banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

পাকিস্তান জয়ে হৃত্বিক, ধাক্কা খেলেন শাহরুখ

‘রইস’ ও ‘কাবিল’ নিয়ে বলিউডের খ্যাতনামা দুই পরিবারে চলছে স্নায়ুবিক যুদ্ধ। খান ও রোশন পরিবারের সে কথার লড়াই এসেছে মিডিয়াতেও। বারবারই দুই রোশন- বাবা রাকেশ ও ছেলে হৃত্বিক অনুরোধ করেছেন খান সাহেব শাহরুখকে।

কিন্তু ব্যবসা ও সম্পর্ক আলাদা বিষয়বস্তু বলে একইদিনে ছবি মুক্তি দিয়েছেন শাহরুখ। তবে এবার কিং খান যেন একটু ধাক্কাই খেলেন। কারণ ভারত এবং বিদেশের মাটিতে সাফল্যের পর গত রবিবার পাকিস্তানে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শাহরুখ এবং পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান অভিনীত ‘রইস’। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের’ অভিযোগে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল ছবিটি। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই দেশটিতে মুক্তি পেয়েছে ‘কাবিল; ছবিটি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পাকিস্তানের সিনেমা হলে ‘রইস’ ছবির মুক্তি নিয়ে নানা গুজব রটেছিল। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবারই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দেয় পাকিস্তানে এই ছবির মুক্তি বন্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত পাঞ্জাব সেন্সর বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, সেন্সরবোর্ডের বেশিরভাগ সদস্যই মনে করেন, ছবিতে ইসলামকে ‘নেতিবাচক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। মুসলিমদের ‘অপরাধী ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাব সেন্সর বোর্ড মেনে নেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ‘রইস’-এর এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মাহিরা। পাকিস্তানে এই ছবির মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাসও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার উচ্ছ্বাস খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এর কয়েকদিনের মধ্যেই বড় ধাক্কা খেল ‘রইস’।
এদিকে, বক্সঅফিস হিসাবে পাশাপাশিই চলছে ছবি দুটি। ১৩ দিনে ‘কাবিল’ ১২০ কোটি ও ‘রইস’ ১৫০কোটি রুপি তাদের ঘরে তুলেছে। ছবি দুটি ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে।

 

ইন্টারনেটের ব্যয়কে আয়ে রুপান্তর করেছেন কাজী আফিয়া

ঘরে বসে অনলাইনের অলিগলি ঘুরে আয় করে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত “কাজী আফিয়া আহমেদ”। তাঁর পেজ ‘ত্রি নিতী’ দিয়ে ২০১০ সালে অনলাইন ব্যবসায় আফিয়ার যাত্রা শুরু। যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তার খাতায় নাম আছে।

শুরুটা জানতে চাইলে তিনি জানান, HSC এর পর  অবসর সময়ে তিনি প্রথমে ভাবতেন অযথা অনলাইনে সময় ব্যয় না করে কীভাবে তার এই অনলাইন জগতকে কাজে লাগানো যায়। ভাবলেন নিজের অনলাইনের বিলটি কীভাবে অনলাইন দিয়েই আয় করা যায়। সেই ভাবা অনুযায়ী  টুকটাক জুয়েলারি এবং মেকাপ সামগ্রী বিক্রি দিয়ে নিয়ে ‘ত্রি নীতি’ গ্রুপটির যাত্রা শুরু করেন, যার লাইকের সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়াও তিনি খেয়াল করলেন তার নিজের ডিজাইন করা পোশাকটি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এরপর তিনি কামিজ, নিজের পছন্দনীয় শাড়ি ডিজাইন শুরু করলেন, যাতে কখনো এমব্রয়ডারি বা কারচুপির কাজ থাকে এবং সেগুলো গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে লাগলেন ‘বেস্ট এমব্রয়ডারিজ ঢাকা বাই আফিয়া’, ‘ইম্পোর্টেড শাড়িস বাই আফিয়া’ ইত্যাদি গ্রুপের মাধ্যমে এবং আবারো সাড়া পেতে থাকলেন। বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি তার সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিতেন ক্রেতাদের দোরগোড়ায়।

শুধু নিজের ডিজাইন করা ড্রেসে আর সীমাবদ্ধ থাকেননি আফিয়া। তিনি দেখলেন বিভিন্ন তারকাদের রেপ্লিকা ড্রেস ভালোলাগে এবং এদেশে বেশ চাহিদাও রয়েছে। তাই দেশের বাইরে থেকে যেমন পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে শিপিং এর মাধ্যমে রেপ্লিকাসহ নানা ডিজাইনের বিভিন্ন ড্রেস আনতে লাগলেন এবং তার গ্রুপের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে লাগলেন। এভাবেই  তিনি ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এবং নিজের চিন্তাধারা থেকে হরদম ইমপোর্ট করে যাচ্ছেন। সাথে নিজের ডিজাইন তো রয়েছেই। তার মাসিক আয় এখন ন্যূনতম ৩০০০০ টাকা। যা যেকোনো ছেলে বা মেয়ের বেকারত্ব ঘোচাতে পারে।

তার নির্ধারিত ড্রেস শোভা পেয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকার পরনেও। যেমনঃ মেহের আফরোজ শাওন, আলিফ আলাউদ্দিন, বেনজির ইসরাতসহ আরো অনেকের।

তার সামনের ইচ্ছা একটি শো-রুম খোলা কিন্তু পুরোটাই নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। ইন্টারনেটের অযথা ব্যয়কে আয়তে রুপান্তরের আহবান জানান কাজী আফিয়া। শুধু দরকার সততা, ধৈর্য এবং প্রবল মনোবল।

 

কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যে ঘরের (পরিবারের) প্রথম সন্তান কন্যা হয়; সে ঘর হয় বরকতময়। বর্তমান সমাজে দেখা যায়, কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে অনেক নারীকে স্বামী পরিত্যাক্তা হতে হয়। কন্যা সন্তান জন্মের পরই শুরু হয় মা ও শিশুর প্রতি চরম অবহেলা।

কন্যা শিশু ও নারীর প্রতি চরম অবহেলা ও অবিচার হলো জাহেলী যুগের চরিত্র। যে সমাজে নারী কোনো মর্যাদা ছিল না। নারী ও কন্যাদেরকে ভোগ ও আনন্দ বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হতো। আজকের আধুনিক দুনিয়ায়ও জাহেলী যুগের প্রেতাত্মারা সজাগ। তাদের প্রতি কুরআন ও হাদিসে রয়েছে সতর্ক বাণী।

কন্যা সন্তান জন্ম হলে জাহেলী যুগের সমাজপতিরাও নাখোশ হতো। তাদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। কতই না নিকৃষ্ট ছিল তারা। আল্লাহ তাআলা তাদের বাস্তব অবস্থার কথা কুরআনে এভাবে তুলে ধরেছেন-

Konna

অর্থাৎ ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তাদের চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে (কন্যা সন্তানকে) রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!।’ (সুরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)

কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার ও যথাযথ দায়িত্ব পালন করা বিশ্বনবির নির্দেশ। তিনি কন্যাদের প্রতি সুবিচার করতে বলেছেন। তাছাড়া কন্যা সন্তান মানুষের জান্নাত লাভেরও উপায়। হাদিসে এসেছে-

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আমার কাছে এক মহিলা এলো। তার সঙ্গে তার দুই মেয়ে ছিল। সে আমার কাছে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করল। আমার কাছ থেকে সে একটি খেজুর ছাড়া কিছুই পেল না। আমার কাছে থাকা খেজুরটি আমি তাকে দিয়ে দিলাম।

সে তা-ই গ্রহণ করল এবং তা (খেজুরটি) দুই টুকরো করে তার (ওই মহিলার) দুই মেয়ের মাঝে বণ্টন করে দিল। সে (মহিলা) তা থেকে কিছুই খেল না। তারপর সে (মহিলা) ও তার দুই মেয়ে উঠে পড়ল এবং চলে গেল।

এমন সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন। আমি তাঁর কাছে ওই মহিলার কথা বললাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যাকে কন্যা সন্তান দিয়ে কোনো কিছুর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়; আর ওই ব্যক্তি তাদের (কন্যা সন্তানের) প্রতি যথাযথ আচরণ করে, তবে তা তার জন্য (জাহান্নামের) আগুন থেকে রক্ষাকারী হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

পরিশেষে…
কন্যা সন্তানদের প্রতি অবিচারকারী বা অবহেলাকারীদের প্রতি কুরআনের এ আয়াতটিই যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন-

Konna

অর্থাৎ ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। (সুরা আশ-শুরা : আয়াত ৪৯-৫০)

সুতরাং সাবধান! কন্যা সন্তান জন্ম নিলেই কোনো নারীকে দোষারোপ করা ঠিক নয়; বরং কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার করুন। ছেলে সন্তানের মতোই তাকে আদর-যত্নে, মায়া-মমতায় বেড়ে ওঠার সব দায়িত্ব পালন করুন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কন্যা সন্তান ও নারীদের প্রতি জাহেলী যুগের মতো আচরণ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। তাদের প্রতি সদ্বয় হওয়ার এবং যথাযথ দায়িত্ব পালন করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

জীবন-যাপনে মুসলমানের জন্য যা আবশ্যক

কুরআন-সুন্নাহর বিধান পুরোপুরি মেনে চলা মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষ সবার জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মানুষকে এ বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষের অর্পিত এ দায়িত্ব হলো প্রথমে নিজেই কুরআন সুন্নাহর আনুগত্য মেনে নেয়া এবং পরবর্তীতে কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে অন্যকে দাওয়াত দেয়া। এ বিষয় দুটি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

প্রথমত : কুরআন সুন্নাহর নির্দেশের আনুগত্য
কোনো শরিক ছাড়া একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি করা এবং আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করা। এ ছাড়া আল্লাহর নির্দেশিত বিধানগুলো বাস্তবায়ন করা এবং নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ পরিহার করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য কর এবং (এ বিধান) শোনার পর কখনো তা থেকে বিমখু হয়ো না।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ২০)

দ্বিতীয় : কুরআন সুন্নাহর নির্দেশ মেনে চলার দাওয়াত প্রদান
আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করা, সৎ কাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার দাওয়াত দেয়া। সমাজে প্রচলিত অন্যায় ও গর্হিত কাজ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখার দায়িত্ব পালন করা প্রত্যেক মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা (মানুষকে) কল্যাণের দিকে ডাকবে, সত্য ও ন্যায়ের আদেশ দিবে আর অসত্য ও অন্যায় কাজ থেকে (মানুষকে) বিরত রাখবে; অতঃপর যারা এ দলে শামিল হবে, সত্যিকারার্থে তারাই সাফলতা লাভ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০৪)

কুরআন এবং সুন্নাহর আনুগত্যের পাশাপাশি এ নির্দেশ পালনের দাওয়াত প্রসঙ্গে বিশ্বনবির ঘোষণা-
Hadith

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ যদি কোনো ঘৃণ্য/নিন্দনীয়/অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ;
তবে ওই ব্যক্তির কর্তব্য হলো- সম্ভব হলে (ওই মন্দ কাজ) হাত দ্বারা প্রতিহত বা মোকাবেলা করা;
আর যদি তা (হাত দ্বারা মোকাবেলা করা) অসম্ভব হয়, তবে মখু দ্বারা প্রতিবাদ করা;
আর যদি তাও (মুখে প্রতিবাদ করাও) অসম্ভব হয়, তবে মনে মনে ঘৃণা (নিরবে প্রতিবাদ) করা। আর এটাই ঈমানের দুর্বলতম অংশ। (মুসলিম)

নিরব প্রতিবাদ
সমাজে অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখলে হাত এবং মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করার সাহস ও সামর্থ্য না থাকলে মনে মনে ঘৃণা করলে অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধ হবে না। কিন্তু এ অন্যায় এবং অত্যাচার বন্ধ করার দায়িত্ব রয়েছে প্রত্যেক মুসলিম নারী ও পুরুষের ওপর।

এ দায়িত্ব পালনে প্রত্যেকেকেই নিরবে কাজ করে যেতে হবে। আর তা হলো- অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধে যেভাবে কাজ করলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হবে না; সেভাবে কৌশল ব্যবহার করে অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধ করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই হলো নিরব প্রতিবাদ।

