banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

চাকরি হারাতে না চাইলে আজই বদলে ফেলুন এই ৩টি বদভ্যাস

ক্যারিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার ইচ্ছা থাকে আমাদের সবারই। আমরা চাই অনেক বড় অবদান রাখতে, বড় অংকের অর্থ উপার্জন করতে এবং অবশ্যই অনেক সম্মান পেতে।
 
আপনার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হতে হবে মনোভাবও। অনেক পরিশ্রম করছেন, সময়মত কাজ জমা দিচ্ছেন, সবচেয়ে সুন্দর গোছানো কাজটিই আপনার। তবু সফলতার স্বপ্ন থেকে যাচ্ছে অধরা। হয়ত সব যোগ্যাতা থাকার পরও নিজের আচরণগত ভুলের কারণে পিছিয়ে আছেন আপনি। মিলিয়ে নিন, আচরণগত কোন ভুলগুলো বাধা তৈরি করছে আপনার ক্যারিয়ারে-
 
অযাচিত প্রত্যাশা
আপনার দক্ষতা যেমন আপনি তেমনই ফলাফল পাবেন। দক্ষতা, যোগ্যতার বাইরেও বংশগত কারণে, অভিজাত পরিবার থাকার কারণে বা সুদর্শন হওয়ার কারণে আপনি বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন এমন ধারণা যদি করে থাকেন তাহলে আজই বাস্তব জগতে ফিরে আসুন। এসব কারণে আপনার কোম্পানি, সহকর্মীরা আপনার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, কিন্তু প্রমোশন তারই হবে যে পরিশ্রম এবং মেধা দিয়ে সেটা অর্জন করতে পারবেন।
 
একটি কোম্পানি অবশ্যই কাজে বিশ্বাসী। কাজ অনুযায়ী সম্মানী নির্ধারিত হয়। আপনার কাজের তুলনায় যদি সম্মানী বেশী হয় এবং একই সাথে আপনার মনোভাব এমন থাকে যে কাজের বাইরের অন্যান্য পরিচিতি আপনাকে সফলতা এনে দেবে তাহলে জেনে রাখুন, খুব শীঘ্রই আপনার অবস্থানে আসছেন অন্য কেউ।
 
কাজ না করার মনোভাব
কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় কাজ করার মনোভাব নিয়ে চলেন। নতুন কোন কাজ পেলেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই কাজটি করে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেন। নিজেকে সামনে তুলে ধরার কোন সুযোগ তারা হাত ছাড়া করেন না। ভেবে দেখুন, আপনার অফিসে যখন রয়েছে এমন একজন মানুষ আর সেখানে আপনি যখন কোন কাজ এলেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন তখন কে বেশী চোখে পড়বেন? কার উপর বেশী প্রসন্ন হবেন আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা?
 
এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, চাকরি টিকিয়ে রাখতে বা সফলতা পেতে হলে কী করবেন! আপনি হয়ত ভাবছেন, যে কাজের জন্য আপনাকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না সে কাজ কেন করবেন! অথবা কাজটি করলেও বেতন যা পাচ্ছেন না করলেও একই বেতন পাবেন, তাহলে কেন বাড়তি দায়িত্ব মাথায় নেবেন! অন্যভাবে ভাবুন। নতুন কাজগুলো একেকটা সুযোগ নিজেকে আরো যোগ্য প্রমাণ করার। এমন সুযোগ যতবার আসে ততবার নিন।
 
অপ্রয়োজনীয় আড্ডা
অপর সহকর্মীর সমালোচনা করা, আড়ালে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা, অফিসের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে দলবেধে অসন্তোষ প্রকাশ করা এই সবই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে দূষিত করে। অফিস পলিটিক্স খুবই ক্ষতিকারক যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য। আপনার প্রতিষ্ঠান এধরণের যে কোন কিছুতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপনাকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন।
 
নিজের কাজ করে যান। সকলের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখুন। শুধু ইতিবাচক বিষয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিন। নেতিবাচক আড্ডা বা অন্যান্য কার্যক্রম এড়িয়ে চলুন সচেতনভাবে। তাহলেই আপনার চাকরি এবং আপনি উভয়ই সুরক্ষিত থাকবেন।
 

 

২৭ বছর বয়সেই বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম নারী ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল

নতুন নতুন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে কী করবেন আপনি? নিশ্চয়ই ভাবছেন, বেড়িয়ে পড়বেন দিক-বিদিক জয় করতে? কিন্তু স্বপ্নের জীবন হিসেবে ভবঘুরে জীবনকে বেছে নেয় এমন মানুষ খুব কমই আছেন পৃথিবীতে। সবাই চান একটা ছিমছাম সাজানো গোছানো জীবন। শুধু রোমাঞ্চপ্রিয় কিছু মানুষ আছেন প্রকৃতি যাদের টানে চুম্বকের মত, দূর্গমকে পাড়ি দেওয়ার নেশা কেড়ে নেয় যাদের রাতের ঘুম। তারা ছুটতে থাকেন একের পর এক নতুনকে জয়ের নেশায়। তেমনই একজন মানুষ ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল।
 
একজন মানুষ ৫০ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। শুনেই নিশ্চয়ই চোখ চকচক করছে আপনার? আপনি যদি শোনেন ১০০ টি দেশ ভ্রমণের কথা? তাহলে নিশ্চয়ই বিস্ময়ের শেষ থাকবে না আপনার! আর যদি শোনেন বিশ্বের প্রতিটি দেশই ভ্রমণ করেছেন এমন একজন নারীর কথা? অবিশ্বাস্য লাগছে? ক্যাসান্ড্রা হলেন সেই নারী। তিনি অচীরেই সমগ্র পৃথিবী ভ্রমণকারী নারী হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
 
৩ বছর ৩ মাসেরও কম সময়ে ১৯৬টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ক্যাসান্ড্রা। নারী হিসেবে এই রেকর্ড প্রথম তারই। আবার তিনি সবচেয়ে তরুণ ভ্রমণকারীও। তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। ইতিমধ্যে তার ভ্রমণ করা দেশের সংখ্যা ১৮১টি।
 
আগষ্টের ২০০৯ সালে তার এই সফর শুরু হয়। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ভাই। তারা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ডস এবং চেক রিপাবলিক। এরপর বাকিপথ ভাইকে ছাড়াই এগিয়ে যেতে হয় ক্যাসান্ড্রাকে। ২ বছর তিনি কখনো ট্রেনে ঘুমিয়েছেন, কখনো স্টেশনের মেঝেতে থেকেছেন, কখনো পায়ে হেটেছেন। এভাবেই তিনি ভ্রমণ করছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া।
 
তার এই ভ্রমণের নামকরণ তিনি করেছেন এক্সপেডিশান১৯৬। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পিস এর শান্তির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ভ্রমণের মাধ্যমেই শান্তির বার্তা পৌছে দেন তিনি। এ পর্যন্ত ভ্রমণে তার খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ডলার। এর বেশীরভাগই স্পন্সর করা হয়েছে।
 
‘আমি একটি অনন্য পথে বেঁচে থাকাকে নির্বাচন করেছি। এমন একটি জীবনধারা গ্রহণ করেছি যেখানে আমি যা চাই আমি তাই করতে পারি, যখন ইচ্ছে করতে পারি এবং তাদেরকেও প্রেরণা দিতে চাই যারা আমার মত জীবন চান’- বলেন ক্যাসান্ড্রা।

 

‘বাহুবলি’ প্রযোজকের বাড়িতে তল্লাশি

ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমার নাম ‘বাহুবলি’। প্রথম পর্বের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘বাহুবলি-২’। কিন্তু এর আগেই দুঃসংবাদ পেলেন ছবির প্রযোজক। কারণ ‘বাহুবলি’র প্রযোজকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিল ভারতীয় আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর, বাহুবলি প্রযোজকদের অফিস ও বাড়ি নিয়ে মোট ৩০টি লোকেশনে তল্লাশি চালানো হয়।

গতকাল ছবির প্রযোজক শোবু ইয়ারলাগাড়া ও প্রসাদ দেবীয়ানীর বাড়ি সহ অর্ক মিডিয়ার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেলেগু প্রযোজকের মতো, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়ই আয়কর বিভাগের নজরে থাকে। কিন্তু আয়কর দপ্তর যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা কেউ ভাবেনি। আয়কর দপ্তরের এক কর্মীর ভাষ্য, তল্লাশি কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। শোনা গেছে, ‘বাহুবলি’র পরিচালক এস রাজামৌলির বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে আয়কর দপ্তরের কর্মীরা।

গতবছর বিশ্ব বাজার থেকে ৬৫০ কোটি আয় করে ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। তার মধ্যে ৬০ কোটির নাকি কোন হিসেব নেই। গণমাধ্যম সূত্র মতে, দুই প্রযোজকের অফিস ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়  প্রায় ৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে পুরনো নোট বাতিল করে কালো টাকা বন্ধ করার অভিযান শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, হয়তো তারই জেরে এই হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।

২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। ১২০ কোটি রুপিতে তৈরি হয় এই ছবিটি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি দেয়া হয় ছবিটি। ২০১৫ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে নেয় ‘বাহুবলি’।

সূত্র: ডেকান ক্রনিকল

 

ইসলামের দৃষ্টিতে শোকসভা পালন করা

আমাদের দেশে বড় বড় লোকেরা মারা গেলে বিভিন্ন জাগায় শোক সভা পালন করা হয়। এই ধরণের শোক পালনের ইসলামে কি কোন বিধান আছে?

কোন মুসলমান মারা গেলে তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা সুন্নত। সেক্ষেত্রে স্বশরীরে হাজরি হওয়া উচতি, সটো না পারলে চিঠির মধ্যমে জানানো যেতে পারে। কিন্তু মানুষ সাধারণত যে ধরণের শোক সভা পালন করে থাকে সটো ইসলাম সম্মত নয়। যার উদ্দেশ্য থাকে প্রচার-প্রসার বা লোক দখোনো মনোভাব। এই ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে শোক সভা করলে তাহবে নিন্দনীয়। [ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ২/২২৫]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শীতের আগে শোয়ার ঘর পরিষ্কার রাখার উপায়

দেখতে দেখতে চলে এলো শীত। এই সময় আবহাওয়ায় যুক্ত হয় আর্দ্র আর শুষ্ক বাতাস। সেইসঙ্গে রয়েছে ধুলাবালি। চারদিকের এই ধুলাবালি ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে তেমনই শরীরকেও অসুস্থ করে ফেলে। আর এই অসুস্থতার জন্য প্রথম জন্মস্থান হতে পারে আপনার শোয়ার ঘর কিংবা বেডরুম। শোয়ার ঘরে জমে থাকা ধুলাবালির কারণে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই শীতের আগে একটু নতুন করে সাজানো প্রয়োজন আপনার প্রিয় শোয়ার ঘরটি।
শোয়ার ঘরটি অন্যান্য ঘরের তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে বাড়ির বড়দের যেমন আনাগোনা থাকে তেমনই ছোটদেরও থাকে অবাধ চলাফেরা। আর এই শীত আসার অগ্রিম মুহূর্ত থেকে শুরু করে শীতের পরও থাকে এই ধুলাবালির অত্যাচার। ঘরের সিলিং থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই থাকে ঝুল আর ময়লা। বিশেষ করে পর্দার পেছনে জমে সবচেয়ে বেশি ধুলা। তাই জানালার বাইরে পাতলা কাপড়ের পর্দা আর জানালার ভেতরে লাগানো উচিৎ ভারি আর গাঢ় রঙের পর্দা। আর সিলিংয়েও দেখা যায় ধুলা। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ।

বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। বিছানার জাজিম, তোশক, ম্যাট্রেস ইত্যাদি রোদে দিতে পারেন। এ সময় আসবাবপত্রেও জমে দু-তিন স্তরের ধুলা। এই ধুলা পরিষ্কার না করলে আসবাবপত্রের রঙ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি কাঠের আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনি ফার্নিচার ডাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এটি যেমন ব্যবহারে সহজ তেমনি সহজলভ্য।

ফ্লোরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনায় কোনায় ময়লা জমে থাকে। যা পরে নানা রোগ সৃষ্টি করে। তার মধ্যে অ্যাজমা রোগ অন্যতম। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোর মোপ। এটি ফ্লোরের কোনায় পৌঁছে ময়লা পরিষ্কার করে। আর সোফা কিংবা বিছানা কিংবা পর্দার ময়লা পরিষ্কার করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার।

 

গুণে ভরা দুটি শুকনো ফল

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় কিন্তু কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তাবাদাম- এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাইরের দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু সৌন্দর্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উৎস। চলুন জেনে নেই আখরোট ও এপ্রিকটের গুণাগুণ-

আখরোট
* আখরোটে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ৬৮৭ ক্যালরি রয়েছে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ রয়েছে।
* আখরোট মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগও দূরে রাখে।
* আখরোট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
* আখরোটে রয়েছে অ্যালার্জিক অ্যাসিড যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

এপ্রিকট
* এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে।
* এপ্রিকটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট।
* রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এপ্রিকট। যাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
* তাদের জন্য এপ্রিকট খুবই উপকারী।
* এপ্রিকটের পেকটিন ও সেলুলোজ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এপ্রিকট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
* জ্বরের সময় এপ্রিকট পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

ঘরেই তৈরি করুন চিকেন শর্মা

শর্মার স্বাদের কথা সবারই জানা। সুস্বাদু এই খাবারটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়াভাবেও তৈরি করতে পারেন। চলুন শিখে নেই চিকেন শর্মা তৈরির ঘরোয়া রেসিপি-

রুটির জন্য উপকরণ : ময়দা ৫ কাপ, ইষ্ট ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ২ চামচ গুড়ো দুধ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, চিনি ২ চা চামচ

পুরের উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম স্বেদ্ধ করা ( লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গাজর,হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম,টমেটো,বাধাকপি লম্বা করে কাটা (৩০০ গ্রাম), মেয়নিস ২ কাপ, টমেটো সস ১ কাপ, সয়াসস ২ চা চামচ, গার্লিক সস ৩ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো, তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : প্রথমে রুটির সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ডো তৈরি করে নিন। রুটির ডো একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন ৪ ঘণ্টা। তারপর শর্মার পুরের জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে সেদ্ধ মাংসের সাথে একে একে সবগুলো উপকরণ (মেয়নিস,গার্লিক সস ও টমেটো সস বাদে) দিয়ে দিন। ৫-৭ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলুন। অন্যদিকে রুটি তৈরি করে ফেলুন। মাংসের মিশ্রণের সাথে মেয়নিস, গার্লিক সস ও টমেটো সস মাখিয়ে ফেলুন। তৈরি রুটিতে মাংসের পুর দিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে রোল তৈরি করে ফেলুন।

 

যানজটে সময় কাটাবেন যেভাবে

বর্তমানে নাগরিক জীবনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, কখনো বা এই যানজট থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ যেন এই যানজট। তবুও এই ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততাও আমাদের সারাদিনের অংশ। তবে এটি কখনো কখনো ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। স্কুল, ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের বসের ঝাড়ি সবকিছুর মূল কারণ বেশিরভাগ সময়েই এই যানজট। তার পরেও এই যানজট নিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়। কখনো কখনো এই মানব সৃষ্ট যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হয়। যা আসলেই কষ্ট কর। তবে এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই।

গান শোনা
গান সেই পুরানো সময় থেকে মানুষের মনের খোরাক। আপনি অনেক সুখে থাকুন কিংবা দুঃখে, এই গান হতে পারে আপনার সঙ্গী। আর যদি হাতে কোনো কাজ না থাকে তবে তো আর কথাই নেই। আপনার সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে আপনার গুণগুণ করা একটি গান। আর এই গান আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী আপনি যখন জ্যামে। তিক্ত এই সময়টাকে সুন্দর আর মধুর করে কাটাতে গান শুনুন।

রেডিও
আমাদের ব্যস্ততার জন্য রেডিও শোনা হয়তো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও অবসরে বাসায় থাকলে টিভি দেখা যায়। কিন্তু রেডিও শোনা হয় না। তাই জ্যামে বসে থাকলে আপনি শুনতে পারেন রেডিও। নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আপনাকে নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের গান শোনারও সুযোগ করে দেবে।

বই পড়া
যানজটে আপনার যখন কিছুই ভালো লাগছে না তখন আপনার সঙ্গী হতে পারে বই। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখতে পারেন পছন্দের বই কিংবা নতুন বই। ব্যস্ততার জন্য হয়তো বই পড়া হয়ে উঠছেনা আপনার সেক্ষেত্রে জ্যামের এই লম্বা সময় হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। সারাদিন যেই সময়টুকুর জন্য আপনি বই পড়তে পারছেন না সেই সময়টুকু আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই যানজটে।

ফোনে কথা বলা
অনেক দিন কাছের বন্ধুটির সাথে ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারছেন না? তাহলে এই যানজট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। গাড়িতে বসে বিরক্ত না হয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন সময়। তবে লক্ষ রাখুন যাতে আপনার পাশে বসা মানুষটি বিরক্ত না হয়।

পর্যবেক্ষণ
অনেকেরই শখ থাকে এটি জানার যে তার আশেপাশের মানুষটির মনে কী চলছে তা জানার। এই ক্ষেত্রে এই যানজটের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। হাজার ধরনের মানুষের দেখা মিলে এখানে। এখানে একজন করে মানুষকে পর্যবেক্ষণ আপনি করতে থাকলে দেখবেন আপনার মাঝে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।