banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

রোজা সংক্রান্ত নারীর প্রয়োজনীয় কিছু মাসয়ালা

অন্যান্য মাসের ওপর রমজানের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর সম্মানিত মাস তোমাদের নিকট এসে গেছে। এটি বড় বরকতপূর্ণ মাস। আল্লাহতাআলা এই মাসে তোমাদের তার রহমতের আলিঙ্গনে গ্রহণ করেন এবং নাজিল করেন তার বিশেষ রহমত। গুণাহসমূহ ক্ষমা করেন এবং আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে তা ফেরেস্তাদের দেখান। অতএব, হে লোকসকল! এই মোবারক মাসে তোমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহকে উত্তমবস্তুই প্রদর্শন কর। সেই ব্যক্তি বড়ই বদনসীব, যে ব্যক্তি রহমতের এই মৌসুমেও আল্লাহর থেকে মাহরুম থাকে।’ (তারগীব ও তারহীব) এ রোজা শুধু মুসলিম পুরুষের জন্য নয়, নারীর জন্যও। তাই নারীর জন্য রমজান মাস সংক্রান্ত জরুরি কিছু মাসায়েল সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে উল্লেখ করা হলো।

১. রমজান মাসে সুবহে সাদেকের পর যদি কোনো মহিলার হায়েজ, নেফাস বন্ধ হয়ে যায় এবং সে এই সময়ের মধ্যে কোনো কিছু পানাহার না করে এমতাবস্থয় যদি সে রোজার নিয়ত করে তাহলে ওই দিনের রোজা শুদ্ধ হবে না ববং পরবর্তীতে উক্ত রোজার কাজা করতে হবে, কারণ সে দিনের শুরুলগ্নে অপবিত্র ছিল।

২. পবিত্র অবস্থায় রোজা রাখার পর যদি হায়েজ শুরু হয় বা সন্তান প্রসব হয়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে তা কাজা করতে হবে। চাই সেটা ফরজ বা নফল রোজা হোক।

৩. রমজান মাসে মহিলাদের পিরিয়ডের রোজা না রাখলে অথবা রোজা রাখার পর পিরিয়ড শুরু হলে তার জন্য পানাহার করা বৈধ। তবে অন্য লোকদের সামনে পানাহার করা উচিত নয়। দিনের বেলায় যদি ঋতু বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাহলে দিনের বাকি অংশে রোজাদারের মতো পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করা ওয়াজিব। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০)

৪. হায়েজ (মাসিক), নেফাসের (প্রসব-পরবর্তী স্রাব) সময়গুলোতে রোজা রাখা নিষেধ, তবে পরবর্তীতে এ দিনগুলোর রোজার কাজা করতে হবে।

৫. যদি কেউ পূর্ণ ১০ দিন ১০ রাত পর, রাতের শেষভাগে গিয়ে পবিত্র হয় এবং তখন রাতের এতটুকু সময়ও হাতে নেই যার মধ্যে একবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে পারে। তবুও পরের দিনের রোজা ওয়াজিব। আর যদি ১০ দিনের কমে হায়েজ বন্ধ হয় এবং এতটুকু রাত অবশিষ্ট থাকে, যার মধ্যে তাড়াহুড়া করে গোসল করে নিতে পারে তবে ১ বারও ‘আল্লাহু আকবার’ বলা যায় না। তবুও পরের দিনের রোজা ওয়াজিব হবে। এমতাবস্থায় গোসল না করে থাকলে গোসল ছাড়াই রোজার নিয়ত করে নিবে, আর যদি সময় তার চেয়েও কম থাকে তাহলে রোজা হবে না, তাই সে রোজা রাখবে না। তবে সারাদিন তাকে রোজাদারের মতোই থাকতে হবে এবং পরে কাজা করতে হবে।

৬. হায়েজ, নেফাস অবস্থায় কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা মুখস্থ হোক বা দেখে হোক জায়েজ নয়।

৭. কোনো নারীর হেফজ করা অবস্থায় হায়েজ এসে গেলে এবং মুখস্থ করার জন্য তেলাওয়াতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বা কোনো হাফেজা মেয়ের হায়েজ অবস্থায় কোরআন হেফজ করার জন্য তেলাওয়াত জারি রাখতে চাইলে মনে মনে তেলাওয়াত করবে মুখে উচ্চারণ করবে না।

৮. হায়েজ, নেফাস অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া যাবতীয় জিকির-আজকার, দোয়া-দুরুদ ও তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা জায়েজ আছে। এমনকি দোয়ার নিয়তে কোরআনের আয়াতও পাঠ করা জায়েজ আছে।

৯. দুধ পান করানোর দ্বারা মহিলাদের রোজা ও অজু ভাঙ্গে না। রোজা এ জন্য ভাঙ্গে না, দুধ বের হওয়াই স্বাভাবিক। রোজা তো পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকার নাম। (ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৫/৪০৮)

১০. হায়েজ, নেফাস অবস্থায় কোরআন শরিফ স্পর্শ করা যেমন জায়েজ নয় অনুরূপভাবে কোরআনের আয়াত কোথাও লেখা থাকলে তাও স্পর্শ করা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন কোনো কিতাব হয় যার মধ্যে কোরআনের আয়াত অপেক্ষা অন্য কোনো লেখা বেশি থাকে তাতে হাত লাগানো যাবে, তবে আয়াতের ওপর হাত লাগানো যাবে না।

১১. গর্ভবর্তী বা স্তন্যদানকারিনী রোজাদার মহিলার যদি রোজা রাখার কারণে বাচ্চার বা তার প্রাণহানি মা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির প্রবল আশঙ্কা হয়, তবে রোজা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ; অন্যথায় জায়েজ হবে না।

১২. ইস্তিহাযা (অসুস্থতাজনিত কারণে দেখা দেয়া স্রাব, নিয়মিত পিরিয়ডকালীন সময়ের বেশি সময়ে যা দেখা দেয়) অবস্থায় রোজা রাখা সহিহ এবং জরুরি। রোজা না রাখার অনুমতি নেই।

১৩. ইস্তিহাযা অবস্থায় মহিলারা নিজ ঘরে ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল ইতিকাফ করতে পারবে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।

১৪. প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের প্রতিমাসে মাসিক হওয়া আল্লাহ প্রদত্ত একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। নিয়মিত মাসিক হওয়া স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। এ জন্য ইসলামি শরিয়ত তাদের এ দিবসগুলোতে রোজা না রাখার বিধান রেখেছে। এতদসত্ত্বেও যদি কোনো নারী ঔষধ সেবনের মাধ্যমে মাসিক বন্ধ রাখে তাহলে শরিয়তের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধা-নিষেধ নেই। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এরূপ না করায় উত্তম। তা সত্ত্বেও যদি কেউ এমন ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে। (আল বাহরুর রায়েক: ২/৪৪৯, ফতোয়ায়ে হক্কানি : ৪/১৫৮)

১৫. বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর প্রসূতি অথবা রুগ্ন দুর্বল মহিলা, যে রোজা রাখতে পারে না, এমতাবস্থায় তার পক্ষে ফিদইয়া দেয়া যথেষ্ট নয়। যদি ফিদইয়া দিয়ে দেয় এবং পরে সুস্থ হয় এবং রোজা রাখার সক্ষমতা এসে যায়, তাহলে ওই রোজার কাজা করা জরুরি। (ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৬/৪৭৮)

ফয়জুল আল আমীন

 

অপ্রাপ্তবয়স্ক হাফেজের পেছনে তারাবির নামাজের বিধান

ইমাম সাহেবের কথা ঠিক না, তার ঐ কথা ঠিক নয়। তারাবীর নামাযেও নাবালেগের ইমামতি সহীহ নয়। উমর বিন আবদুল আযীয ও আতা রাহ. বলেন, নাবালেগ ছেলে যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে ইমামতি না করে। ফরয নামাযেও নয়, অন্য নামাযেও নয়।

রমযানে এক এলাকার মসজিদে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হাফেয তারাবীর নামায পড়িয়েছে। সে এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব মাসআলা বলেছেন, নাবালেগের পিছনে তারাবীর নামায পড়া জায়েয আছে।

ইমাম সাহেবের কথা ঠিক না, তার ঐ কথা ঠিক নয়। তারাবীর নামাযেও নাবালেগের ইমামতি সহীহ নয়। উমর বিন আবদুল আযীয ও আতা রাহ. বলেন, নাবালেগ ছেলে যেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে ইমামতি না করে। ফরয নামাযেও নয়, অন্য নামাযেও নয়।

[মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৫২৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/২৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫৯; রদ্দুল মুহতার ১/৫৭৭]

গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

ঈদ সাজে চুলের নতুন কাট

ঈদ মানেই নতুন পোশাকে নতুন সাজ। আর নতুন সাজে চাই চুলের কাটে বৈচিত্র্য। নতুন পোশাকের সঙ্গে নিজেকেও নতুন লুক দিতে মানানসই চুলের কাটই সেরা। অনেকেই গরমের এ সময়টাতে শর্ট হেয়ারকাট দিতে পছন্দ করেন। শর্ট হেয়ারে চুলের বিশেষ যত্ন নেয়ার সুযোগ হয়। তবে অনেকেই নিজের প্রিয় চুলকে কেটে ছোট করতে রাজি নন। তাদেরও নিরাশ হবারও কিছু নেই। কারণ লম্বা চুলের কাটেও আছে পছন্দের নানা ধরন।

বর্তমানে ছোট চুলের ছাটের মধ্যে এসেছে অনেক ধরন। ইদানিং অনেকেই পিক্সি কাট, সামার বব আর ক্লাসিক বব কাট দিচ্ছে। জনপ্রিয় হচ্ছে বব স্যাগও। এসব কাট একেবারেই ছোট নয়। ঘাড় ছুঁয়ে কিছুটা নিচে নেমে আসে এমন কাটও মানায় ভালো।

লেয়ার, ব্যাংস আর স্টেপের বাইরে লম্বা চুলে বৈচিত্র্য আসতে পারে ইমো কাটের মধ্য দিয়ে। ইমো কাটে একটা অংশের চুল ঢেকে রাখবে এক চোখের একপাশ। সামনের চুলগুলো এতে একটু বড় থাকবে। একে বলা হয় ইমো সুইফট।

মূলত আপনার চাল-চলনের ওপর নির্ভর করে ইমো কাট দেয়া যেতে পারে। ইমো কাটের আরেকটি ধরনের নাম হচ্ছে সিন ইমো। এতে সামনের চুলগুলো অনেক ছোট করে কাটা থাকে। আর পেছনের চুলে থাকে লেয়ার কাট। তবে লম্বা চুলে এই কাটে নিচের অংশ পাতলা হয়ে যায়।

অনেকেই চুলে পছন্দের কালার করতেও পছন্দ করেন। থ্রিপিস, শাড়ি, জিনস-টপসের সঙ্গে মানিয়ে চুলের কাট যেমন ভিন্ন হয় তেমনি চুলের রঙও হয় ভিন্ন। তাই রূপ বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আপনার সঙ্গে মানায় এমন চুলের সাজটি মেছে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ঈদের দশ দিন আগে হেয়ারকাট নেয়া সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ দেখা যায় হেয়ারকাট নেয়ার পর পার্লার থেকে দারুণ সেট হলেও বাসায় ফিরে তা নিজের সঙ্গে মানাতে সময় লাগে বেশ। তাই ঈদের কয়েক দিন আগে চুলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পছন্দের কাট দেয়া প্রয়োজন। এতে করে ঈদের আয়োজনে নতুন হেয়ারস্টাইলকে আপনাকেও দেখাবে নতুন।

 

পাউরুটি দিয়ে মনলোভা রসমালাই

ঢাকা : রসমালাইয়ের নাম শুনলে যে কারো জিভে পানি চলে আসে। মজাদার এই মিষ্টান্ন সাধারণত ছানা দিয়ে তৈরি হয়। তবে ঘরে থাকা পাউরুটি দিয়েও অভিন্ন স্বাদে তৈরি করা যায় মনলোভা রসমালাই। খুব সহজে অল্প সময়ে এটি তৈরি করা যায়। ইফতারিতে রসমালাইটি হতে পারে মনলোভা একটি খাবার। তাই এক নজরে দেখে নিতে পারেন সহজ রেসিপিটি।

যা যা লাগবে

দুধ ১ লিটার, ৪টুকরো পাউরুটি, চিনি ৫০ গ্রাম, ১০ থেকে ১২টি কাজুবাদাম কুচি, ১০ থেক ১২টি পেস্তা বাদাম, ৮ থেকে ১০টি কাঠবাদাম কুচি, ২ চিমটি জাফরান।

যেভাবে করবেন

প্রথমে ভালো করে দুধ জ্বাল করে নিতে হবে। এরপর দুধকে অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে আধা লিটারে নিয়ে আসুন। এবার তাতে চিনি, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম, জাফরান দিয়ে জ্বাল দিয়ে আবারও অর্ধেকে নিয়ে আসুন। তারপর দুধ ঠাণ্ডা হলে পাউরুটিগুলোকে গোল করে কেটে রসের ভেতর দিয়ে দিন। দুধ গরম অবস্থায় দিলে পাউরুটি ভেঙ্গে যেতে পারে। পাউরুটি দুধে ভিজে নরম হয়ে গেলে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে পারেন। এবার পরিবেশন প্লেটে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার রসমালাই।

 

ভিনগ্রহের তিন বাসিন্দার সঙ্গে আলমগীর

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্মিত ‘ইত্যাদি’তে থাকছে ৪ মিনিটের একটি বিশেষ পর্ব। যেখানে দেখা যাবে ভিনগ্রহের তিন বাসিন্দার পৃথিবী নামক গ্রহে আগমন ও ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাওয়া। ব্যতিক্রমী এই নাট্যাংশে অংশ নিয়েছেন অভিনেতা ও পরিচালক শহীদুজ্জামান সেলিম, মীর সাব্বির, মডেল ও অভিনেতা ঈমন এবং একটি বিশেষ চরিত্রে  মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আলমগীর।

দীর্ঘ এক দশক পর বিটিভিতে অভিনয় চিত্রনায়ক আলমগীর। যেখানে শুরুতে দেখা যাবে ভিনগ্রহের তিন বাসিন্দার পৃথিবী নামক গ্রহে আগমন ও ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যায়। যার পরপরই মঞ্চে এসে উপস্থিত হন আলমগীর। যার শেষ অংশে একটি দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনায় ৩০ জন শিশু শিল্পীর সঙ্গে অংশ নিয়েছেন  এই নায়ক। বিদ্রূপাত্মক ও রসালো এই পর্বটিতে উঠে এসেছে অনেকগুলো সমসাময়িক বিষয়।

‘ইত্যাদি’ বিটিভির ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারিত হবে। রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।