banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

খুশকি সমস্যার দারুণ সমাধান

মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা তৈলাক্ত হলে খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়। শুষ্ক আবহাওয়া বা ধুলাবালি খুশকির অন্যতম কারণ। যাদের প্রায় সারাবছর খুশকির সমস্যা আছে তাদের প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতেই হয়। চুল ও মাথার ত্বকের সামান্য যত্নে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন খুশকি দূর করার কিছু উপায়।

– পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল গোলানো পানি মাথায় দিলে খুশকি এমনিতেই দূর হবে। একই সঙ্গে মাথার চুলকানিও কমে যাবে।

– টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।

– একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

– মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করে এতে মেথি গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।

 

বৃষ্টির দিনে ভাপা ইলিশ

মাছের যেকোনো পদের সঙ্গে ভাপা ইলিশের স্বাদ মেলানো সম্ভব নয়। তৃপ্তিদায়ক এ খাবার অতিথি আপ্যায়ন বা নিজেদের খাওয়াকে দারুণ উপভোগ্য করে তোলে। বৃষ্টিমোড়া দিন হলে তো ইলিশের মিতালী চাই-ই। তাই শ্রাবণ ঘেরা এই দিন খাবার তালিকায় থাকতে পারে ভাপা ইলিশ। তার আগে এক নজরে দেখে নিতে পারেন ভাপা ইলিশের সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

১টি মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ, আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি, ৩ টেবিল-চামচ পেঁয়াজ বেরেস্তা কুচি, ১ চা-চামচ জিরা গুঁড়া, ২ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, আধা চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, ১ টেবিল-চামচ সরিষা কুচি, ৫টি কাঁচা মরিচ ও ১ টেবিল-চামচ লবণ।

যেভাবে করবেন

মাছের টুকরোগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। প্রেশার কুকারে ১ টেবিল-চামচ লবণ ও পানি দিন। এবার পাতলা কাপড় দিয়ে মাছটি প্রেশার কুকারে দেওয়া পানির আঁচে ৯০ মিনিট রাখুন। এবার একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে কুচি করা পেঁয়াজ বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। কাঁচা মরিচ বাদ দিয়ে বাকি সব মসলা ও লবণ দিতে হবে। একটু পানি মিশিয়ে কিছুক্ষণ আঁচে রাখার পর কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার একটি প্লেটে মাছের টুকরাগুলো রেখে চারপাশে রান্না করা মসলা দিয়ে দিন। সালাদ ও ভাজা আলুর সঙ্গে পরিবেশন করুন অসাধারণ স্বাদের ভাপা ইলিশ।

 

মালালা যেভাবে কোটিপতি

কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে। অনেকেই সেই স্বপ্ন দেখতে দেখতে বুড়ো হয়ে যান। তবুও অধরায় থেকে যায় কোটিপতির জীবন।

তবে কেউ কেউ আবার মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পান। কোটিপতি কী, সেটা বুঝার বয়স হয়ে উঠার আগেই হয়ে উঠেন কোটিপতি। এই যেমন মালালা ইউসুফজাই। বয়স মাত্র ১৮ বছর, অথচ এর মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের এই কিশোরী। সেটিও আবার স্রেফ বই বিক্রি আর বক্তৃতার পয়সায়!

নোবেল বিজয়ী মালালা মাত্র তিন বছরে এত বেশি সম্পদ আয় করেছেন যে ইচ্ছে করলেই তাকে মিলিওনিয়ারদের তালিকাভুক্ত করা যায়। এ অর্থের বেশিরভাগই এসেছে তার জীবনীগ্রন্থ ‘আই অ্যাম মালালা’ বিক্রি থেকে। এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য ডেইলি মেইল।

ডেইলি মেইল জানায়, সালার্জাই লিমিটেড কোম্পানি মালালার জীবনীগ্রন্থের স্বত্বটি দেখভাল করে। বই বিক্রি থেকে তাদের মোট মুনাফা এসেছে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এই কোম্পানিতে মালালা ও তার বাবা-মায়ের যৌথ মালিকানা রয়েছে। পত্রিকাটি জানায়, গত বছর আগস্ট মাসে ব্যাংকে ওই কোম্পানির অর্থের পরিমাণ ছিল ২২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

সালার্জাই কোম্পানিটি গঠিত হয়েছে ২০১৩ সালে। মালালার আত্মজীবনীমূলক বইটির স্বত্ব ছাড়াও এই কোম্পানিটি তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘মালালা ফান্ড’ এর তদারকি করে থাকে। গোটা বিশ্বের মেয়েদের নিরাপদ শিক্ষা নিশ্চিত করতেই এই ফান্ড গঠন করা হয়েছে

