banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

পায়ের নিচে লক্ষ তারার মেলা

উজ্জ্বল নিভু নিভু তারারা মিট মিট করে জ্বলে রাতের আকাশে। কোন রাত এমন হয় না যেদিন আমরা আকাশের দিকে তাকাই আর তারা খুঁজি না। এই ঢাকার ধুলিভরা ধোঁয়াশা আকাশেও ঠিক উঁকি দেয় একটি দু’টি তারা। আকাশ যেখানে পরিষ্কার সেখানে মেলা বসে হাজারো তারার।
তারাদের মেলা দেখতে মানুষ ছুটে যায় কতদিকে। সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন আকাশ আছে যেখানে, সেখানে শুধু তারা নয়, খালি চোখে ধরা পড়ে মিল্কিওয়ে, গ্যালাক্সি। আমাদের তারা সূর্য, তাকে দেখা কঠিন। দূর আকাশের মিট মিট এই সূর্যরা যেন চোখে আরাম দেয়, মনকে কৌতুহলী করে, বিস্মিত করে।
কিন্তু তারা কি আছে শুধুই আকাশে? যদি তারার দেখা মেলে সমূদ্রে? হ্যাঁ, সমুদ্রের জলেও পেতে পারেন অগুণতি তারার দেখা। সেই তারা বিছানো ঢেউ-এ পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারবেন আপনি। হাতে তুলে নিতে পারবেন এক মুঠো তারা। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন রসিকতা করছি? একদমই না।
তারা ছড়ানো এই বিচ দেখতে আপনাকে যেতে হবে মালদ্বীপে। ঝকঝকে বিন্দু বিন্দু তারারা এখানে থাকবে আপনার পায়ের তলায়। মনে হবে যেন রূপকথার কোন দেশে চলে এসেছেন আপনি। কিন্তু তা নয়। এই তারার মেলা সম্পূর্ণই প্রাকৃতিক। বিন্দু বিন্দু এই আলোর উৎপত্তির কারণ এক ধরণের মাইক্রোস্কোপিক জীব যাকে বলা হয় bio luminescent phytoplankton, or Lingulodinium polyedrum।
এই প্ল্যাঙ্কটন রক্তিম ঢেউয়ের অংশ। কোন একটা এলাকায় যখন এই প্লাঙ্কটন বেশী মাত্রায় জন্মে তখন সেই এলাকার পানির রং লালচে কমলা হয়ে যায়। তবে প্রকৃতির এই খেলা কিছুক্ষেত্রে সমূদ্রের প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষতিকর মানুষের জন্যও।
মজার ব্যাপার হল রাতে এই লাল পানি সম্পূর্ণ ভিন্ন রং ধারণ করে। সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য আলোক বিন্দুর। বিচের বালিতে হেটে গেলে আপনার প্রতি পায়ের ছাপে জ্বলে উঠবে আলোর বিন্দুরা। যেসব সার্ফাররা রাতে সার্ফিং করেন তাদের বোটের ঢেইয়ের সাথে সাথে যেন হাজারো আলোর রাশি ঝলসে ওঠে। সমুদ্রের প্রতিটি ঢেউ যেন লক্ষ্য কোটি তারা নিয়ে আচরে পড়ে সৈকতে।
মালদ্বীপ ভ্রমণে অবশ্যই যাবেন এই বিচে। তবে অবশ্যই রাতে। রাতই এখানে চমক, বিস্ময়।

 

কোরবানির পশুতে আকীকা করা যাবে কিনা?

কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ, কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে। [তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২]

মাসআলা : কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ, কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে। [তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২]

লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
গ্রন্থনা সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

কসোভো উৎসবে সেরা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার তৌকির আহমেদ

গত ৩১ আগস্ট শুরু হয় `দ্য গডেস অন দ্য থ্রোন’ শীর্ষক কসোভোর চলচ্চিত্র উৎসব। আর এতে অংশ নিয়ে ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতলেন তৌকির আহমেদ। এছাড়াও তিনি সেরা চিত্রনাট্যকারের পুরস্কারটিও পেয়েছেন। উৎসবটি শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। এ আয়োজনের বিচারকদের চোখে ‘অজ্ঞাতনামা’র বিষয়বস্তু সমকালীন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।

গল্পে দেখানো হয়েছে, বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন। পুরস্কার গ্রহণের পর সুখবর জানিয়ে তৌকির বলেছেন, ‘আমার ছবির কলাকুশলীদের ধন্যবাদ। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

এদিকে ওয়াশিংটন ডিসি সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে যাচ্ছে ‘অজ্ঞাতনামা’। এটি অনুষ্ঠিত হবে  ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওয়াশিংটনের আরেক উৎসব সিয়াটল সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (১৪ থেকে ২৩ অক্টোবর) অংশ নেবে ছবিটি। তার আগে  ইতালির ট্রেন্টোতে রিলিজিয়ন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (৭ থেকে ১৭ অক্টোবর) যাবে এটি। ছবিটির ইংরেজি নাম ‘দ্য আননেমড’।

মঞ্চনাটক হিসেবে ‘অজ্ঞাতনামা’ লিখেছিলেন তৌকির আহমেদ। গল্প, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির জন্য দুটি গানও লিখেছেন তিনি। এগুলো গেয়েছেন রোকন ইমন, পিন্টু ঘোষ ও সুকন্যা ঘোষ। সংগীত পরিচালনা করেছেন পিন্টু ঘোষ।

বাংলাদেশে গত ১৯ আগস্ট মুক্তি পায় ‘অজ্ঞাতনামা’। তার আগে ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি অর্জন করে জুরি মেনশন অ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া গত মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেমা বাজার মার্শে দ্যু ফিল্মে অংশ নেয় এটি।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড প্রযোজিত ‘অজ্ঞাতনামা’য় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোশাররফ করিম, নিপুণ, শহীদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, আবুল হায়াত, শাহেদ শরীফ খান, শাহেদ আলী সুজন, মোমেনা চৌধুরী, জুঁই করিম, সুজাত শিমুল, নাজমুল হুদা বাচ্চু, শিশুশিল্পী আপন, সায়েম প্রমুখ।

 

অন্যদের ত্রুটি ধরার আগে ভাবুন এই বিষয়গুলো

নিজের কাজটি ঠিকমত করার বদলে আমরা সারাক্ষণই অন্যের ভুল ধরতে ব্যস্ত থাকি। খুবই সামান্য ব্যাপার। হয়ত অফিসের কলিগ লাঞ্চ ব্রেকে বেশী সময় নিয়ে ফেলে। সেটাই আলোচনার জন্য একটি ইস্যু। আবার কখনো হয়ত ঘটনাটি বেশ বড়। সামনের মানুষটি হয়ত সবার অগোচরে আঘাত করে চলেছে আপনাকে। তার ব্যাপারে কথা বলছেন আপনি।
মনোবিজ্ঞানী এবং মেডিটেশনের শিক্ষক তারা ব্রাচ একটি গল্প বলেন প্রায়ই। মনে করুন, আপনি হেটে বাড়ি ফিরছেন। পথে আপনি একটি ছোট কুকুর দেখতে পেলেন। কুকুরটিকে খুব সুন্দর আর আদুরে লাগলো আপনার চোখে। আপনি ভাবলেন একে বাসায় নিয়ে যাবেন। হঠাৎ কুকুরটি আপনাকে আক্রমণ করতে চাইলো। এখন আর তাকে সুন্দর বা আদুরে কোনটাই লাগছে না। এরপর অনেকদিন পর আপনি আবার কুকুরটিকে দেখতে পেলেন। ফাঁদে আটকে আছে তার পা। আপনার তার প্রতি করুণা হল। যদিও তখনো সে রেগে আছে, কিন্তু আপনি জানেন যে, পায়ের ব্যাথা এবং কষ্টের কারণে সে এমন করছে।
গল্পটি আমাদের যে শিক্ষা দেয়, ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিজ্ঞানী বারবারা মার্কোয়ে।
আপনার আচরণ স্বাভাবিক
জন্মগতভাবেই আমরা মানুষেরা আত্মরক্ষার প্রশ্নে খুবই সচেতন নিজেকে দোষারোপ করার কিছু নেই। স্বাভাবিক ভাবেই একজন মানুষ যখন আমাদের সাথে কেউ রূঢ় আচরণ করলে আমরা সেটি মেনে নিতে পারি না। আমরাও পাল্টা রুঢ় আচরণ করি। বোঝার চেষ্টা করি না এই ব্যবহারের পেছনে কোন কারণ আছে কিনা। নিজেকে শান্ত করুন। আগে জানার চেষ্টা করুন, কোন সমস্যা আছে কিনা।
নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই
যদিও অন্যকে জাজমেন্ট করা আমাদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ঠ্য। প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে একটু সময় নিন। আগে মাথা ঠান্ডা করুন, তারপর বসের মেইলের জবাবটি পাঠাবেন। কারণ একবার আপনি যে কথাটি বলে ফেললেন তা কিন্তু আর ফেরানো যাবে না।
নিরপেক্ষ হন
যখন কেউ আপনার সাথে একমত হচ্ছে না তখন হয়ত আপনি যে কাজটি করতে চাচ্ছেন তা করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ওপরের দ্বিমতের পেছনেও কারণ থাকতে পারে। আপনার কাছে আপনার জীবন অনেক সংগ্রামময়। কিন্তু অন্যরাও তাদের জীবনে কম সংগ্রাম করেন না। উইল স্মিথ বলেন, “সংগ্রাম সবাই করে চলেছে। শুধু কিছু মানুষ সেটা অন্যদের তুলনায় বেশী লুকিয়ে রাখতে পারে।” তাই সবার সিদ্ধান্তকেই শ্রদ্ধা করুন।
 
ভাল দিকগুলো দেখুন
এটি একটি অনুশীলনের বিষয়। মানুষের ভাল দিকগুলো বেশী মনে রাখার চেষ্টা করুন। এটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। প্রতিটি মানুষের মাঝেই ভাল-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। আমরা দূর্ব্যবহার, অসততা, কষ্ট দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশী মনে রাখি। এবার একটু ভিন্ন ভাবে ভাবুন, মনে রাখার প্র্যাক্টিস করুন।
মন্ত্র পড়ুন
একটি বাক্য সবসময় আওরাবেন “আমার মত”। যার উপরে আমি এত রেগে আছি সে আমারই মত তার পরিবারকে ভালবাসে। আমার মতই সে যা করছে কারও না কারও ভালর জন্য করছে। সে আমার মতই একজন সুস্থ মানুষ এবং অপ্রকে ভালবাসে।
ক্ষমা করে দিন
মানুষকে ক্ষমা করে দিন। ছোট ছোট অপরাধগুলো মনে রাখবেন না। আপনার পক্ষে কখনোই জানা সম্ভব নয় একজন মানুষ কতরকম খারাপ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। তাই তার আচরণটি দৃশ্যত খারাপ হলেও এর পেছনের কারণটি হয়ত খুবই মর্মস্পর্শী ছিল।
যা আপনার ক্ষতি করে না
আপনার সহপাঠী বা সহকর্মী যা করছে তা যদি আপনার কোন ক্ষতি না করে তাহলে সেটা নিয়ে আপনি ভাববেন না। আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের জীবন রয়েছে এবং সে জীবনকে সাজানোর জন্য আমাদের অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। তাই যা আমাদের চলার পথে কোনও প্রকার বাধা তৈরি করে না তা নিয়ে ভেবে নিজের জীবনের মূল্যবাণ সময় নষ্ট করবেন না।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

ঘরে তৈরি করে নিন ইতালীয় মজাদার খাবার তিরামিস্যু

ইতালীয় খাবারগুলোর মধ্যে তিরামিস্যু বেশ জনপ্রিয়। অনেকের পছন্দের একটি খাবার। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গেলে এই খাবারটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে সব সময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে এই খাবারটি খাওয়া সম্ভব হয় না। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন এই খাবারটি। তাহলে জেনে নিন তিরামিস্যু বানানোর রেসিপিটি।

উপকরণ:

২০০ গ্রাম ক্রিম চিজ

৫ টেবিল চামচ চিনি

১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার

২টি ডিম

২ টেবিল চামচ কফি পাউডার

৫০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

৬-৭ টা লেডি ফিংগার বিস্কুট

প্রণালী:

১। প্রথমে ডিম থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। কুসুমটি ভাল করে ফাটুন। যতক্ষণ না কুসুমটি পাতলা হচ্ছে ততক্ষণ ফাটুন।

২। এবার এতে ১ চামচ চিনি গুঁড়ো দিয়ে ফেটে নিন। তারপর আবার এক চামচ চিনি গুঁড়ো দিয়ে ফাটুন। এভাবে সম্পূর্ণ চিনি গুঁড়া দিয়ে ফাটতে থাকুন যতক্ষণ না পাতলা ক্রিমের মত না হয়।

৩। আরেকটি পাত্রে ক্রিম চিজের সাথে ডিমের অংশটুকু ভাল করে মেশান। সম্ভব হলে বিটার দিয়ে বিট করে নিতে পারেন। এতে ভাল করে মিশে যাবে সবগুলো উপাদান।

৪। ব্ল্যাক কফি বানিয়ে রাখুন।

৫। এবার যে বাটিতে তিরামিস্যু  পরিবেশন করবেন সেখানে ক্রিম চীজ মিশ্রণের কিছু অংশ দিয়ে দিন। এতে কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন।

৬। কফি ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে লেডি ফিংগার বিস্কুট ভিজিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন একদম নরম যাতে না হয়ে যায়।

৭। এবার কোকো পাউডার ক্রিম চীজ মিশ্রণের ওপর বিস্কুট ভেঙ্গে দিন। তার উপর সাদা ক্রিম চীজ মিশ্রণ (যেখানে কোকো পাউডার মেশানো হয়নি) দিয়ে দিন। তার উপর ডার্ক চকলেটের কুচি দিন।

৮। আবার কোকো পাউডার ক্রিম চীজ মিশ্রণটি দিন তারপর বিস্কুট, সাদা ক্রিম চীজ মিশ্রণ, এবং সবশেষে ডার্ক চকলেট কুচি দিয়ে দিন।

৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার তিরামিস্যু।

 

ঈদ-উল-আজহায় বর্ণিল ‘লা রিভ’

আসছে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল-আজহা। চলছে উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি।

আর আসছে উৎসবকে সামনে রেখে লা রিভ এনেছে আকর্ষণীয় ও নজরকাড়া সব নতুন পোশাক। নানা রঙ ও ডিজাইনের পোশাকগুলো বরাবরের মতোই বৈচিত্র্যময় অলংকরণে সমৃদ্ধ।

এবারের ঈদ উদযাপিত হবে বৃষ্টিময় স্যাঁতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায়। এ সময় পোশাক ব্যবহারে আরামের কথা বিবেচনা করে বেছে নেওয়া হয়েছে সুতি কাপড়, সিল্ক, মসলিন, এন্ডি সিল্ক, জয়শ্রি, এন্ডি কটন, জর্জেট, শিফনসহ অন্যান্য আরামদায়ক কাপড়। কারচুপি, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, স্টিচিংসহ কারুকাজে এসব পোশাক উৎসবে আপনাকে করবে অন্য সবার চেয়ে আলাদা।

পোশাকগুলোর রঙ নির্বাচনে উজ্জ্বল আর বৈচিত্রময় রঙকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ঈদ পোশাকে আধুনিক ধারার শিল্পরীতি ফুটিয়ে তুলতে আকর্ষণীয় সব রঙের পাশাপাশি যোগ করা হয়েছে ফুলেল নকশা, লেইস, মসৃণ ফেব্রিক ও ভেলভেট।

