banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

সৃষ্টির নামে কসম মারাত্মক অপরাধ

কসম দ্বারা সাধারণত আমরা প্রতিজ্ঞা বা হলফ করাই বুঝি। আর ইসলামি শরিয়তে কসম বলতে আল্লাহ তাআলার নামে কসম করাকেই বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কারো নামে (আল্লাহর সৃষ্টির নামে) কসম করা শিরক বা কুফরি।

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কাজের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার নামে কসম করে এবং তা বাস্তবায়ন না করে তবে সে গোনাহগার হিসেবে পরিগণিত হবে।

কসমকারী ব্যক্তি কসম বাস্তবায়ন না করলে ওই ব্যক্তিকে কসমের কাফফারা দিতে হবে।  তাছাড়া ইসলামি শরিয়তে কসম করার নিয়ম রয়েছে। কসমের শব্দগুলো হবে এমন-

‘উকসিমু বিল্লাহ; ওয়াল্লাহ; বিল্লাহ; তাল্লাহ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা কসম করা। অর্থাৎ ‘আল্লাহ তাআলার নামে কসম করা।’

সাধারণ অর্থে যদিও কসম করা ঠিক নয়। তারপরও মানুষ কথায় কথায় অজ্ঞতাবশতঃ কসম করে বসে। শুধু তাই নয়, বরং মানুষ আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য ব্যক্তি ও বস্তুর নামে ‍শিরকি ও কুফরি কসম করে থাকে।

যেমন বলে থাকে যে, ‘পশ্চিম (কাবার) দিকে মুখ করে কসম; মসজিদে গিয়ে বা স্পর্শ করে কসম; ছেলে-মেয়ের নামে বা স্পর্শ করে কসম; মা-বাবাসহ অন্যান্য গাইরুল্লাহর নামে কসম। যা শিরক ও কুফরি কাজ।

প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টি জগতের কসম শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য নির্ধারিত। যা কুরআনের বহু জায়গায় অনেকবার উল্লিখিত হয়েছে। অথচ মানুষ সৃষ্টির কসম করে থাকে।

একান্ত প্রয়োজনে যদি কসম করতেই হয় তবে কমস করতে হবে ইসলামি রীতি অনুযায়ী শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নামে। জ্বিন-ইনসান তথা গাইরুল্লাহর নামে কসম করা কুফরি তথা শিরকে আসগার বা ছোট শিরক। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ব্যতীত অন্যের) নামে হলফ বা কসম করলো সে কুফরি বা শিরক করলো। (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকিম)

পরিশেষে…
যদি কোনো কারণে কসম করতেই হয় তবে শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই কসম করা। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা কুফরি বা শিরক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।

একান্তই যদি কসম করতে হয় তবে গাইরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শিশুর নৈতিক শিক্ষায় অভিভাবকের করণীয়

শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। বড়রা যা করে; তা দেখে দেখে শিশুদের মাঝে সে অভ্যাস গঠন হয়। তাই শিশুদের সঙ্গে পরিবারের সদস্য,বাবা-মা অথবা অভিভাবকের আচরণ মার্জিত, সুন্দর এবং শিক্ষণীয় হওয়া আবশ্যক।

শিশুদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না; যা তাদেরকে বিপথগামী করে বা তাদের কচি মনে কোনো অযাচিত প্রশ্নের উদ্রেক হয়।

এ বিষয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ইলমফিড ডটকম-এ (www.ilmfeed.com) মুসলিম শিশুদের বেড়ে ওঠায় অভিভাবকদের করণীয় সম্পর্কিত ১৮টি টিপস লিখেছেন মুফতি ইসমাইল মেন্‌ক। যা এখানে তুলে ধরা হলো-

১. সন্তানের প্রশংসা করুন যদিও সে কোনো কাজে ১০-এর মধ্যে ৪ পায়। এমনকি অন্যদের সামনেও সন্তানের প্রশংসা করুন।

