banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

সাপ্তাহিক ছুটিতে বিশ্বভ্রমণকারী এক নারীর গল্প

নতুন নতুন দেশ ঘুরে বেড়ানোটা কারোর কাছে শখ, কারোর কাছে বিলাসিতা আবার কারোর কাছে নেশা! অনেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তৈরি হয়ে যান। আবার এমন মানুষও আছেন ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে ছুটি, সময়, খরচের একশ একটা বাহানা তৈরি করেন। আসলেই কী ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি টাকা এবং সময়ের প্রয়োজন?  আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনার ধারণা পরিবর্তন করে দেবে ইলোনা কারাফিন।

ইলোনা কারাফিন মাত্র ২৩ বছর বয়সে ঘুরে বেড়িয়েছেন ১০টিরও বেশি দেশে! সপ্তাহিক ছুটিতে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। মাত্র ১০ বছর বয়সে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন। দুই বছর চিকিৎসা করার পর বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ। কিন্তু এই ক্যান্সার তার চিন্তা চেতনাকে ব্যাপক পরিবর্তন করেছে।

“ আমার যখন ১০ বছর বয়স তখন ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর তখন আমি উপলব্ধি করতে পারি আমার সমবয়সী কিংবা আমার থেকে বড় সবাই এমন কাজ করছে যার মধ্যে তাদের কোন আগ্রহ নেই”।

“আমি আমার যৌবন নষ্ট করতে চাই না, আমি চাই না অন্যরা তাদের যৌবন নষ্ট করুক, শুধুমাত্র টাকা অথবা সময় অভাবের কারণে”।

তাই ইলোনা প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে ঘুরতে চলে যান নিউ ইয়র্কের কাছের কোন দেশে। তা হতে পারে বালি কিংবা পোল্যান্ড বা প্যারিস, পতুগার্ল নয়তো নতুন কোন দেশ। কখনও তিনদিন আবার কখনও দুইদিন হয়ে থাকে ভ্রমণের স্থায়িত্ব। খাওয়া, থাকা, যাতায়াত সব মিলে তার ১০০০ ডলারের থেকেও কম খরচ হয়। সময় কম থাকলে ঘুরে আসে নিউ ইয়র্ক শহরের আশেপাশে কোন জায়গা।

ইলোনে মনে করেন “ আপনার সময় আছে, সেই সময়টি বের করুন। এমনকি সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষটিরও সময় আছে, শুধু সেটি খুঁজে বের করতে হবে। আর সেই সময়টি আমি বের করে নিয়েছি”।

ইলোনে একটি ই-কমার্স কোম্পানিতে আর্থিক বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করার জন্য checkmatecancer.org নামক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ভ্রমণ বিষয়ক ব্লগ ইলোনা দ্যা এক্সপোলারে তিনি কিছু টিপস দিয়েছেন। তার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো।

১। ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে নমনীয় হতে হবে। এরজন্য অনেক কিছু ছাড় দেওয়া প্রয়োজন পড়তে পারে। সেটিকে সহজভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।

২। যেখানে ঘুরতে যাবেন, তার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে নিবেন। আর এই কাজটি করতে সাহায্য করবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

৩। ট্রাভেলিং সাইটগুলো ব্রাউজ করার আগে আপনার ব্রাউজারের কুকিস সরিয়ে নিন। অনেক সাইট আপনার কুকিস ব্যবহার করে আপনাকে মনে রাখে।

৪। ভ্রমণে যাওয়ার আগে অব্যশই একটি আর্থিক বাজেট পরিকল্পনা করে নিবেন। সেখানে খাওয়া থেকে শুরু করে শপিং পর্যন্ত সবকিছু তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রাখুন।

৫। সম্পূর্ণ ভ্রমণটি নিয়ে একটি পরিকল্পনা করে নিন। যেমন প্রথম দিন কোথায় যাবেন, দ্বিতীয় দিন কোথায় যাবেন ইত্যাদি। এটি প্ল্যান এ, প্ল্যান বি নাম দিয়ে রাখতে  পারেন।

৬। অনলাইনে হোটেল বুকিং দেওয়ার আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বুকিং করার পরামর্শ দেন ইলোনা।

 

পার্লার বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি?

মাসে না হলেও বছরে বেশ কয়েকবার বিউটি পার্লারে ঘুরে আসা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা হয়ে গিয়েছে এখন আমাদের দেশের নারীদের কাছে। হয়তো তাদের ভেতরে পড়ে যান আপনিও! কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার এই বিউটি পার্লারে যাতায়াতই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য বেশ অসুস্থতার কারণ? ভাবছেন তেমন আর কি হবে সামান্য বিউটি পার্লারে গেলে! এই নাহয় খানিকটা ঘাড়ব্যথা, একটু কোমর লেগে যাওয়ার মতন ব্যাপার- এই তো? আপনারা যারা এটা ভাবছেন আর বিউটি পার্লারে নিয়মিত ঘুরে আসছেন তাদেরকেই বলছি- না, কেবল এই ছোটখাটো ব্যাপারই নয়, বিউটি পার্লার আপনার শরীরের জন্যে এনে দিতে পারে স্ট্রোকের মতন ভয়াবহ অসুস্থতাও!

