banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

ইসলামের বিধান লঙ্ঘন মারাত্মক অপরাধ

আল্লাহ তাআলার আনুগত্য স্বীকার করে শয়তানের পদাংক অনুসরণ না করাই হলো মানুষের একমাত্র কাজ। কারণ শয়তান মানুষকে অন্যায় ও পাপ কাজের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহ তাআলার ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়ার জন্য প্ররোচিত করে। কারণ শয়তান ও তার দলের ইচ্ছা হলো যে, দুনিয়ার সব মুসলমান জাহান্নামে যায়।

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা ঈমানদারদেরকে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশের কথা বলেছেন। ইসলামের বিধান লঙ্ঘন করা মরাত্মক অপরাধ। অনন্তর যারা ইসলামের এ বিধান নাজিলের পরও সত্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রতিদান দেয়ার ক্ষেত্রে প্রবল পরাক্রান্ত। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পরবর্তী আয়াতে ইরশাদ করেন-

Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২০৯ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার পরও যারা ইসলামের বিধান পালনে এগিয়ে আসেনি তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা বিচার দিবসে তাদেরকে প্রতিদান দিতে হবেন মহাপরাক্রমশালী।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহর জন্য যে শরিয়ত বা জীবন-বিধান নিয়ে এসেছেন তা যেমন সম্পূর্ণ, তেমনি যুক্তিপূর্ণ, সুস্পষ্ট, বাস্তবের পরীক্ষায় বার বার পরীক্ষিত।

তারপরও যারা এ সব বিধানের অমান্য করবে, এমনকি ঈমান আনার পরও অন্য মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় তবে তার পরিনাশ হবে শোচনীয় শাস্তি। যা বান্দার জন্য প্রতিদান দিবসে অবধারিত। কেননা আল্লাহ তাআলা মহাপরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমান।

তাঁর শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার সাধ্য কারো নেই। এমনকি কখন কাকে কিভাবে শাস্তি প্রদান করবেন তাও তিনি জানেন। কারণ তিনি মহাজ্ঞানী। তাই কারো প্রতি শাস্তি প্রদানে তিনি তাড়াহুড়ো করবেন না। আবার কারো প্রতি তিনি অবিচারও করবেন না।

পড়ুন- সুরা বাকারার ২০৮ নং আয়াত

পরিষেশে…
ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশের পর পুনরায় কেউ যেন ইসলাম থেকে বের হয়ে না যায়। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাজিলকৃত কুরআনের সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ বিধান বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক ঈমানদারের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের সুস্পষ্ট বিধান পালন করে পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করে আল্লাহ তাআলা নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। তাঁর অবাধ্যতা থেকে হিফাজত থাকুন। আমিন।

Save

Save

 

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)

উল্লেখিত আয়াতে কারিমা থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে স্বামী- স্ত্রীর মাধ্যমেই বংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন। আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।’

পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।’

স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে খেলাধূলা করতেন। একবার তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়ে ইচ্ছা করে হেরে যান। কিছুদিন পর পুনরায় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেরে যান।

অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আয়েশা! আজ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, তুমি আমার সঙ্গে পারনি। এটা হলো প্রথম প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়ার বদলা।

>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনি ও আন্যান্য আলোচনা করতেন। এমনকি প্রত্যেক স্ত্রীও বিশ্বনবিকে পালাক্রমে নতুন নতুন কিসসা-কাহিনি শুনাতেন।  তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও তাঁদেরকে কিসসা শুনাতেন।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসুল।

>> তিনি কখনো তাঁর স্ত্রীদের ভৎসনা, তিরস্কার করতেন না এবং তাদের সঙ্গে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া-মমতায় মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা বলতেন। তাঁর কথার ভাবভঙ্গিতে স্ত্রীদের মন জুড়িয়ে যেতো।

>> বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের কোনো কথা তাঁর মনের বিপরীত হলে তাদের সে কথা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে অন্য চিন্তা করতেন। তিনি স্ত্রীগণকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের চুমু দিতেন এবং কখনো কখনো তাদের উরুতে মাথা রেখে শুয়ে বিশ্রাম নিতেন।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা পাত্রের যে স্থানে মুখ দিয়ে পানি পান করতেন, বিশ্বনবিও সে স্থানে মুখ দিয়েই পানি পান করতেন।

আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাঁড়ের যে জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন হজরত আশয়া রাদিয়াল্লাহু আনহাও হাড়ের ঐ জায়গা থেকে গোস্ত খাওয়া শুরু করতেন।’

এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীদের সঙ্গে কত মধুর সম্পর্ক ছিল।

>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন এবং দরদমাখা কণ্ঠে সালাম দিতেন। বিশ্রামের সময় বিছানার ব্যাপারে কোনো দোষ ধরতেন না, এমনকি বিছানা যেভাবে পেতেন তার উপরই শুয়ে পড়তেন।

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম স্বামী যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। আমি আমার স্ত্রীদের সঙ্গে সবার চাইতে ভাল ব্যবহার করি।

পরিশেষে…
বিশ্বনবির দাম্পত্য জীবনের আলোকে বুঝা যায় যে, সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপনে স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্কে বিকল্প নেই। জীবনকে সুখ-শান্তি ও আনন্দময় করে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণ আবশ্যক কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করে গড়ে তুলতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাম্পত্য জীবনের মতো করেই রাঙিয়ে নেয়া জরুরি।

আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে তাঁর মতো করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

