banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

সালোয়ারের রকমফের

সাধারণ কাটের সালোয়ারের চল এখন কমে গেছে অনেকটাই। একটা সময় ছিল যখন চুড়িদার পরা কাউকে দেখলেই প্রশংসা করা হতো। সাধারণ কাটের সালোয়ারের বাইরে চুড়িদার বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এরপর এলো পাতিয়ালা। তারপর ধুতি। নিচে চওড়া মুহুরি দেওয়া সালোয়ারের চলও ছিল কিছুদিন। পালাজ্জোর নকশায়ও এসেছে পরিবর্তন। প্রথমে নিচের দিকটা অনেক চওড়া ছিল। এখন নিচের চওড়া অনেক কমে এসেছে। লিনেন, নরম সুতি, নিটওয়্যার দিয়ে তৈরি পালাজ্জোর নিচের ঝুলটা (ফল) খুব ভালো হয়। নিচের দিকে ত্রিভুজের মতো কাট চলে এসেছে। যোগ করা হচ্ছে লেস ও সুতার কাজ।

পালাজ্জোতে ছাপা কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে একরঙা কুর্তা বা কামিজ ভালো মানাবে। ক্যাজুয়াল ট্রাউজারও চলছে। স্কার্ট ধাঁচের প্যান্টও দেখা যাচ্ছে। ওরেভ বা বায়াস ছাঁটে এখন পালাজ্জো, সালোয়ারের কাপড় কাটা হয়। এ কারণে কাপড়ের ঝুলটা খুব সুন্দর করে পড়ে। মাঝখানের কয়েক বছর টাইটসও জনপ্রিয় ছিল। এখনো অনেকে পরছেন।

পেনসিল প্যান্ট, সিগারেট প্যান্ট, চাপা ও লম্বায় ছোট কাটের পালাজ্জো, নি লেংথ ট্রাউজার, স্কিনি জিনস, স্কিনি ক্যাজুয়াল প্যান্ট, স্কার্ট প্যান্ট, ধুতি সালোয়ার, বেলুন প্যান্টের সমারোহ এখন বেশি। এর বাইরেও যে অন্য কোনো কাট দেখা যাচ্ছে না, তা নয়। তবে এই কাটগুলো আগামী কয়েক মাস বেশি দেখা যাবে। পোশাকের নিচের অংশে এখন বেশ কয়েক রকমের কাটছাঁট দেখা যাচ্ছে।

যে কাটগুলো এখন সালোয়ারে পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হলো স্কিনি ফিটিংস। স্কিনি জিন্সগুলোতে সুতা ওঠানো থাকে। রিপড লুক পাওয়া যাবে। আরেকটি হচ্ছে, সত্তরের দশকের মতো ফ্লেয়ার থাকছে। পোশাকের নিচের অংশটিতে বেল বটমের বিভিন্ন স্টাইল দেখা যাচ্ছে। ওপরের দিকে চাপা হয়ে নিচের দিকে ঢিলে হচ্ছে। কোমরের একটু ওপরে পরার ট্রেন্ডটা অচিরেই চলে আসবে। এ কারণে টপগুলো একটু ছোট হয়ে যাবে লম্বায়। চাপা কাটের প্যান্টের সঙ্গে একটু ফ্লেয়ার দেওয়া টপ ভালো লাগবে। স্কিনি জিনসের সঙ্গে কুচি দেওয়া অথবা ঢিলে টপ বেছে নিলে ভালো। অনেক লেয়ারের মাধ্যমে তৈরি করা টপও মানাবে। বেল বটম স্টাইলের প্যান্টের সঙ্গে বুক পর্যন্ত চাপা হয়ে ছেড়ে দেওয়া টপ পরতে পারেন। লেংথ ট্রাউজারের সঙ্গে লম্বা কামিজ পরতে পারেন।

এখন সবচেয়ে বেশি চলছে সিগারেট ও পেনসিল কাটের সালোয়ার। দুটোই চাপা কাটের, তবে পেনসিল প্যান্টটা বেশি চাপা।  সিগারেট প্যান্ট এখন কামিজের সঙ্গেও পরছেন অনেকে। পেনসিল প্যান্ট কিশোরীরা বেশি পছন্দ করছে। তবে যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁরা এই প্যান্ট না পরলেই ভালো। এই প্যান্টগুলোর সঙ্গে লম্বা কামিজই পরা হচ্ছে। কামিজের ঘের কমে গেছে। ধুতির সঙ্গে লম্বায় ছোট কামিজ পরলে ভালো। নিচের দিকে ওভাল শেপ পরতে পারেন। কাপড়ের তৈরি চুড়িদারের জনপ্রিয়তা এখনো আছে। পাশাপাশি নিট কাপড়ের তৈরি চুড়িদার বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এসব টাইটসের কুচিগুলো পড়ে ভালোভাবে।

সাধারণভাবে বানানো সালোয়ারে এখন ১২ ইঞ্চি মুহুরি দেওয়া হচ্ছে। ধুতির মুহুরিতে ১০ দিলেই ভালো। সাড়ে তিন গজের মতো কাপড় লাগবে। তবে ধুতিতে বেশি কুচি চাইলে বেশি কাপড় লাগবে। ধুতির জন্য একটু নরম কাপড় ভালো। সিগারেট প্যান্টের জন্য একটু মোটা কাপড় ব্যবহার করলে ভালো। পেনসিল প্যান্টের জন্য একটু স্ট্রেস করে এমন কাপড় ব্যবহার করতে পারলে ভালো। পালাজ্জোতে জর্জেট কাপড় ব্যবহার করলে নিচে ভয়েল কাপড় লাগিয়ে নিন।

 

সহজেই রাঁধুন দই-ডিম ভুনা

প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রতি নির্ভরশীল প্রায় সবাই। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম থাকেই। কখনো অমলেট, কখনো ভাজা, কখনো সিদ্ধ, কখনো বা ভুনা। এই ডিম ভুনার স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে রাঁধতে পারেন দই-ডিম ভুনা। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : সিদ্ধ ডিম ৮টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচের একটু কম, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, টক-মিষ্টি দই ১ কাপ, দারুচিনি, এলাচি, তেজপাতা ১টি করে, তেল-লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি : প্রথমে ডিম এ হলুদ গুঁড়া আর লবণ মাখিয়ে প্যানে হালকা তেলে একটু লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে একটু পানি দিয়ে দই ছাড়া সব গুঁড়া মশলা দিয়ে ভালো করে নিন, কষানো মশলায় দই ভালো করে ফেটে দিন এবং আবার কষান। এবার ডিম দিন এবং অল্প পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। এবার কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভুনা ভুনা করে নামান। গরম ভাত-রুটি-পোলাও ইত্যাদির সাথে পরিবেশন করুন।

 

আদা পানি কেন খাবেন

আদা যে শুধু মশলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয় এমন কিন্তু নয়। শরীরের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সারাতেও আদার রয়েছে বিশেষ অবদান। আদার মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। আদা এমনি খাওয়াও ভালো, তবে যদি আদা পানি খাওয়া হয় এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আদা পানি শরীর পরিশোধিত করতে সাহায্য করে। পানির মধ্যে আাদার টুকরো কেটে ১৫ মিনিট ফুটান। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এর মধ্যে কিছুটা লেবু দিয়ে পান করুন।

আপনি যদি গাঁটে ব্যথা ও প্রদাহ জনিত সমস্যায় ভোগেন তাহলে আদা-পানি খেতে পারেন। এই পানি হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে কাজ করে। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে আদা-পানি সাহায্য করে। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধেও আদা পানি কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে আদা-পানি খেতে পারেন। আদা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

আদার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আদা পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এটি বমি প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এটি গলা ব্যথা এবং পেশি ব্যথা কমাতে কার্যকর।

 

কোমর ব্যথায় যা করবেন

কোমর ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা চাকরি করেন, তাদের অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। এছাড়াও নানা কারণে অনেকেই কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমরে ব্যথা থাকলে কিছু কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত, বিশেষ কিছু যত্ন নেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই কোমর ব্যথায় করণীয়-

বসার সময় হাত ও পায়ের অবস্থান ঠিকমতো না থাকলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। সামনের দিকে ঝুঁকে না বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন। আর অন্তত এক ঘণ্টা অন্তর একটু হাঁটুন, বসার প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন। এ ক্ষেত্রে চেয়ার পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন।

ভারী জিনিস বহন করলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। তাই একবারে বেশি ওজন বহন না করবেন না।

কোমর ব্যথা হলে অনেকেই গরম বা ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিয়ে তাকেন। এতে অল্প সময়ের জন্য আরাম হলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতে চিকিৎসা না করে চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন। আর এক সপ্তাহের বেশি ব্যথা থাকলে দেরি করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।

কোমর ব্যথায় আক্রান্তরা সাধারণত ব্যায়াম করা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। ব্যায়াম পেশিকে শক্ত করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই ব্যায়াম করুন। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য সঠিক সেটি জেনে নিতে হবে।

ব্যথা হলে নিজেই ডাক্তারি করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।

 

মস্তিষ্ক নিজ থেকেই যে কাজগুলো করে

মানবদেহের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে মস্তিষ্ক। এর থেকে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা কাজ করে থাকি। কিন্তু এসব ছাড়াও আমাদের মস্তিষ্কের কিছু নিজস্ব কাজ আছে, যা দ্বারা তারা নিজেরা নিজেদের কর্মব্যস্ত রাখে। আমরা প্রায়ই বলি মনের অজান্তে আমরা এই কাজটি করে ফেলেছি। কিন্তু তা কীভাবে হয়ে থাকে। তার থেকে পাওয়া তথ্য কী আমাদের মস্তিষ্কে থাকে? আমরা কী সংকেত পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ করতে শুরু করি? আমাদের মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া যায় এসব প্রশ্নের উত্তর।

তথ্য যাচাই-বাছাই
আমাদের আশপাশে যা ঘটে তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা তথ্য পাই। আর এসব তথ্য জমা হওয়া কিংবা তা পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। এর সাহায্য ছাড়া আমরা সব দেখতে পাবো ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ আমরা বুঝতে পারবো না। তাই আপনার কান, চোখ থাকলেও আপনার মস্তিষ্ক না থাকলে আপনি অচল।

সাময়িক ভুলে যাওয়া
আমরা প্রায় অনেক সময় বলে থাকি যে কিছুক্ষণ আগে কী ঘটে গেলো? কিছু সময়ের জন্য আমরা ব্লাইন্ড হয়ে যাই। আর এটি হয়ে থাকে আমাদের মস্তিষ্কের কিছুটা বিরতি দেয়ার জন্য। আপনি যখন আপনার মনের অজান্তেই অনেক কিছু ভাবতে থাকেন আর আপনার মস্তিষ্কে চাপ পড়তে থাকে, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে আবার কাজে ফিরিয়ে আনতে এটি করে থাকে। আপনি ঠিকই সব দেখতে পান আর ভুলেও যান না কিছু, শুধু অল্প সময়ের জন্য তা মনে রাখতে পারেন না।

উচ্চারণ
কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে জিহ্বা। এর সাহায্য ছাড়া আমরা কোনো শব্দই সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারবো না। তবে এর থেকেও বড় কথা হচ্ছে মস্তিষ্ক ছাড়া শুধু জিহ্ববা দিয়ে কথা বলা সম্ভব না। আমরা কখন কী ভাবি, কী বলতে চাই তার তথ্য পৌঁছায় সরাসরি মস্তিষ্কে আর আমরা আমাদের চোখের সামনে তা দেখতে পাই এবং অনুভব করতে পারি। যা খুব অল্প সময়ে ঘটায় আমরা বুঝে উঠতে পারি না।

তাপমাত্রা
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যখন প্রচণ্ড গরমে কিংবা ঠান্ডায় থাকি তখন আমাদের শরীর কীভাবে সেই স্থানের সঙ্গে মানিয়ে নেয়? এটি কেবল সম্ভব আমাদের মস্তিষ্কের কারণে। আপনি প্রচণ্ড গরমে থাকলে মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সাহায্য নিয়ে বাড়তি তাপমাত্রা বের করে দেয়। আর প্রচণ্ড শীতে শরীরে তাপ সরবরাহ করে।