২. আপনার সন্তানকে কখনোই ভাবতে দিবেন না যে, তার কাজ করার যোগ্যতা নেই। কখনোই আপনার সন্তানের সামনে অন্যের সন্তানকে বড় করে না দেখা বা দেখানো।

৩. সবসময় আপনি সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলুন মায়া-মমতা ও স্নেহের সঙ্গে। যেমন তাকে বলুন- ধন্যবাদ, শুকরিয়া ইত্যাদি। কখনো তাদের সঙ্গে অভদ্র ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করবেন না। যেমন- কোনো জিনিস চেয়ে বলবেন না যে, দে, যা ইত্যাদি। বরং তাদের সঙ্গে বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে বলুন- দাও, যেতে পার, খেয়ে নাও ইত্যাদি।

৪. আপনার সন্তান যখন বড় হতে থাকবে তখনো ছোটবেলার মতো তাকে সমানভাবে সঙ্গ দিন। তারা বড় হয়েগেছে ভেবে তাদের খেলাধূলাসহ সব কাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখা থেকে বিরত থাকুন। যদি তাদের এড়িয়ে চলেন, তবে সে মানসিকভাবে বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়ে যাবে।

৫. সিদ্ধান্ত গ্রহণে সন্তানকে সহায়তা করুন। সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঠিক উপায় আপনার কাছ থেকেই শিখবে। তাকে প্রতিশ্রুতি বা দিক-নির্দেশনা দিন, গাইড বা সঠিক নির্দেশক হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি তারা কোনো কিছু করতে চায় বা কোথাও যেতে চায় তবে তাদের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করুন।

৬. আপনি যখন কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিবেন তখন সন্তানের মতামত জানুন। যেমন- আপনি একটি গাড়ি ক্রয় করবেন। সেক্ষেত্রে সন্তানের কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করুন কি ধরণের গাড়ি তার পছন্দ ইত্যাদি। এতে তাদের মাঝে পরমর্শসূলভ অভ্যাগ গড়ে ওঠবে।

৭. যদি সম্ভব হয় ঘরের একটা জায়গা তাদের জন্য নির্ধারিত করে দিন। যেখানে তাদের অর্জনগুলো তারা প্রদর্শন করতে পারে। সেখানে তাদের নাম লিখা থাকবে। যেমন- কোনো প্রতিযোগিতায় অর্জিত স্মারক বা উপহার সামগ্রী প্রদর্শন করে রাখার জন্য একটি শোকেস বা জায়গা নির্ধারণ করে দিন। যাতে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে, তারাও ভালো কিছু করতে পারে।

৮. আপনার সন্তানকে নামাজের শিক্ষা দিন। গা ছাড়া ভাবে অর্থাৎ অবহেলা করে তাদের নামাজের কথা না বলে বরং জোর দিয়ে বলুন- তুমি নামাজ পড়; তোমার নামাজ পড়া আবশ্যক। আপনার এ দায়িত্ববোধ আপনার সন্তান জীবনভর মনে রাখবে।

আপনার সন্তানের বয়স যখন ৭ বছর হবে তখন থেকেই তাকে নামাজের তাগিদ দিন। যখন এ বয়সে তাকে নামাজের তাগিদ দিবেন তখন তারা বয়ঃসন্ধিকালে সে এ কথা উপলব্দি করবে যে, তাদের জন্য নামাজ পড়া জরুরি।

৯. আপনার সন্তানকে মতামত প্রদানের বা দ্বিমত পোষনের পদ্ধতি শিক্ষা দিন। তাদেরকে সামনে কখনো কথায় কথায় শপথ বাক্য বলা যাবে না। অথবা আক্রমনাত্মক কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না; যা তাদের মধ্যে এর কুপ্রভাব পড়ে। কেননা সন্তানরা সব সময় অনুকরণ প্রিয়।

১০. আপনার সন্তানের জানার আগ্রহকে বাড়িয়ে দিতে প্রশ্ন করার প্রতি উৎসাহিত করুন। সন্তানের করা প্রশ্নের সুন্দর তথা ইতিবাচক উত্তর দিন। অন্যথায় তারা ভুল উত্তর গ্রহণের প্রতি ঝুঁকে পড়বে। তাদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের প্রসংশা করুন।

