banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

পেটের মেদ কমাতে রাতে যা খাবেন

পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন অনেকেই। সহজেই এটি জমে যায় ঠিকই, তবে সহজে এটি দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গবেষকদের মতে, পেটে মেদ জমার অনেক কারণ আছে। তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয়, কোনো দৈহিক কসরত না করা, ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কম ঘুম কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আপনি যদি মনস্থির করেই থাকেন মেদ কমাবেন, তাহলে একটু সতর্ক হোন। খাদ্য তালিকায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখুন। বিশেষ করে খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক-সবজি রাখুন।

রোজ এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয় এবং পেটে যেন কম গ্যাস সৃষ্টি হয়, একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আবর্জনা দূর হয় এবং মেদ জমতে পারে না। তবে প্রতিদিন রাতে ভারি খাবার কম খেয়ে কিছু ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে কমে যাবে অস্বস্তিকর তল পেটের মেদ।

আনারস :
আনারস এমন এক ফল, যা পেটের মেদ কমাতে কাজ করে। এর ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম। এটা শরীরের হজম পদ্ধতিতে সাহায্য করে এবং মেদও ঝরায়।

পেঁপে :
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজন কমে। রোজ পেঁপে খেলে ১০ দিনে কোমরের মাপ কমবেই।

আপেল :
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খেলে এমনিতে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। রোজ আপেল খেলে মেদ বাড়ে না এবং ভুঁড়িও কমে।

আঙুর :
আঙুরও বেশ পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেয়, কারণ আঙুর হজম ধীর করে দেয়। আঙুরের রস আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এতে দিনে প্রায় ১০ পাউন্ড অবধি খাবার খাওয়া কমাতে পারে।

কলা :
কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে, যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোজ খাবারে কলা খেলে মেদ কমানোতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়।

এ্যাভোকাডো :
প্রচুর ফাইবার আছে এ্যাভোকাডোতে। এটি খেলে চট করে খিদে পায় না। মোনো-স্যাটিউরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে পেটের অংশে জমা মেদ কমাতে।

তরমুজ :
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি। ওজন কমাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। প্রতিদিনের খাবারে তরমুজ খান, দেখবেন ওজন কেমন কমে।

 

অফিস মিটিংয়ে যা করবেন না

অফিসে মিটিং শুনলেই অনেকের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। সারা সপ্তাহের কিংবা মাসের কাজের জবাবদিহিতা দিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় নানাভাবে। তার মাঝেও থাকে নানা সমস্যা। বসের মনের অবস্থা থেকে রাস্তার পরিস্থিতি সবকিছুকে মাথায় রেখেই আপনাকে অফিস মিটিংয়ে বসতে হয়। এর পরেও আপনার করা ছোটখাটো ভুল আপনার কাজের কৃতিত্ব যেমন নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনই আপনার ইমেজেরও বারোটা বাজাতে পারে। তাই অফিস মিটিংয়ের আগে কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন আর আপনার আশপাশেও রাখুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।

কথা বলা
অযথা বেশি কথা বলবেন না। বিশেষ করে মিটিংয়ের সময় কাজের কথা বাদে কোনো কথা বলবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে মিটিং শেষে কথা বলুন। মিটিংয়ের পুরো সময় নিজের কাজের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আপনার বলা কথায় আপনার পাশের মানুষটির সমস্যা হতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে আপনারও। যার ফল আপনার নেগেটিভ ইম্প্রেশন।

সঠিক সময়
মিটিংয়ের দিনে বাড়ি থেকে হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। যাতে আপনাকে মিটিংয়ের মাঝে পৌঁছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। হাতের কাজ আগের দিন গুছিয়ে নিন। নিজেকে প্রস্তুত রাখুন মিটিংয়ে ভালো কিংবা মন্দ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে।

অভ্যাস
মিটিংয়ের আগে নিজের সঙ্গে নিজের কিছুটা সময় হাতে নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে আপনার মুখের জড়তা কেটে যাবে। নয়তো দেখা যায়, আপনি মিটিংয়ের সময় কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছেন এবং ভুল হচ্ছে। এতে আপনি যেমন নিজের ওপর থেকে কনফিডেন্স হারাচ্ছেন তেমনি অন্যরা হচ্ছে বিরক্ত। তাই মিটিংয়ের আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা অভ্যাস করে নিন।

কথা শেষ না হতেই কথা বলা
আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই অভ্যাসটি আছে। বসের কথার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে তার কথা শেষ না হতে নিজের কথা বলতে শুরু করা। মিটিংয়ের সময় এই কাজটি ভুলেও করবেন না। আপনার বস আপনাকে কী বলতে চাচ্ছেন- তা আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এরপর তাকে উত্তর দিন। খেয়াল রাখবেন উত্তর যাতে যুক্তিযুক্ত হয়।

বসের সঙ্গে তাল মেলানো
আপনি জানেন আপনার কাজ ঠিক কিন্তু বস বলছে এতে ভুল আছে। সেই ক্ষেত্রে বসই ঠিক। তার কথা শুনে তার মনের মতো করে কাজটি আবার করে তাকে দেখিয়ে নিন। তাকে ভুল প্রমাণ করতে যাবেন না। তাহলে সেটা আপনার জন্যই বিপদ। তাই আপনার কাজগুলো বসের মত অনুযায়ী করুন।

অফিসের কাজের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করুন। আপনি যে কাজটি করছেন, তা অন্যদের থেকে কীভাবে ভালো করা যায়- তা নিয়ে ভাবুন। দেখবেন আপনি আপনার কাজে যেমন সফলতা পাচ্ছেন, তেমনই কাজ করে আনন্দও পাচ্ছেন। তাই কাজকে ভালোবাসুন এবং সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলকেও।

 

গলদা চিংড়ি-পোলাও রাঁধবেন যেভাবে

গলদা চিংড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের। গলদা চিংড়ির মালাইকারি, দোপেঁয়াজা কতভাবেই না রান্না করে খাওয়া হয়। কেমন হবে যদি আস্ত গলদা চিংড়ি আর পোলাও একসঙ্গেই থাকে? সেরকমই একটি রেসিপি হলো গলদা চিংড়ি-পোলাও। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, নারকেলের দুধ (গরম) ১৫০০ গ্রাম, বেরেস্তা পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গলদা চিংড়ি ৮টি, বিরিয়ানি মসলা ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, টক দই ৪ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ২টি।

প্রণালি : পোলাওয়ের চাল ভালোমতো ধুয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার কাপড়ে রেখে বা পানি ঝরিয়ে নিন। গলদা চিংড়িগুলো ভালোমতো ধুয়ে একটি বাটিতে রাখুন। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, টক দই, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও লবণ দিয়ে ভালোমতো গলদা চিংড়িসহ পোলাও এর চাল মেশান। ৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন মাখা মাখা হলে গরম অবস্থাতে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

বোন যখন বন্ধু

যাদের বোন নেই, তাদের অনেকেই নিজেকে হতভাগ্য মনে করেন। শাসন আর স্নেহের এক আশ্চর্য মিশ্রণ রয়েছে এই সম্পর্কের ভেতরে। বড় একজন বোন থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতেই পারেন, হাজার দুষ্টুমির পর মা-বাবার বকুনি থেকে সেই আপনাকে বাঁচাবে। যার কাছে প্রশ্রয় মেলে, নির্ভরশীলতা মেলে, মনের লুকানো হাজারটা কথা বলার একটু ফুসরত মেলে, সেই আমাদের বোন।

