banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

জাসিয়া’র মাধ্যমে গহনা কিনুন ঘরে বসেই

পোশাকের সাথে মিলিয়ে পছন্দের গহনা পরতে সবাই ভালবাসেন। আর সেই পছন্দের গহনাটি এখন মিলবে ঘরে বসেই। ফেসবুক ভিত্তিক অলংকার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জাসিয়া দেশি-বিদেশি নানা রং ও বাহারি ডিজাইনের গহনা নিয়ে সাজিয়েছে তাদের অনলাইন শো-রুম। দেশি-বিদেশি গলার মালা, আংটি, কানের দুল, চুড়ি, পুঁথির মালা সহ নান্দনিক ডিজাইনের গহনা পাওয়া যাবে জাসিয়াতে।

দেশের যে কোন স্থান থেকে পছন্দের গহনাটি এখন অর্ডার করলেই পৌঁছে যাবে আপনার বাসায় কিংবা অফিসে। আমদানি ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জাসিয়াতে প্রতিটি পণ্যের দামও থাকছে হাতের নাগালের মধ্যে। বিস্তারিত জানতে- ফেসবুক পেজ : www.facebook.com/jasiaonline.

 

নারীরা যে কারণে জড়াচ্ছে জঙ্গিতে

ইদানিং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্যদের। মূলত পুরুষ সদস্যদের জেরা করেই তাদের বিষয়ে জানতে পারছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ধরা হচ্ছে নারী সদস্যদের।

গত রোববারই সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে ৪ নারীকে। যারা কিনা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম, ছয়টি ককটেল ও জিহাদি বইও জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বাদুল্যাপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নাদিরা তাবাসসুম রানী (৩০), বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোটের মো. খালিদ হাসানের স্ত্রী হাবিবা আক্তার মিশু (১৮), এই উপজেলার পরানবাড়িয়ার সুজন আহমেদ বিজয়ের স্ত্রী রুমানা আক্তার রুমা (২১) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মোচাদহ দক্ষিণপাড়ার মামরুল ইসলাম সরদারের স্ত্রী রুনা বেগম (১৯)।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ  জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরের দিকে পৌর এলাকার মাছুমপুরে অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশে তারা ওই বাড়িতে বসে গোপন বৈঠক করছিল।

জঙ্গি ক্যাডার বললেই সাধারণত পুরুষদের কথাই সবাই মনে মনে চিন্তা করে। অথচ জেএমবিসহ বেশ কয়েটি সংগঠনে রয়েছে অনেক নারী সদস্য। মূলত জঙ্গি সংগঠনগুলোর পুরুষ সদস্যদের সাথে বিয়ের মাধ্যমে এই নারীরা যুক্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা স্বামীদের মাধ্যমে জঙ্গি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং সব কাজেই সহযোগিতা করেন। তাছাড়া ঘর ভাড়া পাওয়া, স্ত্রী-সন্তানসহ যাতায়াত করা, সহজেই অস্ত্র বহন করা, তথ্য সংগ্রহ- সবক্ষেত্রেই সুবিধাজনক হয় নারী সদস্যরা থাকলে।

এদিকে নারীদের জঙ্গি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে তারই নিকটাত্মীয়রা। জঙ্গি সংগঠনগেুলোর সদস্যরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের অন্য সদস্যদের শ্যালিকা কিংবা বোনদেরই বিয়ে করে থাকেন। এতে করে নিজেদের তথ্য কিংবা অন্যান্য বিষয় বাইরে ফাঁস হয় না। জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ার অনেকেই তার বোনদেরও এ পথে আনার চেষ্টা করে। এমন দৃষ্টান্ত দেখা গেছে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে মুকুল রানার ক্ষেত্রে।

মুকুল রানা বিয়ে করেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিএম মুজিবুর রহমানের বোন মহুয়া আক্তার রিমিকে। আর এ বিয়ের মধ্যস্থতা করেছিলেন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া বিতর্কিত মেজর জিয়াউল হক।

সাংগঠনিক কারণেই মেজর জিয়ার সঙ্গে এবিটি নেতা মুজিবুরের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই এবিটির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে আর মেজর জিয়ার মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি যশোরের জগন্নাথপুরে মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের মেয়ে ও মুজিবুরের বোন রিমির সঙ্গে বিয়ে হয় মুকুল রানার। তবে তার স্ত্রী মহুয়া আক্তার রিমির জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও স্বামী আর বড়ভাই জঙ্গি হওয়ার কারণে তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন গভীর রাতে রাজধানীর মেরাদিয়ায় ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জঙ্গি নেতা মুকুল রানা নিহত হন। এর এক মাস আগে ১৯ মে মুকুল রানাসহ ৬ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘শুধু পুরুষরাই নয়, নারীদের জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার বিষয়টাও মনিটরিং করা হচ্ছে।’

নারীরা কেন জঙ্গি কার্যক্রমে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদর্শগত মিলের কারণেই জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত নারী-পুরুষের বিয়ে হয়। এখান থেকেই পরবর্তী জেনারেশনও জঙ্গিবাদে ছড়িয়ে পড়ছে।’

 

সিআইডির কাছে ক্ষোভ জানালেন তনুর মা

ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলা নিয়ে সিআইডির কাছে ক্ষোভ জানিয়েছে তনুর পরিবার। সোমবার বিকেলে সিআইডির তদন্ত দল তাদের সেনানিবাসের বাসায় গেলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।

তনুর মা মোবাইল ফোনে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমসহ সিআইডির একটি দল সোমবার সেনানিবাসে তনুর লাশ উদ্ধারের স্থান পরিদর্শন করে এবং বিকেলে বাসায় গিয়ে তাদের সান্ত্বনা দেয়।

তিনি আরো বলেন, সিআইডিকে বলেছি- তনু হত্যার ৪ মাস ৫ দিন হয়েছে।  এখনও কোনো আসামি ধরা পড়েনি।  ২০/৩০ জন ধরে নিয়ে গেলেই তো আসামি শনাক্ত হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে তনুর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  ২১মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা।  ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন।

গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।  ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।

গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন।

১২ জুন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  ওই প্রতিবেদনেও তনুর যৌন সম্পর্কের বিষয়ে আলামত পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়।  তবে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি এবারও অস্পষ্টই রেখে দেয় ফরেনসিক বিভাগ।