১১. সব সময় সন্তানের সঙ্গে করা প্রতিটি ওয়াদা বা প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করুন। সন্তানের সঙ্গে এমন কোনো ওয়াদা বা প্রতিজ্ঞা করবেন না, যা করতে আপনি অপারগ।

১২. আপনার সন্তানকে শিখান, কিভাবে একটি দলের সদস্য হিসেবে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হয়। দলগতভাবে সফলতা লাভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে তার জীবনের সুপ্ত প্রতিভা খুঁজতে সহায়তা করে।

১৩. আপনার সন্তানের জন্য দোয়া করুন। এমনকি যদি আপনার সন্তান পথহারা হয়ে যায় বা বিপথে যায়। তারপরও সন্তানের কল্যাণে দোয়া করুন।

১৪. সন্তানকে বলুন- তুমি যদি কোনো বিষয়ে সফল না হও। তথাপিও হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাকে শিখান কিভাবে ব্যর্থতার বিপরীত সফল হওয়া যায়।

১৫. যদি আপনি কোনো ভুল করে বসেন তবে তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন। তাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি শিক্ষা দিন। এ ভুল নিয়ে তার সঙ্গে বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম। তাহলে সন্তান অন্যের সঙ্গে এর রকম বাড়াবাড়ি আচরণ করা শিখবে। তার মধ্যে অনুশোচন ফিরে আসবে।

১৬. বাড়িতে তার ভালো কাজের জন্য আপনার সন্তানকে পুরস্কৃত করুন। তার ভালো কাজের ব্যাখ্যা করে জানিয়ে দিন যে, তাকে কোনো ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করেছেন।

১৭. আপনার সন্তানের সাধ্যানুযায়ী পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ পড়তে তাকে প্রশিক্ষণ দিন। এবং প্রতিদিন কুরআন পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।

১৮. আপনার সন্তানকে কতবেশি ভালো বাসেন তা তাকে বার বার বলুন। তাদেরকে বুঝান তারা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে জড়িয়ে আদর করুন। তাঁদেরকে চুমু খান। এটা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব অভিভাবককে তাদের শিশু সন্তানের সঙ্গে সব সময় উত্তম আচরণ ও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে তাদের নৈতিক শিক্ষা ও উন্নত মনোভাব গঠনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

স্মার্ট মানুষেরা যে কাজগুলো কখনো করে না

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কোন পদে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার পার্সোনাটিটি অনুমান করা হয়। আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে যেমন সাহসিকতার খেতাব পাবেন ঠিক তেমনই আপনার চারপাশের মানুষগুলো আপনাকে নানাভাবে অনুসরণ করবে। আপনার কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ পাওয়া যাবে আপনি কতটুকু স্মার্ট।

টাকা বাঁচানোর বুদ্ধি
আপনি যদি স্মার্ট পার্সোনালিটির মানুষ হয়ে থাকেন তবে আপনি কখনো কাউকে দেখিয়ে টাকা বাঁচাতে যাবেন না। আপনি যতটা খরচ করবেন ঠিক কিভাবে তা আপনি আপনার ঝুলিতে নিয়ে আসবেন তার চিন্তা করবেন। আপনি খরচ করতে যতটা না ভাববেন তার থেকে ভাববেন আয়ের উৎস বের করা যায়।

অন্যর ওপর আশা না করা
আপনি যখন কোনো ব্যবসা কিংবা কাজ করতে যাবেন আপনাকে কারো না কারো ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আর আপনি যখন কারো ওপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করবেন ঠিক তখনই সমস্যার সৃষ্টি হবে। আপনি নানাভাবে ঠকলেও কাউকে কিছু বলতে পারবেন না। কিন্তু যাদের মাঝে স্মার্টনেস বিষয়টি আছে তারা কখনো অন্যর ওপর আশা করবে না । সবসময় নিজের দিক থেকে আগে চিন্তা করবে। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সময় নেবে।

