banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ঈদের জন্য জনপ্রিয় কিছু হিজাব ট্রেন্ডস

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র প্রায় ২ সপ্তাহ বাকি। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে শপিং নিয়েও অনেকে এখন হয়তো ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সামনের এই ঈদের জনপ্রিয় কিছু হিজাব ট্রেন্ড সম্পর্কে।

ঢোলা ম্যাক্সি ড্রেসের সাথে ফুলেল প্রিন্টের পোশাক এই সিজনের জন্য বেশ উপযুক্ত। ফুলেল প্রিন্টের ম্যাক্সির সাথে পরতে পারেন সাদা ব্লাউজ এবং ম্যাক্সির সাথে ম্যাচিং হিজাব। এতে আপনার যেমন ক্লাসিক লুক বজায় থাকবে তেমনি এই পোশাক পরে ঈদের দিন সকালে বেড়াতে যেতে পারেন যে কারো বাসায়।

ঈদের জন্য আরও পরতে পারেন লম্বা হাতাযুক্ত আবায়া। আপনি যদি মনে করেন, ঈদের দিন সকালে আপনার বাসায় মেহমান আসব্‌ তাহলে এই পোশাকটি বেছে নিতে পারেন।

আপনি যদি আরেকটু ক্যাজুয়াল এবং স্পোর্টি লুক বেছে নিতে চান, তাহলে সাধারণ প্যান্টস এবং লম্বা হাতাযুক্ত টপস বেছে নিতে পারেন। এবং টপসের সাথে ম্যাচিং করে হিজাব করতে পারেন। সাথে পরতে পারেন ট্রেঞ্চ সামার জ্যাকেট এবং স্নিকারস অথবা ফ্ল্যাট শু।

ভেস্ট এবং লম্বা হাতাযুক্ত আইটেম এই সিজনের সবচেয়ে জনপ্রিয় আইটেম। সুতরাং ফুলেল প্রিন্টের একটি পোশাক বেছে নিন। চাইলে এটি পরতে পারেন জিন্সের সাথেও। ঈদে আপনার সঙ্গে মানানসই হিজাব ট্রেন্ডকে উপভোগ করুন। পরিবারের সঙ্গে আপনার ঈদ উদযাপনের শুভকামনা রইল।

 

রমজানে রাসুল [সা.] ঘরোয়া কাজে স্ত্রীদের কি করতেন ?

আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি ইবনে হিব্বানের সূত্রে বলেন, আয়েশা বলেছেন- রাসুল নিজের কাপড় সেলাই করতেন। জুতা মেরামত ও সাংসারিক যাবতীয় কাজে অংশ নিতেন। (ফতহুল বারী-১৩/৭০)

রমজানে ঘরোয়া কাজে স্ত্রীদের সহযোগিতা করতেন রাসুল [সা.]

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, তরজমা : মুমিন নারী-মুমিন পুরুষ পরষ্পর বন্ধু। (সুরা তওবা-৭১) প্রেম-ভালোবাসা ও আন্তরিকতার আঁচল ধরেই বন্ধুত্বের সেতু রচনা হয়। বন্ধু একে অপরের প্রতি হৃদয়বান। পরষ্পরে থাকে সহযোগীতার মনোভাব। নারী-পুরুষের পারিবারিক জীবনে সহযোগিতার মনোভাব আরও অপরিহার্য। আজকের উত্তরাধুনিক যুগের মায়েরা সাংসারিক দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গে নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। সেই অংশ নেওয়াটা অর্থবহ করতে হলে সংসার পারস্পরিক সহযোগিতায় গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রত্যেকেই তার স্বতন্ত্র স্বাধীন সত্ত্বার অধিকারী হয়ে বাঁচবে। তা না হয় সংসার ভেঙ্গে পড়বে।

