banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

হার্ট অ্যাটাকে প্রাথমিক চিকিৎসা

পরিবারে কারো বুকে ব্যথা অনুভূত হলে পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে কী ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন, কোথায় নিয়ে যাবেন কিংবা কী ওষুধ খাওয়াবেন তা নিয়ে ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও অনেকে গ্যাষ্ট্রিকের ব্যথা ভেবে গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধ খান।  দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্বও করে ফেলেন অনেকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের  সহযোগী অধ্যাপক  ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু শুক্রবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে কী করতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘হার্ট অ্যাটাক হলে নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে ৩০০ এমজি ট্যাবলেট ইকোস্প্রিন ও ৩০০ এমজি ট্যাবলেট ক্লিপ্পিড অথবা ২০ এমজি ট্যাবলেট প্যানসেক ২০ খেয়ে তাড়াতাড়ি উপজেলা, জেলা কিংবা হৃদরোগের বিশেষায়িত হাসপাতালে চলে যান।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অবশ্যই জীবনরক্ষাকারী ষ্ট্রেপটোকাইনাসি প্রয়োগ করতে ভুলবেন না প্লিজ, এতে করে অনেক রোগী মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে। তারপর যেখানে সুযোগ আছে সেখানে অনতিবিলম্বে এনজিওগ্রাম করে ষ্ট্যান্ট বসিয়ে নিবেন। এটাই হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

প্রকাশ হলো বেলাল-মেরীর একটা গল্প

বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ভাস প্রোভাইডর প্রতিষ্ঠান অ্যাডবক্স বাংলাদেশ লি. গত রোজার ঈদ থেকেই তাদের নিজস্ব প্রযোজনায় ২৫টি একক ও মিশ্র গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (২৭ অক্টোবর) ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেলাল খানের এক্সক্লুসিভ মিউজিক ভিডিও ‘একটা গল্প’।

বেলাল খান বলেন, ‘গানটি খুব যত্ন করে তৈরি করেছি। আমার সঙ্গে মেরী ভালো গেয়েছেন। আশা করছি গান এবং এর মিউজিক ভিডিওটি শ্রোতা ও দর্শকদের মন মাতাবে।’

belal
এ্যাডবক্সের সিইও শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দর্শক-শ্রোতাদের ব্যতিক্রম কিছু মিউজিক ভিডিও উপহার দিতে চাই। এ দেশের মানুষের বাংলা গান শোনা ও দেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

গানে বেলার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন মেরী। চমৎকার এই গানটির কথা সাজিয়েছেন সোমেশ্বর অলি। ভিডিওতে গায়ক ও গায়িকা নিজেরা অভিনয়ের পাশাপাশি আরো মডেল হিসেবে আছেন এ. কে আজাদ ও নীলাঞ্জনা নীলা। আজাদ ‘চ্যানেল আই: হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান সিজন-টু’২০১৪ সালের বিজয়ী এবং নীলা লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ২০১৪র সেকেন্ড রানারআপ।

Save

 

কেউ দোয়া চাইলে আপনি যা বলবেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে না (সাহায্য চায় না); তার প্রতি আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন।’ কেননা দোয়াই ইবাদাতের মূল। আবার পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ হলে একে অপরের নিকট দোয়া চায়; কল্যাণ কামনা করে থাকে। সেক্ষেত্রে কি বলতে হবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা আমাদের শিখিয়েছেন।

আর একে অপরের জন্য দোয়া করা বা কল্যাণ কামনা করাও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। এ কারণে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজে সালাম আদান-প্রদানের জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন। কেননা সালামেও পরস্পরের জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মা একবার তাঁকে নিয়ে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে তাঁর জন্য দোয়া করার আবেদন করেন। এতে বিশ্বনবি তাঁর জন্য যেভাবে দোয়া করেন তা তুলে ধরা হলো-

Dan-Inner

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকছির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু ওয়া আত্বিল ও’মরাহু ওয়াগফিরলাহু ওয়া বারিকলাহু ফিমা রাযাক্বতাহু।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি তার অর্থ, সন্তান, ও বয়স বৃদ্ধি করে দিন। আর তাকে
ক্ষমা করুন এবং তাকে যে রুজি (রিজিক) দিয়েছেন তাতে বরকত দিন।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর বিধান যথাযথভাবে পালন করার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া-আমল ও নফল ইবাদাত-বন্দেগি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Save

Save

Save

 

শিশুর মানসিক পরিবর্তনের সময় করণীয়

শিশুর বেড়ে ওঠার প্রথম জায়গা তার পরিবার। তার মানসিকতা তৈরির প্রথম সহায়ক হচ্ছে তার বাবা, মা, ভাই, বোন কিংবা নিকট আত্মীয়। শিশুরা তাদের প্রতিটি কাজে প্রায়ই ভুল করে থাকে। তবে বড়দেরও কিছু সময় বড় ধরণের ভুল হয়ে থাকে। তারা শিশুদের এই মানসিক পরিবর্তনের সময় কিছু ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। বিষয়গুলো ছোট হলেও তার প্রভাব বড় আকারে পড়ে শিশুদের মনে। তাই তাদের সাথে মেশার সময়, তাদের মানসিকতা বুঝে আগানো উচিৎ। এতে তার বেড়ে ওঠা আর তার মানসিক পরিবর্তন দুই সঠিক ভাবে হবে।

সমান ভালোবাসা
পরিবারে যতদিন একটি সন্তান থাকে তাকে নিয়ে বাবা মায়ের আনন্দ ভালোবাসা একই থাকে। তার জন্মদিন ঘটা করে পালন করা, তাকে নিয়ে ছবি তোলা, ঘুরতে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান এবং একমাত্র সন্তান প্রথম দিকে প্রাধান্য পায়। যখনই আরো একটি ছোট বোন বা ভাই পরিবারে আসে তখনই দুজনের মাঝে তারতম্য দেখা দেয়। বড় সন্তানকে বোঝানো হয় যে সে বড় আর বড়দের জন্মদিন না করলেও চলে। যা তার ছোট মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। আর সাথে সাথে জন্ম দেয় হিংসার। তাই তাদের মধ্যে পার্থক্য না করে দুই জনকেই সমান প্রাধান্য দিন।

অহেতুক আশা:
শিশুদের অহেতুক আশা দেবেন না। তাদের কোনো ব্যাপার নিয়ে লোভ দেখাবেন না। তাদের সেটাই বলুন, সেটাই বোঝান যা আপনি করতে পারবেন। শিশুদের সত্যি কথা বলতে শেখান। তাদের আপনার সামর্থ্য সম্পর্কে সোজাসাপটাভাবে না বলে আদর করে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি তাকে ছোট থেকেই মিথ্যা আশ্বাস দেন, অহেতুক বোঝান তবে সে বড় হয়েও তাই অন্যদের বোঝাবে। তাই ছোট থেকেই শিশুকে অহেতুক আশা থেকে দূরে রাখুন। তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে তাই শেখান যা তার জন্য জরুরি।

বন্ধু :
অনেক শিশুই বাড়িতে একা থাকে। কখনো আয়া, কখনো বুয়া বা আত্নীয়ের কাছে। আর এই একা থাকতে থাকতে তাদের কল্পনায় কখনো কখনো কখনো বন্ধু নামক একজন মানুষের সৃষ্টি হয়। সে তার সাথেই সময় কাটায়, তাকে তার মনে কথা বলে। আর এমনটা প্রায় শিশুরই ক্ষেত্রে ঘটে। তাই এটিকে তার সামনে বিশাল আকারে ধরে তুলবেন না। তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে কষ্ট দিয়ে কথা না বলে তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে সাহায্য করুন।

পর্যবেক্ষণ :
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে দেখেই আপনার শিশু অনেক কিছু শিখছে। তাই তার সামনে এমন কিছু করবেন না যাতে তার মানসিক পরিবর্তনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

মাছ আলুর চপ তৈরি করবেন যেভাবে

ঝাল কিংবা একটু ভাজাপোড়া খাবার খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের একটি পছন্দের পদ হতে পারে মাছ আলুর চপ। বিকেলের নাস্তা কিংবা পোলাও, বিরিয়ানির সঙ্গে খেতে ভালো লাগবে। চলুন তবে জেনে নেই-

উপকরণ : যে কোনো মাছ (ভেটকি, রুই, ইলিশ) ৫-৬টি বড় টুকরা, আলু মাঝারি ৩টি, একটি বড় পাউরুটির টুকরা, পেঁয়াজ মিহিকুচি ১/৩ কাপ, আদাবাটা ১ চা- চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ-কুচি ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, ভাজা জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি : মাছের টুকরাগুলো ভাপে সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন। আলু সিদ্ধ করে ভালোভাবে চটকে নিন। পাউরুটি পানিতে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলুন। এখন মাছ, আলু, রুটি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তেল বাদে বাকি সব উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে হাতে অল্প অল্প করে নিয়ে পছন্দ মতো আকার দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে তেল ভালো করে গরম করুন। গরম তেলে চপগুলো ছেড়ে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ডুবো তেলে ভাজবেন আর খয়েরি রং ভাব এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

ফ্যাশনে ফতুয়া

বৈচিত্র্যময় পোশাক হচ্ছে ফতুয়া। এর রঙে রয়েছে বৈচিত্র্য। গাঢ় রঙের যেকোনো পোশাকই এই আবহাওয়ায় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সারা বছর চাহিদা থাকলেও গরমে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে কুর্তার জুড়ি নেই। ট্র্যাডিশনাল, ক্যাজুয়াল আবার ফরমাল-যেকোনো ধরনের কুর্তাই কিনতে পাওয়া যায়। গরমে পরার জন্য এবার খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব আনা হয়েছে কুর্তায়। কাপড় ও রঙ- দুটোই হালকা হলে ভালো আরাম মিলবে এই সময়ে।

কেমন ফতুয়া?
লম্বা দেহের জন্য বড় বড় প্রিন্টের কুর্তা ভালো লাগবে। তবে উচ্চতা কম হলে সবসময় ছোট প্রিন্টের নকশা করা কুর্তা পরা উচিত। এ ক্ষেত্রে বাঁকা বা আড়াআড়ি ডোরাকাটা প্রিন্ট পরাও উচিত নয়। তার বদলে সোজা ডোরা প্রিন্ট বেছে নিতে পারেন। এতে খানিকটা লম্বা দেখাবে।

গরম মাথায় রেখে হাতাকাটা লম্বা শার্টের মতো কুর্তা এসেছে বাজারে। এছাড়া চলতি ধারার সঙ্গে মিলিয়ে কুঁচি কিংবা ঘের দেওয়া কুর্তাও পরতে পারেন। আবার সোজা কাটের পাঞ্জাবির মতো কুর্তাও রয়েছে সংগ্রহে। কলারসহ এবং কলার ছাড়া দুই ধরনের কুর্তাই আছে। এছাড়া সুতির ওপর স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হালকা সুতার কাজও দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কুর্তিতে আলাদা করে চোখে পড়ে বোতামের ব্যবহার।  কুর্তায় কখনো হাতা, কখনো গলা, কখনো বা জমিনকে কেন্দ্র করে নকশার কাজটি হয়ে থাকে।

রঙ
সাদা, হালকা বাদামি, হালকা গোলাপি, নীল, পিচ, হালকা সবুজাভ রঙ গরমে বেশ ভালো লাগে। এসবের পাশাপাশি জলপাই, সবুজ, আকাশি, হালকা হলুদ, ঘিয়া, হালকা ম্যাজেন্টা, ফিরোজা, হালকা সবুজ, পেস্ট ধরনের উজ্জ্বল কিন্তু হালকা রঙগুলো কুর্তায় বেছে নিতে দেখা যাচ্ছে। কাপড় হিসেবে সুতি তো আছেই পাশাপাশি লিলেন, অ্যান্ডি, তাঁত, হাফ সিল্ক, মসলিনের ফতুয়াও দেখা যাচ্ছে।

ফতুয়ার সঙ্গে মিলিয়ে
একরঙা কুর্তার সঙ্গে প্রিন্টেড পালাজ্জো এবং স্কার্টে আপনার ফ্যাশনটাকেই বদলে দিতে পারে। কুর্তার কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন সিনথেটিক কাপড়ের ওড়না বা স্কার্ফ। কুর্তা বাড়িতেই বানিয়ে নিতে চাইলে সাড়ে তিন হাত বহরের পছন্দমতো দেড় গজ কাপড় আর দেড় গজ প্রিন্টের কাপড় অথবা অন্য কোনো নকশা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন।

কোথায় পাবেন
মায়াসির, বিবিয়ানা, ক্যাটস আই, আরবান ট্রুথ, আড়ং, নগরদোলা, রঙ, আবর্তন, কে-ক্র্যাফট, জেন্টল পার্ক, এক্সট্যাসি, ওটু, অঞ্জন’স, নিপুণসহ কমবেশি সব ফ্যাশন হাউসের শোরুমে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের কুর্তা পাওয়া যেতে পারে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান পিংক সিটি, নিউমার্কেট গাউছিয়া, মৌচাকসহ ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল। এছাড়া অনলাইনেও পাওয়া যায়।

দরদাম
ফ্যাশন হাউসগুলোতে ফতুয়া বা কুর্তার দাম পড়বে ৭৯০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য বাজার বা দোকানে মিলবে এক হাজার টাকার মধ্যেই।

 

অফিসের কাজ বাড়িতে করার সুবিধা

অনেক সময় অফিসের সব কাজ অফিসে করে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই তা বাসায় বয়ে আনতে হয়। আর তাতেই শুরু হয় আরেক বিড়ম্বনা। বাড়ির সবার বকাঝকা যেন আপনার জন্য তৈরি থাকে। কিন্তু আপনাকে আপনার আশেপাশের মানুষ যতই অফিসের কাজ বাসায় আনতে বারণ করুক না কেন এতে কিন্তু অসুবিধার পাশাপাশি সুবিধাও আছে।

জায়গা
আপনি আপনার বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা পেয়ে থাকেন। তাই জরুরি ফাইল এনে তা এখানে সেখানে রেখে খুব সহজেই কাজ করতে পারেন। হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তেমন থাকেনা তাই আপনি নিশ্চিন্ত মনে কাজ করতে পারেন। যা আপনাকে মানসিকভাবে কাজ করার উপযুক্ত রাখে।

অন্যদের সময় দেওয়া
কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না? কিন্তু এই কাজই আপনাকে সময় বের করে দিতে পারে পরিবারকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। আপনি যখন কাজ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন আপনার খাওয়া ঘুমের জন্য একটা সময় পাবেন তেমনই তার ফাঁকে ফাঁকে পাবেন আড্ডা দেওয়ারও সময়। তাই মাঝে মধ্যে বাড়িতে অফিসের কাজ নিয়ে আসা মন্দ নয়।

নিয়মে চলা
বাড়িতে কাজ নিয়ে এলে তা দ্রুত শেষ করা যায়। আপনি যখন বাড়িতে কাজ করবেন তখন বাড়িতে থাকা মানুষদের কথাও আপনার মাথায় থাকবে। তাদের সাথে খাবার খাওয়া ইত্যাদি সময়গুলো যেহেতু আগেই নির্ধারণ করা থাকে তাই আপনার তাড়া থাকে অফিসের কাজ শেষ করে তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার। যা আপনাকে দিয়ে আপনার মনের অজান্তেই দ্রুত অফিসের কাজ করিয়ে নেয়।

ইচ্ছামতো কাজ করা
আপনি যখন বাড়িতে কাজ করেন তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় বের করেও যেমন কাজ করতে পারেন তেমনই তার বিপরীতভাবেও। আর এই ইচ্ছামতো কাজ করার স্বাধীনতা আপনাকে দিয়ে দ্রুত আর সঠিকভাবে কাজ করিয়ে নেয়। তাছাড়া বাড়িতে কাজ করলে কিছুটা নিজের মনের মতো করে জায়গা তৈরি করে নেওয়া যায় যা আপনার কাজের জন্য উপকারী।

 

প্রতিদিনের গ্যাজেটের যত্নআত্তি

সারাদিনের কাজকর্মের বড় একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপটি। আর কাজের ক্লান্তিতে একটু গান শোনার জন্য তো হাতের কাছেই রয়েছে সাধের হেডফোনটি। এসব গ্যাজেট আমাদের নিত্যদিনের চলার পথের সঙ্গী হয়ে আছে সারাটা বছর জুড়ে। তবে দিনশেষে কেন যেন এসব জিনিসগুলোরই খুব একটা যত্ন নেওয়া হয়না। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলোর দরকার আলাদা আলাদা যত্ন।

ল্যাপটপ-নেটবুকের যত্নআত্তি
ল্যাপটপ ও নেটবুক অনেকক্ষেত্রেই খুব সংবেদনশীল হয় তাই একটুখানি অযত্ন কিংবা মনোযোগের অভাবে আপনার অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটির যেকোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ল্যাপটপের উপর কখনোই ভারী কিছু রাখা উচিত নয়। লাপটপের পুরুত্ব খুব বেশি না হওয়ায় ভারী কিছুর চাপ পরলে তা মনিটরে সমস্যা করতে পারে। যেহেতু ল্যাপটপের ডিসপ্লে পরিবর্তন বেশ ব্যায়বহুল এবং ঝামেলাপূর্ণ তাই এই ব্যাপারে সচেতন হলে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ল্যাপটপের জন্য স্ক্রিন প্রটেক্টর এবং কীবোর্ড প্রোটেক্টর ব্যবহার করলে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা যেতে পারে সহজেই। এছাড়া আজকাল মিনি ইউএসবি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাওয়া যায় যা দিয়ে নিয়মিত মনিটর ও কীবোর্ড পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ল্যাপটপ শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন যাতে কোনো ময়লা জমে না থাকে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ল্যাপটপ এর ভেতর কোন অবস্থাতেই যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে।

শখের মোবাইল ফোনের যত্ন
স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবের সবচেয়ে বড় দিকটি  হলো স্পর্শের সংবেদশীলতা। তাই খুব জোরে কিংবা নখ দিয়ে মোবাইল বা ট্যাব চাপা থেকে বিরত থাকলে টাচ সেনসিটিভিটি অনেকদিন ভালো থাকে। টাচস্ক্রিন মোবাইলের স্ক্রিনে পানি, ঘাম কিংবা তেল পড়লে এর টাচ এর কর্ম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করুন এসব থেকে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখতে। আর পানি পড়লে সাথে সাথে আলতো করে মুছে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।

হেডফোনের যত্ন
অবসরের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠা হেডফোনটিরও চাই একটুখানি যত্ন যাতে করে দিনের বিভিন্ন ভাগ আপনি উপভোগ করতে পারেন পছন্দের কোন গান দিয়ে। গান শোনার সময় প্লাগটি এমনভাবে রাখুন যাতে হ্যাঁচকা টান কিংবা অসাবধানতায় এটি হঠাৎ খুলে না পড়ে যায়। এছাড়া অন্যসব গাজেট এর মতো হেডফোনও কোন তরল পদার্থ কিংবা অতিরিক্ত গরম থেকে দূরে রাখুন। হেডফোন পরিষ্কার করা ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ছোট ছোট ওয়াইপস কিংবা টিস্যু। এছাড়া কটনবাড দিয়েও হেডফোনে জমে থাকা ময়লা বের করা যাবে অনায়াসেই। এছাড়া শখের হেডফোনটিকে ঝকঝকে, সুন্দর ও নতুনের মতো দেখাতে অনেকেই ব্যবহার করেন একটু সাবানপানি। এটি দিয়ে পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে হেডফোনের ভেতরের দিকে কোনভাবে পানি প্রবেশ না করে।