দ্বায়িত্বহীনতা
অনেকের মাঝেই এই ব্যপারটি থাকে যে সময়ের কাজ সময়ে না করা। কিন্তু যারা স্মার্ট তারা সময়ের কাজ ঠিক সময়ে করে ফেলে। কারণ এতে আপনাকে দিয়ে যে কাজ করাচ্ছে সে যেমন আপনার ওপর খুশি হবে তেমনই আপনি আগাম একটা কাজ পেয়েও যাবেন।

কথা বুঝে বলা
কথা এমন একটি বিষয় যা একবার বললে আর ফেরত নেয়া যায় না। তাই যারা স্মার্ট তারা কথা কম বলে। এবং কথা বলার আগে ভেবে নেয় যে কথা বলাটা ঠিক হচ্ছে কি না।

 

রাজধানীতে আজ থেকে বিয়ে উৎসব

‘বিয়ের বাজার দেশেই’ স্লোগান নিয়ে আজ শুক্রবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে বিয়ের উৎসব। আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আজ সেজে উঠবে বিয়েবাড়ির সাজে এই উৎসব। বিয়ের গেট, বিয়ের পোশাক, গয়না, দাওয়াতপত্র, খাবার, গায়েহলুদ, গৃহসজ্জা, প্রসাধন ইত্যাদি সবই থাকবে এই উৎসবে।

উৎসবে বিয়ে আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সেরা ব্র্যান্ড আর দেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। শাড়িটা কোন রঙের হবে, বরের শেরওয়ানিটাই বা কী হবে, বর-কনের মঞ্চটা কেমন হবে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে বিয়ে উৎসবে থাকবে নামি দামি পরিচিত সেলিব্রেটিরা।

বিয়ের আগে ত্বকের পরিচর্যা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দিতে উপস্থিত থাকবেন রূপ বিশেষজ্ঞরা, বিয়ের ছবি তোলার প্রস্তুতি নিয়ে জানাবেন আলোকচিত্রীরা, পোশাক বিষয়ে পরামর্শ দেবেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

আয়োজকদের একজন হাসান জানান, উৎসবে থাকবে বিয়ের পোশাক, গয়না, দাওয়াতপত্র, খাবার, গায়েহলুদ, গৃহসজ্জা, প্রসাধন, রূপসজ্জা, হানিমুনে বেড়ানো এমন নানা অনুষঙ্গের সেরা ব্র্যান্ডের স্টল ও প্যাভিলিয়ন। আর উৎসব উপলক্ষে সবকিছুতেই থাকবে ছাড় আর উপহারের ছড়াছড়ি।

 

টাকি মাছের ভর্তা তৈরির সহজ রেসিপি

টাকি মাছের ভর্তা একটি জনপ্রিয় পদ। গরম ভাতের সঙ্গে এর জুড়ি মেলা ভার। খেতে সুস্বাদু ও সহজেই তৈরি করা যায় বলে এটি রয়েছে অনেকেরই পছন্দের খাবারের তালিকায়। চলুন জেনে নেই এর রেসিপি-

উপকরণ : টাকি মাছ ১ কাপ, পেঁয়াজ স্লাইস ৩ টেবিল চামচ, আদা রসুন, বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ পাতা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, রসুন মিহি ২ টেবিল চা, ধনে বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা ১ /২ চা চামচ।

প্রণালি : মাছ সিদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নিন। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি এবং রসুন দিয়ে কষান। কষানো হলে পেয়াজপাতাসহ কচি পেঁয়াজ দিয়ে নাড়ুন। মাছ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজুন। লবণ দিন। মাছ হালুয়ার মতো তাল বাঁধলে নামান। মাছ যেন ঝুরি এবং শুকনা না হয়। এরপর চাইলে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

 

