banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

৫টি উপায়ে খরচ কমান ইউরোপ ভ্রমণে

ইউরোপ ভ্রমণে যাবেন? প্যারিস, লন্ডন, রোম যে কোন ভ্রমণকারীর সারা জীবনের স্বপ্ন ইউরোপের স্বাদ গ্রহণ। প্রতিটি দেশ যেন ভিন্ন ভিন্ন স্বর্গ। কোথাও খুলেছে দর্শনের স্কুল, কোথাও আছে আজব সব জাদুঘর, কোথাও গেলে জানা যায় সভ্যতার আদ্যোপান্ত, কোথাও বাস করে মিথলজির সবগুলো চরিত্র। বিচিত্র এই মহাদেশ ভ্রমণের আগ্রহ একেক ভ্রমণকারীর কাছে একেকরকম। কিন্তু আপনি যদি হন ব্যাকপ্যাকার, শুধু আগ্রহ নয় ভাবতে হবে বাজেটের কথাও।
আপনাদের জন্য রইল কিছু টিপস-
টিকেট কেটে ফেলুন আগেভাগে
প্লেনের টিকেট অগ্রীম কাটার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটি, এতে আপনার খরচ কমবে। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন প্লেনে তারা ভালোই জানেন ব্যাপারটি। মাত্র ২/৩ মাস আগে টিকেট কাটার দূর্দান্ত সুবিধা পাবেন আপনি। আগে থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে গেলে আপনি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাবেন। এই সুযোগ কেন নেবেন না? অনেক ধরেই নিশ্চয়ই প্ল্যান করছেন। বন্ধুরা মিলে টিকেট করে রাখুন না!
হোটেলে নয়, হোস্টেলে থাকুন
ইউরোপের বেশিরভাগ হোস্টেল পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ। হোটেলে থাকা নিঃসন্দেহে ব্যাপক ব্যয়সাধ্য। তাই হোস্টেল বেছে নিন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি এই সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। যেমন কেমন রুম, রুমে কি কি সুবিধা আছে, ভাড়া কত সব জানতে পারবেন। ডুম স্টাইলের রুমগুলো সবচেয়ে সস্তা হয়, কারণ সেখানে আপনাকে অপরিচিতদের সাথে রুম শেয়ার করতে হবে। নিরাপত্তার কোন চিন্তা নেই। সানন্দে উঠে যেতে পারেন। দেশ দেখার সাথে সাথে নতুন বন্ধুও পাবেন। ভ্রমণে পাওয়া বন্ধুরা কিন্তু মাটি খুঁড়ে পাওয়া রত্নের মতই দামী।
সোল্ডার সিজনে যান
ইউরোপে সাধারণত বসন্ত বা শরত হল সোল্ডার সিজন। এই সময় একেবারে শীত পড়ে যায় না। রোদ থাকে। আবার ট্যুরিস্ট কম থাকায় সব কিছুর খরচ কমে যায়। নিজের মত ঘুরে বেড়াতে পারবেন, গাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে যেতেন পারবেন লং ড্রাইভে। পিক সিজনের তুলনায় কত যে সাশ্রয়ী হবে আপনার ভ্রমণ আপনি ভাবতেও পারবেন না। জ্বী, খাবারও পাবেন সস্তা। শপিং করতে পারবেন কম খরচে।
ফ্রি মিউজিয়াম ডে
প্রতিটি মিউজিয়ামের একটি দিন থাকে যেদিন আপনি বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। ভাল অংকের টাকা বেঁচে যাবে আপনার। কষ্ট করে ইন্টারনেটে শুধু চেক করে নিন কবে মিউজিয়ামটি বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। সপ্তাহের সেই দিনটিতে চলে যান। ব্যাস।
বাসেবাউট
এটি ব্যাকপ্যাকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় যাতায়াত সেবা। বাসেবাউট এর রুট আছে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে। আর এদের বেশীরভাগ পাসই আপনাকে যেখানে ইচ্ছা নামার এবং ওঠার সুবিধা দেবে। এই বাসের ৩৩ টিরও বেশী জনপ্রিয় ভ্রমণস্থানে স্টপেজ আছে। আরেকটি মজার সুবিধা হল, একই মানুষের সাথে বার বার দেখা হবে বাসে আপনার, ফলে বন্ধুও পেয়ে যাবেন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

মাহরাম আত্মীয় ছাড়া কোনো নারী একাকি সফর বা হজ করতে পারবে কিনা?

অনেক মহিলাকে বিমান কিংবা অন্য যানবাহনে উঠার সময় বিদায় জানাতে দু,একজন মাহরাম নিকটজন হাযির থাকে, আবার তাকে স্বাগত জানাতেও এমন দু,একজন হাযির থাকে। কিন্তু পুরো সফরে তার পাশে থাকে কে? যদি বিমানে কোনো ত্রুটি দেখা দেয় এবং তা অন্য কোনো বিমানবন্দরে অবতরণে বাধ্য হয় কিংবা নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে অবতরণে বিলম্ব ঘটে বা উড্ডয়নের সময়সূচী পরিবর্তন হয়, তাহলে তখন অবস্থা কি দাঁড়াবে?

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোনো মহিলা স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম এমন কোনো আত্মীয়কে সাথে না নিয়ে যেন ভ্রমণ না করে”। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত হাদীস নং ২৫১৫ (হজ্জ অধ্যায়)]

[এ নির্দেশ সকল প্রকার সফরের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য; এমনকি হজের সফরের ক্ষেত্রেও।] মাহরাম কোনো পুরুষ তাদের সাথে না থাকলে দুশ্চরিত্রের লোকদের মনে তাদের প্রতি কুচিন্তা জাগ্রত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এভাবে তারা তাদের পিছু নিতে পারে। আর নারীরা তো প্রকৃতিগত ভাবেই দুর্বল। তারা তাদের মান, ইযযত, আব্রু নিয়ে সামান্যতেই বিব্রত বোধ করে। এমতাবস্থায় দুষ্টলোকেরা তাদের পিছু নিলে বাধা দেওয়া বা আত্মরক্ষামূলক কিছু করা তাদের জন্য কষ্টকর তো বটেই।

অনেক মহিলাকে বিমান কিংবা অন্য যানবাহনে উঠার সময় বিদায় জানাতে দু,একজন মাহরাম নিকটজন হাযির থাকে, আবার তাকে স্বাগত জানাতেও এমন দু,একজন হাযির থাকে। কিন্তু পুরো সফরে তার পাশে থাকে কে? যদি বিমানে কোনো ত্রুটি দেখা দেয় এবং তা অন্য কোনো বিমানবন্দরে অবতরণে বাধ্য হয় কিংবা নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে অবতরণে বিলম্ব ঘটে বা উড্ডয়নের সময়সূচী পরিবর্তন হয়, তাহলে তখন অবস্থা কি দাঁড়াবে? [ট্রেন, বাস, স্টীমার প্রভৃতি সফরেও এরূপ ঘটনা হর-হামেশা ঘটে। তখন কী যে অবস্থায় সৃষ্টি হয় তা ভুক্তভোগী ছাড়া বুঝিয়ে বলা কষ্টকর। সুতরাং সাথে একজন মাহরাম পুরুষ থাকা একান্ত দরকার, যে তার পাশে বসবে এবং আপদে-বিপদে ও উঠা-নামায় সাহায্য করবে।]

মাহরাম হওয়ার জন্য চারটি শর্ত রয়েছে। যথা-মুসলিম হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া ও পুরুষ হওয়া। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোনো মহিলা যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের ওপর ঈমান রাখে তার জন্য তিন দিন বা ততোধিক সফর করা বৈধ নয়; যদি না তার সাথে থাকে তার পিতা, তার পুত্র, তার স্বামী, তার ভাই অথবা তার কোনো মাহরাম পুরুষ”। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৪০

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদক : মু. সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
গ্রন্থনায় : ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
সৌজন্যে : ইসলামহাউজ

 

নাচে-গানে-পরিপূর্ণ বিনোদনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান সুবর্ণা

সুবর্ণা মুস্তাফা তার উত্তরসূরী অভিনয়শিল্পীদের জন্য এক আদর্শের নাম। বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীর তালিকা করলে সে তালিকায় সুবর্ণা মুস্তাফার নাম থাকবে প্রথম সারিতে। এই জনপ্রিয় শিল্পীই এবার সাবধান করেছেন অভিনেতা সাজু খাদেমকে।

তবে বাস্তবে নয়, ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান সাজু সাবধান-এর বিশেষ অতিথি হয়ে এসে সুবর্ণা মুস্তাফা অনুষ্ঠান সঞ্চালক সাজুকে জানিয়েছেন, তার জীবনের মজার কিছু তথ্য।

গত ২৮ আগস্ট বিএফডিসি’তে এ অনুষ্ঠানের ধারণকার্য সম্পন্ন হয়। সাজুর প্রতিবেশীদের সঙ্গে মজার এক আড্ডার অতিথি হয়ে এসে সুবর্ণা তার বর্ণাঢ্য ক্যরিয়ার নিয়ে বলেছেন না জানা অনেক কথা, পরামর্শ দিয়েছেন তরুণ প্রজন্মকে, জানিয়েছেন দর্শকদের দেশিয় টিভি চ্যানেলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন আগের মত নাটক প্রচার করা। এজেন্সির কাছ থেকে নাটক ক্রয়ের পরিবর্তে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর উচিত স্বাধীনভাবে মেধাবী, গুণী, জনপ্রিয় নির্মাতাদের কাছ থেকে নাটক নেয়া।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে যে কোনো মুহূর্তে তিনি নির্মাণ করবেন নাচে-গানে-পরিপূর্ণ বিনোদনধর্মী একটি চলচ্চিত্র।

জেড আই ফয়সাল ও মনিরুজ্জামান খানের প্রযোজনায় সাজু সাবধান প্রচারিত হবে ঈদের ২য় দিন, রাত ৯টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।

 

স্বনির্ভর পেশায় ৫টি উপায়ে ধরে রাখুন মোটিভেশন

আর নয় বসের অধীনে থাকা। এবার বাইরের পৃথিবীতে পা রাখার সময় আপনার। হোক সে পৃথিবী অনেক খারাপ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ, কঠিন তবু নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে আপনাকে। স্বনির্ভরতা যখন আপনার সিদ্ধান্ত, তখন ঝুঁকি তো নিতেই হবে।
নেতৃত্ব নিজের হাতে নেওয়া নিঃসন্দেহে অনেক বড় দায়িত্ব নেওয়া। ভয় লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেজন্য তো স্বপ্ন থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না, তাই না? আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে নিজেকে মোটিভেশন দিতে হয় নিজেরই। আসুন জেনে নিই কীভাবে নিজেই নিজেকে মোটিভেটেড রাখতে পারবেন সারাক্ষণ।
নিজেকে জানুন
আপনার মাঝে লুকিয়ে আছে অসীম ক্ষমতা। সেই ক্ষমতাকে চিনুন। বাজারে এখন প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। সবাই নিজের আলাদা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে আগ্রহী। খেয়াল করে দেখুন, মাঠে সবাই নামে। কিন্তু সবাই টিকে থাকতে পারে না। টিকে থাকার জন্য চাই ধৈর্য্য, কৌশলী মন।
আপনার যদি একজন দূর্দান্ত ব্যবসায়ী মানসিকতা থাকে তাহলে কোনভাবে যেন এর কম ব্যবহার না হয়। আবার যদি সেটা না থাকে তাহলে নিজেকে গড়ে তুলতে শ্রম দিতে হবে আপনার। আপনার আত্মবিশ্বাস আপনার নিজের ভেতর থেকেই আসবে। যখন আপনি নিজেকে চিনবেন আপনি জানবেন আপনাকে কি করতে হবে। তখন আপনাকে কেউ হারাতে পারবে না।
নিয়মানুবর্তিতা
একজন নেতার জন্য নিয়মের গন্ডিতে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সব কাজ যত সময়মত করতে থাকবেন তত আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে। আপনার কোন কাজ জমে থাকবে না। এভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে।
প্রতিদিন রাতে নিজের একটি রুটিন করুন। কিভাবে পরদিন কাজ করবেন, কখন কি করবেন ঠিক করুন। দিনশেষে যখন মিলিয়ে দেখবেন সব কাজ ঠিকমত করতে পেরেছেন তখন পরদিন কাজ করার স্পৃহা আরও বেড়ে যাবে। আর কারও কাছ থেকে নিজের শ্রমের স্বীকৃতির প্রয়োজন হবে না আপনার। আপনি নিজেই নিজেকে বলবেন ‘সাব্বাস’!
নিজেকে মনে করিয়ে দিন কেন কি করছেন
চাকরিজীবন থেকে স্বনির্ভরতার এই সংগ্রামে আপনি নিজেই নিজেকে নিয়ে এসেছেন। এখানে আপনার কোন বস নেই বলে আপনি যদি হালকা চালে চলা শুরু করেন তাহলে কিন্তু বিপদ! সময় পেরিয়ে যাবে, বছর শেষে আপনার মনে হবে কিছুই করা হল না। তখন মনে হবে, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
আপনার সিদ্ধন্তটি খুবই সাহসী। কিন্তু একে সগল করতে হলে হতে হবে পরিশ্রমী। নিজেকে সারাক্ষণ মনে করিয়ে দিন আপনার উদ্দেশ্য, নিজেই নিজেকে সজাগ রাখুন। একটা টার্গেট ঠিক করুন। সেটা এমন জায়গায় লিখে রাখুন যাতে সবসময় চোখে পড়ে।
বড় হন
এই বড় হওয়া শরীরে বা বয়সে বা মননে নয়। সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল নিজের যোগাযোগের গন্ডিকে বাড়ানো। আপনার নেটওয়ার্ক বড় করুন। নিজেকে ছড়িয়ে দিন অনেক মানুষের মাঝে। নিজের গল্প বলুন। অবশ্যই পজেটিভ গল্প যা অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষকে শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে আবেগের দিক থেকেও নিজের সাথে যুক্ত করুন।
বড় হন, পরিপক্ক হন। নিজেকে প্রকাশ করুন উজ্জ্বল করে, আপনার ব্যবসার ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে।
উৎসাহব্যঞ্জক বই
নিজেকে সব সময় মোটিভেটেড রাখতে ভাল বই এর বিকল্প নেই। স্বনির্ভর মানুষের গল্প পড়ুন, তাদের বক্তব্য, জীবনদর্শন জানুন। দেখবেন, আপনার সাহস বেড়ে গেছে অনেক গুণে। ঝুঁকি নেবার মানসিক ক্ষমতাও বেড়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় কথা, এসব বই আপনাকে জানাবে কিভাবে শূণ্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়! কিভাবে কিছু মানুষ আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থেকেও আজ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব পরিণত হয়েছেন। কিছু মোটিভেশনাল উক্তি লিখে রাখুন, যখনই দূর্বল বোধ করবেন পড়বেন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার,

 

শত বাধা পেরিয়ে অন্যের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করে করেছে শারমিন

‘নিজেদের বাড়িঘর বলতে কিছুই নেই। নানার দেওয়া ত্রক টুকরো বসত ভিটায় একটা চালা ঘর আছে বাবা হোটেলের কর্মচারী আমরা দুই বোন খাওয়া খচরই হয় না তার মধ্যে লেখাপড়ার খরচ ও কাপড়চোপর দিবে কে?।আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করি রক্তের কোনো সর্ম্পক না থাকলেও মামা-মামী তাদের সন্তানদের মতোই আমাকে দেখে। তারাই আমার বাবা মা।’ কথাগুলো বলছিলেন এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শারমিন আক্তার। রৌমারী উপজেলার চাকতাবাড়ি গ্রামে যে বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেছে ওই রাড়িতে কথা হয় শারমিন আক্তারের সঙ্গে।

শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার বাবা মা খুবই গরীব। ভাগ্যকে মেনে নিয়েই আমি রাত জেগে লেখাপড়া করেছি। তার চেয়ে বড় ভরসা ছিল আমার আশ্রয়দাতা মামা-মামী। তারা যদি সহযোগিতা না করত তাহলে হয়তো লেখাপড়া অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত। হাজারো কষ্ট সহ্য করে লেখাপড়া করেছি। কারন আমার লেখাপড়া করার খুব ইচ্ছা। জানি না আমার ভাগ্যে লেখাপড়া আল্লাহ লেখছে কিনা। কারন আপনারা তো জানেন আমার বাবা মা’র সামর্থ নেই আমাকে পড়ানোর । এ অবস্থায় একজন মেয়ে হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা আমার জন্য খুব কঠিন হবে। তবে আমি আরো লেখাপড়া করতে চাই।’

কুড়িগ্রামের রৌমারীর যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন শারমিন আক্তার। এর আগে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এসএসসিতে অল্প কয়েক নম্বরের কারনে জিপিএ-৫ পায়নি সে। তার বাবা সাজেদুল ইসলাম কর্তিমারী বাজারে একটা চা-হোটেলের কর্মচারী। মা আছমা খাতুন অন্যের বাড়িতে ঝিএর কাজ করে। শারমিনের ছোট বোন সুমাইয়া খাতুন ৫ম শ্রেণিতে পড়ে।
চাকতবাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলাম। তিনি এবং তার স্ত্রী দু’জনেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শ্রেণীতেই দেখেছি মেয়েটির মেধা ভালো। কিন্তু পারিবারিক দুরাবস্থার কারনে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মেয়েটিকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। সেই থেকে আমার সন্তাদের সঙ্গে সে লেখাপড়া করে। তার পরনের কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে প্রাইভেট পড়ার আমি বহন করে আসছি।’ জহুরুলের স্ত্রী আকতারা বেগম বলেন, ‘শারমিন আমাদের রক্তের সর্ম্পক না হলেও সে আমাদের সন্তান হিসেবেই দেখি। কথনও নিজের সন্তানের চেয়ে আলাদা দেখি না। কারন আমরা জানি তার বাবা মা খুবই গরীব। এর মধ্যে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল তার বাবা মা কিন্তু আমরা তা হতে দেইনি। কারনে সে আরো লেখাপড়া করবে।’
শারমিন আক্তারের বাবা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে আমরা হলেও বড় অইছে, লেহাপড়া করছে মাইনসের বাড়িত থাইকা । কারন আমরা তার খরচ দিবার পারি না। চা দোকানের সবাই কয় তোর মেয়ে তো ভালো রেজাল্ট করেছে। তখন আমার সব কষ্ট দূর হইয়া যায়। আবার চিন্তা করি এহন বড় কলেজে লেহাপড়া কিভাবে করব। আমগর তো কিছুই নেই।’

শারমিনের মা আছমা খাতুন বলেন, ‘মাইনসে কয় বড় কলেজে পড়তি মেলা ট্যাহা নাগবো। এত ট্যাহা পামু কই। গেদির বাপে তো চা দোহানে কাম করে।’
যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলম জানান, শারমিন আক্তার মেধাবি। তার পারিবারিক দুরাবস্থার জন্য আমরাও কলেজ থেকে সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। তাকে একটু নার্সিং করলে ভবিষ্যতে খুবই ভালো করবে।

 

মজাদার পনির টিক্কা মাসালা রান্না করুন খুব সহজে

অনেকেই মনে করেন পনির দিয়ে তেমন কোন খাবার রান্না করা সম্ভব নয়। অথচ এই খাবারটি দিয়ে তৈরি করা সম্ভব মজার মজার সব খাবার। টিক্কা মাসালা খাবারটির নাম শুনলে চোখে ভেসে উঠে চিকেন কিংবা মাটন টিক্কা মাসালার ছবি। পনির দিয়েও টিক্কা মাসালা তৈরি করা সম্ভব। এটি স্বাদে, গন্ধে চিকেন টিক্কা থেকে কিছু কম নয়। আসুন তাহলে পনির টিক্কা মাসালার রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

২৫০ গ্রাম পনির

১ টি বড় লাল ক্যাপসিকাম

১টি বড় হলুদ ক্যাপসিকাম

১টি বড় সবুজ ক্যাপসিকাম

১টি বড় পেঁয়াজ

২০০ গ্রাম টকদই

১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট

১/৪ চা চামচ মৌরি

২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

১/২ হলুদ গুঁড়ো

১/২ চা চামচ চাট মশলা

১/২ টা লেবুর রস

১ টেবিল চামচ সরিষা তেল

১ টেবিল চামচ মাখন

লবণ

সাজানোর জন্য

পুদিনা পাতা

পেঁয়াজের টুকরো

লেবুর টুকরো

প্রণালী:

১। পনিরকে ডাইস আকৃতিতে কেটে নিন।

২। একটি পাত্রে টকদই, মরিচ গুঁড়ো, চ্যাট মশলা, লবন, সরিষা তেল, হলুদ গুঁড়ো, মৌরি, আদা রসুনের পেস্ট এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার মশলার এই পেস্টে পেঁয়াজের টুকরো, ক্যাপসিকামের টুকরো এবং পনিরের টুকরো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মেরিনেইট করার জন্য রাখুন।

৪। একটি কাবাব শিকে প্রথমে ক্যাপসিকামের টুকরো, তারপর পনিরের টুকরো, এরপর ক্যাপসিকামের টুকরো এবং সবশেষে পনির দিয়ে দিন।

