banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

গ্রামীণ প্রেমের গল্পে জোভান-সাফা (ভিডিও)

জোভান-সাফা কবিরকে সবসময় শহুরে সাজে পাওয়া যায়। এবারই প্রথমবার তাদের পাওয়া গেল গ্রামীণ সাজে। তবে সেটা বাস্তবে নয়, ‘অক্ষর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। এটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ, গল্প ও চিত্রনাট্য তারই।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি গান ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। গানটির শিরোনাম ‘এই যে আমি’। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহামুদ হায়েৎ অর্পণ ও নাফিজা জাহান। সংগীত পরিচালনা করেছেন মাহামুদ হায়েৎ অর্পণ।

জোভান বলেন, ‘এই  প্রথমবার সাফার সঙ্গে স্বল্পদৈর্ঘ্যে জুটি বেঁধে স্বল্পদৈর্ঘ্যে কাজ করেছি। তাছাড়া ভিকি’র নির্মাণে এরআগে ‘মায়া’, ‘মোমেন্টস’এ কাজ করেছি। সেগুলো আমার ক্যারিয়ারের বিরাট সাফল্য বলা যায়। আশা করছি এই কাজটিও তেমন সাফল্য বয়ে আনবে।’

‘‘অক্ষর’ নাম শুনলেই বোঝা যাচ্ছে এখানে ভাষা সংক্রান্ত একটা ব্যাপার আছে। তবে শুধু ভাষা নয়, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উভয়কেই উপজীব্য করে ‘অক্ষরে’র গল্প সাজানো হয়েছে। ‘অক্ষর’ হচ্ছে বিশুদ্ধ আবেগের গল্প। যে আবেগ মানুষকে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে প্রিয়জনকে জয় করার সাহস সঞ্চারণ করে’’, বললেন ভিকি জাহেদ।

জোভান-সাফা কবির ছাড়াও এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন তাহসিন অহনা। নির্মাতা ভিকি জানান, শিগগির অক্ষর স্বল্পদৈর্ঘ্যটি চলচ্চিত্রটি প্রকাশ করা হবে। আহমেদ প্রডাকশনস এর ব্যানারে শর্টফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন তাসনিয়া আতিক এবং সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছেন মিনহাজ আহমেদ।

 

অবৈধ কাজের আবেদন থেকে হেফাজত থাকার দোয়া

মানুষ অনেক বিষয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে। এমন অনেক দোয়া করে যে কাজ করা বৈধ নয়। যেমন- নিরাপদে চুরি বা ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য দোয়া, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার নিয়তে কোনো কাজ করার শুরুতে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।

এ ধরনের অন্যায় কাজ বা অন্যায় করে ফেললে তা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক।

হজরত নুহ আলাইহিস সালামের ছেলে (কেনান) যখন তাঁর অবাধ্য হয়ে প্লাবনের সময় নৌকায় আরোহন করেনি। তখন প্লাবনের ঢেউ তাকে ডুবিয়ে দিলো।

হজরত নুহ আলাইহিস সালাম আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ! আমার পুত্রতো আমার পরিবারভূক্ত। তখন আল্লাহ বলেন, ‘নুহ যে তোমার কথা শোনে না, সে তোমার পরিবারভূক্ত নয়।

তখন নুহ আলাইহিস সালাম নিজের আবদার বা দোয়া যে সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি তা বুঝতে পেরে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়াটি কুরআনের কারিমে তুলে ধরেছেন। এ ধরনের কোনো অন্যায় করে ফেললে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করা জরুরি। যা তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আউজুবিকা আন্ আস্আলাকা মা-লাইসা লি বিহি ইলমুন; ওয়া ইল্লা তাগফিরলি ওয়া তারহামনি আকুম মিনাল খাসিরিন। (সুরা হুদ : আয়াত ৪৭)

অর্থ : হে প্রভু! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো, দয়া না করো তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরর্ভূক্ত হয়ে যাবো।

কুরআনের এ আয়াতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এবং কার্যকরী দোয়া। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে সব অবৈধ চাওয়া-পাওয়ার পাপ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

 

ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখার উপায়

দিনশেষে প্রিয় ঘরটিই আমাদের প্রশান্তির জায়গা। সারাদিন যত ব্যস্ততাই থাকুক, সবাই চাই নিজের ঘরে একটু স্বস্তির দেখা পেতে। কিন্তু সেই ঘরটিই যদি হয় অপরিষ্কার কিংবা ঘরের এখানে সেখানে যদি ধুলোবালি জমে থাকে, আপনার নিশ্চয়ই ঘরে থাকতে মন চাইবে না। আর প্রশান্তির দেখাও মিলবে না। এসময় বাতাসের প্রচুর ধুলোবালি ঘরে ঢুকে সবকিছু ময়লা করে ফেলে। তাই চলুন জেনে নেই কীভাবে প্রিয় ঘরটিকে ধুলোবালিমুক্ত রাখা যায়।

পরিষ্কার করে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকে না। ধুলোবালি আমাদের নিত্য সঙ্গী। ধুলোবালি কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে চায় না। আসুন ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার কতগুলো উপায় জেনে নিই।

ঘর পরিষ্কার রাখতে সবসময় ঘরের দরজা না খুলে রাখাই ভালো। বিশেষ করে আপনার ঘরটি যদি নিচতলায় হয়, বিনা কারণে দরজা খোলা রাখবেন না। কারণ যত বেশি সময় ধরে দরজা খোলা রাখবেন, ঘরে ততই বাইরের ধুলো-ময়লা এসে ঢুকবে। ঘরে মোটা পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে ধুলোবালি প্রতিরোধ করার জন্য। শুধু দরজাতেই নয়, জানালাতেও পর্দা ব্যবহার করলে একই সাথে যেমন ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন হবে তেমনি ধুলোবালি থেকে ঘরকে রক্ষাও করা যাবে।

ঘর সাজানোর জন্য যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোতে জমতে পারে ধুলো-ময়লা। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

ঘর মোছার কাপড়টি ভেজাতে হবে ডেটল কিংবা স্যাভলনযুক্ত পানিতে। এতে ঘরের মেঝে পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি জীবাণুমুক্তও হবে। ঘরে যদি কার্পেট থাকে তবে সেই কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেট পরিষ্কারের জন্য ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করলে ধুলো-ময়লা জমার সুযোগ পাবে না।

আসবাবপত্রে যেসব ধুলোবালি জমে সেগুলো অনেকেই ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে থাকেন, যেটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ভেজা কাপড় দিয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে গেলে সেগুলোর রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এমন কিছু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যাতে রঙের কোনো ক্ষতি না হয়। সেজন্যে মোরগের পালকের তৈরি ঝাড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে শক না লাগে। কারণ ধুলো-ময়লা জমে থাকা কোনো কোনো অংশ পরিষ্কার করতে গিয়ে ছিদ্র হয়ে থাকা তারের উপর হাত পড়তেই পারে।

 

ইলিশ মাছের কোফতা কারি

বাঙালির ভোজনবিলাসে ইলিশ না হলে যেন চলেই না। একই ইলিশের হাজার রকমের রান্না। সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের কোফতা রেসিপি।

উপকরণ :
১. ইলিশ মাছের পেটির অংশ ৪ টুকরা, হলুদ আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা-রসুন বাটা আধা চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

২. আলু সিদ্ধ ৩টি, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা মিলিয়ে ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, সরিষার তেল সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

প্রণালি :
ইলিশ মাছ ধুয়ে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। ১ নম্বর ধাপের সব উপকরণের সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে মাছ সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ মাছের কাঁটা বেছে নিন। আলু সিদ্ধ করে ভালো করে কচলে নিন। এখন সব বেছে রাখা মাছ মিশিয়ে গোল গোল করে বল বানান। তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাজুন। লালচে হলে তাতে আদা-রসুন বাটা ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মোট দুইবার কষিয়ে ভেজে রাখা কোফতা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। ধনেপাতা কুচি ও সবুজ মরিচ ফালি দিয়ে ২ মিনিট রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

রিমুভার ছাড়াই মেকআপ তোলার উপায়

উৎসব-আনন্দে সাজগোজ করাটা নারীর প্রিয় কাজ। আর এই সাজগোজ করতে গিয়ে নিজেকে একটু অনন্য উপায়ে তুলে ধরার জন্য মেকআপ করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু দিনশেষে সেই মেকআপ তুলে ফেলতে হয়। নয়তো ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবসময় হাতের কাছে মেকআপ রিমুভার নাও থাকতে পারে। এ অবস্থায় মেকআপ তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন আপনার হাতের কাছেই থাকে এমনি কিছু জিনিস দিয়ে। চলুন জেনে নিই।

খুব দ্রুত মেকআপ তোলার জন্য সারা মুখে আপনার প্রিয় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম অথবা লোশন মেখে নিন। এবার টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন সেটা। কয়েক সেকেন্ডেই মেকআপ উঠে আসবে।

মেকআপ তোলার জন্য দুধ ব্যবহার করা যায়। অল্প একটু দুধের সাথে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল। ব্যাস, একটা কটন বল দিয়ে এটাকে মুখে মাসাজ করে নিন। এরপর মুখ ধিয়ে নিলেই দেখবেন সব মেকআপ উঠে আসছে।

মেকআপ রিমুভার হিসেবেও নারিকেল তেল দারুণ। বেশ কিছুটা নারিকেল তেল মুখে মেখে নিন, মেকআপ গলে উঠে আসবে। এটা ওয়াটারপ্রুফ মাসকারার মতো কঠিন মেকআপ তুলতেও সহায়ক। এটা আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার কাজটাও করে থাকে। বেবি অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন একইভাবে।

শিশুর ডায়াপার পাল্টানোর সময়ে যে বেবি ওয়াইপ ব্যবহার করা হয় সেগুলোই আপনার মেকআপ তোলার জন্য কাজে আসবে। মেকআপ রিমুভার ওয়াইপও পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

 

খুসখুসে কাশি সারানোর উপায়

সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। একটানা খুসখুসে কাশি বিরক্তিকর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। একটু সচেতন হলে ওষুধ না খেয়েও এই খুসখুসে কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।

আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকরভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে যাবে।

এক কাপ পানিতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং মৌরি দিয়ে হারবাল চা বানিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে  চায়ের মতো দিনে দুইবার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিন ১-৩ বার  এক টেবিল চামুচ করে বিশুদ্ধ মধু গ্রহণ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

এক চা চামচ করে হলুদে এবং গোলমরিচের গুঁড়ো আধকাপ পানিতে জ্বাল দিন। কিছুক্ষণ পরে এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এ চা পান করুন।

রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামুচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।