অনেকের একটি ধারণা রয়েছে, বন্ধু সবসময় বাইরের কেউ হয়। আসলে ব্যাপারটি ঠিক নয়। বন্ধু যদি কেউ হয়, তবে তা হতে পারে সবার আগে পরিবারেই। বন্ধু হতে পারে এক বোন আরেক বোনের। এবং তা হয়ও। সবসময় কাছাকাছি থাকা হয় বলে হয়তো বোঝা যায় না। কিন্তু সারাদিনের অজস্র গল্প আপনি বোনটির সঙ্গেই ভাগাভাগি করতে পারছেন, রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে জেগে উঠেছেন আর পরক্ষণেই আপনার মনে পড়লো, আমার বোন তো আমার পাশেই রয়েছে- এই নির্ভরতা, এই ভালোবাসার সম্পর্কটিই বোনের সম্পর্ক।

একত্রে থাকা হয় বলে মাঝে মাঝে হয়তো তুচ্ছ কারণেই ঝগড়া বেধে যায়। লিপস্টিকের দখলদারিত্ব নিয়ে ঝগড়া, সেখান থেকে হয়তো কথা বলা আর মুখ দেখাদেখিই বন্ধ! এই ঝগড়াও মধুর, এই স্মৃতিই আনন্দের। পরবর্তীতে যখন একজন আরেকজনকে ছেড়ে দূরে থাকবেন, তখন টুকটাক স্মৃতিই আপনাকে হাসাবে-কাঁদাবে।

কাউকে ভালো লেগেছে বা কারো প্রেমে পড়েছেন? সর্বনাশ! মা জানলে নিশ্চয়ই রক্ষা নেই। এক্ষেত্রেও আপনার ভরসা আপনার বোনই। কাকে ভালো লেগেছে, কেন ভালো লেগেছে সবটাই এক নিঃশ্বাসে যার কাছে বলে ফেলতে পারবেন, তার নাম বোন। এক্ষেত্রে বোনের কাছ থেকে সাহায্য কিংবা কানমলা যেকোনো একটা অবশ্যই আপনি পাবেন।

আমাদের রক্তের বন্ধনগুলো আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েই পৃথিবীতে আসে। তাই বোন নামের মধুর বন্ধনটি বন্ধুত্বের মায়ায় জড়িয়ে আরো দৃঢ় করতে পারেন। অবশ্য আলাদা করে বন্ধুত্ব তৈরির দরকারও পড়ে না। কারণ বোন তো জন্ম থেকেই বন্ধু!

 

ঘরের দেয়াল রাঙানোর আগে

ইদানীং অন্দরসজ্জায় দেয়ালে ছবি আঁকার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ অনেকে অন্দরসজ্জার এই বিষয় বেশ ব্যয়বহুল মনে করেন৷ আপনার আঁকার হাত ভালো হলে নিজের দেয়ালটা কিন্তু নিজেই সাজাতে পারেন। বার্জার হোম অ্যান্ড ডেকরের রং বিশেষজ্ঞ এফ এম হেলাল উদ্দীন জানালেন কীভাবে দেয়াল রাঙাবেন, তার পদ্ধতি৷

১. সামনে কোনো আসবাব নেই। পুরোটাই ফাঁকা—ছবি আঁকার জন্য এমন দেয়াল বেছে নিন। কারণ, ছবি যে দেয়ালে আঁকবেন, তার সামনে আসবাব থাকলে পেইন্টিংটা ভালোভাবে ফোকাস হবে না৷
২. পুরোনো দেয়ালে ছবি আঁকতে চাইলে তা ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
৩. যে রঙে রাঙাতে চান, দেয়ালের ওপর সেই রঙের একটা প্রলেপ বসান।
.৪. দেয়ালের বেসটা গাঢ় করতে চাইলে যে রং লাগাবেন, পরপর তিনবার সেই একই রঙের প্রলেপ দিন।
৫. যদি গাঢ় রঙের দেয়াল হালকা রঙে রাঙাতে চান, তাহলে এক কোট প্লাস্টিক পেইন্ট ব্যবহার করুন।
৬. ঘরের দেয়ালটা ছোট হলে পেইন্টিংয়ে খুব বেশি রঙের ব্যবহার না করাই ভালো৷
৭. এখন অনেকেই দেয়ালচিত্রে নানা ধরনের প্রপসের ব্যবহার করেন৷ খেয়াল রাখবেন, তা যেন পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়৷

Save

Save