 

তিন বছর আগে প্রকাশিত মালালার জীবনীগ্রন্থ ‘আই অ্যাম মালালা’ সারা বিশ্বে বিক্রি হয়েছে ২৮ লাখ ৭ হাজার কপি। এই জীবনীগ্রন্থ থেকেই মোট ২০ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার টাকা

শুধু বই বিক্রিই তার আয়ের একমাত্র উৎস নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েও তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেন। ২০১৪ সালে সবচাইতে কমবয়সি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর তার সম্মানি আরো বেড়েছে। এক একটি বক্তৃতা বাবদ তার আয় ১ কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ২৬০ টাকা। সমসাময়িক কোনো নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিকে বক্তব্য রেখে এত বেশি আয় করতে দেখা যায়নি।

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক সাধারণ মেয়ে থেকে মালালার ধনকুবের হয়ে ওঠার কাহিনী যেন রূপকথাকেও হার মানায়। ২০১২ সালে তালেবান হামলায় গুরুতর আহত হন খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকার মেয়ে মালালা। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪ বছরের মালালাকে তখন লন্ডন নিয়ে আসা হয়। সেখানকার এক হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠেন মালালা।

এরপর আর মালালাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। লেখাপড়া করছেন লন্ডনের এডজবাস্টোন হাই স্কুলে।

 

মন দিতে চাই পড়াশোনায়

আমি ঈদের আগে ভারতের কলকাতা আর মুম্বাইয়ে ছিলাম। ঈদের দিন দুপুরে ঢাকায় ফিরেছি। শুরুতে ভেবেছিলাম কলকাতায় ছবিটি দেখব, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সময় বের করতে পারিনি। ঢাকায় এসে ঈদের আট দিনের মাথায় যমুনা ব্লকবাস্টারে বোনের সঙ্গে চুপিসারে ছবিটি দেখেছি। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে মন ভরে গেছে। আমার আর জিতের ‘বাদশা’ ছবিটির সঙ্গে কলকাতায় দেবের ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পেয়েছে। যে খবর আমার কাছে এসেছে, তাতে কলকাতায় ‘বাদশা’ বাজিমাত করেছে। সুপার-ডুপার হিট। আমি তো আসমানে উড়ছি। সবাই এও বলেছেন, তাঁরা একটা পরিপূর্ণ সিনেমা দেখেছেন। বাংলাদেশে অবশ্য ‘শিকারি’ ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে। এই ছবিতে শাকিব খানের লুক ছিল একেবারেই অন্য রকম। এমনিতে তিনি এ দেশের জনপ্রিয় হিরো। হিরোর কারণে সবাই হলে ছুটেছেন।
আপনার বোন ছবিটি দেখে কী বলেছেন?
সে তো শুধু আমার ভুল ধরে। কেন সংলাপটা এভাবে বললাম, কেন পোশাকটা এভাবে পরলাম—এ ধরনের আরকি। আমিও আমার পরিবারের সবার মতামতকে খুব গুরুত্ব দিই।
এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য ছবিগুলোর নায়িকারা হলেন অপু বিশ্বাস, তিশা ও ভারতের শ্রাবন্তী। তাঁরা কেমন করেছেন?
আমি তো তাঁদের ছবি দেখার সময়টা পাইনি। নিঃসন্দেহে তাঁরা অনেক ভালো করবেন। যাঁদের নাম আপনি বললেন, তাঁদের সবারই অভিনয় ক্যারিয়ার এক দশকের কম হবে না। আর আমার হচ্ছে মাত্র নয় মাস। ভাবছি ‘প্রেমী ও প্রেমী’র শুটিং থেকে ফিরেই বাকি তিনটি সিনেমা দেখে নেব।
‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার পর নতুন কাজ কি শুরু করবেন?
আজ (শনিবার) বিকেলে আমরা বান্দরবান যাচ্ছি। ১২ দিন সেখানে থাকব। যেভাবে কাজ করছি আমরা, তাতে আগামী আগস্টে ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমার পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর তিন মাসের ছুটিতে যাচ্ছি।
কেন ছুটিতে যাচ্ছেন?
টানা কাজের কারণে আমার শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। মন দিতে চাই পড়াশোনায়। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি বিবিএ সপ্তম সেমিস্টার পর্যন্ত শেষ করেছি।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের