banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

কিয়ামাতের বড় নিদর্শন ‘দাজ্জালের আবির্ভাব’

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয়ের পূর্বেই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। বনি আদমেরই একজন মানুষ দাজ্জাল। শেষ জামানায় তার আবির্ভাব ঘটবে এবং সে নিজেকে রব (প্রতিপালক) দাবি করবে। পূর্ব তথা খোরাসান থেকে সে বের হবে। অতঃপর মসজিদে আকসা, তূর পাহাড়, পবিত্র নগরী মক্কা ও মাদিনা ছাড়া সে সমস্ত পৃথিবী বিচরণ করবে।

মসজিদে আকসা, তূর পাহাড়, দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মাদিনাকে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা দ্বারা পাহারা দিয়ে রাখবেন। মানুষ ঘুমে বেঁহুশ হয়ে পড়বে। দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় মদীনায় তিনটি কম্পন সৃষ্টি হবে। এ কম্পনের ফলে মাদিনা থেকে কাফের ও মুনাফেক বের হয়ে চলে যাবে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে বসা ছিলাম; তখন তিনি ফিতনার কথা বারবার উল্লেখ করলেন। এক পর্যায়ে তিনি ‘আহলাস’-এর ফিতনার কথা উল্লেখ করলেন। কোনো একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আহলাসের ফিতনা কি? তিনি বললেন, তা হলো পলায়ন ও যুদ্ধ।

অতঃপর ‘সাররা’-এর ফিতনা, যার ধোঁয়া আমার পরিবারে একজন মানুষের পায়ের নিচ থেকে হবে। সে আমার পরিবারের দাবি করবে কিন্তু সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়; শুধুমাত্র আমার বন্ধু হলো মুত্তাকিন তথা আল্লাহভীরুগণ।

অতঃপর মানুষেরা এমন এক দুর্বল চুক্তি করবে যার কোনো নিয়ম নীতি বা স্থায়িত্ব থাকবে না। অতঃপর ‘দুহাইমা’ বা কালো ফিতনা; যা এ উম্মতের প্রতিটি মানুষকে একটি করে চড় (থাপ্পর) মারবেই।

অতঃপর যখন বলা হবে ফিতনা শেষ হয়েছে কিন্তু আসলে শেষ না হয়ে তা অব্যাহতই থাকবে। সে সময় মানুষের সকাল শুরু হবে মুমিন হিসেবে, আর সন্ধ্যা হবে কাফির হিসেবে।

এক পর্যায়ে দু’টি তাঁবু হবে। যার একটি তাবু ঈমানের। এর মধ্যে কপটতা থাকবে না। আর অন্যটি নেফাক-কপটতার তাঁবু। যার মধ্যে ঈমান থাকবে না।

অতএব যখন এরূপ হবে, তখন সেদিন বা পরের দিন (অর্থাৎ ঐ সময় দাজ্জালের আবির্ভাব হবে) দাজ্জালের প্রতিক্ষা করিও (অর্থাৎ ঐ সময় দাজ্জালের আবির্ভাব হবে)। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অভিশপ্ত দাজ্জালের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভে মজবুত ঈমানে অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

নার্গিসের অস্ত্রোপচার চলছে, কাজ করছে না ব্রেন

সিলেট এমসি কলেজে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, চাপাতির কোপে নার্গিসের মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। এখন তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান বললেন, একটি মেয়েকে মসজিদের পেছনে কোপাতে দেখে এগিয়ে যাই। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যদের সহায়তায় আমরা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বদরুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে, তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ডাক্তার রেজাউস সাত্তার  জানান, নার্গিসের মাথায় অনেকগুলো কোপ থাকায় তার ব্রেন কাজ করছে না। এ অবস্থায় তার সুস্থ হবার সম্ভাবনা ৫ থেকে ১০ ভাগ।

নার্গিসের চাচা জানান, তার বাবা সৌদি আরবে রয়েছেন এবং বড় ভাই থাকেন চীনে। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি এবং কয়েকজন হাসপাতালে রয়েছেন।

গেলো রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্গিসের অবস্থার অবনতি হলে নার্গিসকে ঢাকায় আনা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়।

নার্গিস সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম কুপিয়ে তাকে জখম করে। ঘটনার পর হামলাকারী বদরুলকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।

বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকও।

এদিকে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এমসি কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। বিচার চেয়ে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীরা। তারা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন।