banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

খুন হননি, আত্মহত্যাই করেছেন জিয়া খান

গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে আলোচিত বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিয়া খান হত্যা মামলাটি। অভিযোগ ছিল তাকে খুন করা হয়েছে। সন্দেহের তীর ছিল বলিউডের ‘হিরো’ খ্যাত অভিনেতা ও জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির দিকে। কিন্তু সমস্ত তদন্ত শেষে সিবিআই জানিয়েছে, জিয়াকে খুন নয়, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন।

১ আগস্ট সোমবার মুম্বাই হাইকোর্টে জিয়া খান মৃত্যু মামলার তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করে সিবিআই। আর সেখানেই তাদের নিরপেক্ষ তদন্তটি নিয়ে কথা বলে মামলার তদন্তকারী। তারা জিয়া খানের মৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করে জিয়া আত্মহত্যাই করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন।

অভিনেত্রী জিয়া খানকে ২০১৩ সালের ৩০ জুন তার ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সাধারণভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা মনে হলেও জিয়ার মা রাবেয়া খান এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। তার দাবী ছিল, জিয়া কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সিবিআইকে দেয়া তথ্যে জিয়ার মা সন্দেহ করে বলেছিলেন, জিয়া আত্মহত্যা করার মত মেয়ে না। তাকে কেউ হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। হয়তো তার ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে কেউ ঢুকে হত্যা করে গলায় ওড়না বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।

কিন্তু এমন অভিযোগ তদন্ত করে নাকচ করে দিয়েছে সিবিআই। রাবেয়ার সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে সিবিআই থেকে বলা হয়, জিয়াকে হত্যা করে ভেতর থেকে দরোজা লাগিয়ে জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো লক্ষণ তারা দেখতে পাননি। রাবিয়ার সন্দেহ অমূলক। আসলে জিয়া নিজের ওড়না দিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

তবে জিয়া হত্যা মামলায় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি আদালত। এমনকি অভিযুক্ত প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকেও জিঞ্জাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে সিবিআই। আর জিয়া হত্যা মামলার বিষয়টি আসছে ২৩ আগস্ট শেষ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। কারণ এদিনই রায়ের দিন ঠিক করা হয়েছে।

 

রাশিফল ও মানব জীবনের ওপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব বিশ্বাস করা যাবে কি?

বিশ্বাস না করে কেবল মানসিক সান্তনা অর্জনের জন্য পড়লে তাতে শির্ক হবে না বটে; কিন্তু সে গোনাহগার হবে। কেননা শির্কী কোনো কিছু পাঠ করে সান্ত্বনা লাভ করা বৈধ নয়। তাছাড়া শয়তান কর্তৃক তার মনে উক্ত বিশ্বাস জন্মিয়ে দিতে কতক্ষণ? তখন এ পড়াই তার শির্কের মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে।

যায়েদ ইবন খালিদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, হুদায়বিয়াতে এক রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি নাযিল হয়। সেদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর সালাত শেষে লোকদের দিকে ফিরে বসেন এবং বলেন, ‘তোমাদের রব কী বলেছেন তা কি তোমরা জান? তারা বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, ‘আমার কিছু বান্দা আমার ওপর বিশ্বাসী হয়ে এবং কিছু বান্দা অবিশ্বাসী হয়ে ভোরে উপনীত হয়েছে। যারা বলে, আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে বৃষ্টি হয়েছে তারা আমার প্রতি বিশ্বাসী ও গ্রহ-নক্ষত্রে অবিশ্বাসী। আর যারা বলে, অমুক অমুক গ্রহের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে তারা আমার প্রতি অবিশ্বাসী ও গ্রহ-নক্ষত্রে বিশ্বাসী।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৪৬; মিশকাত, হাদীস নং ৪৫৯৬]

গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ার কথা বিশ্বাস করা যেমন কুফুরী, তেমনি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রাশিফলের আশ্রয় নেওয়াও কুফুরী। যে ব্যক্তি রাশিফলের ওপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের কথা বিশ্বাস করবে, সে সরাসরি মুশরিক হয়ে যাবে। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে রাশিফলের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে সেগুলো পাঠ করা শিরক। তবে বিশ্বাস না করে কেবল মানসিক সান্তনা অর্জনের জন্য পড়লে তাতে শির্ক হবে না বটে; কিন্তু সে গোনাহগার হবে। কেননা শির্কী কোনো কিছু পাঠ করে সান্ত্বনা লাভ করা বৈধ নয়। তাছাড়া শয়তান কর্তৃক তার মনে উক্ত বিশ্বাস জন্মিয়ে দিতে কতক্ষণ? তখন এ পড়াই তার শির্কের মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে।

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদক : মু. সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
গ্রন্থনায় : ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
সৌজন্যে : ইসলামহাউজ

 

মিষ্টি আর মুখরোচক স্বাদে পেয়ালা

রাজধানীতে  যাত্রা শুরুর পর থেকেই, পেয়ালা ক্যাফে মানুষের কাছে নিত্যনতুন মজাদার সব খাবার উপস্থাপন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পেয়ালার মুখরোচক খাবার আর পানীয় দারুণ সুস্বাদু। সম্প্রতি তাদের মেন্যুতে যুক্ত হয়েছে তিনটি নতুন স্বাদের ভিন্নধর্মী আয়োজন- তান্দুরি চিকেন, বিফ রেনড্যাং এবং পালাক পনির।

গরম আর ভিন্নমাত্রা স্বাদের তান্দুরি চিকেন, পালং শাক মিশ্রণের পালাক পনির এবং সিজলিং বিফ রেনড্যাং, র‍্যাপ অথবা সালাদ দুটো পদের সাথেই যায়। তবে একটি কথা না বললেই নয়, যারা মাংস থেকে সবজি  বেশি পছন্দ করেন ও কখনই মুখোরোচক কোনো খাবার মিস করতে চান না, তাদের জন্য পালাক পনির হতে পারে সুস্বাদু খাবারের বিশেষ বিকল্প। তান্দুরি চিকেনের সুবাস নাকে এলেই ফিরে যাবেন সেই মুঘল যুগে। আর মজাদার মাংসের স্বাদের বিফ রেনড্যাং এর স্বাদ আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর ইন্দোনেশিয়ায়।

পেয়ালা শুধু মুখরোচক ঝাল খাবারের জন্যই নয়, বিশেষভাবে ডেজার্টের শিল্পকর্তাও বটে। এর প্রতিটি খাবারেই আছে ভিন্নতা। পেয়ালায় গত সপ্তাহে মেন্যুতে যোগ হয়েছে নতুন বেশ কয়েকটি ডেজার্ট। সুস্বাদু চকলেট ‘বোস্টন ব্রাউনি’। ১২০ টাকায় পাওয়া যাবে এই অসাধারণ স্বাদের আইটেম। আরেকটি কফি স্বাদের ‘মোকা ক্রিম ক্যারামেল’ যা মনকে সচেতজ করে তুলবে।

এছাড়াও আরেকটি নতুন আইটেম ‘ব্রাউনি-ও-ট্রাইফল’ যাতে ব্রাউনি, চকলেট পুডিং, হুইপড ক্রিম এবং সবার পছন্দের ওরিও-এর একাধিক স্তর আছে। গুলশান ২ এর ডিসিসি মার্কেটের নীচতলায় অবস্থিত পেয়ালা ক্যাফেতে গেলেই স্বাদ নিতে পারবেন এইসব মজাদার খাবারের।

গুলশান ২ ডিসিসি মার্কেটে পেয়ালা ক্যাফে অবস্থিত।

Save

Save

 

মেয়েদের ফ্যাশনে চুড়ির বাহার!

