banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

বিধর্মীদের বানানো মিষ্টি ও খাবার খাওয়া যাবে কিনা?

যতক্ষণ পযর্ন্ত নিশ্চিতভাবে এটা জানা না যায় যে, খাবার রান্না করার সময় কাফেরের হাতে বা পাত্রে নাপাক মিশ্রিত ছিলো না ততক্ষণ পযর্ন্ত তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া জায়েয আছে।

আমাদের এলাকাতে হিন্দুদের অনেক খাবারের দোকান। এর মধ্যে আছে মিষ্টির দোকান আছে। বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে হয়। আবার তাদের দোকানে গিয়ে খাবার খেতে হয়। তাই আমার জানার বিষয় হচ্ছে হিন্দুদের এই সব খাবারের বিধান কী?

যতক্ষণ পযর্ন্ত নিশ্চিতভাবে এটা জানা না যায় যে, খাবার রান্না করার সময় কাফেরের হাতে বা পাত্রে নাপাক মিশ্রিত ছিলো না ততক্ষণ পযর্ন্ত তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া জায়েজ আছে। আর যদি নাপাক হওয়া সম্পর্কে জানা যায় তাহলে তাদের খাবার খাওয়া না জায়েজ। [ইমদাদুল মুফতীন ১০১৫]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

দাম্পত্য জীবনের স্মৃতি স্বরূপ ছবি তোলা যাবে কিনা?

যে কোন প্রয়োজনে যেমন হজে গমন কিংবা রাষ্ট্রিয় কোন কাজের জন্য ছবি তোলা জায়েয। কিন্তু শখের কারণে কোন ছবি তোলা কখনো জায়েয হবে না।

নিজের স্মৃতি চিহ্ন বা বন্ধুদের কিংবা মা-বাবার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অনেকে ছবি তোলে রাখে আবার অনেকে নতুন দাম্পত্ত জীবনের ছবি তুলে রাখে। এই ছবি তোলা কি ইসলামে বৈধ্য আছে?

যে কোন প্রয়োজনে যেমন হজে গমন কিংবা রাষ্ট্রিয় কোন কাজের জন্য ছবি তোলা জায়েয। কিন্তু শখের কারণে কোন ছবি তোলা কখনো জায়েয হবে না। ঠিক তেমনই দাম্পত্ত জীবনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্যও ছবি তোলা জায়েয হবে না। [ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়া ৬-২৭১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে ফেলুন মজাদার পটেটো ললিপপ

আলু নামের সবজিটি সবার অনেক প্রিয়। বিকেলের নাস্তায় আলু পুরি, আলুর চপ, আলুর কাটলেট কতরকম খাবার তৈরি করা হয়। আলুর তৈরির আরেকটি মজাদার নাস্তা হল পটেটো ললিপপ। খুব সহজে অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে ঝটপট তৈরি করতে পারবেন মজাদার পটেটো ললিপপ।

উপকরণ:

২-৩টি সিদ্ধ আলু

১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস

১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি

২-৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট

১/৪ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো

১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো অথবা লেবুর রস

লবণ

২ টেবিল চামচ ময়দা

১ চা চামচ ইটালিয়ান সিজলিং

১ চা চামচ শুকনো মরিচের গুঁড়ো

১/৪ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস

তেল

সস তৈরি:

৩ টেবিল চামচ মেয়নিজ

১/৪ কাপ টকদই

১ চা চামচ চিনি

১ চিমটি লবণ

গোল মরিচের গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি

ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে সিদ্ধ আলু চটকে নিন।

২। এরসাথে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, ব্রেড ক্রাম্বস, আদা রসুনের পেস্ট, আমচূর পাউডার বা লেবুর রস এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মেশান।

৩। আরেকটি পাত্রে এক টেবিল চামচ ময়দা আর পানি দিয়ে গোলা তৈরি করে নিন।

৪। অন্য পাত্রে ব্রেড ক্রাম্বসের সাথে শুকনো মরিচ গুঁড়ো এবং ইটালিয়ান সিজলিং মিশিয়ে নিন।

৫। আলুর পেস্ট দিয়ে ছোট বল তৈরি করে প্রথমে ময়দার মিশ্রণে তারপর ব্রেড ক্রাম্বসের জড়িয়ে নিন।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে আলুর বলগুলো তেলে দিয়ে দিন।

৭। বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। টুথপিকে গেঁথে পরিবেশন করুন।

৮। সস তৈরির জন্য মেয়নিজ, ঘন টকদই, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, চিনি এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মেশান।

৯। মেয়নিজ সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পটেটো ললিপপ।

 

চাকুরীজীবিদের জন্য পোশাক তৈরী করলো গ্রামীণ ইউনিক্লো

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে অনন্য রাখতে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি কাজে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে যেমন দরকার আপনার বুদ্ধিমত্তা তেমনি আপনার পোশাকও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গ্রামীণ ইউনিক্লো নিয়ে এলো চাকুরীজীবিদের জন্য পারফেক্ট ফিটের ও আরামদায়ক ফেব্রিকের ওয়ার্ক ফ্যাশন কালেকশন।

চাকুরিজীবিদের জন্য বিশেষভাবে আনা হয়েছে এই কালেকশন। এই কালেকশনে বিজনেস স্টাইল শার্ট পাচ্ছেন ১৪৯০ টাকায়, চিনো প্যান্টস পাচ্ছেন ১৬৯০টাকায়। কামিজ পাচ্ছেন ১৬৯০ টাকায়, পেন্সিল প্যান্টস পাচ্ছেন ৯৯০ টাকায় ও পালাজ্জো পাচ্ছেন ৭৯০ টাকায়। ছেলেদের ট্যাংক টপ, বক্সারব্রিফ ও মেয়েদের লেগিংস পাচ্ছেন প্রতি পিস ৩৫০ টাকা করে। তবে এই ক্যাম্পেইন-এ ট্যাংকটপ, বক্সার ও লেগিংস দুইটি কিনলে পাবেন ১৫% ছাড়, তিনটি কিনলে ২০% ছাড় এবং ৪ বা ততোধিক কিনলে ২৫% ছাড়। অফার চলবে ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত।

গ্রামীণ ইউনিক্লো এর বর্তমানে ৯টি আউটলেট আছে। গ্রামীন ইউনিক্লো আউলেট লোকেশন: বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, ধানমন্ডি সাইন্সল্যাব মোড়, কাটাবন মোড়, খিলগাঁও তালতলা, নয়াপল্টন, মিরপুর-০১, মোহাম্মদপুর রিংরোড এবং গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে। আরো জানতে লগইন করুন: www facebook.com/grameenuniqlo

 

৫টি কৌশলে সম্পর্ক ভাল রাখুন সহকর্মীর সাথে

অফিসে কাটে দিনের দীর্ঘ একটা সময়। সকালে ঘুম থেকে উঠে গুছিয়ে চলে আসি আমরা কর্মক্ষেত্রে। এরপর সারাটাদিন কাটে ব্যস্ততায়। বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতেই বেশী ভাল লাগে। ভাল লাগে নিজের মত থাকতে। কিন্তু সে আর কতটা সময়। কিছুক্ষণ পরই খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আমরা। দিনের বেশীরভাগ সময়টা কাটে যাদের সাথে তাদের সাথে সম্পর্কটা ভাল হওয়া খুবই জরুরি।
আসুন জেনে নিই, সহকর্মীদের সাথে প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন কিভাবে-
শুভ সকাল
অফিসে প্রবেশ করেই হাসিমুখে ‘শুভ সকাল’ বলুন আপনার সহকর্মীকে। একটা মিষ্টি হাসি আপনাদের সম্পর্ককে সহজ করবে। সাথে সাথেই মন ভাল লাগবে আপনার, একই সাথে সামনের মানুষটিরও কিন্তু ভাল লাগবে। এটা না করে আপনি যদি চোখ নিচু করে অফিসে ঢোকেন, মাথা নিচু করে সোজা আপনার পিসিতে বসে কাজ করতে শুরু করেন আপনার সহকর্মী মনে করতে পারেন, আপনি তাকে পছন্দ করেন না বা এড়িয়ে যেতে চাইছেন।
ছোট ছোট কথা
আপনারা সহকর্মী, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনারা কখনো গল্প করতে পারবেন না। নিজেদের জীবনের ছোট ছোট কথা ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। কিভাবে অফিসে আসেন, সকালে কি করেন, সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়া কে করে এসব টুকটাক গল্প কিন্তু করাই যায়।
মতামত চাইতে পারেন
আপনি যদি আপনার কোন কাজে মাঝে মাঝে আপনার সহকর্মীদের মতামত নেন সেটা কিন্তু আপনাদের মাঝে সম্পর্ক ভাল করতে বেশ কাজে দিতে পারে। তাকে প্রশ্ন করতে পারেন, ‘আপনি যদি ব্যস্ত না হন তাহলে প্লিজ একটু দেখে দিন আমার রিপোর্টে কোন ভুল আছে কিনা!’ আপনাকে সব বিষয়ে পারদর্শী দেখা এক ধরণের ঈর্ষা করার মানসিকতাকে প্রলুব্ধ করে। তাই কখনো কখনো মত নিন, তার বক্তব্য তেমন কাজের না হলেও বলুন ‘ধন্যবাদ’।
গসিপ এড়িয়ে চলুন
একজন কো-ওয়ার্কার আপনার ভাল বন্ধু হতে পারেন। কিন্তু তার মানে কিন্তু কখনোই এই নয় যে আপনি তার সাথে যেকোন আলোচনা করতে পারেন। বিশেষ করে অপর সহকর্মীর দূর্নাম করা, বসের উপর বিরক্তি প্রকাশ করা এধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকুন। আপনার চাকরিজীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এমন ন্যুনতম বিষয় আলাপ করা এড়িয়ে চলুন।
প্রশংসা করুন
প্রতিটি মানুষেরই ভাল-মন্দ নানান রকমের স্বভাব থাকে। কাজের ক্ষেত্রেও সে কোথাও অভীজ্ঞ, পারদর্শী আর কোথাও হয়ত তেমন ভাল নন। মনে রাখবেন, সহকর্মীকে কোন কাজে পারদর্শী করা আপনার দায়িত্ব নয়। তাই যতক্ষণ তার অদক্ষতার জন্য আপনাকে ঝামেলায় পড়তে না হচ্ছে ততক্ষণ অযথা সমালোচনা করতে যাবেন না। বরং প্রশংসা করুন তার ভাল কাজগুলোর। অন্তত তার পোশাক-পরিচ্ছদের প্রশংসা করুন। মানুষের গুণের স্বীকৃতি দেওয়া দোষের কিছু নয়।
লিখেছেন
আফসানা সুমী