banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েদের জন্য পুষ্টিকর ৯ টি স্ন্যাক্স

ব্রেস্ট ফিডিং করালে অনেক এনার্জির প্রয়োজন হয়। তাই বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করান যে মায়েরা, তাদের ঘন ঘন ক্ষুধা পায়। এজন্য তাদের ক্ষুধা নিবৃত করাও প্রয়োজন। তাই বলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও উচিৎ নয়। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী এমন কিছু স্ন্যাক্স খেতে পারেন ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েরা যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করবে। এমন কিছু স্ন্যাক্সের কথাই জেনে নিই চলুন।

১। বাদাম

প্রোটিনের পাওয়ার হাউজ হচ্ছে বাদাম। এতে স্বাস্থ্যকর পরিমাণে অসম্পৃক্ত চর্বি ও ফাইবার থাকে। তাই ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েদের জন্য ভাঁজা ও হালকা লবণাক্ত বাদাম হতে পারে তৃপ্তিকর একটি স্ন্যক্স। একমুঠো বাদাম দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

২। সিদ্ধ ডিম

ডিমে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এছাড়াও ডিমে সবগুলো এমাইনো এসিড, ভিটামিন এবং মিনারেল ও থাকে। তাই ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েদের জন্য ডিম হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স।

৩। আস্ত গমের তৈরি স্যান্ডউইচ

আস্ত গমের তৈরি পাউরুটি কিনে এর সাথে চর্বিহীন মাংস, টমেটো, গাজর ইত্যাদি যোগ করুন যাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এই স্যান্ডউইচ আপনাকে তৃপ্তি দেবে।

৪। পিনাট বাটারের সাথে আপেল

আপেলের সাথে পিনাট বাটার মিশিয়ে খেলে প্রোটিন ও ফাইবারের সমন্বয় হয়। পিনাট  বাটার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। পিনাট বাটারের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খোসাসহ আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকে।

৫। দই

দই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। যা মধ্য বিকেলের চমৎকার স্ন্যাক্স হতে পারে। একে আরো পুষ্টিকর করার জন্য দইয়ের সাথে ফল মেশাতে পারেন। মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত মিল্কশেক এড়িয়ে চলুন।

৬। সালাদ

তাজা ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি একবাটি সালাদ হতে পারে নতুন মায়েদের জন্য সহজ ও পুষ্টিকর একটি স্ন্যাক্স। সব্জিতে উচ্চমাত্রার পানি থাকে বলে আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।

৭। অ্যাভোকাডো

মনো ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন এবং ফাইবার ও থাকে,  যা নতুন মায়েদের জন্য পুষ্টিকর একটি খাবার। কুড়মুড়ে স্বাদের জন্য বিস্কুটের সাথে খেতে পারেন অ্যাভোকাডো।

৮। পনির

ক্যালসিয়াম ও আমিষের উৎস পনির। এছাড়া বি ভিটামিন ও থাকে এতে। হোল গ্রেইন ক্রেকারস বা পাউরুটির সাথে খেতে পারেন পনির।

৯। মিষ্টি আলু

শর্করার পাশাপাশি মিষ্টি আলুতে ভিটামিন, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান ও থাকে। তাই স্ন্যাক্স হিসেবে মিষ্টি আলু খেতে পারেন ব্রেস্ট ফিডিং করান এমন মায়েরা।

লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন

 

অনলাইনে কিনুন পছন্দের জামদানি-কাতান

ইফাত শারমীন। মাস্টার্স শেষ করে একটি আইটি ফার্মে কাজ করেন ৬/৭ বছর। এরপর কুমিল্লার এই মেয়ে চিন্তা করেন নিজেই কিছু করবেন। শুরু করেন অনলাইনে জামদানি কাপড় বিক্রি করার ব্যবসা। মূলত ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে প্রথম জামদানি নিয়ে কিছু করার অনুপ্রেরণা পান। ছোট ভাই তখন বুয়েটে পড়তো। সে জামদানির ডিজাইন নিয়ে একটি থিসিস করে। সেজন্য ভাইকে জামদানির তৈরি কারিগরদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে থিসিসটি করতে হয়। দেখাদেখি শারমীনও তাঁতীদের কাছে গিয়ে জামদানি তৈরি দেখেন। এরপর শুরু করেন ব্যবসাটি। ২০১৫ সালে তার অনলাইন শপ চালু করেন। জামদানি ভিলি নামের শপটি দেখতে দেখতেই জনপ্রিয়তা পায়। এখন প্রতিদিন গড়ে ২টি দামি শাড়ির অর্ডার পান তিনি। এখন থেকে কমদামি শাড়িও বিক্রি করার চিন্তা করছেন। বর্তমানে তার বেশিরভাগ ক্রেতা দেশের বাইরে থেকেই অনলাইনে অর্ডার করেন। তিনি জামদানি শাড়ি, মসলিন শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, পাঞ্জাবীর কাপড় বিক্রি করেন। জামদানি শুরু হয়েছে ৪০০০ টাকা থেকে। ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্তও জামদানি বিক্রি করে থাকেন তিনি। পাঞ্জাবী পিস ৮৫০ থেকে কাজের উপর ভিত্তি করে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।

অন্যদিকে এমডি ওমান থাকেন মিরপুর। ভারতের এই ছেলে ছোট বেলা থেকেই মিরপুরে তার বাবার তাতের শাড়ির দোকানে বসেন। এসএসসি পাশ করে একটি কলেজে এইচএসসিতে উন্মুক্ততে ভর্তি হন। নিজের খরচ নিজেই যোগান দিতে শুরু করেন অনলাইনে কাতান শাড়ি বিক্রির দোকান। বাবার দোকানে যখন বসতেন তখন বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসায়ী মেয়েরা তার দোকানে আসতো শাড়ির ছবি নিতে। সেই ছবি অনলাইনে দিয়ে অর্ডার নিতো। আজকের ডিল নামক একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানও তার কাছে এসেছিলো। এরপর তিনি নিজেই চিন্তা করেন অনলাইন ব্যবসা করবেন। এভাবেই শুরু। এখন মাসে দেড়শোটি শাড়ি তিনি অনলাইনে বিক্রি করেন। গড়ে ৫০/৬০ হাজার টাকা তার ইনকাম রয়েছে। পরিবারকেও তিনি টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। কাতান, অপেরা কাতান, কাঞ্জপুরান, জোড়িকাটা, সিল্ক সব ধরনের শাড়িই তিনি বিক্রি করেন। ভারত থেকে বিভিন্ন কাতান পার্টিরা পাঠিয়ে দিলে সেগুলো তিনি বিক্রি করেন। এছাড়া গাউসিয়া থেকেও পাইকারি দরে শাড়ি কিনে তা অনলাইনে বিক্রি করেন। ১৭৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৬০০০ টাকা দামের শাড়ি তিনি বিক্রি করে থাকেন।

তাই বলা চলে ফেসবুক তাদের ব্যবসার বড় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চাইলে আপনিও অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন নিজের ভাগ্য। আর শাড়ি কিনতে চাইলে অনলাইনেই অর্ডার করুন। আর ঘরে বসেই পেতে পারেন পছন্দের প্রিয় শাড়ি।

ফেসবুক লিঙ্ক: কাতান শাড়ি হাউজ: https://www.facebook.com/katanashareehouse/

জামাদানী ভিলি: https://www.facebook.com/JamdaniVille/