banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

শরয়ী কারণ ছাড়া স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর কাছে তালাক প্রার্থনা করার বিধান

সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোনো মহিলা যদি বিনা দোষে স্বামীর নিকট তালাক প্রার্থনা করে, তাহলে জান্নাতের সুগন্ধি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে”। [মুসনাদে আহমদ; তিরমিযী; মিশকাত, হাদীস নং ৩২৭৯]

এমন অনেক স্ত্রীলোক আছে যারা স্বামীর সঙ্গে একটু ঝগড়া-বিবাদ হলেই কিংবা তার চাওয়া-পাওয়ার একটু ব্যত্যয় ঘটলেই তার নিকট তালাক দাবী করে। অনেক সময় স্ত্রী তার কোনো নিকট আত্মীয় কিংবা অসৎ প্রতিবেশী কর্তৃক এরূপ অনিষ্টকর কাজে প্ররোচিত হয়। কখনো সে স্বামীকে লক্ষ্য করে তার জাত্যভিমান উষ্কে দেওয়ার মত শব্দ উচ্চারণ করে। যেমন সে বলে, ‘যদি তুমি পুরুষ হয়ে থাক তাহলে আমাকে তালাক দাও। কিন্তু তালাকের যে কি বিষময় ফল তা সবার জানা আছে। তালাকের কারণে একটি পরিবারে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। সন্তানরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এজন্য অনেক সময় স্ত্রীর মনে অনুশোচনা জাগতে পারে। কিন্তু তখন তো আর করার কিছুই থাকে না। এসব কারণে শরীআত কথায় কথায় তালাক প্রার্থনাকে হারাম করে সমাজের যে উপকার করেছে তা সহজেই অনুমেয়।

সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোনো মহিলা যদি বিনা দোষে স্বামীর নিকট তালাক প্রার্থনা করে, তাহলে জান্নাতের সুগন্ধি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে”। [মুসনাদে আহমদ; তিরমিযী; মিশকাত, হাদীস নং ৩২৭৯]

উক্ববা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, “সম্পর্কছিন্নকারিণী ও খোলাকারিণী নারীগণ মুনাফিক”। [ত্বাবরানী ফিল কাবীর, ১৭/৩৩৯, সহীহুল জামে‘ ১৯৩৪]

হ্যাঁ যদি কোনো শরঈ ওযর থাকে যেমন-স্বামী সালাত আদায় করে না, অনবরত নেশা করে কিংবা স্ত্রীকে হারাম কাজের আদেশ দেয়, অন্যায়ভাবে মারধর করে, স্ত্রীর শরঈ অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করে। কিন্তু স্বামীকে নছীহত করেও ফেরানো যাচ্ছে না এবং সংশোধনেরও কোনো উপায় নেই সেক্ষেত্রে তালাক দাবী করায় স্ত্রীর কোনো দোষ হবে না। বরং দীন ও জীবন রক্ষার্থে তখন সে তালাক প্রার্থনা করতে পারে।

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদক : মু. সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
গ্রন্থনায় : ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
সৌজন্যে : ইসলামহাউজ

 

মৃতব্যক্তির পক্ষে বা তার নামে কোরবানি করার বিধান

যদি মৃত ব্যক্তি কোরবানি করার অসিয়ত করে যায় এবং অসিয়ত অনুযায়ী কোরবানি করা হয় তবে সেই কোরবানির গোশত গরিব মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া ওয়াজিব। এ গোশত ধনী এবং সৈয়দ বংশের লোকদের দেয়া জায়েজ নয়। (ফিকহুস সুন্নাহ।)

একাধিক মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে উট বা মহিষ কোরবানি করলে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আলাদা আলাদা অংশ থাকা আবশ্যক। একাধিক মৃত ব্যক্তির জন্য এক অংশ কোরবানি করা জায়েজ নয়। তবে নিজের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি করে তার সওয়াব জীবিত বা মৃত এক বা একাধিক ব্যক্তির উদ্দেশে দান করা জায়েজ আছে। রাসূল (সা.) তার জীবদ্দশায় একটি কোরবানির সওয়াব তার সমগ্র উম্মতের জন্য দান করেছিলেন। (সহিহ বোখারি)।

যদি মৃত ব্যক্তি কোরবানি করার অসিয়ত করে যায় এবং অসিয়ত অনুযায়ী কোরবানি করা হয় তবে সেই কোরবানির গোশত গরিব মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া ওয়াজিব। এ গোশত ধনী এবং সৈয়দ বংশের লোকদের দেয়া জায়েজ নয়। (ফিকহুস সুন্নাহ।)

যদি মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে কোরবানি না করে কোনো ব্যক্তি মৃতের পক্ষে নিজ সম্পদ থেকে কোরবানি করে, এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে যাক বা না যাক এরকম কোরবানির গোশতের বিধান নিজের সম্পদ থেকে কোরবানি করার মতোই। এর গোশত নিজেও খেতে পারবে এবং ধনী ও সৈয়দদেরও খাওয়াতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে রহীমীয়া, ইমদাদুল ফাতাওয়া।)

লিখেছেন : আল ফাতাহ মামুন
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শিগগিরই উন্মুক্ত করা হবে স্টার সিনেপ্লেক্স

রাজধানীর জনপ্রিয় শপিংমলগুলোর একটি বসুন্ধরা সিটি। সম্প্রতি সেখানে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সাময়িক বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম প্রেক্ষাগৃহ ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। অগ্নিকাণ্ডের ফলে ২৬ আগস্ট এখানে দেশ-বিদেশের নতুন কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। গত রোববার থেকে প্রদর্শিত হয়ািন কোনো ছবিও।

তবে শিগগিরই এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্স-এর মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, ‘শিগগিরই সিনেমা প্রদর্শনসহ স্টার সিনেপ্লেক্স চালু হবে। এর জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো হলই সুরক্ষিত রয়েছে। আগুনে না পুড়লেও ধোঁয়ার কারণে সার্বিক পরিবেশ কিছুটা বিপন্ন হয়েছে। সেটা সংস্কারে এখন খুব দ্রুত কাজ চলছে। শিগগিরই স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে এনে সিনেমা প্রদর্শনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’

একই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য দর্শকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশও করেছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বসুন্ধরা সিটির লেভেল ছয়ে আগুন লাগে। পরে প্রায় ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযানের পর পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট।

 

৫টি কার্যকরী উপায়ে করুন অনলাইনে পণ্যের মার্কেটিং

আজকের তরুণ সমাজ আর বেকার নেই। সবাই কিছু না কিছু করছে। ফেসবুকে বিনামূল্যে পেজ খুলে ছোট পরিসরে ব্যবসা খুলছেন অনেকে। স্বল্প মূলধন লাগে বলে বিনিয়োগ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় না তেমন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চমৎকার এই সুযোগ গ্রহণ করছেন অনেক উদ্যোক্তা। কিন্তু ব্যবসা তো নাহয় খোলা গেল কম খরচে। ব্যবসা বাড়াতে হলে প্রচারে তো যেতেই হবে। এছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই।
বেছে নিন এই কৌশলগুলো-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করুন
আপনার কাজগুলো ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করুন। এটি প্রচারণার সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি। আপনার প্রফাইল থেকে সহজেই বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন নিজের কাজ। ফেসবুক পেজ থেকেই আপনি পাচ্ছেন ‘ইনভাইট’ অপশন। সেটি ব্যবহার করে সরাসরি বন্ধুদের আহবান করুন ‘লাইক’ দিতে। বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার দিন। আপনার পণ্যের ক্রেতা হতে পারে এমন মানুষদের মাঝে ট্যাগ দিন পণ্যের ছবিতে। তবে অবশ্যই আগে অনুমতি নিয়ে নিন।
নিজস্ব বক্তব্য প্রচার করুন
পেজ এ পণ্যের সাথে অবশ্যই জুড়ে দিন কিছু কথা আপনার ক্রেতাকে সহজে আকৃষ্ট করবে। মানুষ এখন নানান দিকে ঠকতে ঠকতে ক্লান্ত। তারা ভরসা করতে চায়। বিশ্বাস করতে চায়। আপনার প্রচারণামূলক বক্তব্যে তাদেরকে আস্থা দেবার চেষ্টা করুন পণ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে। আপনি যে পণ্য বিক্রী করছেন সে সম্পর্কে পড়াশোনা করুন, আর্টিকেল লিখুন। এতে ক্রেতা জানবে যে আপনি যা করছেন বুঝেই করছেন। এভাবেই তৈরি হবে বিশ্বাস।
বন্ধুদের সাহায্য নিন
প্রচারণায় বন্ধুদের সাহায্য নিন। আপনার যদি ফেসবুকে ২০০ জন বন্ধুও থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আরও ২০০ জন করে ৪০,০০০ মানুষের কাছে পৌছতে পারবেন আপনি। আপনার বন্ধুরা আপনার শক্তি। এই শক্তি কাজে লাগান। তাদেরকে উতসাহিত করুন পণ্যের ছবি শেয়ার দিতে, ছড়িয়ে দিতে যতটুকু পারা যায়।
সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন মাধ্যম হল গ্রাহক
আপনার গ্রাহককে খুশী করুন। একজন গ্রাহক যখন আপনার পণ্য পেয়ে খুশী হয়ে আরও ১০ জনকে এর সুনাম করে তখন কিন্তু চমৎকার একটি প্রচারণা হয়ে যায়। এর চেয়ে কার্যকরি এবং বিশ্বস্ত প্রচারণা আর হয় না। তাই ক্রেতাকে সবসময় ভাল পণ্য দিন। পণ্যের গুণের সাথে কখনো সমঝোতা করবেন না।
ক্রিয়েটিভ হন
আপনার পণ্যের উপস্থাপনায় প্রকাশ করুন ভিন্নতা। হাজারো একই পণ্যের বাজারে আপনার কোম্পানির পণ্যটি যাতে চোখে পড়ে সেদিকে খেয়াল করুন। মন কাড়তে, চোখকে আকৃষ্ট করতে ভিন্নধর্মী উপস্থাপনার বিকল্প নেই। অবশ্যই একইসাথে শব্দের ক্ষমতার কথা ভুলবেন না। পণ্যের বৈশিষ্ঠ্য তুলে ধরুন এমন শব্দে যেন পড়েই মনে হয় এটি একটি বিশেষ পণ্য। অন্য সব পণ্যের মত দেখতে হলেও আসলে সব পণয় থেকে আলাদা।
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

ভিন্ন স্বাদের কাশ্মীরি চা আগে তৈরি করেছেন কি?

ক্লান্তি দূর করতে বলুন অথবা ঘুম তাড়াতে চায়ের বিকল্প নেই। কম বেশি সবাই চা পান করতে পছন্দ করেন। দুধ চা, রং চা, মশলা চা নানা ধরণের চা পাওয়া যায়। কাশ্মীরি  চা নামক এক ধরণের চা আছে যা বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। আজ আপনাদের সেই কাশ্মীরি  চায়ের রেসিপিটি জানিয়ে দেব।

উপকরণ:

২ কাপ পানি

২ চা চামচ গ্রিন টি

২ চিমটি বেকিং সোডা

২ চিমটি লবণ

১ চিমটি জায়ফল গুঁড়ো

১ চিমটি জয়ত্রি গুঁড়ো

৪টি এলাচ

২টি লবঙ্গ

২ টেবিল চামচ পেস্তা বাদাম কুচি

২ টেবিল চামচ কাঠাবাদাম কুচি

চিনি

২.৫ কাপ ফুল ফ্যাট দুধ

১.৫ কাপ বরফ ঠান্ডা পানি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে উচ্চ তাপে পানি জ্বাল দিন।

২। পানি বলক আসলে এতে দুই চা চামচ গ্রিন টি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন।

৩। এরপর এর সাথে বেকিং সোডা (গোলাপী রং হওয়ার জন্য), লবণ, এলাচ এবং লবঙ্গ দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন।

৪। ১০ মিনিট পর চুল বন্ধ করুন। এর সাথে ঠান্ডা পানি মেশান এবং ৩-৪ মিনিট এটি নাড়ুন।

৫। তারপর চুলা জ্বালিয়ে এতে জায়ফলের গুঁড়ো, জয়ত্রি গুঁড়ো, পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, দুধ দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।

৬। গোলাপি রং হয়ে আসলে এতে চিনি দিন এবং ৫ মিনিট অল্প আঁচে জ্বাল দিন।

৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাশ্মীরি  চা। পেস্তা বাদাম কুচি, কাঠবাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

ব্লাউজের স্টাইলের রকমফের

শাড়ি বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দ। তাই তো শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ হওয়া চাই স্টাইলিশ। যাতে কেউ চোখ ফেরাতে না পারে। ভিড়ের মাঝেও সবার নজর কাড়তে এইসব স্টাইলিশ ব্লাউজের ডিজাইন বেছে নিতে পারেন আপনিও…

টাই-আপ ব্লাউজ ব্যাক নেক ডিজাইন : অন্যতম আকর্ষণীয় ব্লাউজের ডিজাইন। ফ্যান্সি শাড়ির সঙ্গে এই ধরনের ব্লাউজ ভালো মানায়। পিঠের দিকটা বেশ অনেকখানি কাটা হয় এবং রিবন দিয়ে ক্রস আকারে করা থাকে বাঁধার জন্য।

বোট নেক : স্ট্রেট বোট নেক এখন ফ্যাশনে খুব চলতি। এই ডিজাইনার ব্লাউজের সঙ্গে সিম্পল শাড়ি পরলেও খুব ভালো মানাবে।

V-শেপ ব্লাউজ ব্যাক নেক ডিজাইন : এই ধরনের নকশা কাটা ব্লাউজ়ের ডিজাইন খুব ইউনিক এবং ততটাই সুন্দর। ট্র্যাডিশনাল অথচ সাজে আধুনিক টাচ রাখতে এই ধরনের ব্লাউজ বাজিমাত করবে।

এমবেলিশড্ ব্যাক ব্লাউজ সঙ্গে টাসেল : ক্রেপ সিল্কের শাড়ির সঙ্গে এই ধরনের ব্লাউজ সবচেয়ে ভালো মানায়। শরীরের গড়ন খুব ভালো ফুটে ওঠে।

দড়ি স্টাইল ব্লাউজ : পিঠে দড়ি বাঁধা ব্লাউজের স্টাইল নতুন নয়। ফ্যাশনে বহুদিন ধরে রয়েছে। সেই ফ্যাশনে নয়া বিষয়টি হল, ব্লাউজের পিঠে উপর-নীচে দড়ি দেওয়া, সেই সঙ্গে বড় বড় স্টোন বা পুঁথি দড়ির সঙ্গে বাঁধা।

হাই নেক ব্লাউজ : নেট, জার্দৌসি এবং রেশমের কারুকার্য করা এই ব্লাউজ এখন খুব ফ্যাশনেবল। সোনালি বা লাল রঙের এই স্টাইলের একটি ব্লাউজ থাকলে, যে কোনও শাড়ির সঙ্গে পরতে পারবেন।

কাট-ওয়ার্ক ব্লাউজ ডিজাইন: সাজকে স্পেশাল করে তুলতে শিফন বা সিল্কের শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন কাট-ওয়ার্ক ব্লাউজ। জরি ও স্টোনের কারুকার্য করা এই ব্লাউজের ডিজাইন সকলের নজর কাড়বে।

 

ফিলিপাইনে মাদক যুদ্ধ: একজন নারী ঘাতকের গল্প

দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ফিলিপাইনের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট রুদ্রিগো দুতার্তে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আর তাতে এক সপ্তাহেই প্রায় দুই হাজার মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

যারা এই খুনগুলো করছে, তাদেরই একজন মারিয়া, যদিও এটি তার আসল নাম নয়। মাদক বিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসাবে সরকারের পক্ষ হয়ে টাকার বিনিময়ে তিনি অন্তত ছয়টি খুন করেছেন।

যদিও এই নারীকে দেখে কোন খুনি বলে মনে হবে না, বরং একজন স্বন্ত্রস্ত, ভীত নারী বলে মনে হবে, যার কোলে আবার একটি শিশুও রয়েছে।

মারিয়া জানান, কাছাকাছি একটি প্রদেশে ২ বছর আগে তিনি প্রথম খুন করেন। প্রথমবার বলে তার সত্যিই খুব ভয় লেগেছিল।

