banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

ইবাদত-বন্দেগি কবুলে যে দোয়া পড়বেন

আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম দোয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়াই হলো ইবাদত।’ আর মানুষ আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া এবং ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমেই তাঁর নৈকট্য অর্জন করে থাকে।

মানুষের দোয়া ও ইবাদত-বন্দেগি যাতে আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয়, সে জন্য আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি প্রার্থনা করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে নসিহত করেছেন, তারা যেন দোয়া ও ইবাদত-বন্দেগি কবুলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট বেশি বেশি প্রার্থনা করেন।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে রকম একটি দোয়া শিখিয়েছেন। তিনি একবার হজরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে অসিয়ত করেছেন, তিনি যেন ইবাদত-বন্দেগি কবুলের জন্য প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়াটি করেন-

উচ্চারণ:  আল্লা-হুম্মা আ’ইন্নি আ’-লা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ই’বা-দাতিক।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সাহায্য কর যেন, আমি তোমাকে স্মরণ করতে পারি, তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং ভালোভাবে তোমার ইবাদত-বন্দেগি করতে পারি।’ (মুসনাদে আহমদ, নাসাঈ, আবু দাউদ, মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা যেন মুসলিম উম্মাহকে তাদের সব চাওয়া-পাওয়া, ইবাদত-বন্দেগি কবুল করতে বিশ্বনবির অসিয়ত করা দোয়া নিয়মিত পড়ার তাওফিক দান করেন। আমিন।

 

যে কারণে দক্ষ কর্মীরা চাকরি ছেড়ে চলে যান

প্রতিযোগীতার এই যুগে একটি ভালো চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। একজন চাকরিপ্রার্থীর জন্য ভালো চাকরি পাওয়া যেমন কঠিন তেমনি প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন দক্ষ কর্মী পাওয়া আরো বেশি কঠিন। প্রতিষ্ঠানের কিছু ভুলের জন্য দক্ষ কর্মীরা প্রতিষ্ঠানে ছেড়ে চলে যান। অনেক প্রতিষ্ঠান মনে করেন শুধুমাত্র অর্থের জন্য কর্মীরা চাকরির ত্যাগ করেন, বস্তুত অর্থ ছাড়াও আরো কিছু কারণেও একজন দক্ষ কর্মী প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। অসম্মানিত এবং তুচ্ছ হিসেবে পরিগণিত

আপনি যদি কর্মীদের মানুষের পরিবর্তে আসবাবপত্র হিসেবে গণ্য করেন, তবে তা কর্মীর জন্য অসম্মানজনক। অনেক সময় প্রতিষ্ঠান লাভ লোকসানের হিসাব নিকাশ করতে করতে ভুল যায় কর্মীরাও মানুষ। তাদেরকে আসবাবপত্রের মতো ব্যবহার করা হয়। কম বেতন দেওয়া, অসম্মান, কাজের অবমূল্যায়ন, অদক্ষ ব্যক্তির উন্নতি ইত্যাদি কর্মীদের প্রতিনিয়ত তুচ্ছ করে তোলে।

২। কর্মজীবনে উন্নতির অভাব

কোনো মানুষই একই কাজ প্রতিদিন করতে চান না।  সবাই চায় নতুন কিছু শিখতে, নতুন কিছু করতে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি কর্মীদের অন্যতম একটি চাহিদা। কর্মীরা আশা করেন তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে আরো  দক্ষ করে তোলা হবে। কর্মীরা চান নিজেদের ক্যারিয়ারে উন্নতি। প্রত্যেক কর্মী আশা করেন প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হবে  সে অনুযায়ী কর্মীদের কাজে উন্নতি ঘটবে। কর্মক্ষেত্রে কাজের উন্নতি তাদের কাজে উৎসাহিত করে।     

৩। অসমতা

অসমতা কেউ পছন্দ করেন না। স্বজনপ্রীতি, বর্ণবাদী, বৈষম্যমূলক পরিবেশে কোনো দক্ষ কর্মী চাকরি করতে চান না। শুধুমাত্র অসমতার কারণে অনেক দক্ষ কর্মী এক বছরের মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেন। সময় পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান সময়ে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা অনেক। তাই  খুব বেশি সময় দক্ষ কর্মীরা বেকার থাকেন না।

৪। স্বীকৃতি বা পুরষ্কারের অভাব  

কাজের স্বীকৃতি সব কর্মীরা আশা করেনকাজের পুরষ্কারের জন্য  খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। একটি ছোট ধন্যবাদ কিংবা কাজের প্রশংসা হতে পারে কর্মীদের কাজের পুরষ্কার। ছোট এই কাজটুকু কর্মীদের কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।  কাজের স্বীকৃতি অভাব কর্মীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করে,তারা নিজেকে  অকেজো, অপর্দাথ মনে করেন। তারা মনে করেন প্রতিষ্ঠানে তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। চাকরি  ছেড়ে দেওয়ার জন্য এই কারণটি যথেষ্ট।

৫। নতুন কিছুতে নিরুৎসাহিত করা  

উদ্ভাবন এবং আইডিয়া যেকোনো প্রতিষ্ঠানের হৃদস্পন্দন।  প্রত্যেক মানুষ নতুন কিছু করতে চান। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা পরিবর্তনকে ভয় পায়। নতুন কিছু সহজে মেনে নিতে পারেন না। এইসকলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা একই কাজ করতে করতে  আগ্রহ হারিয়ে একসময় প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

৬। অযোগ্য মানুষের পদন্নোতি

কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ভুল বা অযোগ্য মানুষকে পদন্নোতি দিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র সুসম্পর্কের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগ এবং পদন্নোতি দেন।  যেসকল প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা বা কাজের মূল্য নেই সেসকল প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীরা থাকতে চান না।

৭।  স্বৈরাচারী নেতৃত্ব

যেসকল প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারী নেতৃত্ব বিদ্যমান সেখানে কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। কর্মীদের মতামত গুরুত্ব প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া উচিত। “বস ইজ অলওয়েজ রাইট” এই ধরনের নেতাদের কর্মীরা পছন্দ করেন না। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীরা খুব বেশিদিন থাকেন না।

সূত্র: লাইফহ্যাক

 

ফাল্গুনের আগে ত্বকের যত্ন

শীতের বিদায়বার্তা বাজছে বাতাসে। বসন্ত এলো বলে! শীত ঠিকই চলে যাচ্ছে তবে আমাদের ত্বকে তার রুক্ষতার প্রভাব রেখে যাচ্ছে। ফাল্গুনে নিজেকে সাজাতে হলে চাই সুস্থ ও সতেজ ত্বক। আর তাই ত্বকের রুক্ষতা দূর করে লাবণ্যময় ত্বক পেতে আমাদের রয়েছে কিছু করণীয়। প্রতিদিন নিয়ম করে যত্ন নিলে সতেজ ত্বক পাবেন সহজেই।

গোসলের আগে লেমন টারমারিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম শুধু ত্বক নরম করে না, সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কালোভাব, সানট্যানের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সাবান ও ক্লোরিনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে ত্বকের যা ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করতেও এই ক্রিম সাহায্য করে। হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ত্বকে ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।

মুলতানি মাটি, কাঁচা হলুদ ও জলপাইয়ের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে, হাতে ও পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেও ত্বক সতেজ হবে।

তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়।

সপ্তাহে একদিন মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন। এই মাস্ক পরিষ্কারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে।

ত্বকে কালো দাগ হলে দাগযুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। লেবুর রস ও মধু ত্বকের কালো দাগ দূর করে।হাত-পায়ে গ্লিসারিন বা লোশন ম্যাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে রক্ত-সঞ্চালনে হয়, ফলে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে।

যাদের হাতের চামড়া অত্যাধিক পরিমাণে রুক্ষ, তারা ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

পানি ত্বকের ময়েশ্চারাইজ হিসেবে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে ত্বকের ময়েশ্চারাইজ বজায় থাকবে।

এ সময় প্রচুর তাজা ফলমূল ও শাক-সবজি পাওয়া যায়, এসব খেলেও ত্বক ভালো থাকে।

 

মচমচে পনির রোল

বিকেলের নাস্তা হিসেবে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন মজাদার পনির রোল। খেতে সুস্বাদু এই আইটেমটি অতিথি আপ্যায়নেও পরিবেশন করতে পারবেন অনায়াসে।

জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন পনির রোল-
উপকরণ
কাঁচামরিচ- ২/৩টি (কুচি)
পনির কুচি- দেড় কাপ
আলু- ১টি (সেদ্ধ করে চটকে নেওয়া)
পাউরুটি- ৮ টুকরা
ব্রেড ক্রাম্ব- আধা কাপ
ধনেপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ
প্রক্রিয়াজাত পনির- ৩ টেবিল চামচ (পাতলা করে কেটে নেওয়া)
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
চাট মসলা- আধা চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে পাউরুটি বাদে সব উপকরণ নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশ ফেলে বেলে সমান করে নিন। মেখে রাখা পনিরের মিশ্রণ দিয়ে রোল করে নিন পাউরুটি। দুই পাশে কেটে সমান করে নিন। চাইলে মাঝ দিয়ে কেটে দুই ভাগ করে নিতে পারেন। চুলায় প্যান দিয়ে ডুবো তেলে ব্রাউন করে ভেজে তুলুন মচমচে পনির রোল। টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 

৩ ধাপেই ল্যাপটপ পরিষ্কার

দীর্ঘদিন ও নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ল্যাপটপের স্ক্রিনে দাগ পড়ে যায়। কি-বোর্ডেও জমে যায় ধুলাবালি। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় এই মেশিনটি পরিষ্কার করতে খুব বেশি সময় ব্যয় হবে না।

জেনে নিন ৩ ধাপেই কীভাবে পরিষ্কার করবেন ল্যাপটপ-

  • সাদা ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে তৈরি করুন দ্রবণ। অ্যালকোহল অথবা অ্যামোনিয়া ব্যবহার করবেন না।
  • দ্রবণ স্প্রে বোতলে ভরে ল্যাপটপের স্ক্রিনের উপর হালকা করে স্প্রে করুন। ল্যাপটপ যেন বন্ধ থাকে সেদিকে লক্ষ রাখবেন অবশ্যই। স্ক্রিনে স্প্রে করে সঙ্গে সঙ্গে পাতলা ডিসপোজেবল কাপড়ের সাহায্যে চক্রাকারে মুছে নিন।
  • ল্যাপটপের কি-বোর্ড প্রথমে ব্রাশের সাহায্যে পরিষ্কার করুন। তারপর একটি চামচের উল্টো দিকে ভেজা টিস্যু পেঁচিয়ে চামচটি কি-বোর্ডের উপর হালকা করে বুলিয়ে নিন। সবশেষে হেয়ার ড্রায়ারের ধরে কি-বোর্ড শুকান। এতে আলগা ময়লা থাকলে সেটাও দূর হবে। তবে খুব কাছ থেকে হেয়ার ড্রায়ার ধরবেন না। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যেও ল্যাপটপের কি-বোর্ড পরিষ্কার করতে পারেন।

তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও উইকি হাউ