ঈদে মেয়েদের পোশাক সালোয়ার কামিজে লা রিভ নিয়ে এসেছে ভিন্নতা। সালোয়ার কামিজে ফ্রক স্টাইল, এ লাইন এবং রেগুলার শেপের প্রাধান্য রয়েছে। লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা, বেগুনী, রয়্যাল ব্লু’র মতো উজ্জ্বল রঙ তো আছেই। পাশাপাশি ঈদ মৌসুমে বৃষ্টি এবং গরমের কথা মাথায় রেখে হালকা আকাশী, গোলাপী, লেমন, হালকা হলুদ, সবুজ এবং সাদা রঙের ব্যবহার করা হয়েছে বেশিরভাগ পোশাকে।

কামিজ ও চুড়িদারে বিভিন্ন শেড করা হয়েছে ডেলিকেট এবং ভেজিটেবল ডাই এর মাধ্যমে। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চুন্দ্রি ও টাই ডাই। সঙ্গে রয়েছে জারদৌসী হাতের কাজ, রাজস্থানী এমব্রয়ডারী ইত্যাদি। প্রধানত লিলেন, সুতি, মসলিন, জর্জেট, জামদানী কটনও ব্যবহার করা হয়েছে মেয়েদের পোশাকে। টিউনিকে বাটারফ্লাই স্টাইল, কাপ্তান স্টাইল ব্যবহার হয়েছে। লাল, হলুদ, কালো, ম্যাজেন্টা, স্কাই ব্লু, পেস্ট ইত্যাদি রঙের সূতী লিলেন, জর্জেট ও ল্যাকনা কাপড় ব্যবহার হয়েছে টিউনিক ও টপসে।

ছেলেদের ঈদের পাঞ্জাবীতে রয়েছে শর্ট, সেমি লং এবং ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জাবির প্যাটার্ন। স্বতন্ত্রতা আনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সেলাইয়ের বিভিন্ন ডিজাইন। পাঞ্জাবীর রঙের ক্ষেত্রে লাল, কফি, বেগুনী, কমলা, জলপাই সবুজের মতো উজ্জ্বল এবং চকচকে রং এর পাশাপাশি রয়েছে হালকা আকাশী, সাদা, অফ হোয়াইট, বেবী পিঙ্ক, ধুসর ইত্যাদি রঙের সমাহার। কমলা, নীল, সাদা, কফি, কালো রঙের টিশার্ট পাবেন লা রিভে। বিভিন্ন প্রিন্ট এবং এম্ব্রয়ডারীর ব্যবহার টি শার্টগুলোকে করেছে অনন্য। ক্যাজুয়াল শার্টেও ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রঙের শেড। সঙ্গে আছে ওয়াশের ভিন্নতা নিয়ে বিভিন্ন রঙের ফিটেড ডেনিম প্যান্ট এবং নীল, ইট রং এবং খাকী রঙের ফিটেড টুইল প্যান্ট।

শিশুদের জন্য রয়েছে কিডস কর্ণার। যেখানে রয়েছে চমৎকার সব স্টাইলিশ পোশাকের সমাহার। ২ থেকে ১২ বছরের ছেলে মেয়ের জন্য রয়েছে শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট, পাঞ্জাবি, জিন্স, ফ্রকসহ অন্যান্য সব পোশাক।

লা-রিভের হেড অফ ডিজাইন মুন্নুজান নার্গিস বলেন, আসছে উৎসবে ছেলে এবং মেয়েদের পোশাকে উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন কাটের এবং ডিজাইনের সংমিশ্রন।

বনশ্রী, ধানমন্ডি, মিরপুর-১, উত্তরা, ওয়ারী, বেইলি রোড, যমুনা ফিউচার পার্ক, পুলিশ প্লাজা কনকর্ড  ও বসুন্ধরা সিটিসহ নারায়ণগঞ্জ এবং সিলেট শোরুমগুলোতে পাওয়া যাবে এসব পোশাক। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অর্ডার করতে পারবেন। অনলাইনে লা-রিভ পণ্য কিনতে ভিজিট করুন-www.lerevecraze.com

Save

Save

Save

Save

 

অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা

জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল তবে ব্যবধানটা হয়নি প্রত্যাশা মতো।  সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ সি-এর বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আমিরাতকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ে পুরো ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে আগামী ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বে।

ভেজা মাঠ আর প্রচণ্ড গরমে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি দুই দলই।  এর মাঝেও দুটি গোল করেছেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার।  পাঁচ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা আট।

আজ খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ।  প্রথম কর্নারটিতেই আসে গোল, মারজিয়ার কর্নারে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রাণী সরকার। বাংলাদেশ অমিরাতের রক্ষণভাগেই বল নিয়ে আনাগোনা করতে থাকে তবে আমিরাত গোলরক্ষক দালাল আল হাম্মাদির দৃঢ়তায় বারবার গোল বঞ্চিত হয়। এরমাঝে ১৮ মিনিটে সানজিদার কর্নারে ডিফেন্ডার নার্গিস খাতুনের হেড ক্রস পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশার মাত্রাটা বাড়ে বাংলাদেশের।  সেটা আরও চরমে পৌঁছায় ৩৬ মিনিটে যখন শামসুন্নাহার করেন পেনাল্টি মিস।  আমিরাত ডিফেন্ডার মারিয়াম আহমেদ কৃষ্ণা রাণীকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ, সামসুন্নাহার স্পট কিক থেকে বল মারেন সাইড পোস্টের বাইরে।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য চিত্রটা বদলায়, গোল মিসের হতাশা কাটিয়ে ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। সানজিদার কর্নারে কৃষ্ণা রাণী প্লেস করে বল জড়িয়ে দেন কাছের পোস্টের জালে।

এর পাঁচ মিনিট পর আনুচিং মগিনি করেন দলের তৃতীয় গোলটি, কৃষ্ণা রানীর ক্রস ডিফেন্সে ক্লিয়ার হয়ে বক্সের ওপরে পড়লে তা এগিয়ে দেন মারিয়া মান্ডা। নিজ মার্কারকে কাটিয়ে মাটি কামড়ানো শটে তৃতীয় গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।

শেষ গোলটি করেন বদলি ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন।

 

মেয়েরা যা পারছে, ছেলেরা তা পারছে না: প্রধানমন্ত্রী

অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফুটবলে মেয়েরাই সুনাম বয়ে এনেছে। বড় হয়ে এরা আরও সুনাম বয়ে আনবে। তবে মেয়েরা যা পারছে, ছেলেরা তা পারছে না। আশা করি, ছেলেরাও একদিন ভালো করবে’।

রোববার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, খেলাধুলায় প্রশিক্ষণ সবচেয়ে জরুরি। ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) কেবল সাপই দেখা যেতো। সেখানে আমরা উন্নয়ন করে খেলাধুলার উপযোগী করেছি। এখন প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপি’র শাখা করছি। খেলাধুলায় গুরুত্ব দিচ্ছি বলেই মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীরাও ভালো করছে। আমরা দেখছি যারা ‍অন্ধ তারাও ট্রফি নিয়ে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন স্টেডিয়াম দরকার। পূর্বাচলে সেটা করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। এমনভাবে তৈরি করা হবে, যেন রাস্তা দিয়ে যেতেই মানুষজন খেলা দেখতে পারে। এভাবেই যেন সবাই উৎসাহ পায়। কারণ খেলাধুলা করলে আমাদের সন্তানরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে, সুস্থ চিন্তা করতে শিখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ থেকে তরুণ প্রজন্মকে ফেরাতে খেলাধুলা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তার সরকার খেলাধুলার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবলসহ দেশীয় খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ক্রীড়া-কমপ্লেক্স, স্টেডিয়াম এবং খেলার মাঠ নির্মাণ করছে সরকার। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের প্র্যাকটিসের জন্য জায়গায় করে দিচ্ছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ক্রিকেটে আজ রয়েল বেঙ্গল টাইগার অনেক পরিচিত। রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের ক্রিকেট বিশ্ব এখন হিসেব করে চলে। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম একদিন বিশ্বকাপ জিতবে। গ্রামে কিছু খেলা ছিলো। এগুলোর আবার চালু করতে হবে। গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, ডাঙ্গুলির মতো খেলাও প্র্যাকটিস করতে হবে।