banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ফেসবুক সেলিব্রেটি হতে চান না অন্তরা

অন্তরার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে যখন প্রথমে কথা হলো তখন তিনি ছিলেন রাস্তায়, শ্যুটিং সেরে বাসায় ফিরছিলেন। মুঠোফোনের ওপাশ থেকে বললেন, ‘ভাইয়া, জ্যামে আটকে পড়েছি। ফ্রি হয়ে কথা বলছি।’ ঘণ্টাখানেক পরে তিনি নিজেই ফোন করলেন।

অন্তরা প্রথমেই জানালেন তার ব্যস্ততার কথা। ক’দিন আগে তিনি নেপাল থেকে অনিরুদ্ধ রাসেলের পরিচালনায় ‘টাইম’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শ্যুটিং করে এসেছেন। দৃকের পরিবেশনায় নাটকটি চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হচ্ছে।

নেপালে টানা কুড়ি দিন ছিলেন অন্তরা। আরো ছিলেন ছোটপর্দার ১৫ জন শিল্পী। শুটিংয়ের ফাঁকে অন্তরা নেপালের কাঠমান্ডু শহরটা ঘুরে দেখেছেন, সিনেমা দেখেছেন। তার মতে, এই ট্যুরটা ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো! মানে শ্যুটিং হলো, আবার ঘোরাঘুরিও। বেশ উপভোগ্য ছিল সময়গুলো।’

বর্তমানে অন্তরা কাজ করছেন আরো কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে। এর মধ্যে রয়েছে এশিয়ান টিভিতে মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘ব্যাকবেঞ্চারস’, দেশটিভিতে আর বি প্রীতিমের ‘কমিউনিটি’, আরটিভিতে শ্রাবণী ফেরদৌসের ক্রাইম ফিকশন ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য’ ইত্যাদি।

এ তো গেলো নাটক, বিজ্ঞাপনের খবরা-খবর আছে? অন্তরা বললেন, ‘আমি আসলে খুব বেশি বিজ্ঞাপনে কাজ করিনি। তবে হ্যাঁ, ক’দিন আগে আরএফএল গ্যাসের চুলার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। যেটি ভাইরাল ক্যাম্পেইন হবে। পুরান ঢাকার আবহে, চমৎকার কনসেপ্টে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন মাসুদ জাকারিয়া সাবিন।’

ontora

এদিকে, গত ঈদে অন্তরা-অভিনীত সাতটি নাটক প্রচার হয়েছে। এর মধ্যে কাজল আরেফিন অমির ‘ভিডিও’ এবং ‘ট্যাটু’ নামের দুটি নাটকে কাজ করে প্রচুর রেসপন্স পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘নাটক দুটিতে আমার উপস্থিতি ছিল একেবারেই অন্যরকম। এর মধ্যে ‘ট্যাটু’ নাটকে অভিনেতা নিশো ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডের চরিত্রটি দিয়ে প্রশংসা পেয়েছি। আমার ভীষণ ইচ্ছে আগামীতে এ ধরনের ব্যতিক্রমী সব গল্প এবং চরিত্রের নাটকে অভিনয় করবো।’

রুপালি পর্দাতেও কাজের ইচ্ছে আছে অন্তরার। তবে সেটা তিনটি ভালোকে সঙ্গে নিয়ে। ভালো গল্প, ভালো চরিত্র এবং ভালো নির্মাতা। যদি এই তিনটি ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়, তবে ফুলটাস কিংবা হাফবলি যাই হোক না কেন রুপালি পর্দায় ছক্কা হাঁকাতে চান তিনি।

অন্তরার ভাষ্য, ‘এখন তো আমাদের ফিল্ম ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নতুন নির্মাতারা আসছেন। আরো কিছুদিন সময় নিয়ে চলচ্চিত্রে কাজের জন্য মনোযোগী হবো।’

