banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

রাগ দমনে বিশ্বনবির উপদেশ

ক্রোধ বা রাগ মানুষের জন্য বহু অনিষ্টের কারণ। রাগের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয় আবার এ রাগই মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত করে দেয়। রাগ এমন এক জিনিস; যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এ জন্য রাগ বা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণকারীকে হাদিসে বীর পুরুষ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ওই ব্যক্তি বীর পুরুষ নয় যে অন্যকে ধরাশায়ী করে; বরং সেই প্রকৃত বীর যে রাগ বা ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

এ রাগের ফলে মানুষ অনেক নির্দয় ও অত্যাচারমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে যার জন্য লজ্জিত হতে হয় আবার ক্ষেত্র বিশেষ অনেক কঠিন খেসারত দিতে হয়। তাই মানুষের উচিত কোনো অবস্থাতেই রাগ বা ক্রোধ প্রকাশ না করা।

মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় একজন আরেকজনকে ক্ষমা করে দেয়া সহজ ব্যাপার; কিন্তু রাগের সময় ক্ষমা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। প্রকৃত মুমিন যারা তারা রাগের সময়ও অন্যকে ক্ষমা করে দেয়। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের প্রশংসায় বলেন, ‘এবং যখন তারা ক্রোধান্বিত হয় তখনও তারা ক্ষমা করে দেয়।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৭)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে রাগ থেকে নিজেদের হিফাজত করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে চিকিৎসক ও আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিগণ যে উপদেশগুলো মানুষকে দিয়ে থাকেন, তার মধ্যে রাগ থেকে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা অন্যতম। রাগের কারণে মানুষের দ্বারা অত্যাচার থেকে শুরু করে অধিক উত্তেজিত হওয়ার ফলে জীবনহানির সম্মুখীন হয়।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ওসিয়ত (উপদেশ) করুন। তিনি বললেন, রাগ করবে না। লোকটি বারবার তার কথাটি বলতে থাকলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও একই জবাব দিলেন এবং বললেন রাগ করবে না।’ (বুখারি, মিশকাত)

রাগ বা ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাগ বো ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুনকে পানি দ্বারা ঠাণ্ডা বা নিভানো যায়। যদি কেউ রাগ বা ক্রোধান্বিত হয়; তবে তার উচিত অজু করে নেয়া। (আবু দাউদ, মিশকাত)

অন্য হাদিসে হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যদি দাঁড়ানো অবস্থায় কেউ রাগ বা ক্রোধান্বিত হয়, তবে সে যেন বসে যায়। এতেও যদি তা প্রশমিত না হয় তবে সে যেন শুয়ে পড়ে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)

পরিশেষে…
সুস্থ ও সুন্দর জীবন গঠনে দুনিয়া ও পরকালের শান্তি ও কল্যাণ লাভে সর্বাবস্থায় রাগ বা ক্রোধ থেকে নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অযথা রাগের কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।

রাগের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিশ্বনবির ছোট্ট একটি হাদিসই যথেষ্ট। আর তা হলো- ‘রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে দেয় যেমনিভাবে তিক্ত ফল মধুকে নষ্ট করে দেয়।’ (বাইহাকি, মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাগ বা ক্রোধের অনিষ্ট থেকে হিফাজত করুন। সুস্বাস্থ্য ও ‍সুন্দর জীবন গঠন এবং ঈমান রক্ষায় আত্মনিয়োগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় দোয়া পাঠের ফজিলত

স্বামী যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার ইচ্ছা পোষণ করে, তখন তার জন্য হাদিসের শেখানো দোয়া পড়া সুন্নত। হাদিসে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী সহবাসের সময় এ দোয়া পড়তে বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও  জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা। অর্থাৎ আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদের শয়তান থেকে বাঁচান এবং আমাদের যদি কোনো সন্তান দান করেন, তাকেও শয়তান থেকে বাঁচান।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দোয়া পড়ার ফজিলত
>> হজরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় ‘বিসমিল্লাহ্‌। আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান ও  জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা’ বলে এবং তাদের ভাগ্যে সন্তান নির্ধারণ করা হয়, তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করবে না।’
>> বুখারির বর্ণনায় রয়েছে, ‘শয়তান তার ক্ষতি করবে না, এবং তার উপর শয়তানকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না।

এ বর্ণনার ব্যাখ্যায় কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়-

>> কেউ বলেছেন,‘ যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসের দোয়া  পড়বে, ওই মিলনে সন্তান হলে সে সন্তানটি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যার উপর শয়তানের কর্তৃত্ব থাকবে না।

>> অনেকে বলেছেন, স্ত্রী সহবাসের সময় দোয়া পড়লে এবং ওই মিলনে সন্তান হলে শয়তান তাকে (সে সন্তানকে) পরাস্ত করতে পারবে না, অথবা শয়তান তাকে কুফরির মাধ্যমে গোমরাহ করতে পারবে না, অথবা তার জন্মের সময় পিতার সঙ্গী হতে পারবে না যখন সে তার মায়ের সাথে সহবাস করে।

>> এ প্রসঙ্গে কাজি ইয়াজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ বলেছেন : জন্মের সময়, অন্যান্য সন্তানের বিপরীতে,  শয়তান তাকে খোঁচা দেবে না। তিনি বলেন : তবে সকল ক্ষতি, শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সে সুরক্ষা পাবে এ অর্থ কেউ করেন নি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে স্ত্রী সহবাসের দোয়া পড়ে তার ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। সৎ ও নেক সন্তান দান করুন। আমিন।

 

সফল অর্থব্যবস্থাপনার জন্য গড়ে তুলুন এই ৩টি অভ্যাস

সফল ব্যবসায়ী হতে হলে অর্থের হিসেবটাও সফলভাবে রাখতে হবে আপনাকে। তাই না? অর্থ ব্যবস্থাপনা একটি কঠিন দক্ষতার বিষয়। আপনি যখন একজন উদ্যোক্তা তখন আপনাকে সামলাতে হবে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি দিক। সকল প্রয়োজন তখনই পূরুণ করা সহজ হবে যখন আপনার হাতে থাকবে অর্থ। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই একমাত্র এটি করা সম্ভব। সফলতার সূত্র লুকিয়ে আছে এখানেই।

 

প্রতিষ্ঠানের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে এবং অর্থ সমাগম বাড়াতে গড়ে তুলুন এই ৩টি অভ্যাস-

 

সঞ্চয় মানসিকতা
সুস্থ আর্থিক জীবনযাপনের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা খুবই জরুরি। এটি যেমন আপনার ব্যক্তিজীবনের জন্য সত্য তেমনি সত্য আপনার ব্যবসার জন্যেও। নতুন ব্যবসার শুরুতে হয়ত আপনার পক্ষে সঞ্চয় করা সম্ভব হবে না। কারণ আপনি যা আয় করবেন তার সিংহভাগই চলে যাবে ঋণশোধ করতে বা পুনঃবিনিয়োগে।

 

কিন্তু সঞ্চয় থাকতে হবে আপনার পরিকল্পনায়। একবার ঋণ করে ব্যবসা শুরু করেছেন। আবার বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আবারো ঋণ করবেন না! তাই অল্প অল্প করে টাকা জমানো শুরু করুন। প্রতিমাসে সঞ্চয় করুন। অর্থ সঞ্চয় হোক আপনার নিয়মিত অভ্যাস।

 

মিতব্যায়ী হন

আপনি যখন একজন উদ্যোক্তা তখন ইচ্ছেমত খরচ করা আপনার জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকারক। অন্যের অধীনে কাজ করার সময় আপনি মাসিক চুক্তিতে আয় করেন। তখন আপনি নিশ্চিত জানেন যে, মাস শেষে কী পরিমাণ অর্থ আপনি পাবেন। কিন্তু নিজের ব্যবসায় উপার্জন নির্দিষ্ট হয় না কখনো। তাই বুঝে শুনে খরচ করা উচিত।

 

নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা ভালমত দাঁড় করানোর আগে স্বাধীনমত খরচ করা মোটেই ঠিক নয়। প্রতিষ্ঠানকে নিয়মানুবর্তিতায় নিয়ে আসতে মিতব্যায়িতা খুবই জরুরি।

 

সকল ক্রয়ের হিসেব
আপনার প্রতিটি খরচের হিসেন আপনাকে রাখতে হবে এবং অবশ্যই লিখিত রাখতে হবে। লিখিত না রাখলে মাস শেষে আপনি মেলাতে পারবেন না কোথায় কোনখাতে কত খরচ হল এবং কোন খরচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কোন খরচ না করলেও চলতো অথবা কোন কর্মী আপনার অর্থের অপব্যবহার করছে কিনা। তাই অবশ্যই সকল ব্যায়ের নগদান হিসেব করতে হবে। মাস শেষে ব্যালেন্স সিট করে ফাইনাল একাউন্ট করে পরের মাস শুরু করতে হবে।

 

খুব সহজে তৈরি করুন মজাদার জাপানিজ চিজকেক

বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় একটি কেক হলো চিজকেক। কিন্তু মজাদার এই কেকটি সব বেকারিতে কিনতে পাওয়া যায় না। অনেকে মনে করেন চিজকেক তৈরি করা বেশ কঠিন। কঠিন এই কেকটিও সহজে তৈরি করা সম্ভব। আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক চিজ কেকের সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ:

৬টি ডিম

২৫০ গ্রাম ক্রিম চিজ

৫০ গ্রাম মাখন

১০০ মিলিলিটার দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

১ টেবিল লেবুর রস

৬০ গ্রাম ময়দা

২.৫ টেবিল চামচ কর্ণস্টার্চ

১/৪ চা চামচ লবণ

২/৩ কাপ চিনি

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩২৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট(১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে) প্রি হিট করে নিন।

২। একটি পাত্রে মাখন, ক্রিম চিজ এবং দুধ একসাথে মেশান।

৩। এবার চুলায় প্যানে গরম পানির মধ্যে পাত্রটি রাখুন। সবগুলো উপাদান মিশে ক্রিম হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

৪। এরসাথে ভ্যানিলা এসেন্স, ডিমের কুসুম(সাদা অংশ ছাড়া), লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

৫। এই মিশ্রণের সাথে ময়দা, কর্ণস্টার্চ, লবণ মেশান।

৬। আরেকটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ বিট করুন। ডিমের অংশ ফেনা উঠে আসলে এতে চিনি দিয়ে আবার বিট করুন।

৭। ময়দার মিশ্রণের সাথে অল্প অল্প করে ডিম চিনির মিশ্রণে মেশাতে থাকুন।

৮। কেকের ট্রেতে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। বেকিং-এর আগে বেকিং ট্রেটি ফয়েল পেপার দিয়ে পেঁচিয়ে নিন।

৯। এটি ১ ঘন্টা ১০ মিনিট বেক করুন। ওভেন বন্ধ করার ১৫-৩০ মিনিট পর কেকটি বের করুন।

১০। কেকের উপরে আইসিং সুগার দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

শীতে চাই শাল

শীতের হাওয়ার কাঁপন জানান দিয়ে যাচ্ছে যে শীত চলে এসেছে। পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। চারিদিকের হিম হিম বাতাসের সাথে গরম কাপড় আর গরম চা ছাড়া যেন সকালটাই জমে না। এই শীতের মৌসুম ফ্যাশন প্রিয় মানুষদের কাছে খুবই পছন্দের একটি সময়। শীতের হরেক ফ্যাশনের মধ্যে তরুণ-তরুণী সবার পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে শাল।

শাল নানা ধরনের হতে পারে। কোনোটি হালকা আবার কোনোটি ভারী। বহনে শাল যেমন সহজ তেমনই এটি শীতে আরামদায়ক। শালের ক্ষেত্রে খাদি শাল সবার পছন্দের শীর্ষে। এছাড়া শীতের শালের উপর উলের কাজ কিংবা নানা সুতার কাজ শাল এর মাঝে নিয়ে এসেছে নতুনত্ব।

শাল যে শুধু খাদির হয়ে তা কিন্তু নয়। বর্তমানের ফ্যাশন হাউজগুলো ফ্যাশন প্রিয় মানুষদের কথা চিন্তা করে তৈরি করছে সিল্ক, পশমি সুতা, মোটা সুতি ইত্যাদি কাপড়ের শাল। এসব চাদরে এখন আবার যুক্ত হয়েছে নানা নকশা। তাতে কখনো কখনো যুক্ত হচ্ছে পুঁতি, চুমকি এবং দুই রঙা কাপড়ের ব্যবহার। অফিসে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা বাড়িতে সব জায়গাতেই ছেলেমেয়ে উভয়ের কাছেই শালের চাহিদা সমান।

শালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাল হচ্ছে কাশ্মীরি শাল। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই শাল সংগ্রহ করে। এই কাপড়ে রয়েছে উষ্ণতা তা শীতকে আপনার কাছে থেকে অনেক দূরে রাখে। শালের ক্ষেত্রে বাইরের শালের কদরও কম নয়। নানা রঙের আর ডিজাইনের শালের চাহিদা অনেক। বাইরের দেশের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশের শালের চাহিদাও কম নয়। মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশীয় পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। দেশে তৈরি শালের মধ্য পশমিনা শাল উল্লেখযোগ্য। এছারা রয়েছে লুধিয়ানা, জয়পুরি, চায়নিজ, বার্মিজ সহ আরো অনেক শাল।

শীতের শুরু থেকেই শালের গ্রহণযোগ্যতা থাকে অনেক। হালকা শীতে আপনি বাছাই করে নিতে পারেন খাঁদি, তাঁত, গ্রামীণ চেক সহ প্রিন্ট এবং এম্ব্রয়ডারি আর হাতের কাজ করা শাল। এসব শাল আপনি ঘরে পরার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে পড়ে যেতে পারেন। তবে পার্টির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন ধরনের শাল পছন্দ করা উচিৎ। এসব জায়গার জন্য আপনার পছন্দে রাখতে পারেন সিল্কের, ফেব্রিক্সের উপর নকশিকাঁথার সহ নানা ধরনের ভারী কাজের শাল। আরেকটু জমকালো ভাব আনতে চাইলে তাতে পুঁতি কাঁচ বসিয়ে নিতে পারেন। রঙের ক্ষেত্রে সাদা-কালো, সবুজ, বাদামী, ম্যাজেন্ডা রঙ পছন্দ করতে পারেন।

শালের ক্ষেত্রে রঙের পাশাপাশি এর কাজের প্রতিও সমানভাবে নজর দিন। অনেকে কেবল রঙ আর নকশা দেখে শাল কিনে নেয়। এ কাজটি করা ঠিক নয়। শালের ক্ষেত্রে উষ্ণতার কথা সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। আর এই শীতের হিম শীতল বাতাসকে ঢেকে নিন শালের উষ্ণ পরশে।