খাবার খান ওজন কমান

শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। সবাই খাবারের তালিকা কাটছাঁট করে ওজন কমাতে চান আর এখানে কি না খাবার খেয়েই ওজন কমাতে বলা হচ্ছে! হ্যাঁ, খাবার অবশ্যই খাবেন এবং ওজনও কমবে। এমনকিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরে পুষ্টি যোগানোর পাশাপাশি বাড়তি ওজন ঝরাতেও সাহায্য করবে। এবং সেই খাবারগুলো রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। চলুন জেনে নেই-

মটরশুটিতে কম মেদ হয় কিন্তু এটি শরীরে অনেক শক্তি ও প্রোটিন যোগায়। মটরশুটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি বিপাকীয় পরিবেশের জন্য উত্তম খাদ্য।

প্রতিদিন আপেল খেলে শরীরের মেদ সেল কমতে থাকে। আপেলের খোসা অকল্পনীয়ভাবে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।

আদা  খাদ্য হজমের সমস্যা সমাধান করে। এটা খাওয়ার পর শরীরে অস্বস্তিকরভাবকমায় ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এসিড সমস্যা সমাধান করে আদা। যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবারে আদা রাখুন এবং ক্যালরি সঞ্চয় করুন এবং মেদ কমান।

আখরোট লিনোলিনিক এসিড তৈরি করে এবং শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে আখরোট খেলে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রেখে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলবে।

গ্রীন টি এন্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে শরীরের পরিবেশকে ঠিক রাখে। এটা ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ করে থাকে এবং কলেস্টেরলের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

মেদ কমানোর অন্যতম একটি খাদ্য ডিম। ডিমের কুসুমের পাশের সাদা অংশ মেদ ও ক্যালরি কমানোর একটি অন্যতম উপাদান। খাদ্যে বিদ্যমান কলেস্টেরল ব্যাপক প্রভাব ফেলে শরীরের রক্তের কলেস্টেরলে। ডিমের সাদা অংশ অনেক বেশি ফ্যাটি এসিড এবং প্রোপটন সমৃদ্ধ যা সমন্বয় করে শরীরের মেদ কমায়।

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ন উপাদান আমাদের শরীরের জন্য। যদি আপনি পরিমাণমতো পানি পান না করেন তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে শুষ্কতা অনুভব করবেন। তাই নিয়মিত পানি পান করুন।

ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে। কিন্তু এটাও সত্যি যে ক্যালসিয়াম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। দুধের তৈরি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার এবং অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরের মেদকে কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।

 

সহজেই তৈরি করুন সুস্বাদু কুনাফা

মিষ্টিজাতীয় খাবারের ভেতরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুনাফা। সেমাই দিয়ে তৈরি মজাদার এ খাবারটি বিভিন্ন উৎসব ছাড়াও পরিবেশন করা যায় অতিথি আপ্যায়নে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায়। ঝটপট তৈরি করা যায় বলে যে কেউ এটি তৈরি করতে পারবেন। তবে তার আগে জানা থাকা চাই এর রেসিপি-

উপকরণ : লাচ্ছা সেমাই এক প্যাকেট, তরল দুধ আধা লিটার, মজেরেলা চিজ এক কাপ, চিনি স্বাদমতো, নারকেল কোরানো ১/৪ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক এক কাপ, কাস্টার্ড পাউডার এক চা চামচ, ঘি দুই টেবিল চামচ।

প্রণালি : লাচ্ছা সেমাই নারকেল, চিনি ও ঘি দিয়ে ভেজে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে এলে কাস্টার্ড পাউডার, কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে নামিয়ে নিন। বেকিং মোল্ডে ঘি ব্রাশ করে এতে সেমাইয়ের উপরে দুধের মিশ্রণ ও চিজ দিয়ে আবার সেমাই দিন। ওভেনে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেক করুন। নামিয়ে চিনি সিরা ঢেলে ঠান্ডা করে উপরে কিশমিশ ও বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

সহজেই সুন্দর চুল পেতে যা করবেন

সুন্দর চুল পেতে আমরা নানারকম পরিচর্যা করে থাকি। তবে ঝক্কিঝামেলার কথা ভেবে অনেকেই আবার সঠিক পরিচর্যা থেকে পিছিয়ে যান। তবে সহজ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফিরে পেতে পারেন আপনার চুলের হারানো সৌন্দর্য। চলুন জেনে নেই-

তাজা মেদেহি পাতা বেটে এর মধ্যে ২/৩ টেবিল চামচ চায়ের লিকার দিয়ে রাখুন সারা রাত। পরের দিন ১টি ডিম, ৩ চা চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। এরপর হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা দূর হবে একেবারে।

দুটি পাকা কলা বাটিতে নিয়ে চামচের সাহায্যে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে ২ টেবিল চামচ মেয়োনেজ এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন ভালো করে। এ মিশ্রণটি চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এবং ভালো করে ধুয়ে নিন। কলা চুল নরম এবং উজ্জ্বল করে তুলবে।

২টি কলা নিয়ে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে ১টি ডিমের কুসুম এবং ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। এ মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা দূর হবে দ্রুত। এ প্যাকটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে এবং চুল পড়াও বন্ধ করবে।

চুলে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে পরে। তাই ব্যবহার করুন এ প্যাকটি। ১টি ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট পরে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহারে এতে চুলে পুষ্টি পৌঁছাবে এবং চুলের রুক্ষতা দূর হবে।

৫/৬টি স্ট্রবেরি ধুয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন, চাইলে চামচ দিয়ে পিষে নিতে পারেন। এতে ১টি ডিমের কুসুম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি পুরো চুলে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।