banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

সাজাই শিশুর চুল

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা কার না থাকে! বড়দের বেলায় কথাটা যেমন সত্য, ছোটদের বেলাতেও তাই। বিশেষ করে ছেলেদের চুলের কাটছাঁটে একটু স্টাইল যোগ করাই যায়। এই সময়ে যেহেতু নানা ধরনের অনুষ্ঠান বা দাওয়াত থাকে, শিশুর চুলের স্টাইলই বাজিমাত করবে সেখানে।

বড়দের মতো ছোটরাও চুলে নানা ধরনের কাট দিচ্ছে আজকাল। আবার স্টাইল পরিবর্তন সব সময় কাটের মধ্যে দিয়েই হতে হবে এমনটাও না। পানি, জেল বা একটা চিরুনি দিয়েই নানা স্টাইলে শিশুর চুল সেট করে নিতে পারেন।

কিছু চুলের স্টাইল বড় চুলে আবার কিছু ছোট চুলের জন্য। সে জন্য কাটের দিকেও নজর দিতে হয়। তবে শিশুদের হেয়ারস্টাইল করার আগে মনে রাখতে হবে তারা ঘোরাফেরা, খেলাধুলা, দুরন্তপনায় মেতে থাকতে ভালোবাসে।

তারা যাতে আরামবোধ করে এবং খেলাধুলা করতে স্বস্তি পায়, সেভাবে তাদের চুলের কাট দেওয়া ভালো। এতে চুল আঁচড়ে সহজে সেট করে নেওয়া যায়।

বানথাই বারবার অ্যান্ড বিউটি স্যালনের হেয়ার এক্সপার্ট কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুর চুলের স্টাইল নিয়ে অনেক বাবা-মা দোটানায় ভোগেন। কেউ আরামের জন্য ছোট চুল রাখতে ভালোবাসেন। আবার কেউ বড় চুল কেটে ছোট করতে চান না। সময়ের সঙ্গে চুলের কাটে ভিন্নতা এনে শিশুকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন কেউ কেউ।

বড়দের চুলের স্টাইল অনেকটা নির্ভর করে মুখের গড়নের ওপর। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সবার মুখের গড়ন একই, তাই তাদের সব ধরনের স্টাইলেই মানায়।’

ছোট চুলে স্পাইক করতে চাইলে ওপরে সামনের দিকে এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল রাখতে হবেচুলের নানা স্টাইল
পারসোনা অ্যাডামসের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ মাসুম বিল্লাহ খান বলেন, ‘ছোট ছেলেদের চুল কাটানোর চেয়ে আঁচড়ে সেট করে নেওয়াই ভালো। তবে যেকোনো হেয়ারস্টাইলের জন্য চুলের দৈর্ঘ্যটা গুরুত্বপূর্ণ।’.
শিশুর চুলে স্পাইক কাট রাখতে পারেন। কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতের দিন জেল দিয়ে চুল ইচ্ছেমতো সেট করে নেওয়া যাবে। স্পাইক ছোট বা বড়—যেকোনো চুলেই করা যায়। ছোট চুলে স্পাইক করতে ওপরে এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল রাখতে হবে। আর পাশে থাকবে আধা ইঞ্চি লম্বা। তবে একেবারে গোলমুখের শিশুদের স্পাইকের বদলে অন্য কাট ভালো দেখাবে।
আবার শিশু লম্বা স্পাইক কাটের মধ্যে ব্যাকব্রাশ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেছনে ছোট রেখে সামনে আড়াই ইঞ্চি বড় রাখতে হবে।
চুল চারদিকে ছোট করে সামনে এক গোছা ফেলে রাখা যায়আবার স্পাইক কাটে মাথার সব দিকের চুলই ছোট করে কেটে জেল ব্যবহার করে স্টাইল বজায় রাখা যায়।
স্পাইক ছাড়াও কোথাও যাওয়ার আগে কিছুটা বড় করে রাখা চুল সামনের দিকে ছড়িয়ে দিলেও ভালো দেখাবে। এর জন্য সামনে আড়াই ইঞ্চি বড় রাখতে হবে। যেসব ছেলে-বাচ্চার চুল কম, তাদের চুল বড় না করে সাইডে এবং ওপরে ছোট করে কেটে চিরুনি দিয়ে এক পাশে দিয়ে সেট করতে পারেন। আবার যাদের পেছনের চুল পাতলা, তাদের চুল চারদিকে ছোট করে সামনে এক গোছা ফেলে রাখা যায়। এ জন্য সামনে চুল দরকার হবে আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা চুল। মাঝে মাঝে শিশুদের একটু রকিং ভাব আনার জন্য মাঝারি লম্বা চুল এলোমেলো স্টাইলে হেয়ার স্প্রে দিয়ে সেট করে নিতে পারেন।
একটু ভিন্নতা আনতে সেলুন থেকে এক পাশটা সম্পূর্ণ ট্রিম করে আরেক পাশে চুল ফেলে দিতে পারেন। এ ছাড়া পাশের চুল ছোট করে মাঝের চুল ড্রায়ার দিয়ে ফুলিয়ে সামনে একটু জেল লাগিয়ে রাখলেও ভালো দেখাবে। এ জন্য পাশের চুল ছোট রেখে ওপরে দুই ইঞ্চি চুল রাখতে হবে। সেলুন থেকে শিশুর চুল এমনভাবে কাটিয়ে আনতে পারেন, যাতে করে সেটা নানা স্টাইলে সেট করে নেওয়া যায়। তাহলে একেক সময় একেকভাবে রাখা যাবে।

