুচি, ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, লবণ স্বাদমতো, ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, ৫ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার।

প্রণালি : মাছ পানি এবং ভিনেগার দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার দিয়ে ধুলে মাছের গন্ধ দূর হয়ে যাবে। এবার মাছের টুকরোগুলো সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করা মাছগুলোর কাঁটা বেছে নিন। এবার মাছের সাথে বেসন, ধনে পাতা কুচি, আদা রসুনের পেস্ট, কাঁচা মরিচ, লাল মরিচের গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে লেবুর রস এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যানে তেল গরম করতে দিন। মাছের মিশ্রণটি নিজের পছন্দমতো সাইজ করে প্রথমে ব্রেড ক্রাম্বস, তারপর কর্ণ ফ্লাওয়ার মেশানো পানিতে এবং আবার ব্রেড ক্রাম্বসে চুবিয়ে তেলে দিয়ে দিন। সোনালি রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। টমেটো সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফিশ কাটলেট।

 

অকালেই বৃদ্ধ করে যেসব খাবার

বয়স ধরে রাখার প্রচেষ্টা থাকে সবার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চেহারায়ও তার ছাপ পড়ে। তবে এমনকিছু খাবার আছে যা খেলে বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এবং সেসব খাবার কম খেলে অথবা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলেই অকালেই বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। চলুন জেনে নেই।

অকাল বার্ধক্যের পিছনে মিষ্টির ভূমিকা আছে। বাড়তি মিষ্টি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রডাক্ট তৈরি করে। এই গ্লাইকেশনের কারণেই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে।

বার্ধক্যের ব্যাপারে কফির ভূমিকা সকলেরই জানা। কফি ত্বকের অনেক রকম ক্ষতি করে। শরীরের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। শরীর রুক্ষ, শুষ্ক করে তোলে। অল্প বয়সেই দেখা দিতে থাকে বলিরেখা।

ভাত ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। ভাত ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে। চামড়া খুব তাড়াতাড়ি ঝুলতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেখা মেলে বলিরেখারও।

অনেকেই পাতের এক পাশে কাঁচা লবণ নিয়ে খেতে বসেন। রান্নাতেও অতিরিক্ত লবণ খান। এর ফলে শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায়। সেই পানি জমতে থাকে শরীরে। শরীর ফুলে যায়। দেখা দেয় বার্ধক্য।

লাবণ্য ধরে রাখতে রেড ওয়াইন যতটা ভালো, হোয়াইট ওয়াইন ততটাই খারাপ। ত্বক ক্ষতির পাশাপাশি হোয়াইট ওয়াইন দাঁতেরও ক্ষতি করে। হলদে করে দেয় দাঁত। তারপরই নড়বড় করতে শুরু করে।

অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। এবং সেই ক্ষতি ছাপ ফেলতে শুরু করে ত্বকে। মদের কারণে মুখে দেখা দিতে থাকে ব্রণ, ফুসকুড়ি। অকালে মাথা থেকে গুচ্ছগুচ্ছ চুল ঝরতে শুরু করে।