যে ‘হিট টিমে’ মারিয়া কাজ করেন, সেখানে মোট তিনজন নারী রয়েছে। তাদের দলে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়, কারণ একজন পুরুষের তুলনায় কোন সন্দেহ তৈরি না করেই তারা শিকারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারেন।

মারিয়া জানান, তার বসের নির্দেশেই ‘পুলিশের একজন কর্মকর্তা’ এসব হত্যা করেছেন তিনি।

পুলিশের নির্দেশে একজন ঘাতক হিসাবে কাজ করতেন মারিয়ার স্বামী। কিন্তু একদিন সেই পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করলেন, তাদের একজন নারী খুনী দরকার।

মারিয়া বলছেন, ‘একদিন তাদের একজন নারী দরকার হলো। আমার স্বামীই সেই কাজের জন্য আমাকে ফাঁদে ফেললেন। কাজে নেমে পরার পর যখন আমি সেই ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম, যাকে আমার খুন করার কথা, আমি তার কাছাকাছি গিয়ে গুলি করলাম।’

ম্যানিলার কাছাকাছি একটি এলাকা থেকে এসেছেন মারিয়া এবং তার স্বামী। টাকার বিনিময়ে খুনের কাজ শুরুর আগে তাদের নিয়মিত কোন আয়-রোজগারও ছিল না। এখন তারা প্রতি হত্যার জন্য ৪৩০ ডলার করে পান, যা দলের আরও তিন চারজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হয়।

নিম্ন আয়ের ফিলিপিনোদের জন্য একটি আর্শীবাদ। কিন্তু মারিয়ার জন্য যেন সেটি একটি ফাঁদ, কারণ তার এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় নেই।

চুক্তির বিনিময়ে হত্যাকাণ্ড ফিলিপাইনে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এখনকার মতো এত ব্যস্ত সময় তারা আর কখনোই কাটায়নি। কারণ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে। নির্বাচনের আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, নির্বাচিত হলে প্রথম ছয়মাসেই তিনি এক লক্ষ অপরাধীকে হত্যা করবেন।

এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে ফিলিপাইনের স্থানীয় মানুষের কাছে তার এই অভিযান বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই অভিযানের ভয়ে যারা মৃত্যুভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের একজন রজার, যদিও তারও এটি আসল নাম নয়।

তরুণ বয়সে শাবু নামের অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রজার। এরপর নিজেও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন, পাশাপাশি মাদক বিক্রিও শুরু করেন। অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তার সখ্যতা ছিল।

মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রজারের মতো অনেকে, ছবি: বিবিসি।

কিন্তু এখন তাকে প্রতিদিন এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

রজার এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়, এক মুহূর্তের জন্যও আমি ভয় থেকে দূরে থাকতে পারি না। আপনার সামনেই যে ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে, সেই গিয়ে আপনার সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দেবে না, বা আপনাকে খুন করবে না, আপনি জানেন না। রাতেও ঘুমানো যায় না। সামান্য একটি শব্দেই আমি জেগে উঠি। সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার হলো, কাউকেই আমি বিশ্বাস করতে পারি না’।

স্ত্রী এবং বাচ্চাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রজার। নিজের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত রজার, কিন্তু সেই ভুল শোধরানোর আর কোন রাস্তা খোলা আছে কিনা, তা তার জানা নেই।

কিন্তু যারা তাকে হত্যার জন্য খুঁজছে, তাদেরকেও অপরাধবোধ তাড়া করছে। মারিয়া যেমন বলছেন, ‘আমি নিজেই অপরাধবোধে ভুগি’।

এই কাজে তার সন্তানরা আসুক বা তাদের কাজ সম্পর্কে জানুক, সেটা তিনি চাননা।

তবে ইচ্ছা করলেই ভাড়াটে খুনির পেশা থেকে বেরিয়ে আসাও তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ তার বস, পুলিশ কর্মকর্তা তাদের এর মধ্যেই হুমকি দিয়েছেন, কেউ যদি এই গুপ্তঘাতকের দল থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করে, তাহলে তাকেও হত্যা করা হবে।

তাই মারিয়ারও মনে হয়, সেও যেন ফাঁদে আটকে রয়েছে।