‘কিনে দে রেশমি চুড়ি নইলে যাব বাপের বাড়ি’। এই গানটি থেকেই স্পষ্ট মেয়েদের চুড়ির প্রতি দুর্বলতা কতটা। মেয়ে আর চুড়ি এই দুটো যেন একই মুদ্রার দুটো পিঠ। মেয়েরা সব ধরনের অনুষ্ঠানেই চুড়ি পরা পছন্দ করে এবং পরেও। আদিম যুগ থেকেই মেয়েদের চুড়ির প্রতি টান বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়।

একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা শুধু কাঁচের চুড়ি পরত কিন্তু এখন নানারকমের ট্রেন্ডি চুড়ি বাজারে এসেছে। মেটাল, সুতো, চামড়া, ব্যাকেলাইট, রবার, কাঠ, মাটি, বিডস, পুঁতি, সিটি গোল্ডসহ নানা ধরনের চুড়ির ব্যবহার বাড়ছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মেয়েরা এখন নবরুপে সেজে ওঠছে।

এখন আবার বিভিন্ন রকমের লাল নীল সবুজ কাঠের মোটা মোটা চুড়ির সঙ্গে মেটালের চুড়িও একসঙ্গে করে পরেন তাতে সেটা অনেক বেশি ট্রেন্ডি লাগে। অনেকে আবার ঠিক চুড়ি পরা পছন্দ করে না তারা বিভিন্নরকমের ব্রেসলেটে নিজেদের সাজিয়ে তোলেন।

ব্রেসলেট পশ্চিমী ও ভারতীয় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই সমানভাবে যায়। তাই অনেকে খুবই পছন্দ করে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন রঙের সরু সরু প্লাস্টিকের চুড়িও অনেকে পরছেন, এটাও এখন বর্তমান ফ্যাশনে ইন। আবার এক রঙা অক্সাডাইসের চুড়িও বেশ লাগে শাড়ির সঙ্গে।

 

কী হবে এই ৬ বোনের?

একটি পরিবারে ৬টি সন্তান। আর এ ৬জনই হচ্ছে মেয়ে। তাদেরও স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে বাবা-মায়ের ছেলে সন্তানের অভাব দূর করার। কয়েক বছর আগে হারায় বাবাকে। তিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় মাও।  মাথার উপর থেকে যেনো শেষ ছায়াটুকু সরে যায়। এখন কী হবে অভিভাবকহীন এই ৬ বোনের?

গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রাকচাপা পড়ে পার্বতীপুরের ফ্যাক্টরি পাড়া মোড়ে ওই বিধবা মা আরজিনা বেগম (৪৫) নিহত হন। পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় তিনি তার একটি গাভী নিয়ে ওই পথে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত আরজিনা মন্মথপুর ইউনিয়নের ছোট হরিপুর মুন্সীপাড়া গ্রামের মৃত মোফাখখারুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল স্ত্রী ও ৬ কিশোরী কন্যাকে রেখে মারা যান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মোফাখখারুল ইসলাম। তার মৃতুর পর লেখাপড়া ছেড়ে সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হন বড় দুই মেয়ে মুক্তা ও রিক্তা। তারা দুজনেই কাজ নেন ঢাকার দুই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।

বর্তমানে মুক্তা (২৪), রিক্তা (২২) ও মোমিনা (১৮) তিনজনেই বিবাহযোগ্যা। এছাড়া ছোট বোন লিপি (১৩) ৮ম, মমতাজ ( ১৫) নবম শ্রেণি ও মুসরাত জাহান ইতি ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ছে। ৩ জনেই মেধাবী ছাত্রী।

প্রতিবেশী মেনহাজুল হক বলেন, পরিবারটির ৫ শতক বসত ভিটা ছাড়া তাদের আর কোনো আবাদি জমি নেই। মায়ের মৃত্যুর পর ছোট ৪ বোনকে বাড়িতে রেখে বড় দুই বোন আবার চাকরিস্থলে ফিরে যাবে, নাকি চাকরি ছেড়ে বোনদের সাথে বাড়িতে থাকবে এ নিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে বড় দুই বোন মুক্তা ও রিক্তা।

মুক্তা ও রিক্তা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, বাবা মার ইচ্ছা ছিল ৬ বোনকে শিক্ষিত করার। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে তারা দু’বোন সংসারের হাল ধরেছিল। এখন অবিভাবকহীন হয়ে তারা কীভাবে বোনদের পড়ালেখা ও সংসার চালাবে তা ভেবে পাচ্ছে না।