banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

সুপারহিরো চরিত্রের ১০ হলিউড সিনেমা

কমিকস বইয়ের পাতা থেকে একসময় শিশুদের কল্পনার জগতে বাস করত অতিমানবীয় শক্তির অধিকারী সুপারহিরোরা। সেখান থেকে একদল নির্মাতা তাদের তুলে ধরেছেন সেলুলয়েডের ফিতায়। সুপারহিরোদের কাজ নানান অভিযানে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। বর্তমান সময়ের দর্শকদের কাছে সুপারহিরো সিনেমা একটি বিশেষ আকর্ষন।

কমিক বুকের সুপারহিরো সিনেমার মূল বৈশিষ্ট্য সাধারণত পৃথিবী অথবা সমাজের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী নেতিবাচক চরিত্রকে প্রতিরোধ করার মাধ্যমে সেই অতিমানব নায়ক পুরো মানবজাতিকেই রক্ষা করে। এখানে মূল চরিত্র বা নায়ক বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন হয় এবং তার প্রধান কাজ হচ্ছে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ভিলেনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। ৪০ দশকে টিভির জন্য প্রথম সুপারহিরো সিনেমা নির্মিত হয়। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রিচার্ড ডোনার পরিচালিত ‘সুপারম্যান’ প্রথম পূর্নদৈর্ঘ্য সুপারহিরো সিনেমা।

কমিক বই থেকে নির্মিত এমন ১০ সুপারহিরো চরিত্র নিয়ে নির্মিত সিনেমা নিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদন-

১. আয়রন ম্যান
সুপারহিরো চরিত্রগুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম চরিত্র আইরন ম্যান। এটিও মারভেল কমিকসের একটি চরিত্র। ২০০৮ সালে মুক্তি পেল ‘আয়রন ম্যান’। প্রথম পর্বের সাফল্যের পরে দ্বিতীয় পর্বটিও যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে। এটি মারভেল সিনেমাটিক ইউনিভারস ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম চলচ্চিত্র। পরবর্তীতে ২০১০ এবং ২০১৩ সালে এই সিরিজের পরবর্তী দুই চলচ্চিত্র আইরন মান টু এবং আইরন ম্যান থ্রি মুক্তি পায়। এই সুপারহিরো সিনেমার পরিচালক জন ফ্যাভ্রু। আয়রন ম্যান নামের মার্ভেল কমিকসের চরিত্রকে সিনেমায় রূপ দিয়েছেন এই পরিচালক। আয়রন ম্যান একজন সাধারণ মানুষ মাত্র, কিন্তু নিজের উদ্ভাবনী শক্তি এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেকে আয়রন ম্যানে রূপান্তর করেন। আয়রন ম্যান সিনেমায় স্টার্কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, জেফ ব্রিজেস এবং গিনেথ প্যালট্রো।

২. টিনেজ মিউমান্ট নিনজা টারটেল
অ্যাকশনধর্মী এ সুপারহিরো সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯০ সালে। এটি  টিনেজ মিউমান্ট নিনজা টারটেল বা টি এম অ্যান টি ফ্রাঞ্চাইজিসের প্রথম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন স্টিভ ব্যারন। এর পরে এই সিরিজের আরও চলচ্চিত্র যেমন- ১৯৯১ সালে মুক্তি পায় টিনেজ মিউমান্ট নিনজা টারটেল : দ্য সিক্রেট অফ দ্য অজ, ১৯৯৩ সালে টিনেজ মিউমান্ট নিনজা টারটেল থ্রি এবং সর্বশেষ ২০০৭ সালে মুক্তি পায় টি এম অ্যান টি চলচ্চিত্রটি। ২০১৪ সালের আগস্টে মুক্তি পায়  টিনেজ মিউমান্ট নিনজা টারটেল এর আরেক পর্ব।

৩. অ্যান্ট ম্যান
২০০৬ সাল থেকে শুরু হয় ‘অ্যান্ট ম্যান’ ছবির প্রি প্রোডাকশনের কাজ। সব শেষে ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘অ্যান্ট ম্যান’। সিনেমাটি নিয়ে এডগার রাইট থেকে শুরু করে জস ওয়েডন, সবারই প্রত্যাশা ছিল অ্যান্ট ম্যান হবে মার্ভেলের এ যাবতকালের সেরা সিনেমা। কিন্তু রাইট আর স্টুডিওর মতের মিল না হওয়ায় ছেড়ে গেলেন পরিচালক। নতুন পরিচালক হিসেবে আসলেন পেইটন রিড—যিনি গল্প ফাঁদলেন এমন এক সুপার হিরোর, যাতে ছিল এর উৎপত্তির ইতিহাস। পল রুড আর মাইকেল ডগলাসের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয় এই ছবিতে।

৪. দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক
মারভেল কমিকসের অন্যতম আরও একটি চরিত্র হাল্ক। ২০০৩ সালে পরিচালক আং লি মারভেল কমিকসের এই চরিত্রের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করেন হাল্ক নামক চলচ্চিত্রটি। ২০০৮ সালে নির্মিত হয় এই সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক। ২০০৮ সালে প্রথম কিস্তিতে দর্শক মন খুব একটা ভরাতে না পারলেও ’হাল্ক’ এর ‘সেমি-সিক্যুয়েল’, ‘সেমি-রিবুট’ দ্বিতীয় কিস্তি পূরণ করেছে সেই প্রত্যাশার অনেকটাই। কিছুটা মজা আর প্রথম থেকেই অ্যাকশনে পরিপূর্ণ ‘দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক’ এর অর্জনের পেছনে রয়েছেছে ‘ব্রুস ব্যানার’(এডওয়ার্ড নর্টন) এর অসাধারণ অভিনয়।

৫. ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা
মারভেল কমিকস থেকে ১৯৯০ সালে পরিচালক আলবার্ট পাইয়ুন নির্মাণ করেন ক্যাপ্টেন আমেরিকা ছবিটি। এটি আমেরিকান সুপারহিরো চলচ্চিত্র। কমিকস বইয়ের কাহিনি থেকে অবশ্য এই চলচ্চিত্রে কিছুটা ভিন্নতা নিয়ে আসা হয়েছিল। চলচ্চিত্রে ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রে অভিনয় করেন ম্যাট সালিঙ্গার। ২০১২ সালে নির্মিত হয় এই সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকা- দ্য ফাস্ট অ্যাভেঞ্জার এবং ২০১৪ সালে মুক্তি পায় ক্যাপ্টেন আমেরিকা-দ্য উইন্টার সোলজার। এ বছর মে মাসে মুক্তি পায় ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার। ছবিটি পরিচালনা করেন রুসো ব্রাদার্স।

৬. ব্যাটম্যান
টেলিভিশন সিরিজ হিসেবে আগে দেখা গেলেও সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র হিসেবে সুপারহিরো ব্যাটম্যানকে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৬ সালে ‘ব্যাটম্যান: দ্য মুভি’ শিরোনামে। এই চলচ্চিত্রে ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যাডাম ওয়েস্ট আর রবিন চরিত্রে অভিনয় করেন বার্ট ওয়াড। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন লেসলি এইচ মারটিন্সন। পরিচালক টিম বার্টন ১৯৯২ সালে ডি সি কমিকস এর সুপারহিরো ব্যাটম্যানকে নিয়ে ওয়ারনার ব্রস ফ্রাঞ্চাইজিসের দ্বিতীয় দফায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি নির্মাণ করেন ব্যাটম্যান রিটার্নস চলচ্চিত্রটি।

এছাড়া পরবর্তীতে এই সিরিজের ব্যাটম্যান ফরএভার ১৯৯৫ সালে, ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন ১৯৯৭ সালে, ব্যাটম্যান- সাব জিরো ১৯৯৮ সালে, ব্যাটম্যান বিয়ন্ড ১৯৯৯ সালে, ব্যাটম্যান বিয়ন্ড-রিটার্ন অফ জোকার ২০০০ সালে, ব্যাটম্যান- মিস্ট্রি অব ব্যাটওম্যান ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। ২০০৫ সালে ব্যাটম্যান সিরিজের রিবুট হিসেবে পরিচালক ক্রিস্ট্রফার নোলান নির্মাণ করেন ব্যাটম্যান বিগেন্স। এই চলচ্চিত্রে ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন ক্রিশ্চিয়ান বেল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ব্যাটম্যান-গোথাম নাইট, ২০১২ সালে ডার্ক নাইট রিটার্নস পার্ট ওয়ান, ডার্ক নাইট রাইজেস এবং ২০১৩ সালে ডার্ক নাইট রিটার্নস পার্ট টু মুক্তি পায়।

৭. সুপারম্যান
পরিচালক রিচার্ড ডোনার ডি সি কমিকসের সুপার হিরো চরিত্রটি থেকে নির্মাণ করেন সুপারম্যান চলচ্চিত্রটি। এ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। সুপারম্যান চলচ্চিত্রটির ব্যাপক সাফল্যের কারণে ১৯৮০ সালে পরিচালক রিচার্ড লেসটার নির্মাণ করেন সুপারম্যান টু। এটি ছিল মূলত সুপারম্যান চলচ্চিত্রটির সিকুয়্যাল। এর গল্প এবং চিত্রায়ন অনেক প্রশংসিত হয়েছিল এবং এটি ছিল সেই বছরের তৃতীয় ব্যবসা সফল সিনেমা। এর আয় করে ১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ডি সি কমিকস এর সুপারহিরো সুপারম্যানের কাহিনি নিয়ে নির্মিত সুপারম্যান থ্রি চলচ্চিত্রটি এর আগের দুইটি সিকুয়্যাল। এটিও পরিচালনা করেন পরিচালক রিচার্ড লেসটার। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া সুপারম্যান থ্রি আগের দুই সিরিজের তুলনায় কম ব্যবসা করে। এই সিরিজের চার নম্বর চলচ্চিত্র সুপারম্যান ফোর দ্য কুয়েস্ট ফর পিস চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে। ২০০৬ সালে সুপারহিরো চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্রায়ান সিঙ্গার আবারও ডি সি কমিকস চরিত্র সুপারম্যান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এছাড়া ২০০৭ সালে সুপারম্যান-ডুমস ডে, ২০১২ সালে সুপারম্যান ভার্সেস এলিট, ২০১৩ সালে ম্যান অব স্টিল ছবিটি মুক্তি পায়।

৮. এক্স-মেন
এক্স ম্যান সিরিজের প্রথম ছবিটি  মুক্তি পায় ২০০০ সালে। ১০৪ মিনিট দৈর্ঘের এই ছবিটির পরিচালক ছিলেন ব্রায়ান সিঙ্গার। এক্স ম্যান সিরিজের দ্বিতীয় ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। এর পর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় এক্স ম্যান সিরিজের তৃতীয় ছবি ‘এক্সম্যান: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড’। ছবিটি পরিচালনা করেন ব্রিট রাটনার। টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স এবং মারভেল এন্টাটেইনমেন্টের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন এক্স-ম্যান সিরিজের প্রথম দুটি এবং শেষ ছবির পরিচালক ব্রায়ান সিঙ্গার। এই সিরিজের ছবি ‘এক্স-ম্যান ডেইজ অব ফিউচার পাস্ট’-এর পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়েই তৈরি করা হয়েছে শেষ ছবিটি। সর্বশেষ এই বছর মুক্তি পায় এই সিরিজের ‘এক্স-ম্যান-অ্যাপোক্যালিপস’ ছবিটি।

৯. স্পাইডারম্যান
সুপারহিরো চলচ্চিত্র পরিচালক স্যাম রাইমি ২০০২ সালে মারভেল কমিকসের অন্যতম চরিত্র স্পাইডার ম্যান কে নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং নাম দেন ‘স্পাইডার ম্যান’। এটি ছিল কমিকস বইয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। ২০০৪ এই সিরিজের ‘স্পাইডারম্যান টু’ এবং ২০০৭ সালে ‘স্পাইডার ম্যান থ্রি’ মুক্তি পায়।

১০. দ্য গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি
২০১৪ সালের সুপারহিরো সিনেমা ‘দ্য গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’। ক্রিস প্র্যাট, জো সালদানা, ভিন ডিজেল, ডেইভ বাতিস্তা, ব্র্যাডলি কুপারের মতো তারকাদের নিয়ে নির্মিত হলিউড ব্লকবাস্টার ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’ ছবিটি ডিজনির ব্যানারে মারভেল কমিকসের সুপারহিরোদের নতুন এক কাহিনী। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তোলে ‘পৃথিবীর রক্ষাকর্তা’দের নিয়ে বানানো ছবিটি।

 

পীরের ‌তরিকা কী ও কেন?

এভাবেই পীর ও মুরিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং চেষ্টা-সাধনার মধ্য দিয়ে উভয়েই আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দায় রূপান্তরিত হবেন। পীর হবেন তার সৎপথ প্রদর্শনের অশেষ সওয়াব পেয়ে, আর মুরিদ হবেন সঠিক পথে আমলের মাধ্যমে আল্লাহর প্রেমে নিমজ্জিত হয়ে
মুসলমানদের আধ্যাত্ম সাধনার নিয়ম-নীতি ও পদ্ধতিকে তরিকা বলে। আধ্যাত্ম সাধনারত ব্যক্তিকে তরিকতপন্থী বা সালেক বলে। শরিয়ত অনুযায়ী আমল করার যেমন মাজহাব, আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য তেমনি তরিকা। আন্তরিকতার সঙ্গে শরিয়ত অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভ করে প্রজ্ঞাবান হওয়াই তরিকতের উদ্দেশ্য। কোরআন-হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত শরিয়তের আমল যথা- নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত ইত্যাদি প্রতিপালনের পাশাপাশি জিকির-ফিকির, ধ্যান, সৎসঙ্গ, কুরিপু দমন এবং সৎ স্বভাব ইত্যাদি যেমন কার্যাবলি প্রতিপালনের দ্বারা একজন ব্যক্তি নিজেকে পরিপূর্ণ ঈমানদার এবং মানবীয় গুণাবলির দ্বারা ভূষিত করতে পারে। এ সাধনায় অগ্রসর ব্যক্তি মহান প্রভু আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভে ধন্য হয়। সে ইহ এবং পারলৌকিক জীবনে আল্লাহ জাল্লা শানুহুর অফুরন্ত নেয়ামত দ্বারাও সিক্ত হয়। জান্নাতি এ নেয়ামতরাজির আকর্ষণে মানুষ তরিকতপন্থী হতে ছুটে আসে আধ্যাত্মিক জগতের শিক্ষক সুফি, দরবেশ, পীর এবং মুরশিদের কাছে। এ পথে যিনি যতটুকু অগ্রসর হন, তার স্প্রিহা তত বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তারা দুনিয়াবিমুখ হয়ে মহান প্রভু এবং রাসূল (সা.) এর প্রেমে মাতোয়ারা আশেকি জীবন যাপনে ব্রতি হন।

বাংলাদেশে আধ্যাত্ম সাধনার এ ভুবনে হক্কানি পীর যেমন আছেন, তেমনি আছে বহু বাতিল ও বেশরা পীর-ফকির। তাদের খপ্পরে পড়ে মানুষ যেমন প্রতারিত হচ্ছে, তেমনি জান্নাত লাভের আশায় এসে ঈমানে দৌলতটুকু শিরকের সঙ্গে মিশ্রিত করে দোজখি হয়ে যাচ্ছে। তাই তরিকতপন্থী হওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। কার থেকে আমি তরিকা গ্রহণ করছি? তিনি সত্যিকারভাবে কামিল কিনা? আমাকে আল্লাহর সান্নিধ্যের দিকে পথ প্রদর্শনের যোগ্যতা তার আছে কিনা? এসব বিষয় নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েই শুধু তরিকা লাভের জন্য তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করা যেতে পারে। এখানে মনে রাখতে হবে, পীর ধরতে হবে অধ্যাত্মিক সাধনার পথে ব্রতি হওয়ার জন্য। কোনোভাবে দুনিয়াবি স্বার্থে মুরিদ হওয়া সম্পূর্ণভাবে নাজায়েজ। তদ্রুপ যিনি মুরিদ করবেন, তিনিও নিছক আল্লাহর বান্দাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পথের দিশা দিতেই সচেষ্ট থাকবেন। কোনো ধরনের দুনিয়াবি গরজ তার মধ্যে থাকবে না। এভাবেই পীর ও মুরিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং চেষ্টা-সাধনার মধ্য দিয়ে উভয়েই আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দায় রূপান্তরিত হবেন। পীর হবেন তার সৎপথ প্রদর্শনের অশেষ সওয়াব পেয়ে, আর মুরিদ হবেন সঠিক পথে আমলের মাধ্যমে আল্লাহর প্রেমে নিমজ্জিত হয়ে।

শরিয়তের ওপর আমলের জন্য আগে অনেক মাজহাব থাকলেও কালের আবর্তে তা চারটি মাজহাবে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। তদ্রুপ তরিকতের ভুবনে বহু তরিকার সন্ধান পাওয়া গেলেও বর্তমানে তা প্রসিদ্ধ চারজন বিখ্যাত পীরের নামে প্রতিষ্ঠিত চিশতিয়া, কাদেরিয়া, মোজাদ্দেদিয়া ও নকশবন্দিয়া তরিকা নামে বিশেষ করে ভারতবর্ষে সীমিত হয়ে গেছে। তরিকতপন্থী কোনো ব্যক্তি মাত্র একটি তরিকার সবক যথাযথভাবে আদায় করে কামালিয়াতের স্তরে উপনীত হতে পারেন। একাধিক তরিকার সবক সম্পন্ন করতে পারলে তা আরো ভালো। তবে যেহেতু তরিকতের এ অঙ্গন সম্পূর্ণরূপে অনুভূতিনির্ভর ও লোকচক্ষুর অন্তরালের বিষয়। এর কোনো কিছুই প্রকাশযোগ্য নয়। তাই এ পথের পথিকমাত্রই সর্বদা নিজেকে আড়াল করে রাখতে পছন্দ করেন। এ পথে যা কিছু অর্জন হয়, তা নিতান্তই আখেরাতের ও একান্তভাবে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির গোপন অভিসার মাত্র। তারা নির্জনে রাতের আঁধারে প্রভুর কুদরতি কদমে লুটিয়ে পড়ে রোনাজারি করে আপন অপরাধ ও অক্ষমতার বিষয়ে ক্ষমা ভিক্ষা করে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। দুনিয়ার যতবড় ক্ষতি হোক অথবা দুনিয়া তার পদতলে গড়াগড়ি খেলেও তার মধ্যে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না। প্রেমানলে দগ্ধ অতৃপ্ত হাহুতাশপূর্ণ আন্তরিক অবস্থায় তার জীবন কাটে।

ড. সৈয়দ মুহা. শরাফত আলী
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান

 

যেখানে বসবাস করার জন্য পাওয়া যায় টাকা!

চমৎকার সুন্দর সব জায়গা। যেমন নিরিবিলি তেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার। সেখানে আপনি বসবাস করতে পারবেন বিনামূল্যে তো বটেই, থাকার জন্য টাকা এবং অন্যান্য সুবিধাদিও দেওয়া হবে এখানে! খুব কম মানুষই জানেন, এমন সুবিধাও পৃথিবীতে বিদ্যমান। বিভিন্ন কারণে প্রশাসন চান কিছু মানুষ এসব জায়গায় বসবাস করুক এবং সে জন্য পর্যাপ্ত স্বাচ্ছন্দ্য তারা নাগরিকদের প্রদান করেন। আসুন জেনে নিই এমন চমৎকার কয়েকটি জারগার কথা যেখানে আপনি ভিন্ন দেশী সংস্কৃতির মাঝে বাস করতে তো পারবেনই, একই সাথে দেওয়া হবে চমৎকার সব সুবিধা।
 
ডেট্রিয়ট-মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র
‘পশ্চিমের প্যারিস’ বলা হয় ডেট্রয়েটকে। যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল রাজধানী এটি। বিংশ শতাব্দীর ২য় ভাগে শহরটি তার জৌলুস হারাতে শুরু করে এবং দিনে দিনে জনমানবশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসন আবারও জীবন ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন এখানে। আর সেজন্যেই নেওয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ ডেট্রয়েট’। এই প্রজেক্টের অধীনে ২৫০০ মানুষকে ফ্রি থাকার সুযোগ তো দেওয়া হবেই, তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থাও করা হবে।
 
আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র
আপনি কি শীত ভালবাসেন? তুষারবৃত অঞ্চলে বাস করতে চান? শুভ্র বরফময় সকাল আর শীতল আবহের ঘর নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আলাস্কা। এখানে সরকারের আলাদা একটি ফান্ড আছে যে পেশাদার লোকেরা আলাস্কায় বাস করতে চাইলে সরকার তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এজন্য আপনাকে যে শর্তটি পালন করতে হবে তা হল, অন্তত ১ বছর আলাস্কায় বাস করতে হবে।
 
Saskatchewan Province, কানাডা
কানাডার এই প্রদেশটি নতুন যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট (২০১০ এর পর গ্রাজুয়েট করেছেন যারা) যারা এখনও তাদের ক্যারিয়ার কীভাবে গড়বেন ঠিক করেন নি তাদের জন্য রেখেছে অনন্য সুযোগ। তারা ৭ বছর পর্যন্ত ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাবেন এখানে থাকা এবং কাজ করার জন্য!
নায়াগ্রা ফলস, নিউ ইয়র্ক
পৃথিবীর সবচেয়ে শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য্যমন্ডিত জলপ্রপাতের একটি নায়াগ্রা ফলস। এর কাছে থাকার সুযোগ পাবেন আপনি, ভাবা যায়? সরকার গ্রাজুয়েট করা ছাত্রদের এখানে ৭০০০ ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান করেন তারা যদি এখানে থাকতে চান এবং ফলসটির কাছাকাছি গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেলে কাজ করেন।
 
পনগা- অস্টারিয়াস, স্পেন
বিস্ময়কর ছোট গ্রামটি উত্তর-পূর্ব স্পেনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত। এটি দেশটির অন্যতম সবচেয়ে পুরাতন গ্রাম। জনশক্তি বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার এখানে বসবাসকে উৎসাহিত করেন। এজন্য যেসব জুটি অন্য অঞ্চল থেকে এখানে বাস করতে আসেন তাদেরকে জুটি প্রতি ৩০০০ ইউরো প্রদান করা হয় এবং আরও ৩০০০ ইউরো প্রদান করা হয় তাদের প্রতিটি শিশুর জন্য। পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর গ্রামে বসবাসের এটি একটি চমৎকার সুযোগ।
Utrecht, নেদারল্যান্ডস
গভীর জ্ঞানচর্চা এবং সামাজিক বিজ্ঞানে পারদর্শীতার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত নেদারল্যান্ডস। তারা এই শহরের জনগণের উপর একটি এক্সপেরিমেন্ট করছেন। সেই অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিককে ১০০০ ডলার পে করা হবে এখানে বসবাসের জন্য।
Curtis, Nebraska, USA
এখানে ঘটেছে অন্যরকম মজার একটি বিষয়। স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তারা গ্রামটির জন্য যতটা করা প্রয়োজন ততটা করছেন না। প্রশাসন জনগনকে একটি অফার দিয়েছেন যে, তারা জমি বিনামূল্যে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিনিময়ে অঞ্চলটির সংস্কৃতি রক্ষা এবং উন্নতির জন্য কী কী গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাল পরামর্শ দিতে হবে।
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

প্রেশার কুকারে তৈরি করে নিন মজাদার আলুর দম

রুটি, লুচি অথবা পরোটার সাথে আলুর দম খাবারটি খেতে দারুন লাগে। ভারতীয় এই খাবারটি বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আলুর দম তৈরি করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই এটি তৈরি করতে চান না। এবার আর চিন্তা নেই। খুব সহজে প্রেশার কুকারে তৈরি করে নিতে পারবেন রেস্টুরেন্টের স্বাদের আলুর দম।

উপকরণ:

১টি তেজপাতা

২টি দারুচিনি

১টি বড় এলাচ

১টি ছোট এলাচ

১ টেবিল চামচ জিরা

১ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১/২ ইঞ্চি আদা কুচি

৩/৪ কোয়া রসূন কুচি

৭/৮ টি গোল মরিচ

১/২ টেবিল চামচ জিরা পাউডার

১/৪ কাপ দই

১০-১২ টি ছোট আলু সেদ্ধ

১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ মেথি

১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি

লবণ

পানি

তেল

প্রণালী:

১। চুলায় প্রেশার কুকার দিন। এরপর এতে তেল দিয়ে তেজপাতা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ, দারুচিনি, গোল মরিচ, জিরা এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়ুন।

২। এরপর এতে আদা কুচি রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে এতে লবণ দিয়ে দিন।

৩। সবকিছু ভাল করে মেশান এবং পেঁয়াজ বাদামী না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

৪। এবার এতে এক কাপ পানি দিয়ে দিন। ৫ থেকে ৬ টা শিসের জন্য অপেক্ষা করুন। শিস দেওয়া হয়ে গেলে, চুলা থেকে প্রেসার কুকার নামিয়ে ফেলুন।

৫। আরেকটি প্যানে তেল দিয়ে সিদ্ধ আলুগুলো দিয়ে দিন। এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাজুন।

৬। তারপর মাঝারি আঁচে চুলায় প্রেসার কুকারটি দিন। এখন এতে পেঁয়াজের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।

৭। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে এতে বাদাম দুধ (কাজু বাদাম এবং দুধ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তৈরি করে নিন বাদাম দুধ)দিয়ে দিন। এরপর এতে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৮। এবার এতে টক দই দিয়ে দিন। টক দই দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ার পর এতে মেথি পাতা দিয়ে দিন।

৯। তারপর এতে ভাজা আলুগুলো দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। আপনি যদি গ্রেভি না রেখে কিছুটা পাতলা রাখতে চান, তবে এতে পানি দিয়ে রান্না করুন। ৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

১০। পরোটা অথবা লুচির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার আলুর দম।

 

লেদার পোশাকের যত্ন নিবেন কিভাবে?

সুন্দর, চাকচিক্য ও আভিজাত্যের একটা স্পর্শ পাওয়া যায় লেদারের পোশাক পরার মধ্যে। আর প্রাচীনকাল কিংবা বর্তমানকাল যে সময়ের কথাই বলেন না কেন? এর চাহিদা সব সময়ই ছিল। আর যদি দেহের গড়নের সাথে পুড়োপুড়ি মিলে যায়! তাহলে তো কথাই নেই। এক কথায় দারুণ মানায়।

কিন্তু আপনি যে লেদারের পোশাকটি পরছেন সেটিরও তো নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। না হলে আপনার পছন্দসই কিংবা ফ্যাশনের আনুসাঙ্গিক হিসেবে ব্যবহারের এ বিষয়টি দেখতে অল্পতেই কুৎসিত হয়ে পড়বে। লেদারে ফাঙ্গাস জমে যাওয়া, ফেডেড এমনকী ফেটেও যেতে পারে। তাই লেদারের পোশাকে নিজেকে ফ্যাশনেবল দেখতে একটু বেশিই যত্ন নিন।

লেদার পোশাকের যত্ন নিবেন যেভাবে

১.লেদারের পোশাক নিজের হাতে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। যদি একান্তই ওয়াশিং মেশিনে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তা হলে আগে পোশাকের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী ভাল করে পড়ুন, আর তা মেশিনে দেওয়ার উপযুক্ত কি না।


২.হালকা গরম পানিতে লেদারের জামাকাপড় ধুয়ে রাখলে তা ভাল থাকে। সাবান হিসাবে ব্যবহার করুন কোনও শ্যাম্পু। কাচার আগে বেশ কিছু ক্ষণ শ্যাম্পুতে ডুবিয়ে রাখুন পোশাক।

৩.কাপড় কাচার ব্রাশ ব্যাবহার না করে হাত বা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষুন। কাচার পর জল না চিপে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। এতে পানি ঝরে যাবে।


৪.লেদার গারমেন্টসে কোনও মেটালের চেন, বোতাম বা বকলেস থাকলে সেটি শুকনো টাওয়েল দিয়ে মুছে ফেলুন। যাতে এতে মরচে না পরে।

৫.জল ঝরে যাওয়ার পর শুকনো টাওয়েল পেতে পোশাকটি তার ওপর রাখুন।

৬.সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর পোশাক ভাল করে লেদার কন্ডিশনার, বা তেল লাগাতে হবে। যাতে লেদার নরম এবং নমনীয় থাকে।

সূত্র: আনন্দবাজার 

সম্পাদনা : গোরা

Save

Save

Save

Save

Save

 

সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০ নারী

নিজ অধিকার আদায়ে এখনো লড়ছেন নারী। তবে কাচের দেয়াল ভাঙতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ক্ষমতাধর নারীর একজন হয়ে উঠেছেন। তাঁদের গল্পই এখানে তুলে ধরা হলো:

আঙ্গেলা ম্যার্কেলআঙ্গেলা ম্যার্কেল
২০০৫ সালে জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হন ম্যার্কেল (৬২)। ২০১৩ সালে তিনি তৃতীয় বা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হন। বলা যেতে পারে, ইউরোপের অর্থনীতির হাল ধরেন ম্যার্কেল। ইউরোপের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সংকটের সময় তাঁর মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। অভিবাসন সমস্যায়ও জোরালো ভূমিকা রেখেছেন তিনি। পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট করেছেন ম্যার্কেল। ২০১৫ সালে ফোর্বস সাময়িকী ম্যার্কেলকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী নির্বাচিত করে।

থেরেসা মেথেরেসা মে
মার্গারেট থ্যাচারের পর যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে (৫৯)। গত ১৩ জুলাই ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করার পর ক্ষমতায় আসেন থেরেসা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে যুক্তরাজ্যবাসী ভোট দেওয়ার পর থেরেসা মে ক্ষমতায় আসেন। ২০১০ সালের মে মাস থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার পক্ষে তিনি ব্যাপক প্রচার চালান।

হিলারি ক্লিনটনহিলারি ক্লিনটন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম মনোনীত নারী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন (৬৮)। মার্কিন মুলুকে সব আলোচনা এখন তাঁকে ঘিরে। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির ফার্স্ট লেডি ছিলেন। এরপর নিউইয়র্কের স্টেট সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অং সান সু চিঅং সান সু চি
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রতীক নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চি (৭১)। সামরিক জান্তা সরকারের সাংবিধানিক বাধা থাকার কারণে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। বছরের পর বছর গৃহবন্দী থাকার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। বন্ধুর হাতে তুলে দেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার। সু চি এখন দেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অ্যালেন জনসন সারলিফঅ্যালেন জনসন সারলিফ
লাইবেরিয়ার লৌহমানবী বলে পরিচিতি পেয়েছেন অ্যালেন জনসন সারলিফ (৭৭)। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে আফ্রিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। নোবেল শান্তি পুরস্কারও পান। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। সাবেক আন্তর্জাতিক কর্মী। ২০১১ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন।

মিশেল ব্যাশলেমিশেল ব্যাশলে
লাতিন আমেরিকার ক্ষমতাধর নারী চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশলে (৬৪)। তিনি বিরোধী দলের সাবেক নেতা। অগাস্তো পিনোশের শাসনামলে ব্যাশলের ওপর অত্যাচার চলে। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চিলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যাশলে। এর আগে তিনি প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন।

ক্রিশ্চিন লেগার্দেক্রিশ্চিন লেগার্দে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্রিশ্চিন লেগার্দে (৬০)। ২০১১ সালে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন সাবেক আইনজীবী। লেগার্দে ফ্রান্সের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

জ্যানেট ইয়েলেনজ্যানেট ইয়েলেন
২০১৩ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন ইয়েলেন (৬৯)। ওই সময় এই পদে প্রধানত পুরুষেরাই থাকত। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রধান অর্থনীতিবিদও ছিলেন।

ইরিনা বোকোভাইরিনা বোকোভা
২০০৯ সালে বুলগেরিয়ার বোকোভা (৬৪) ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। নারীর সম-অধিকার আন্দোলনে বোকোভার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব পদে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকায়ও ছিলেন তিনি।

মার্গারেট চ্যানমার্গারেট চ্যান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান (৬৮) বার্ড ফ্লু ও সার্স মহামারির সময় হংকংয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন ভালো চিকিৎসক। জাতিসংঘে নারীস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সুত্রঃ প্রথম আলো

Save