৫। একটি নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করতে দিন। এতে শিকগুলো দিয়ে দিন।

৬। রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না ভালভাবে রান্না হয়। পনিরের উপর মাঝে মাঝে মাখন ব্রাশ করুন।

৭। দুই পাশ বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পনির টিক্কা মাসালা।

 

গুচির নতুন ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ

কিছুদিন পরপর সম্পূর্ণ নতুন এবং অপ্রত্যাশিত আইটেম বাজারে নিয়ে আসার জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছে বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুচি। তাদের সংগ্রহে এবার যোগ হল ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের এই আইটেমটি সম্পর্কে।

বিভিন্ন স্টাইল এবং ডিজাইনের এই ব্যাগগুলো সাথে নেওয়া যাবে বিভিন্ন রকম আউটফিটের সাথে। এছাড়া একেক রকম শোল্ডার ব্যাগ একেক রকম কাজের জন্য বিশেষভাবে মানানসই। নিচে এরকম কয়েকটির বিবরণ দেওয়া হল।

– ‘ডায়োনাইসিস জিজি সুপ্রিম ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ’ বর্তমান সিজনের ফ্যাশন ট্রেন্ডগুলোর একটি। এটা একই সাথে ক্যাজুয়াল এবং ক্লাসিক। ব্যাগটি নিয়ে আপনি এক মিনিটেই চলে যেতে পারবেন স্মার্ট ক্যাজুয়াল লুকে।

– ‘বস্টন গুচি হ্যান্ডব্যাগ’ যেন কখনও পূর্ণ হয় না। আপনি আপনার দরকারি জিনিসপত্র সবসময় এতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। কারণ এতে রয়েছে এর জন্য যথেষ্ট জায়গা।

– ‘গুচি নুড স্টুডিও ক্রস-বডি ব্যাগ’ একটি ক্লাসিক এবং স্টাইলিশ ব্যাগ। যে কোন সময় আপনি এই ব্যাগ নিয়ে বের হতে হতে পারেন যখন আপনার খুব বেশি জিনিসপত্র সাথে না রাখলেও চলে। ব্যাগটি কয়েক কালারে পাওয়া যায়, যেমনঃ জিজি ব্ল্যাক, জিজি নুড এবং গুচির নিজস্ব স্টাইলে।

– ‘গুচি মনোগ্রামড ক্যানভাস লেদার ট্রাভেল ব্যাগ’ যে কোন জায়গায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং ভ্রমনের জন্য একটি স্টাইলিশ আইটেম।

 

নারীর ক্ষমতায়নে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ঢাকায় নবনিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে একজন চ্যাম্পিয়ন।’

অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারকরণে আগ্রহী।’

‘আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই, বিশেষ করে জ্বালানি খাত এবং শিক্ষা খাতে’, উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

সন্ত্রাসকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, তার সরকার এই সমস্যা দূরীকরণে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ শিক্ষকসহ সারাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ নিয়েছি। এক্ষেত্রে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।’

তিনি এ প্রসঙ্গে দেশের ৬৪টি জেলায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করে তার সরকারের জনমত সৃষ্টির উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী সে সময় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি- প্রভৃতি বিষয়ে আরও বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।

নারীর উন্নয়নে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দেশই তাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা ব্যতীত এগুতে পারে না।’

বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এখন প্রায় প্রতিটি পর্যায়েই পুরুষের কাছাকাছি অবস্থানে চলে এসেছে। শিক্ষা, ক্রীড়া এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ড- কোনো কিছুতেই তারা আর পিছিয়ে নেই।

মেয়েরা শিক্ষাক্ষেত্রে বরং ছেলেদের থেকে এগিয়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

স্থানীয় সরকারে বিশেষ করে ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনে শতকরা ৩০ ভাগ আসন নারীদের দিয়ে পূরণের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও জানান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী এবং আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীতে নারীরা কর্মরত রয়েছে উল্লেখ করে দেশের সকল শ্রেণি পেশার ক্ষেত্রেই উচ্চপদে নারীরা আসীন হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার কথা উল্লেখ করে এই সম্পর্ক সেই ১৯৭২ সালে প্রথম অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ভুক্ত (ওইসিডি) দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের সময় থেকেই বলেও উল্লেখ করেন।

সে সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া সরকার ও জনগণের মূল্যবান অবদানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম সে সময় উপস্থিত ছিলেন।