ভাবছেন কী করে? চলুন তাহলে শুনি আসি এক ভুক্তভোগীর কথা। পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যার জন্যে শ্যাম্পু করাটা প্রথমেই দরকার পরে। আর সেবার আর সব সময়ের মতনই পার্লারে গিয়ে নিজের চুলের শ্যাম্পু করান স্যান ডিয়াগোর বাসিন্দা অ্যালিজাবেথ স্মিথ নামের একজন নারী। শ্যাম্পু করে বাসায় ফেরার কয়দিন পরেই হঠাৎ প্রচন্ড বমিসহ মাথা গরম হয়ে যাওয়া আর দূর্বলতার সম্মুখীন হন তিনি। পরবর্তীতে চিকিত্সকেরা জানান যে অ্যালিজাবেথ স্ট্রোক করেছেন!

বিশেষজ্ঞদের মতে বিউটি পার্লারে যাতায়াতকারীদের জন্যে এটা খুব সাধারণ ঘটনা। বাজফিডের তথ্যানুসারে, ঘাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা উঁচু করে তোলার প্রবণতা আমাদের ঘাড়ের আর্টারিগুলোকে ভেঙ্গে বা কেটে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আর্টারিগুলোতে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় এবং চাপ সৃষ্টি হয়। সেই চাপ থেকেই মাথা আক্রাণ্ত হয় আর স্ট্রোকের মতন ঘটনা ঘটে থাকে।

সবচাইতে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এখনো অব্দি সরাসরিভাবে বিউটি পার্লারের সাথে স্ট্রোকের খুব বেশি সম্পর্ক বের করতে পারেননি বলে চিকিত্সকেরা এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না। আর সত্যি বলতে গেলে এটা খুব কম ঘটে থাকে। খুব বেশি ঘাড় বাঁকানোর ফলেই ঘটনাটি ঘটে থাকে। তাই এখনো পর্যন্ত ঘটনার ভয়াবহতা জানার পরেও এ ব্যাপারে চুপ করে আছেন চিকিত্সকেরা।

তাহলে কি বিউটি পার্লারে আর যাওয়া যাবে না? না, তা কেন যাবেনা! অবশ্যই যাবেন। তবে পরের বার শ্যাম্পু থেকে শুরু করে যেকোন রূপচর্চার আগে নিজের ঘাড়কে সুরক্ষিত করে নিতে ভুলবেননা। বিশেষ করে শ্যাম্পু করার সময় ঘাড়ের সাথে কার্যকরীভাবে কাজ করে এমন কোন পদ্ধতি কিংবা দরকারে একটা তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন গলায় ( পপসুগার )। এতে করে হয়তো খানিকটা ভিজে যাবেন আপনি। তবে স্ট্রোকের সম্ভাবনা তো কমবে!

 

 

স্ত্রী বুদ্ধিমতি হলে বাড়বে আপনার আয়ু!

বুদ্ধিমতি আপনার সঙ্গী, কিন্তু বেশিদিন বেঁচে থাকার আশির্বাদ লাভ করলেন আপনি! কেমন হয় তাহলে? গবেষকরা কিন্তু এমন সম্ভাবনার কথাই বলছেন! সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য যে আপনার সঙ্গীর বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আয়ু।
 
আপনি যখন আপনার হবু স্ত্রীর কথা কল্পনা করেন তখন কি থাকে আপনার প্রথম চাওয়া? নিশ্চয়ই একজন সুন্দরী রমনীকে দেখেন আপনি। দেখেন তিনি কেমন রান্না করছেন, কেমন যত্ন নিচ্ছেন আপনার এবং আপনার পরিবারের। তিনি প্রখর বুদ্ধমতি, দূর্দান্ত স্মার্ট, যে কোন সমস্যা সমাধান করে ফেলেন মূহুর্তে এটা ভাবতে হয়ত গলা শুকিয়ে আসে আপনার। আমাদের উপমাহাদেশের পুরুষেরা নারীকে তার চেয়ে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কল্পনাই করতে পারেন না। কিন্তু এই কল্পনা এবং এর বাস্তয়ায়ণ আপনার বেঁচে থাকার সময়কে দীর্ঘ করে দেবে। কীভাবে? আসুন জেনে নিই গবেষকদের মতামত।
গবেষকরা বলছেন, যে সকল পুরুষেরা বুদ্ধিমান নারীদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন তারা কম অসুস্থতায় ভোগেন। তাদের জীবনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কমে যায়, স্ট্রেস কমে যায়। ফলে তারা কম মানসিক চাপে ভোগেন। এছাড়াও তারা Alzheimer’s বা dementia রোগে কম ভোগেন। এটা সবাই জানেন যে, বুদ্ধিদীপ্ত খেলা মানুষকে এধরণের ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, একজন বুদ্ধিমান সহধর্মিনী আপনার বুদ্ধির চর্চাকে ধরে রাখে, থেমে যেতে দেয় না। তাই তিনি আপনাকে রাখতে পারেন এধরণের ব্যাধিমুক্ত।
 
অবিশ্বাস্য হল, স্টাডিতে দেখা গেছে কিছু পুরুষ যারা উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন নারীদের বিয়ে করেছেন তারা শারীরিকভাবে দূর্বল মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যজণিত কোন সমস্যা দেখা যায় নি। তারা বরং নিজেদের মানসিক যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
 
নারীদের উচিৎ তাদের বুদ্ধি নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং ছোটবেলা থেকেই তাদের গড়ে তোলা উচিৎ দায়িত্বশীল এবং স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে। পুরুষের উচিৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীকে সমমর্যাদা দেওয়া, পরিবারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা। এভাবেই জীবন স্বাস্থ্যকর হয়, জীবনের বাড়তি অনেক প্রেশার কমে যায়। কিন্তু দূঃখজনক হল, আমরা নারীদের যোগ্যতা বলতে এখনও শুধু সৌন্দর্য্যকে বুঝি, ঘর-সংসার গুছিয়ে রাখার দক্ষতাকে বুঝি। নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর সময় এসেছে।

 

আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন ৭টি কৌশলে

যেকোন কাজে সফল হতে হলে আত্নবিশ্বাসী হওয়া প্রয়োজন। আত্নবিশ্বাস এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে। একজন আত্নবিশ্বাসী মানুষ হাসিমুখে ঝুঁকি গ্রহণ করার সাহস রাখেন। আর জীবনে লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্য ঝুঁকি গ্রহণের বিকল্প নেই। তবে অনেকেই আত্নবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেন না। কিছু কৌশল আছে যা আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

১। নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন

সকল নেতিবাচক বিষয় এবং মানুষ থেকে দূরে থাকুন। সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। অনেক সময় তা থাকা সম্ভব হবে না। ধৈর্য ধরুন, সময় নিন, মাথা ঠান্ডা রাখুন, বিষয়টি ভাবুন। দেখবেন নেতিবাচক একটি বিষয় থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাবেন।

২। লক্ষ্য স্থির রাখুন

নিজের সাথে অন্য কারোর তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার জীবন, অতএব আপনার জীবনের সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। অন্য কেউ তা করতে পারবে না। তাই নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। দেখবেন সাফাল্য আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসছে।

৩। ভয়কে জয় করুন

ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বলে ভয়ে পেয়ে লক্ষ্য থেকে সরে আসবেন না। নিজের ভয়কে খুঁজে বের করুন, সেটির মুখোমুখি হোন। আপনি যতক্ষণ না ভয়ের মুখোমুখি হবেন ততক্ষণ ভয়কে জয় করতে পারবেন না।

৪। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া

মানুষ মাত্রই ভুল করে। আপনিও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৫। পরিষ্কার পোশাক পরিধান

কথিত আছে “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী”। আসলেই পোশাক আপনার আত্নবিশ্বাসকে অনেক প্রভাবিত করে। চেষ্টা করুন পরিষ্কার এবং মার্জিত পোশাক পরিধান করার, এটি আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অন্যের চোখে আপনার ভাল একটি ভাবমূর্তি তৈরি করবে।

৬। নিজেকে জানুন

নিজের দূর্বলতাকে জানুন। ভয়কে জয় করার পূর্ব শর্ত হল ভয়ের কারণ খুঁজে বের করা। নিজের দূর্বলতাগুলোর একটি লিস্টে লিখে রাখুন। এবার একটি একটি করে দূর্বলতা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে বের করুন। দেখবেন এক সময় আপনার দূর্বলতাই  আপনার শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনি নিজের প্রতিভাকে খুঁজে বের করুন। আপনি একবার যদি নিজের প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে পারেন, দেখবেন আপনার আত্নবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গেছে।

৭। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জন করুন

প্রথমেই বড় লক্ষ্য নির্ধারণ না করে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ছোট লক্ষ্যগুলোতে যখন সফল হবেন আপনার আত্নবিশ্বাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।