অন্যায় ও অত্যাচারকে মনে মনে ঘৃণা মানে শুধু ঘৃণা নয়, বরং নিরবে নিরবে এ ঘৃণ্য কাজ সমাজ থেকে স্বমূলে উৎপাটন করতে কাজ করে যাওয়াই ঈমানের দুর্বলতম অংশ।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী ও পুরুষকে উল্লেখিত ওয়াজিব কাজ সম্পাদনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার তাওফিক দান করুন।

কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে কাজ করার তাওফিক দান করুন।

সর্বোপরি কুরআন-সুন্নাহর বিধান সমাজের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের জন্য নিরবে নিরবে ধীরে ধীরে দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

ইলিশ মাছের মালাইকারি

ইলিশের সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। তার মধ্যে ব্যতিক্রম একটি রান্না ইলিশ মাছের মালাইকারি। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের মালাইকারি রেসিপি।

উপকরণ : বড় ইলিশ মাছের ৮ টুকরা। পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ। জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ। শুকনা মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ পরিমাণমতো। তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, মশলার গুঁড়া আধা চা চামচ, চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি : কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে অর্ধেক বেরেস্তা উঠিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে বেরেস্তার ভেতর এক কাপ করে সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা কষিয়ে লবণ ও নারকেলের দুধ দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ দিতে হবে, ঝোল কমে এলে নারকেলের মিষ্টি বুঝে চিনি দিতে হবে। বেরেস্তা হাতে ভেঙে গুঁড়ো করে দিতে হবে। তেঁতুলের মাড়, গরম মসলার গুঁড়ো, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

 

চুলের সাজে বাহারি খোঁপা

চুল লম্বা হোক কিংবা ছোট চুলের যে সাজটি আপনাকে অনন্য করে তুলতে পারে তা হচ্ছে খোঁপা। আপনার চেহারা থেকে শুরু করে এটি আপনার ব্যক্তিত্বেও আনে আলাদা গুরুত্ব। আপনি শুধুমাত্র বাহারি খোঁপার সাহায্যে নিজেকে একদম আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। তাই নিজেকে আলাদাভাবে সাজিয়ে তুলতে চাইলে চটপট বাহারি খোঁপায় নিজেকে বদলে নিন।

কার্ল আপডু
যাদের চুল কার্লি তাদের জন্য এটি একটি পারফেক্ট খোঁপা। মাঝারি থেকে বড় সাইজের চুলে এটি করা যায়। তবে যাদের চুল সোজা তারাও এটি করতে পারবেন। এটি এলোমেলো খোঁপা নামেও অনেকের কাছে পরিচিত।

গ্রেসিয়ান আপডু
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি গ্রিসের একটি জনপ্রিয় খোঁপা। তবে আমাদের দেশেও এটি এখন অনেক চলছে। শাড়ির সাথে দারুণ মানিয়ে যায় এ খোঁপাটি। তরুণী অথবা মধ্যবয়সী যে কোনো নারী এ খোঁপাটি করতে পারেন।

ভালেন্টাইন আপডু
খুবই সুন্দর একটি খোঁপা এটি। তরুণীরা লং ড্রেসের সাথে আনায়সে এটি ট্রাই করতে পারেন। অনেকে আবার এটির সাথে সামনের চুলগুলো কার্ল করে থাকেন। খোঁপার প্রতিটা অংশে স্টোন বা বিডস লাগাতে পারেন গরজিয়াস লুকের জন্য।

হাফ আপডু
যারা চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য খুব সিম্পল এ স্টাইলটি। সামনে দিয়ে চুল অনেক খানি টিজ করে উচু করা হয়। তারপর সফট কার্ল করে পেছনের চুল গুল ঘাড়ের কাছে এনে ছেড়ে রাখা হয়। এটি আসলে সত্তর দশকের খুব জনপ্রিয় একটি হেয়ার স্টাইল।

হাফ আপডু উইথ কার্ল
যারা গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে চান না তাদের জন্য এই হেয়ার স্টাইলটি। এটি উপরের হেয়ার ডু এর মতোই কিন্তু এখানে মাথার পেছনের চুলগুলো রোলার বা কার্লার দিয়ে কার্ল করা হয়। শাড়ি এবং কামিজ দুটোর সাথেই এটি ভালো যায়।