বর্তমানে রাজধানীর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তরা। তার পুরো নাম অন্তরা আজিম হলেও বন্ধুমহল এবং মিডিয়ায় অন্তরা নামেই পরিচিত। জন্ম, শৈশব, কৈশোর- পুরোটাই কেটেছে ঢাকাতে। ছোটবেলা থেকে তিনি টুকটাক গান করতেন। তবে আগের মতো আর গানে সময় দিতে পারেন না।’

সদালাপি আর মিশুক প্রকৃতির মেয়ে অন্তরা সবসময় আড্ডা দিতে এবং এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন। আর পাঁচটা মেয়ের মতো খুব বেশি সাজগোজের প্রতি ঝোঁক নেই অন্তরার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন অভিনয়ে মনোযোগী তিনি।

অন্তরা বলেন, ‘ছোটবেলা তো দূরের কথা সাত বছর আগেও ভাবিনি আমি মিডিয়ায় কাজ করবো, অভিনেত্রী হবো। ২০১১ সালে শখের বশে একটি ফ্যাশন হাউসে স্বাধীনতা দিবসের পোশাক কালেকশনের ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। সেটি প্রকাশ হয়েছিল অনেক বিলবোর্ড, পত্র-পত্রিকায়। তারপর টুকটাক পত্রিকার ফটোশুটে অংশ নিতাম। এসব শখের বশেই করতাম।’

ontora

এরপর ২০১৩ সালে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের নির্দেশনায় ‘মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট’ টেলিফিল্মে প্রথম অভিনয় করি। তারপর আস্তে আস্তে অনেক নাটকে কাজ করেছি।

আরো বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নতুন করে নিজেকে অবিষ্কার করছি। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে অভিনেত্রী নওশীন আপুকে। তার অভিনয় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাছাড়া আমার পরিবার থেকে আমার মা আমাকে অভিনয়ের ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দেন। তিনি আমার কাজের ভালো-মন্দ সমালোচনা করেন।’

যোগ করে অন্তরা বলেন, ‘আগে অভিনয় করতাম একেবারেই শখের বশে। ভালো লাগতো কাজ করতে, এখন আরো বেশি করে। তবে ইদানীং কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ বেড়ে যাচ্ছে, আর অভিনয়টা নিয়ে প্রফেশনালি ভাবছি। আমি ফেসবুক সেলিব্রেটি হতে চাই না। সুবর্ণা মুস্তাফা, বিপাশা, তারিন আপুরা তো ফেসবুক দিয়ে আজকের অবস্থানে আসেননি। তারা এসেছেন তাদের অভিনয় দিয়ে। আমিও আগামীতে পেশাদার অভিনেত্রী হয়ে মিডিয়ায়ই থিতু হতে চাই। সবার অন্তরে ঠাঁই পেতে চাই।’

অন্তরা তার অন্তর থেকে চান অভিনয়ের আঙিনায় নিজের নামটি অম্লান করে রাখতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই পথ চলছেন তিনি। কোনো তাড়াহুড়া নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।

 

রিযিক বৃদ্ধির কুরআনি আমল

কুরআন মানুষের জীবন পরিচালনার গাইড। আল্লাহ তাআলা মানুষ এবং জিন জাতিকে পৃথিবীতে তাঁর ইবাদাত-বন্দেগি করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এ জীবন পরিচালনার জন্য তিনি গাইডস্বরূপ কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন।

কুরআনে মানুষের সব সমাধান রয়েছে। কুরআনের বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনি আমল করাও মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ইবাদাত কবুলের পূর্বশর্তই হলো হালাল জীবিকা উপার্জন করা। তাই হালাল রিযিক লাভের কুরআনি আমল তুলে ধরা হলো-

Doa

উচ্চারণ : আল্লাহু লাতিফুম্ বি-ই’বাদিহি ইয়ারযুকু মাইঁয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাওইয়্যুল আজিজ।

অর্থ : আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। (সুরা শুরা : আয়াত ১৯)।

আমল
প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়া। যে বা যারা নিয়মিত এ আমল করবে; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে রিযিকের সংকট থেকে মুক্তি দান করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনের উল্লিখিত আয়াতে আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সহজেই তৈরি করুন চিকেন বল স্যুপ

শীত পড়তে শুরু করেছে। জমিয়ে স্যুপ খাওয়ার এইতো সময়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে স্যুপ তো খাওয়া হয়ই, চাইলে সুস্বাদু সব স্যুপ তৈরি করতে পারেন ঘরেও। আজ থাকলো মজাদার চিকেন বল স্যুপ তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : স্যুপ পাউডার এক প্যাকেট, মুরগির মাংস বাটা এক কাপ, মুরগির স্টক চার কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া দুই চা-চামচ, আদা-রসুন বাটা আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ বাটা তিন/চারটি, কাঁচামরিচ ফালি তিন/চারটি, থাই বা লেমন গ্রাস দুই/তিন টুকরা, লাল-সবুজ-হলুদ ক্যাপসিকাম কিউব আধাকাপ, গাজার-পেঁয়াজকলি কুচি দুই টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট সামান্য, কর্নফ্লাওয়ার দুই টেবিল চামচ, মাখন বা ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : একটি পাত্রে মাংস বাটা আদা-রসুন এক চা-চামচ, গোলমরিচ কাঁচামরিচ বাটা, লবণ, কর্নফ্লাওয়ার সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে ছোট ছোট বল বানিয়ে মাখন বা ঘিয়ে হাল্কা ভেজে নিন। হাঁড়িতে স্টক, স্যুপ পাউডার, লেমন গ্রাস, কাঁচামরিচ, টেস্টিং সল্ট ও লবণ দিয়ে মৃদু আঁচে জ্বাল দিন। পানি ফুটে এলে বল, ক্যাপসিকাম, গাজর, পেঁয়াজকলি দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এবার ডিম ফেটে অল্প অল্প করে দিয়ে ক্রমাগতভাবে নাড়তে থাকুন। দুই মিনিট পর গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারাটাই ফ্যাশন : মারিয়া নূর

খেলা নিয়ে ছেলেবেলা থেকেই ছিল প্রবল আগ্রহ তার। তখন থেকেই চাইতেন খেলা নিয়ে কাজ করতে। তার সাথে সাথে তার স্বপ্ন ছিল মিডিয়া এবং ফ্যাশনকে ঘিরে। বলছিলাম মডেল, রেডিও-জকি, উপস্থাপক মারিয়া নূরের কথা। মিডিয়া জীবনের শুরুতে তিনি কাজ করেছেন বিটিভিতে শিশুতোষ একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে। এর পরেই তিনি যাত্রা শুরু করেন রেডিও জকি হিসেবে এবিসি রেডিওতে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাসিমুখের এই তরুণী শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেয়। তিনি রেডিও জকি হিসেবে কাজ করেছেন ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত। এরপরে তিনি কাজ শুরু করেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর- এর একটি লাইফস্টাইল রিলেটেড অনুষ্ঠানে। তিনি একাধারে ভিডিও জকিও ছিলেন। এসবের পাশাপাশি তিনি প্রচুর মডেলিং এবং টিভিসিতে কাজ করেছেন। মারিয়া নূর একজন ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তি। তার কাছে ফ্যাশন মানে কী এবং তিনি কীভাবে তার লাইফস্টাইল মেইন্টেইন করেন তা নিয়ে তিনি কথা বলেন , সঙ্গে ছিলেন ফারিন সুমাইয়া।

মারিয়া নূরের প্রতিটিদিন কাটে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। খুব অল্প সময় পান অবসরের জন্য কিংবা ছুটি কাটানোর জন্য। কাজের চাপ বেশি থাকলে কখনো কখনো দুই বা তিন ঘণ্টা পান ঘুমের জন্য। কাজের খাতিরে কখনো ভোর চারটায়ও ঘুম থেকে উঠতে হয় আবার কখনো বা ঘুমাতে হয় তিনটা থেকে চারটায়! অবশ্য ছুটির দিনে এর চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ছুটির দিন ঘুমিয়ে কাটাতেই পছন্দ করেন এই শোবিজ তারকা। তবে অবসর সময় কাটে কিছুটা ভিন্নভাবে। অবসরে লম্বা ছুটি পেলে তিনি ঘুরতে চলে যান। ঘুরতে যাওয়া তার পছন্দের তালিকায় অন্যতম। এছাড়া তিনি রান্না করতে ভালোবাসেন এবং সারাসপ্তাহের জমে থাকা নাটক কিংবা সিনেমা অবসরেই দেখে নেন।

রূপচর্চার বিষয়ে তার কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন রূপচর্চা বলতে আমার কাছে ফ্রেশ থাকা। তিনি ভারী মেকআপ করেন না এবং সারাদিনে যেটুকু মেকআপ করেন তা যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি তুলে ফেলার চেষ্টা করেন। শরীর চর্চার ক্ষেত্রে তিনি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করেন। তিনি ভাত সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। তার সাথে সাথে কোমল পানিয় এবং কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার তিনি এড়িয়ে চলেন। তার পছন্দের খাবার পেরিপেরি চিকেন। আর পছন্দ ঝাল জাতীয় খাবার।

সকালের নাস্তায় মারিয়া নূর খেয়ে থাকেন ব্রাউন ব্রেড, চিকেন সালসা আর সবজি। দুপুরে ফ্রুট আর রাতে হালকা কিছু খাবার। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পরে তিনি অল্প অল্প করে কিছু না কিছু খেয়ে থাকেন।

পোশাকের ক্ষেত্রে তার পছন্দ ওয়েস্টার্ন পোশাক। ভারী কাজের পোশাক তার পছন্দ না। এক্সেসরিজ হিসেবে পছন্দ সানগ্লাস আর ঘড়ি। সানগ্লাসের ক্ষেত্রে মারিয়া নূরের পছন্দের ব্র্যান্ড আরমানি আর ঘড়ির ক্ষেত্রে গুচি এবং ওবাকু। তার পছন্দের গায়ক অর্ণব, আর গায়িকা কণা এবং লানা ডেল। মারিয়ে নূরের পছন্দের লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং প্রিয় ব্যক্তি তার মা ।

মারিয়া নূরের কাছে ফ্যাশন মানে কী তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ না করে যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। যা আপনি ক্যারি করতে পারেন তাই আমার কাছে ফ্যাশন।

 

নারী উদ্যোক্তাদের সুষ্ঠু ব্যাংকিং সহায়তা দেওয়ার আহ্বান

নারী উদ্যোক্তারা যেন সহজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পান, সে জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসি-এর এক গবেষণা রিপোর্ট দেখা গেছে, বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার কোটি ঋণ। কিন্তু তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে, মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসির রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাংকিং খাত এখন পর্যন্ত নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কিন্তু এ উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ সরবরাহ করলে তারা ব্যাংকিং খাতের জন্য বিশাল সম্ভাবনা বয়ে আনবে।

বাংলাদেশের মোট ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ২.৩ শতাংশের মালিক নারী এবং এই উদ্যোক্তারা গড়ে তাদের আয়ের ৯০ শতাংশ পরিবারের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে।
৫০০ নারী উদ্যোক্তার ওপর জরিপ চালিয়ে এক বছর গবেষণা করে এ রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তারা এগুতে চায় কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় বাধা অর্থায়ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ‘একুশ শতকে নারী উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে সমৃদ্ধশালী হওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আইএফসি-এর রিপোর্টটি নারী উদ্যোক্তাদের কিভাবে আরও বেশি করে ঋণ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকগুলো।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে বেনো লাঘামে ও আইএফসি-এর বাংলাদেশ প্রধান ওয়েন্ডি ওয়ার্নার।