 

কিমা স্যান্ডউইচ তৈরি করবেন যেভাবে

স্যান্ডউইচ খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। শিশুদের টিফিনে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় নাস্তা হিসেবে স্যান্ডউইচের কদর রয়েছে বেশ। তবে রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে না এনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এই মজাদার খাবারটি। আজ রইলো কিমা স্যান্ডউইচ তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : মাংসের কিমা – ২০০ গ্রাম, ছোটো সাইজের পেঁয়াজ – ২টি, আদা বাটা – ১ চা চামচ, রসুন বাটা – ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া – ১ চা চামচ, সামান্য হলুদ, তেল – আড়াই চামচ, ধনেপাতা কুচানো, লবণ – আন্দাজমতো, মাখন – ৮ চা চামচ, পাউরুটি – ৮ পিস।

প্রণালি : প্রথমে মাখন, পাউরুটি, ধনেপাতা বাদে বাকি সব উপকরণ ভালো করে তেলে কষিয়ে নিতে হবে। এবার এতে সামান্য পানি দিতে হবে। ভালো করে কিমা সিদ্ধ হলে পানি কড়াইতেই শুকিয়ে নেবেন। এবার তাতে ধনে পাতা মিশিয়ে দিন। ঠান্ডা হতে দিন। পাউরুটির ওপরে মাখন লাগান। একটার ওপরে পুরটা দিয়ে আরেকটা পাউরুটির স্লাইস চাপা দিন। পুর দেওয়া হলে ছুরি দিয়ে তিনকোণা করে কেটে নিন।

 

শীতের সকালে অলসতা কাটাবেন যেভাবে

শীতের সকাল মানেই ধোয়া ওঠা গরম চায়ের কাপ কিংবা গরম গরম পিঠা। কখনো সকালের উষ্ণ মিষ্টি রোদ আবার কখনো লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুম। আর এই ঘুম আপনাকে কখনো কখনো পৌঁছতে দেরি করিয়ে দেয় আপনার কর্মস্থলে। তাছাড়া যাদের সকালে স্কুল কিংবা ভার্সিটি থাকে তাদের এই শীতের সকালের জড়তা কাটাতে বেশ বেগ পেতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সকালে বিছানার পাশে রাখা অ্যালার্ম ক্লক আপনি নিজে নিজে বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ছেন। যারা উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিকের রোগী তাদের সকালে হাঁটতে হয় কিংবা ব্যায়ামের মাধ্যমে রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যা এই শীতের সকাল আপনাকে করতে দেয় না। তবে কিছু কাজ আপনাকে এই শীতের সকালের জড়তা কাটাতে সাহায্য করবে।

গরম পানি দিয়ে গোসল
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠলেও অনেকেরই সেই ঘুমঘুম ভাবটা থেকে যায়। যার ফলে দেখা যায় ঠিকমতো কাজে মন দিতে পারছেন না যেমন ঠিক তেমনই মেজাজ ও খারাপ হয়ে আছে। তাছাড়া শীতের সকালে জড়তা একটা ভাব থেকে যায় যা কাটতে চায় না। তাই এই জড়তা কাটাতে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই। দেখবেন আপনি যেমন ফ্রেশ অনুভব করছেন ঠিক তেমনি আপনার ভেতর প্রাণবন্ত ভাব লাগছে। যা আপনাকে এই জড়তাভাব কাটিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

কফি বা চা
শীতের সকাল মানেই আলসেমিতে ভরপুর। এই আলসেমি আর জড়তা ভরা সকালকে চাঙ্গা করতে আপনার সঙ্গী হতে পারে এক মগ গরম কফি কিংবা এক কাপ গরম চা। যা আপনাকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এবং আপনি জড়তা কাটিয়ে পুনরায় কাজে ফিরে যাওয়ার প্রাণশক্তি পাবেন।

স্বাস্থ্যকর নাস্তা
সকালের নাস্তায় গরম দুধ, মধু, মাখন এই সব রাখার চেষ্টা করুন। এই সমস্ত খাবার আপনাকে এই শীতের জড়তা কাটাতে সাহায্য করবে। সাথে সাথে মৌসুমী ফল রাখতে পারেন যা আপনার এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি করে আপনাকে শীতের সকালের জড়তা এড়াতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম
ব্যায়াম কেবল আপনাকে রোগা করে না। বরং এটি আপনার শরীরে রক্ত চলাচলের মাত্রা ঠিক রেখে আপনাকে কাজে মনোযোগী করে তোলে। এর পাশাপাশি আপনি শীতের সকালে যে জড়তা অনুভব করেন তা নিমিষেই কেটে যাবে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে। তাই শীতের সকালকে উপভোগ করতে আর জড়তা কাটাতে ব্যায়াম করুন।

 

শীত তাড়ানোর যন্ত্র

হিম শীতল বাতাসের কাঁপন জানান দিচ্ছে শীতের উপস্থিতি। শীতের বেশি কাতর হয়ে পড়েন বয়স্ক এবং শিশুরা। শীতের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম পানি। পানি এতটাই ঠান্ডা থাকে যে এর থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই যেন নিজেকে বাঁচানো যায়। তাছাড়া যাদের এ্যাজমা কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য শীতের সময়টা কাটে কষ্টে।

যাদের বাতের ব্যথাজনিত সমস্যা আছে তাদের দেখা যায় দিনের প্রায় অর্থেক সময়টা পার করতে হয় লেপের ভেতর নয়তো কম্বল জড়িয়ে। তাদের এই সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে রুম হিটার। এটি ঘরকে চারিদিক থেকে ধীরে ধীরে গরম করে ফেলে। আর এর উষ্ণতা থাকে লম্বা একটা সময়জুড়ে। রুম হিটার বহনে সহজ তাই দেখা যায় ঘরের একটি কোনায় থেকেই এটি সারা ঘরকে নিমিষেই গরম করে ফেলছে।

পানি ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন কল্পনার বাইরে। আর এই শীতের সময় আপনার কাজকে কিছুটা সহজ করতে পারে গিজার। শীতের প্রকোপ কমাতে গিজারের বিকল্প নেই। টয়লেটের ফলস ছাদে গিজার বসানো হয়ে থাকে। গোসল কিংবা যাদের ঠান্ডা পানিতে সমস্যা তারা পানি ব্যবহারের আগে ১০ মিনিট গিজার চালিয়ে রাখুন। গিজার চালু করার পর পানি প্রয়োজন মতো গরম হলে গিজার আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে।

শীতের সময়ের আরেকটি সঙ্গী হচ্ছে ইলেকট্রিক কেটলি। এই ইলেকট্রিক কেটলির পানি ধারণক্ষমতা থেকে চার থেকে দশ লিটার পর্যন্ত। আর এই ইলেকট্রিক কেটলির জন্য আলাদা বৈদুত্যিক লাইন ব্যবহার করা ভালো।

দরদাম
লোকাল  গিজার  ৪৫  লিটির  ৩  হাজার  ৫০০ টাকা,  ৬৫ লিটার  ৩  হাজার  ৮০০  টাকা,  ৯০  লিটার  ৫  হাজার  ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।, কোরিয়ান হুন্দাই ৯ হাজার টাকা, সেনবো তুর্কি ১২ হাজার টাকায় কিনতে পারবেন।  এছাড়া বিভিন্ন মডেলের হিটারের মধ্যে হিটাচির হিটার পাবেন দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। নোভা দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া মিয়াকো এবং নোভিনার হিটার ১৫০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই পাবেন। সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি। ইলেকট্রিক কেটলির দাম পরবে ৯০০ থেকে ২০০০ এর  মধ্যে।

কোথায় পাবেন
শীতে ব্যবহার করা এসব যন্ত্রপাতি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা শহরের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল (লেভেল-১), মিরপুর ১০, এলিফ্যান্ট রোডের স্যানিটারি কিংবা টাইলসের শোরুমগুলোতে, মৌচাক মার্কেট, নিউমার্কেট, বিভিন্ন ইলেকট্রনিকসের ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে।