banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

চাকরি বাঁচাতে দাড়ি কামানো : কী বলে ইসলাম?

অগণিত হাদিস, নবী রাসূলদের অভ্যাস-আর্দশ এবং সাহাবাদের আমল দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এবং দাড়ি রাখতে হবে এক মুষ্টি পরিমাণ।

এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে চাকরি করতে হলে দাড়ি রাখা যায় না। কিংবা দাড়ি রাখলে বেতন অনেক কম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে চাকরি বাঁচানোর জন্য দাড়ি কামানো বা না রাখা বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

অগণিত হাদিস, নবী রাসূলদের অভ্যাস-আর্দশ এবং সাহাবাদের আমল দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এবং দাড়ি রাখতে হবে এক মুষ্টি পরিমাণ। এর চেয়ে কম হলে সেটা হবে মাকরুহে তাহরীমী। সুতরাং ভালো চাকরির করার জন্য কিংবা ভালো বেতনের জন্য দাড়ি কামানো জায়েজ হবে না। [ফাতওয়ায়ে রহীমিয়া ৬-২৪৭]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

কর্মক্ষেত্রে সমালোচনা এড়িয়ে চলবেন যেভাবে

জীবনে আলোচনা বা সমালোচনা থাকবেই। তবে কর্মক্ষেত্রে এই সমালোচনা অনেক সময় বেশি হয়ে থাকে। এই সমালোচনা আর আলোচনার ভিড়ে কীভাবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবেন তাই হচ্ছে মূল বিষয়। আপনি যদি এসব কারণে মন খারাপ করে বসে থাকেন তবে আপনার পাশের মানুষটি আপনাকে টপকে উপরে উঠে যাবে বা আপনাকে পিছনে ফেলে দেবে। তাই সমালোচনাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন।

বই পড়ুন
আপনি যখনি সময় পাবেন তখন পছন্দের লেখকের বই কিংবা যাদের বই পড়লে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় তাদের বই পড়ুন। নিজের জীবনে তাদের বাণীসমূহকে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যুগে যুগে যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারা কীভাবে সমালোচনাকে কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে তা জানুন। নিজেকে তাদের মতো ভাবুন। দেখবেন নিজের তেতরের সেই হারানো বিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছেন।

নিজেকে দোষী ভাববেন না
আপনার ওপর কারণে অকারণে দোষ এসে পড়তে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কারো কারো মাঝে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে চুপচাপ দোষ স্বীকার করে নেওয়া। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আপনি মনের অজান্তেই নিজেকে সব কাজের জন্য দোষী ভাবতে থাকেন। তাই নিজেকে দোষী ভাবা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সতর্ক থাকুন
সতর্ক থাকুন সবসময়। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। আপনি কোথায় কোন কাজটি করছেন তা লিপি বদ্ধ করে রাখুন। অফিসের কোনো কাজের ভার নিজের ওপর পড়লে তা সুন্দরভাবে নোট করে রাখুন। যাতে আপনার কাছে কেউ কোনো তথ্য চাইলে আপনি তাকে দিতে পারেন। নয়তো আপনাকে নানাভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে আর নিজের উপর আত্মবিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখতে সতর্ক থাকুন।

সমালোচনা না করা
কাজের ক্ষেত্রকে ভালোবাসুন। কে কোথায় কোন কাজে ব্যস্ত আছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না থেকে নিজের কাজটি ভালোভাবে করুন। এতে আপনি যেমন সফলতার মুখ দেখবেন তেমনি আপনার সম্পর্কে কেউ সমালোচনা করলে তাকে কাজ দিয়ে উত্তর দিতে পারবেন।

 

স্পাইসি থাই স্যুপ রান্নার সহজ উপায়

গরম গরম স্যুপ পেলে অনেকেরই খাবারের দুশ্চিন্তাটা মিটে যায়। রেস্টুরেন্টের থাই স্যুপ হলে তো কথাই নেই। তবে সবসময় তো আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে শিখে ফেলুন ঝটপট মজাদার স্পাইসি থাই স্যুপ তৈরির সহজ রেসিপিটি-

উপকরণ : ৪-৫ কাপ চিকেন স্টক, ১ টেবিল চামচ তেল, আধা কাপ মুরগির মাংস চিকন লম্বাটে করে কাটা, আধা কাপ খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ, ২ টি ডিমের কুসুম, ৩-৪ টেবিল চামচ চিলি সস, ২ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ সয়াসস, ৭-৮ টি কাঁচামরিচ ফালি, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, ৪/৫ টি লেমন গ্রাস/ থাইল গ্রাস, চিনি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : মুরগির মাংসের হাড় নিয়ে ১০-১২ কাপ পানিতে একটু লবণ দিয়ে সিদ্ধ করতে থাকুন। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে চিকেন স্টক তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে চিকেন স্টক চুলায় বসিয়ে দিন। চিকেন স্টকে মাংস, চিংড়ি মাছ, লেমন/থাই গ্রাস, সয়াসস, চিলি সস, টমেটো সস, লবণ, চিনি ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিন ও নেড়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। ডিমের কুসুম একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন এবং স্টকে ডিম দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন যাতে পুরোপুরি মিশে যায়। মাংস ও চিংড়ি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে স্টক জ্বাল দিতে থাকুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে আধা কাপ পানিতে কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলিয়ে স্টকে দিয়ে দিন। খুব দ্রুত ও ঘন ঘন নাড়তে নেড়ে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। নয়ত কর্ন ফ্লাওয়ার দলা ধরে যাবে। ২-৩ মিনিট নেড়ে ঘন হয়ে এলে এতে লেবুর রস ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে একটু নেড়ে নিন। লবণের স্বাদ বুঝে নিন এবং এরপর চুলা থাকে নামিয়ে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম স্পাইসি থাই স্যুপের মজা নিন হালকা এই শীতে।

 

ফ্যাশনে সিঙ্গেল কামিজ

ফ্যাশন প্রিয় নারীদের পছন্দের তালিকায় সিঙ্গেল কামিজ বেশ ভালোভাবেই জায়গা দখল করে নিয়েছে। যাদেরকে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় তাদের কাছে সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা একটু বেশি। এই পোশাকটিকে একেবারে বিদেশি বলা চলে না। গরমের কারণে একটু ঢিলেঢালা আর আরামদায়ক করে তৈরি করা হয় এসব কামিজ। তাই সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এই কামিজগুলো লং কামিজের কাটিংয়েও পাওয়া যায়। অর্থাৎ বর্তমান ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে কামিজগুলোকে লম্বা করা হচ্ছে। এগুলো লং হাতারও হয় আবার স্লিভলেসও পাওয়া যায়। সিঙ্গেল কামিজের ক্ষেত্রে থ্রি কোয়ার্টার কামিজ বেশি মানানসই। সাধারণত স্লিভলেস লং কামিজ টিনএজার ও তরুণীদেরকে ভালো মানায়। কুর্তা স্টাইলের লম্বা সিঙ্গেল কামিজ এখনকার যুগের সাথে মানানসই।
আর কাপড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভয়েল, লিলেন, ডুপিয়ান, ডবি ফেব্রিক্স। হালকা রঙের সুতি, লিলেন, খাদি আর তাঁত কাপড়ে তৈরি হচ্ছে নকশাদার স্লিভলেস কামিজ আর কুর্তা স্টাইলের লম্বা কামিজ। উৎসব আর পার্বণের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি সিল্ক, তসর, নেট, জর্জেটসহ নানা আকর্ষণীয় কাপড়।

সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট, নেটের মতো গর্জিয়াস কাপড়গুলোতে কারচুপি, স্প্রে, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ক, সিকুইনসহ নানা ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটা ডিজাইনেও প্যাটার্ন, চেক কাপড়, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, হলুদ, সবুজ, সাদা রঙের পাশাপাশি কালো, কমলা, বাদামি, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের শেড লক্ষণীয়। কামিজের সঙ্গে রং ম্যাচিং করে ওড়না পড়তে পারেন অথবা একেবারে বিপরীত রং ও বেছে নিতে পারেন।

অঞ্জন্স, নগরদোলা, কে-ক্রাফট, আড়ং, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে এই সিঙ্গেল কামিজ। সিঙ্গেল কামিজের দাম ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

 

বাড়ছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড, ‘প্রতিরোধ না করলে মরতে হবে’

দিনের পর দিন স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে যাওয়ায় নারীর শেষ পরিণতি মৃত্যু। নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয় নতুবা আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দেওয়া হয়। নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীরা সময় মতো মুখ না খোলায় কাজে লাগছে না পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কোনও উদ্যোগ। নির্যাতনের প্রথম পর্যায়ে প্রতিরোধ না করায় পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বাড়ছে বলে মনে করছেন নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মীরা।

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১৪৯ জন নারী স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। আর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৪ জন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বিবাহিত নারীদের ৮০ শতাংশই জীবনে অন্তত একবার স্বামীর হাতে কোনেও না কোনোভাবে মার খেয়েছেন। অন্যদিকে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ কখনোই নির্যাতনের কথা কাউকে জানাননি।

এই না জানানোটাই তার হত্যার অন্যতম অন্তরায় বলে মনে করে নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। তিনি  বলেন, ‘নারীকে শেখানো হয় স্বামীর ঘর তার শেষ আশ্রয়। হিন্দু পরিবারে স্বামীর ঘর থেকে কেবল চিতা বের হবে প্রচলিত ছিল। সেটা নির্যাতন সহ্য করে হলেও।’

করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। মুখ খুলতে হবে। মুখ খুললে তার যে ভঙ্গুর দশা হবে সেটাকে সামাজিকভাবে মোকাবিলার রাস্তা থাকতে হবে।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকাগুলোর হিসাব অনুযায়ী মাসে ১৬ জন গৃহবধূ হত্যার শিকার হয়েছে। আমরা জানি, এই হিসাবের বাইরেও অনেক হত্যাকাণ্ড রয়ে গেছে। সবকিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এমনটা নয়। নারী তার জায়গা থেকে তখনই প্রতিরোধ করবে যখন সে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করবে। এই সুরক্ষা কাঠামো আমাদের তৈরি করে দিতে হবে।’

এ বিষয়ে আইনজীবী শাহেদুর রহমান  বলেন, ‘সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশি নারীর জীবনের শঙ্কা বাড়ছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীরা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের সমঝোতা করে। যেগুলোর অনেকক্ষেত্রে পারিবারিক পরিসরেও করা হয়। তার অধিকার বিষয়ে না বুঝে সমঝোতার রাস্তায় যাওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়লে তার করণীয় সে বুঝতে পারে না। এক পর্যায়ে হত্যার শিকার হয়।’

আইনি ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া এতো লম্বা যে বাদীপক্ষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।’

নারী কিভাবে এই কাঠামোর মধ্যে আসবেন সে বিবেচনায় ২০০৪ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের সহায়তায় ‘উই ক্যান’ প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, ৪৮টি জেলায় এ প্রচারাভিযানের মধ্য দিয়ে কয়েক লাখ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো প্রতিরোধে রাস্তা খুঁজবেন এবং প্রতিরোধ করবেন।

সামাজিক সচেতনতা তৈরি সম্ভব না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রোকেয়া কবীর বলেন, ‘আমরা গ্রামের দিকে কাজ করার কথা ভাবলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের নির্যাতনের দিকে একেবারেই খেয়াল করছি না। এটা হিতে বিপরীত হচ্ছে। আমাদের প্রচারাভিযানগুলো মধ্যবিত্তের মধ্যে কখনই জায়গা পাচ্ছে না। এ কারণে মধ্যবিত্ত তাদের ইমেজ রক্ষায় মুখ বন্ধ করে নির্যাতন সহ্য করছে। এখন বলার সময় এসেছে হয় প্রতিরোধ করো নাহলে মরতে হবে।’