banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

উৎসবে চাই চুড়ি

সাজতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আয়নায় নিজেকে দীর্ঘ সময় দেখে নানাভাবে সাজিয়ে পছন্দের মানুষের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার আনন্দই অন্যরকম। সব কাজ একপাশে রেখে মানুষ তার সৌন্দর্যকে সাজের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসে শুধুমাত্র প্রিয় মানুষটির চোখে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে। আর এই প্রিয় মানুষটির চোখে নিজেকে প্রিয়ার রূপে দেখতে সব মেয়েই ভালোবাসে। ফাল্গুনের আগমনকে আনন্দের সাথে বরণ করতে চলছে নানা প্রস্তুতি। কখনো শাড়ির সাথে টিপ, আবার কখনো মিলিয়ে খোঁপার ফুল আর তার সাথে চুড়ি।

চুড়ির ক্ষেত্রে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে কাঁচের চুড়ি। একরঙা কাঁচের চুড়ি কিংবা কয়েকটি রঙ মিলিয়ে হাত ভর্তি চুড়ি পরা। শাড়ির রঙ হোক কমলা কিংবা সবুজ কিংবা হলুদ চুড়ি কেউ পরে একরঙা আবার বাহারি রঙে রাঙায় হাত। এই চুড়িতে থাকে পুঁতির কাজ, স্টোনের কাজ আবার বিভিন্ন ধাতুর কাজ। চুড়ির ক্ষেত্রেও আছে ভিন্নতা। কাঁচের চুড়ির পাশাপাশি আছে কাঠের চুড়ি, স্টোনের চুড়ি, পুঁতির চুড়ি। তবে সবচেয়ে প্রাধান্য পায় হাতভর্তি একরঙা কাঁচের চুড়ি।

কাপড়ের তৈরি চুড়িও আছে। এই চুড়ির চাহিদাও আছে অনেক। এই চুড়িতে আছে লাল, সবুজ, নীল, হলুদ, কমলাসহ নানা রঙের ডিজাইন। কাঠের চুড়িতে আছে কাঠের খোঁদাই করা নানা কাজ। এছাড়া আছে রেশমি চুড়ি। এই রেশমি চুড়িতেও হাত সাজায় যে যার মনের মতো করে। এটি মূলত কাঁচ দিয়ে তৈরি চুড়ি। এছাড়া আসে দেবদাস চুড়ি। এই চুড়ির কদরও অনেক। এক সেটে ৪০ টি চুড়ি থাকে। ইদানিং আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বাহারি নকশা করা মাটি ও অন্যান্য আনঅর্থডক্স ম্যাটেরিয়ালের চুড়ি পাওয়া যাচ্ছে।

কোথায় পাবেন
চকবাজার, নিউমার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্ক, গ্রামীন চেক, বিবিয়ানা সহ আপনার আশেপাশে একটু দেখলে পেয়ে যাবেন আপনার মনের মতো চুড়ি।

দাম
রেশমি চুড়ি আপনি পাবেন ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। দেবদাস চুড়ি পাবেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া স্টোনের কাজ করা চুড়ি আপনি পাবেন ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। বৈশাখি চুড়ি পাবেন ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

 

কেমন হবে বইয়ের তাক

বই মানুষের সব সময়ের বন্ধু। আর এই বন্ধুকে খুব যত্নে রাখাও আপনার দায়িত্বের কাজ। আপনার কর্তব্য তাকে ভালো জায়গায় রাখা। আপনি যে জ্ঞান তার থেকে ধারণ করেছেন তা ঠিক মতো প্রকাশ করা। একটি বই হতে পারে আপনার সারা জীবনের বন্ধু আর বাড়াতে পারে আপনার ঘরের সৌন্দর্য। তাই নান্দনিকতার আলোকে আপনার ঘরে থাকা বইয়ের তাকটি হওয়া চাই  ঠিক আপনার মনের মতো।

ছোট বাড়ি  হলে
এরকম বাড়িতে দেয়ালই শেষ ভরসা। তবে বর্তমানে রেডিমেড বইয়ের তাক পাওয়া যায়। যা আপনি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে আপনি যদি মনের মতো করে বইয়ের তাক বানাতে চান তবে কারিগরের সাহায্য নিয়ে ডিজাইন করে নিতে পারেন। এছাড়া বাড়ির সিড়ির অপরদিকে কিংবা সিড়ির ফাঁকা জায়গাটিও আপনি আপনার বই রাখার তাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

হাতের কাছে রাখুন
খুব উঁচু করে কিংবা খুব নিচু জায়গা বইয়ের তাক বানানো কিংবা রাখার জন্য নির্বাচন করবেন না। আর অবশ্যই খেয়াল রাখুন যাতে আপনি তাতে পর্যাপ্ত বই রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি বই যেন পানি কিংবা দাহ্য কোন কিছুর সংস্পর্শে না আসে সেই স্থানটি নির্বাচন করুন।

বড় বাড়ি হলে
বড় বাড়ি হলে কোনো সমস্যা নেই। অনায়াসে একটি ঘর লাইব্রেরি বানিয়ে ফেলতে পারেন। পুরো ঘরজুড়েই করতে পারেন বই রাখার ব্যবস্থা। কিছু বই খোলা রাখলেন আবার কিছু বই বন্ধ আলমারিতে। চাইলে ক্যাটালগ করে রাখতে পারেন। এতে বই খুঁজে পেতে সুবিধে হবে।

একটু শৈল্পিকতা
এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার মনকে প্রাধান্য দিবেন। যে ডিজাইন আপনার ভালো লাগবে, আপনি সেভাবেই বানিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের বইয়ের তাক। চাইলে প্রাচীন আমলের ডিজাইনগুলোও অনুসরণ করতে পারেন।

খরচাপাতি
কাঠের তাক বানাতে বা কিনতে চাইলে খরচ একটু বেশি পড়বে। ছোট মাপের বইয়ের তাকেরই দাম পড়বে প্রায় আট-নয় হাজার টাকার মতো। আর বড় মাপের বানাতে গেলে বার হাজার টাকার নিচে হবে না। তবে প্লাইউডের বানালে ছোট বইয়ের তাক তিন-চার হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। পছন্দ এবং স্থানভেদে এ খরচের তারতম্য হতে পারে।