সরিষার তেলের যত উপকারিতা

আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের তালিকায় যে তেলটি না থাকলেই নয় তা হলো সরিষার তেল। সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। সরিষার তেল উদ্দীপক হিসাবে পরিচিত এবং অন্ত্রে পাচক রস উত্পাদনে  সাহায্য করে, তাই হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এছাড়াও একই প্রক্রিয়ায় আমাদের সিস্টেমে পাচক রস উৎপাদন বাড়িয়ে  ক্ষুধা সহায়তা করে।

বিভিন্ন ভোজ্য তেলের উপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায় সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় যা হৃদরোগের সম্ভবনা হ্রাস করে।

এছাড়াও সরিষা তেল ঠান্ডা এবং কাশি উপশমে সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে যখন  বুকের সম্মুখে প্রয়োগ বা তার দৃঢ় সুবাস নিঃশ্বাসের মাধমে নেয়া হয়, এটা শ্বাসযন্ত্রের নালীর থেকে কফ অপসারণেও সাহায্য করে।

সরিষার তেল তামাটে এবং কালো দাগ দূর করে স্বাভাবিক ত্বক ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে। এটি সন্ধিস্থলের ব্যথাও হ্রাস করে।

ঠোঁটের শুস্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে। সরিষার তেল সামান্য কাটা ছেঁড়ায় এন্টিসেপটিক এর কাজ করে।

সরিষার তেল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্রদাহবিরোধী হিসাবে কাজ করে।

চুল পড়া প্রতিরোধ করে, খুসকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে।

 

মশা থেকে বাঁচতে

যতই অসহ্য হোক, মশার যন্ত্রণা আমাদের সহ্য করতেই হয়। যতদিন মানুষ আছে, মশাও ততদিন! মশা শুধু একটি বিরক্তিকর প্রাণিই নয়, এটি নানা রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে দেয়। ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া জ্বর হয় মশার কারণেই। তাছাড়া এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। ভয়ংকর এসব রোগে ভোগার চেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে রয়েছে মশারি, মশা মারার ব্যাট, কয়েল।

বেশির ভাগ কয়েলেই এখন আর মশা কাবু হয় না। কয়েলের ধোঁয়ায় আবার অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়। দম বন্ধ হয়ে আসে। তাদের ভরসা কিন্তু মশারি আর মশা মারার ব্যাট। সবসময় তো আর মশারি টানিয়ে রাখা যায় না, এ ক্ষেত্রে মশা মারার ব্যাটগুলো বেশি কার্যকর।

রিচার্জেবল এসব ব্যাট দুই থেকে তিন ঘণ্টা ব্যাকআপ দিয়ে থাকে। মশা মারার এ ব্যাট দিয়ে মশাকে মারতে পারেন অনায়াসেই। এসব ব্যাটে আবার এল-ই-ডি লাইটও থাকে। অন্ধকারে যা আপনার উপকারে আসবে।

ঘুমানোর সময় মশার হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন মশারি। মশারি বিভিন্ন সাইজ ও কোয়ালিটির হয়ে থাকে। নেটের মশারিতে বাতাস ঢুকতে সমস্যা হয়। বাতাস চলাচল করতে পারে না। বাজারে পাওয়া যায় বিশেষ এক ধরনের মশারি। ম্যাজিক মশারি। ম্যাজিক মশারিতে বাতাস চলাচল করতে পারে অনায়াসেই।

দরদাম
মশারি বিভিন্ন সাইজ ও মানের হয়ে থাকে। সাইজ ও মানভেদে এদের দাম নির্ভর করে থাকে। ডাবল সাইজের মশারি ৩২০ থেকে ৬৫০ টাকা। সেমি ডাবল ২৮০ থেকে ৫৫০ টাকা। সিঙ্গেল সাইজের মশারি ২০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ম্যাজিক মশারি ৪৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চাদের মশারির দাম ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ফেমের কুশনের দাম ৬০ থেকে ১৫০ টাকা। ফাইবারের কুশন ১৩০ থেকে ৪০০ টাকা। মশা মারার ব্যাট বিভিন্ন কোয়ালিটির হয়ে থাকে। মশা মারার ব্যাট একদাম ২২০ থেকে ৫০০ টাকা।