banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নাস্তায় মুখরোচক মাংস পুলি

বিকেল বা সন্ধ্যার নাস্তায়, অতিথি আপ্যায়নে মুখরোচক খাবারের প্রাধান্য থাকে বেশি। তেমনি মুখরোচক এবং উপাদেয় একটি খাবার মাংস পুলি। খুব সহজে তৈরি করা যায় অসাধারণ এই খাবার। তাই আসুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক মুখরোচক মাংস পুলির সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

১ কাপ ছোট করে কাটা মাংস সেদ্ধ, আধা কাপ আলু কুচি, আধা কাপ পেঁয়াজ মিহি কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ঝাল বুঝে, ১ চা চামচ কাবাব মসলা, ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা, ২ টি এলাচ, ১ খণ্ড দারুচিনি, ২ টি লবঙ্গ, ২ চা চামচ তেল বা ঘি, লবণ স্বাদমতো।

পিঠার জন্য

৫০০ গ্রাম আটা বা ময়দা, ৫০ গ্রাম সুজি, আধা কাপ ঘি, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

পুর তৈরি

প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে গরম করে এতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নেড়ে নিন ভালো করে। একটু লালচে হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করতে থাকুন। একে একে গরম মসলা ও কাবাব মসলা দিয়ে লবণ দিয়ে দিন। এরপর এতে আলু কুচি ও মাংস কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করতে থাকুন। আলু সেদ্ধ হয়ে ও মাংস ভাজা হয়ে এলে পুর তৈরি হয়ে যাবে। স্বাদ দেখে নামিয়ে রাখুন।

পিঠা তৈরি

আটা বা ময়দার সঙ্গে সুজি ভালো করে হাতে মিশিয়ে নিন ও সামান্য লবণ দিন। এরপর ঘি ঢেলে হাত দিয়ে মাখাতে থাকুন। এতে খাস্তা হবে। তারপর পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিন। রুটি বেলার মতো করে ডো তৈরি করতে হবে। এরপর ছোট ছোট করে গোল রুটি তৈরি করে নিন। এরপর ঠিক মাঝে পুর দিয়ে রুটিটি ভাঁজ করে পুলি পিঠার আকার দিতে হবে। একটি কাটা চামচ দিয়ে রুটির মুখ আটকে ফেলুন, যাতে পুর ভেতর থেকে বেরিয়ে না যায়। একটি বড় কড়াইয়ে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করুন। অল্প আঁচে গরম করে নিন। এরপর বানানো পিঠা ছেড়ে দিন এবং অল্প আঁচেই লালচে করে ভেজে তুলে নিন। একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল শুষে ফেলুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো মাংস পিঠা। এবার সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

 

লিখেছেন
নিগার আলম

 

বিউটি পার্লার ব্যবসা বিনিয়োগ ও পরিচালনার কর্মশালা

বিউটি পার্লার ব্যবসার বিনিয়োগ ও পরিচালনার খুঁটিনাটি কৌশল নিয়ে দেশে প্রথমবারের মত কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে লিংগারিং লুক ইনসটিটিউট। আগামী ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ ইং তারিখে এক দিনের এই কর্মশালায় থাকছে বিউটি পার্লার ব্যবসা  বিনিয়োগ এবং দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে ০১৮১৭৭৫২২৪০ নম্বরে।

কর্মশালার বিষয়ঃ
বিউটি পার্লার ব্যবসা স্থাপন করার জন্য সম্পূর্ণ সমাধান।
বিউটি পার্লার ব্যবসার  পরিচালনার খুঁটিনাটি।

কর্মশালার পদ্ধতিঃ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা, ভিডিও প্রদর্শন, উন্মুক্ত আলোচনা। [কোর্স শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।]

২৯ শে জুলাই, ২০১৬, সময়ঃ সকাল ১০ টা – বিকেল ৫ টা, লিংগারিং লুক ইনসটিটিউট, ১৮/১ রিং রোড [৩য় তলা], মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।
ফিঃ ৩০০০/- টাকা।
যোগাযোগ করুনঃ ১৮১৭৭৫২২৪০

 

তিনি ছাত্রলীগনেত্রী, এভাবে বিয়ে করতেই পারেন!

দেখে মনে হলো ঠিক যেন বিয়ে বাড়ি কিংবা কমিউনিটি সেন্টার। মরিচ বাতিতে ফটক সাজানো। ভেতরের রাস্তাও একইভাবে জ্বলজ্বল করছে। ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেত্রীর গায়ে হলুদ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় এভাবেই সেজেছিল রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ক্যাম্পাস।

ধুমধাম করে কলেজ মিলনায়তনে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুমা আক্তার পলি। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও।

কলেজের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ২৪ জুলাই মাসুমা আক্তারের বিয়ে। এ উপলক্ষে তিনি কলেজের ছাত্রীদের জন্য গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানে তার হবু বরও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই পরিবারের অনেক অতিথি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ছাত্রীরা বলছেন, কলেজ হোস্টেলে থাকার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ বিয়ে করলে তার সিট কেটে দেয়া হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের অনেকে প্রভাব খাটিয়ে বিবাহিত হয়েও হোস্টেলে থাকেন। আর এবার কলেজের মিলনায়তনে বিয়ের আয়োজনই করা হল। পলি ছাত্রলীগনেত্রী বলেই এভাবে একটা মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে বিয়ে করতে পারছেন।

তারা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করার নিয়ম না থাকলেও গায়ে হলুদ উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কলেজে এসেছেন। এর মধ্যে দুই পরিবারের সদস্যদের বাইরে ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীও অংশ নেন।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজ মিলনায়তনও সাজানো হয় মনোরম সাজে। সেখানে করা স্টেইজের পেছনে লেখা ছিল ‘সাইফ ও পলির হলুদ সন্ধ্যা।’

এ সম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান বলেন, ‘তিনি তো আগে কলেজের ছাত্রী। তারপর ছাত্রলীগের নেত্রী। কলেজ প্রশাসন যদি এক্ষেত্রে অনুমতি দেয় তবে একজন ছাত্রী এ ধরনের অনুষ্ঠান করতেই পারেন।’

সন্ধ্যা থেকে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহারের মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।