Daily Archives: May 1, 2025
২৭ বছর বয়সেই বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম নারী ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল
‘বাহুবলি’ প্রযোজকের বাড়িতে তল্লাশি
ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমার নাম ‘বাহুবলি’। প্রথম পর্বের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘বাহুবলি-২’। কিন্তু এর আগেই দুঃসংবাদ পেলেন ছবির প্রযোজক। কারণ ‘বাহুবলি’র প্রযোজকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিল ভারতীয় আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর, বাহুবলি প্রযোজকদের অফিস ও বাড়ি নিয়ে মোট ৩০টি লোকেশনে তল্লাশি চালানো হয়।
গতকাল ছবির প্রযোজক শোবু ইয়ারলাগাড়া ও প্রসাদ দেবীয়ানীর বাড়ি সহ অর্ক মিডিয়ার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেলেগু প্রযোজকের মতো, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়ই আয়কর বিভাগের নজরে থাকে। কিন্তু আয়কর দপ্তর যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা কেউ ভাবেনি। আয়কর দপ্তরের এক কর্মীর ভাষ্য, তল্লাশি কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। শোনা গেছে, ‘বাহুবলি’র পরিচালক এস রাজামৌলির বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে আয়কর দপ্তরের কর্মীরা।
গতবছর বিশ্ব বাজার থেকে ৬৫০ কোটি আয় করে ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। তার মধ্যে ৬০ কোটির নাকি কোন হিসেব নেই। গণমাধ্যম সূত্র মতে, দুই প্রযোজকের অফিস ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে পুরনো নোট বাতিল করে কালো টাকা বন্ধ করার অভিযান শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, হয়তো তারই জেরে এই হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। ১২০ কোটি রুপিতে তৈরি হয় এই ছবিটি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি দেয়া হয় ছবিটি। ২০১৫ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে নেয় ‘বাহুবলি’।
সূত্র: ডেকান ক্রনিকল
ইসলামের দৃষ্টিতে শোকসভা পালন করা
আমাদের দেশে বড় বড় লোকেরা মারা গেলে বিভিন্ন জাগায় শোক সভা পালন করা হয়। এই ধরণের শোক পালনের ইসলামে কি কোন বিধান আছে?
কোন মুসলমান মারা গেলে তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা সুন্নত। সেক্ষেত্রে স্বশরীরে হাজরি হওয়া উচতি, সটো না পারলে চিঠির মধ্যমে জানানো যেতে পারে। কিন্তু মানুষ সাধারণত যে ধরণের শোক সভা পালন করে থাকে সটো ইসলাম সম্মত নয়। যার উদ্দেশ্য থাকে প্রচার-প্রসার বা লোক দখোনো মনোভাব। এই ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে শোক সভা করলে তাহবে নিন্দনীয়। [ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ২/২২৫]
মাওলানা মিরাজ রহমান
শীতের আগে শোয়ার ঘর পরিষ্কার রাখার উপায়
দেখতে দেখতে চলে এলো শীত। এই সময় আবহাওয়ায় যুক্ত হয় আর্দ্র আর শুষ্ক বাতাস। সেইসঙ্গে রয়েছে ধুলাবালি। চারদিকের এই ধুলাবালি ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে তেমনই শরীরকেও অসুস্থ করে ফেলে। আর এই অসুস্থতার জন্য প্রথম জন্মস্থান হতে পারে আপনার শোয়ার ঘর কিংবা বেডরুম। শোয়ার ঘরে জমে থাকা ধুলাবালির কারণে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই শীতের আগে একটু নতুন করে সাজানো প্রয়োজন আপনার প্রিয় শোয়ার ঘরটি।
শোয়ার ঘরটি অন্যান্য ঘরের তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে বাড়ির বড়দের যেমন আনাগোনা থাকে তেমনই ছোটদেরও থাকে অবাধ চলাফেরা। আর এই শীত আসার অগ্রিম মুহূর্ত থেকে শুরু করে শীতের পরও থাকে এই ধুলাবালির অত্যাচার। ঘরের সিলিং থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই থাকে ঝুল আর ময়লা। বিশেষ করে পর্দার পেছনে জমে সবচেয়ে বেশি ধুলা। তাই জানালার বাইরে পাতলা কাপড়ের পর্দা আর জানালার ভেতরে লাগানো উচিৎ ভারি আর গাঢ় রঙের পর্দা। আর সিলিংয়েও দেখা যায় ধুলা। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ।
বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। বিছানার জাজিম, তোশক, ম্যাট্রেস ইত্যাদি রোদে দিতে পারেন। এ সময় আসবাবপত্রেও জমে দু-তিন স্তরের ধুলা। এই ধুলা পরিষ্কার না করলে আসবাবপত্রের রঙ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি কাঠের আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনি ফার্নিচার ডাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এটি যেমন ব্যবহারে সহজ তেমনি সহজলভ্য।
ফ্লোরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনায় কোনায় ময়লা জমে থাকে। যা পরে নানা রোগ সৃষ্টি করে। তার মধ্যে অ্যাজমা রোগ অন্যতম। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোর মোপ। এটি ফ্লোরের কোনায় পৌঁছে ময়লা পরিষ্কার করে। আর সোফা কিংবা বিছানা কিংবা পর্দার ময়লা পরিষ্কার করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার।
গুণে ভরা দুটি শুকনো ফল
ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় কিন্তু কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তাবাদাম- এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাইরের দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু সৌন্দর্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উৎস। চলুন জেনে নেই আখরোট ও এপ্রিকটের গুণাগুণ-
আখরোট
* আখরোটে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ৬৮৭ ক্যালরি রয়েছে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ রয়েছে।
* আখরোট মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগও দূরে রাখে।
* আখরোট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
* আখরোটে রয়েছে অ্যালার্জিক অ্যাসিড যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
এপ্রিকট
* এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে।
* এপ্রিকটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট।
* রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এপ্রিকট। যাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
* তাদের জন্য এপ্রিকট খুবই উপকারী।
* এপ্রিকটের পেকটিন ও সেলুলোজ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এপ্রিকট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
* জ্বরের সময় এপ্রিকট পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ঘরেই তৈরি করুন চিকেন শর্মা
শর্মার স্বাদের কথা সবারই জানা। সুস্বাদু এই খাবারটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়াভাবেও তৈরি করতে পারেন। চলুন শিখে নেই চিকেন শর্মা তৈরির ঘরোয়া রেসিপি-
রুটির জন্য উপকরণ : ময়দা ৫ কাপ, ইষ্ট ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ২ চামচ গুড়ো দুধ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, চিনি ২ চা চামচ
পুরের উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম স্বেদ্ধ করা ( লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গাজর,হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম,টমেটো,বাধাকপি লম্বা করে কাটা (৩০০ গ্রাম), মেয়নিস ২ কাপ, টমেটো সস ১ কাপ, সয়াসস ২ চা চামচ, গার্লিক সস ৩ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো, তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি : প্রথমে রুটির সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ডো তৈরি করে নিন। রুটির ডো একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন ৪ ঘণ্টা। তারপর শর্মার পুরের জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে সেদ্ধ মাংসের সাথে একে একে সবগুলো উপকরণ (মেয়নিস,গার্লিক সস ও টমেটো সস বাদে) দিয়ে দিন। ৫-৭ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলুন। অন্যদিকে রুটি তৈরি করে ফেলুন। মাংসের মিশ্রণের সাথে মেয়নিস, গার্লিক সস ও টমেটো সস মাখিয়ে ফেলুন। তৈরি রুটিতে মাংসের পুর দিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে রোল তৈরি করে ফেলুন।
যানজটে সময় কাটাবেন যেভাবে
বর্তমানে নাগরিক জীবনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, কখনো বা এই যানজট থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ যেন এই যানজট। তবুও এই ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততাও আমাদের সারাদিনের অংশ। তবে এটি কখনো কখনো ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। স্কুল, ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের বসের ঝাড়ি সবকিছুর মূল কারণ বেশিরভাগ সময়েই এই যানজট। তার পরেও এই যানজট নিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়। কখনো কখনো এই মানব সৃষ্ট যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হয়। যা আসলেই কষ্ট কর। তবে এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই।
গান শোনা
গান সেই পুরানো সময় থেকে মানুষের মনের খোরাক। আপনি অনেক সুখে থাকুন কিংবা দুঃখে, এই গান হতে পারে আপনার সঙ্গী। আর যদি হাতে কোনো কাজ না থাকে তবে তো আর কথাই নেই। আপনার সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে আপনার গুণগুণ করা একটি গান। আর এই গান আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী আপনি যখন জ্যামে। তিক্ত এই সময়টাকে সুন্দর আর মধুর করে কাটাতে গান শুনুন।
রেডিও
আমাদের ব্যস্ততার জন্য রেডিও শোনা হয়তো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও অবসরে বাসায় থাকলে টিভি দেখা যায়। কিন্তু রেডিও শোনা হয় না। তাই জ্যামে বসে থাকলে আপনি শুনতে পারেন রেডিও। নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আপনাকে নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের গান শোনারও সুযোগ করে দেবে।
বই পড়া
যানজটে আপনার যখন কিছুই ভালো লাগছে না তখন আপনার সঙ্গী হতে পারে বই। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখতে পারেন পছন্দের বই কিংবা নতুন বই। ব্যস্ততার জন্য হয়তো বই পড়া হয়ে উঠছেনা আপনার সেক্ষেত্রে জ্যামের এই লম্বা সময় হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। সারাদিন যেই সময়টুকুর জন্য আপনি বই পড়তে পারছেন না সেই সময়টুকু আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই যানজটে।
ফোনে কথা বলা
অনেক দিন কাছের বন্ধুটির সাথে ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারছেন না? তাহলে এই যানজট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। গাড়িতে বসে বিরক্ত না হয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন সময়। তবে লক্ষ রাখুন যাতে আপনার পাশে বসা মানুষটি বিরক্ত না হয়।
পর্যবেক্ষণ
অনেকেরই শখ থাকে এটি জানার যে তার আশেপাশের মানুষটির মনে কী চলছে তা জানার। এই ক্ষেত্রে এই যানজটের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। হাজার ধরনের মানুষের দেখা মিলে এখানে। এখানে একজন করে মানুষকে পর্যবেক্ষণ আপনি করতে থাকলে দেখবেন আপনার মাঝে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।