বছর জুড়েই মায়েরা ঘর গোছায়, রান্না করে, খাবার পরিবেশন করে, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, খাবার, গোসল ও স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। মেয়েরা সবার আগে বিছানা ছাড়ে, ক্লান্ত শরীরে ঘুমঘরে যায় সবার পরে। সাংসারিক এসব কাজে আমাদের পুরুষদের সামান্যতম অংশ নেই। কারো বেলায় ব্যতিক্রম হতেই পারে। অথচ ইসলামের নবি মুহম্মদ সা.-এর জীবনের চিত্র দেখুন। বোখারি শরিফে আছে- তিনি বলেন, আমি আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞেস করলামÑ রাসুল সা. ঘরে কী কাজ করতেন? প্রতি উত্তরে আয়েশা রা. বলেন, রাসুল সা. ঘরোয়া মানুষদের সেবায় নানা কাজে অংশ নিতেন। নামাজের সময় হলে বেরিয়ে যেতেন। ( হাদীস-৫০৪৮)

আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি ইবনে হিব্বানের সূত্রে বলেন, আয়েশা বলেছেন- রাসুল নিজের কাপড় সেলাই করতেন। জুতা মেরামত ও সাংসারিক যাবতীয় কাজে অংশ নিতেন। (ফতহুল বারী-১৩/৭০)

আমাদের সমাজের পুরুষদের আরও দায়িত্ব সচেতন ও সহযোগিতার মনোভাব হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে ঘরের কাজে মায়েদের সহযোগিতা করা বিশেষ করে রোজার মাসে মেয়েরা সব দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে নানা স্বাদের ইফতার-সেহরি তৈরি করে। বিশাল ইফতার তৈরির আয়োজনে আমরাও অংশ নিই। কুরআন শরিফে বলা হয়েছে- তোমরা মঙ্গলময় কাজে প্রতিযোগিতা কর। (সুরা বাকারাহ, আয়াত-১৪৮) রোজাদারকে খাওয়ানো খাবার তৈরি, পরিবেশন সবই ইবাদত। সওয়াব অর্জনের বসন্তকাল রোজায় পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করেও সওয়াবের পাল্লা ভারী করতে পারি আমরা। তবে মায়েদের কাজের ব্যাপারে সুরা আল ইমরান-এর ১৯৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলে- আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিই। তোমাদের নারী-পুরুষের মঙ্গল কোনো কাজ বিনিময়হীন বিফল করি না। তোমরা একে অপরের সহযোগী।

মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব
সিনিয়র বিভাগীয় প্রধান, দৈনিক আর্থনীতি

 

আত্মীয়-স্বজনকেকে কি যাকাত দেওয়া যায়?

প্রকাশ থাকে যে, যাকাত গ্রহণ করতে পারে এমন আত্মীয়স্বজনকে যাকাত দিলে যাকাত দেওয়ার সওয়াবের পাশাপাশি আত্মিয়তার সম্পর্কের হক আদায়ের সাওয়াবও হবে।

যে ব্যাক্তির নিকট প্রয়োজনীয় সামান্য অর্থ সম্পদ আছে অথবা কিছুই নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে। তদ্রƒপভাবে যার কাছে ৫২.৫ তোলা রূপার মূল্য সমপরিমাণ প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ নেই তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে। অনুরূপভাবে যার কাছে এ পরিমান সম্পদ আছে কিন্তু সে এমন ঋণগ্রস্থ যে, ঋণ পরিশোধ করে দিলে তার কাছে এ পরিমাণ সম্পদ থাকে না তাকেও যাকাত দেওয়া যাবে। তবে শিল্পঋণের হুকুম এ থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ কারো যদি ব্যক্তি মালিকানায় নেসাব পরিমাণ যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে এবং শিল্পঋণও থাকে তাহলে সে ব্যক্তিগত যাকাতযোগ্য সম্পদের যাকাত আদায় করবে। ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে শিল্পঋণ বাদ দিবে না।

আর ভাই বোন ভাতিজা, ভাগনে, চাচা, মামা, ফুফু, খালা, শ্বশুড়-শাশুড়ী প্রমুখ আত্মীয় স্বজন গরীব অসহায় হলে তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে। তবে নিজের পিতা-মাতা,দাদা-দাদী, নানা-নানী, প্রমুখ ঊর্ধ্বতন আত্মীয় স্বজন এবং ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি প্রমুখ অধস্তন আত্মীয়-স্বজন গরীব হলেও তাদেরকে যাকাত দেওয়া জাযেয হবে না। তদ্রƒপ স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দিতে পারবে না।

প্রকাশ থাকে যে, যাকাত গ্রহণ করতে পারে এমন আত্মীয়স্বজনকে যাকাত দিলে যাকাত দেওয়ার সওয়াবের পাশাপাশি আত্মিয়তার সম্পর্কের হক আদায়ের সাওয়াবও হবে।

[আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৮, ১১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪০-২৪৩; রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯,৩৪৩, ৩৪৬]

গ্রন্থনা ও সম্পানা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

ফারজানা হাসিনের সাফান ট্রেডস

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা সংখ্যা এখনো বেশ কম। এর বড় কারণ সামাজিক ও পারিবারিক দিক থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতা। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অবস্থা এখনো নারী উদ্যোক্তাবান্ধব হয়ে ওঠেনি। তবু নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অনেক নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। তেমনই একজন ফারজানা হাসিন। গতানুগতিক চাকরি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের এই তরুণ উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছেন তৈরি পোশাক ও অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাফান ট্রেডস।

ফারজানা হাসিনের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বেশি পুরনো নয়। ২০০৮ সালে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ফার্মেসিতে অনার্স সম্পন্ন করেন। ২০০৯ সালে অপর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেনএকই বিষয়ে মাস্টার্স। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি। প্রতিদিন ছিল ৮টা-৫টা গৎবাঁধা কাজ। একঘেয়ে এই কাজে নিজের মেধার কোনো মূল্যায়ন হয়নি বলে মনে করেন ফারজানা। চাকরির শুরু থেকেই তিনি নিজের একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখতেন।

নিজের প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছার কথা পরিবারকে জানানো হলে সমর্থনের পরিবর্তে বিরোধিতাই পান ফারজানা হাসিন। এখানেই দমে যাননি তিনি। নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। অবশ্য পরিবারে অসহযোগিতা পেলেও মায়ের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

চাকরি করার সময়ই উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা ছিল ফারজানা হাসিনের। তাই ওই সময় থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে তিনি জানার চেষ্টা করেন। তিনি বুঝতে পারেন  তৈরি পোশাকের শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই এই খাতকেই নিজের উদ্যোগের জন্য বেছে নেন ফারাজানা। উদ্যোগ শুরুর আগেই এই পেশায় জড়িত কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করেন। উদ্যোগের জন্য প্রয়োজন ছিল পণ্যের ভোক্তা ও সরবরাহকারী। বাণিজ্য উন্নয়ন বিষয়ে চাকরির দক্ষতা তাঁর উদ্যোগের যথার্থতা নিরুপণে কাজে দেয়। তৈরি পোশাকের বিপণন নিয়ে উদ্যোগের একটি পরিকল্পনা দাঁড় করান ফারজানা হাসিন। তৈরি করেন ভোক্তা ও সরবরাহকারীদের তালিকা।

মোটামুটি একটা পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি উদ্যোগের শুরু করেন ফারাজানা হাসিন। নিজের কোম্পানির নাম সাফান ট্রেডস ঠিক করে ফেসবুকে প্রোফাইল করেন। সরবরাহকারী ও ভোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন তাঁরা। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি অনেক সরবরাহকারী ও ভোক্তা জোগাড় করেন। বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৪ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে ফারজানা পণ্য কেনা ও বিক্রয় শুরু করেন । জুন-জুলাই (২০১৪) সালে একজন কর্মচারী নিয়োগ করেন। ধীরে ধীরে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতজনে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া, দুবাই, সৌদি আরব, ঘানা, কাতার, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশে সীমিত আকারে পণ্য রপ্তানি করে সাফান ট্রেডস।

ফারজানা হাসিন উদ্যোগের শুরুতে পূঁজি ছিল মাত্র এক লাখ টাকা। তৈরি পোশাকের উদ্যোগের জন্য এই পূঁজি যে অত্যন্ত কম তা অল্প কদিনেই বুঝতে পারেন তিনি। তবে এ কারণে ফারজানার উদ্যোগ থেমে থাকেনি। আর্থিক সংকটের মধ্যে তিনি সাফান ট্রেডের কাজ চালিয়ে গেছেন।

শুরুর দিকে ফারজানা হাসিনের সাফান ট্রেডস যোগাযোগের মধ্যেমে গার্মেন্টের বিশেষ পণ্যগুলো সংগ্রহ করে সুবিধাজনক মূল্যে দেশ-বিদেশের ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিত। বর্তমানে সাফান ট্রেডের ছায়ায় আরো দুটি উদ্যোগ চালানো হয়। একটি হলো ফেসবুক-ভিত্তিক ই-কমার্স পেজ ‘ওয়ান শপ বিডি’ অপরটি হলো নিজস্ব পণ্য ‘ববস গিয়ার’। এ ছাড়া অনলাইন-ভিত্তিক আরো বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন ফারজানা হাসিন।

চলতি বছরের শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরায় চলে আসেন ফারজানা হাসিন ও তাঁর পরিবার। এ কারণে আবার নতুন উদ্যোগে কাজকর্ম শুরু করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা হয়।

সাফান ট্রেডের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ এপ্রিল রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’ গ্রুপের পক্ষ থেকে ফারজানা হাসিনকে নবীন উদ্যোক্তা স্মারক-২০১৪ দেওয়া হয়।

ফারজানা হাসিনের পরবর্তী লক্ষ্য হলো নিজস্ব পণ্য ‘ববস গিয়ার’কে প্রতিষ্ঠিত করা। এই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে চলেছেন। এ ছাড়া ওষুধ শিল্প নিয়েও কাজ করতে চান ফারজানা।

ফারজানা হাসিনের মতে, তাঁর মতো ছোট উদ্যোক্তারা নিজেদের সামান্য বিনিয়োগে একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সাহায্যের অভাবে অনেকে বেশিদূর যেতে পারছেন না। সরকারি বা বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে আরো অনেক তরুণ উদ্যোক্তারা উৎসাহী হবেন এবং আরো অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

 

অফিসে মেনে চলুন এই ১২টি আদবকায়দা

কর্মজীবী মানুষের দিনের বড় একটা সময় অফিসে কাটাতে হয়। অফিস আমাদের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার অফিসে কেমন আচরণ করছেন তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। আপনার পদোন্নতি, সহকর্মীর সাথে সম্পর্ক, কাজের মান ইত্যাদি সব কিছু নির্ভর করছে আপনার আচরণের উপর। অফিসে একটু অসচেতন হলে সম্মুখীন হতে হয় প্রতিকূল কোন পরিস্থিতির। অফিসে কিছু আদবকেতা সবার মেনে চলা উচিত। এমন কিছু আদবকেতা নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। সহকর্মীদের আলোচনার মাঝে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। দুইজন সহকর্মী যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলেন, তখন তাদের মাঝে কথা বলাটা যেমন অভদ্রতা তেমনি তা সহকর্মীদের বিরক্তির কারণ হয়।

২। অফিসে জোরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। শান্তভাবে আস্তে আস্তে কথা বলুন। আপনার কথার আওয়াজ অন্যের সমস্যা কারণ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

৩। যেসব অফিসে নির্দিষ্ট পোশাক পরার নিয়ম নেই তারা পোশাকের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। অফিসে নিজেকে যতটা সম্ভব মার্জিত, ভদ্র,  রুচিসম্মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্মার্টলি উপস্থাপন করুন।

৪। যেসব জুতা থেকে হাঁটার সময় শব্দ হয় এমন জুতা ব্যবহার না করা ভাল।

৫। সহকর্মীদের সাথে জাদুকরী দুটি শব্দ সবসময় বলুন। তা হল থ্যাংক ইউ এবং প্লিজ। ছোট এই দুটি শব্দ সহকর্মীর সাথে আপনার সম্পর্ক আরও সহজ এবং সুন্দর করে তুলবে।

৬। কড়া গন্ধযুক্ত খাবার অফিসে আনা থেকে বিরত থাকুন।

৭। কড়া গন্ধের সুগন্ধি বা আতর ব্যবহার করবেন না। হাল্কা ঘ্রানের বডি স্প্রে/ ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করুন।

৮।   নিজের ডেস্ক এবং ব্যবহার্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করুন।

৯। মোবাইল ফোনের রিঙ টোন নিয়ন্ত্রণ রাখুন। এমন রিঙ টোন ব্যবহার করুন যাতে অন্য সহকর্মীর কাজে সমস্যা না হয়।

১০। অফিসে অতিরিক্ত ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। আপনি অফিসে কাজ করতে এসেছেন, ফোনে কথা বলতে নয়। খুব বেশি  জরুরি প্রয়োজন না হলে অফিসের টেলিফোন দিয়ে বাড়িতে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলা পরিহার করুন।

১১। হাতের কাজ, জরুরি অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করেই অফিস ত্যাগ করা উচিত, অর্ধসমাপ্ত কিংবা অসমাপ্ত অবস্থায় কাজ রেখে যাওয়া উচিত নয়।

১২। অফিসে অন্যের সমালোচনা, পরনিন্দা, পরচর্চা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আপনার সাথে সহকর্মীর সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে এই একটি কাজ।

লিখেছেন

নিগার আলম

ফিচার রাইটার

 

ইফতারে ঝটপট চাইনিজ এগ নুডলস

ইফতারে দশ বারো রকমের আইটেম করা হয় অনেক বাসায়। অনেকে আবার এত ঝামেলা করতে মোটেই পছন্দ করেন না। একটি ডিশেই যদি পেট ভরে যায়, তাহলে অনেকটা কষ্ট কমে। একাই একশো এমন একটি ডিশ হলো চাইনিজ নুডলস। চলুন দেখে নিই খুব সহজ একটি নুডলসের রেসিপি। তা তৈরি করতে পারবেন আপনার রান্নাঘরে থাকা টুকিটাকি উপকরণ দিয়েই।

উপকরণ
– প্লেইন নুডলস ২৫০ গ্রাম
– ১টা সবুজ ক্যাপসিকাম
– ৩টা ডিম
– ১ কাপ বাধাকপি কুচি
– ১ টেবিল চামচ ঘন সয়া সস
– ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার
– আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– সিকি চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
– তেল ৪ টেবিল চামচ
– লবণ স্বাদমতো
প্রণালী
১) তলাভারি একটি সসপ্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। এতে অল্প করে লবণ এবং তেল দিন। এরপর নুডলস দিয়ে দিন এতে। ৩-৪ মিনিট বা আধাসেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত নুডলস চুলায় রাখুন। এরপর নামিয়ে গরম পানি ঝরিয়ে নিন এবং কল ছেড়ে ঠাণ্ডা পানির নিচে রাখুন নুডলস।
২) ফ্রাইপ্যান বা তাওয়া গরম করে নিন। এতে তেল দিয়ে গরম করে নিন।
৩) তেল গরম হয়ে এলে এতে ডিম ভেঙ্গে দিন। ডিম অমলেটের মতো সেট হওয়া শুরু করলে চামচ দিয়ে ভেঙ্গে ঝুরঝুরে করে নিন।
৪) এবার এতে ক্যাপসিকাম এবং বাধাকপি দিয়ে কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে নিন।
৫) লবণ, মরিচের গুঁড়ো এবং গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন।
৬) সয়া সস এবং ভিনেগার দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন।
৭) এতে সেদ্ধ নুডলস দিয়ে দিন। উচ্চ তাপে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ২-৩ মিনিট। খেয়াল রাখুন যেন সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে যায়। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন।
চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চাইনিজ এগ নুডলস।

 

নজরকাড়া পোশাকে লা রিভের ঈদ আয়োজন

আসছে ঈদ, চলছে কেনাকাটার ধুম। নজরকাড়া নকশা ও কারুকাজ খচিত পোশাকের সমাহার নিয়ে ক্রেতাদের স্বাগত জানাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড লা রিভ।

লা রিভ এবারের ঈদ আয়োজনে অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছে গ্লোবাল কমিউন। পোশাকে তুলে এনেছে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবহৃত প্রাচীন মোটিফ, কারচুপি, স্কিন প্রিন্ট, এমব্রয়ডারির সমন্বয়, বিভিন্ন ডাইটেকনিক যেমন টাইডাই, অম্ব্রিডাই, গ্লাস ওয়ার্ক ইত্যাদি।

লা রিভ এর ডিরেক্টর ডিজাইন এন্ড ক্রিয়েটিভ মন্নুজান নার্গিস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলমান ফ্যাশনকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে সমসাময়িক এবং ফ্যাশনেবল পোশাক তৈরি করে লা রিভ এর ভোক্তাদের উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

এবারের ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য আছে নতুন নকশার সালোয়ার-কামিজ, টিউনিক, লং কামিজ, টপস, লেডিস শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট ইত্যাদি। এসব পোশাকে সংযোজন করা হয়েছে শাইনি এবং গ্লসিএমব্রয়ডারি ও প্যাচওয়ার্ক। প্রিন্টের পোশাকের সঙ্গে হাতের কাজ এবং এমব্রয়ডারির সমন্বয় রয়েছে। এতে দেয়া হয়েছে ফয়েল প্রিন্ট এবং চাইনিজ স্টাইল এর নেকলাইন এবং বোতাম ও বিভিন্ন ধরণের সিলভেট।

এবার মেয়েদের পোশাকে জনপ্রিয় কিমানো স্টাইলে রাফলড আপ টিউনিক, অ্যাসিমেট্রিক প্যাটার্ন (পেছন এবং সামনের লম্বার ভিন্নতা), স্লিভ ডিজাইন এবং বেল্টের ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাকে রঙের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ইনডিগো টোন: ব্লু, হোয়াইট, রোজ কোয়ার্টজ, পার্ল, বাটারকাপ ইয়েলো, লিলিয়াক গ্রে, কফি, গ্রিন, ম্যাজেন্টা, পিঙ্ক ইত্যাদি। কাপড় নির্বাচনে উজ্জ্বল এবং আরামদায়ক বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। হাফসিল্ক, সিল্ক, ভিসকস, জর্জেট, ক্যাশমিলান এবং সুতি ও সুতির মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে।

ছেলেদের জন্য পোশাকে রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন মোটিফ সমৃদ্ধ পাঞ্জাবি, বিভিন্ন চেক এবং স্ট্রাইপের আরামদায়ক কাপড়ের ক্যাজুয়্যাল শার্ট, পোলো শার্ট, টি-শার্ট, ডেনিম, চিনোস, বারমুডা, শর্টস ইত্যাদি। রঙের ক্ষেত্রে অফ হোয়াইট এর একটা রেঞ্জ, ইন্ডিগো ব্লু, বেইজ, ব্রাউন, সাদা, মেরুন, বেগুনী এবং কালোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতি, সুতির মিশ্রণ, ভিসকস, ভয়েল, মাল্টি কালার স্ট্রাইপ, জ্যাকার্ড এবং ডবি ব্যবহার করা হয়েছে।

লা রিভে এবারের ঈদ আয়োজনে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে আরামদায়ক এবং উজ্জ্বল রঙের নতুন স্টাইল এবং ডিজাইনের পোশাক। ছেলে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলো শার্ট, টি-শার্ট, ডেনিম, টুইল এবং মেয়ে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, ঘাগরা-চোলি, ফ্রক, টিউনিক, টি-শার্ট, স্কার্ট-টপস, থ্রি কোয়ার্টার, ডেনিম ইত্যাদি। এছাড়া নবজাতকদের জন্যও রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, ঘাগরা-চোলি, ফ্রক, নিমা, পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট সেট ইত্যাদি।

লা রিভের ঈদ কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে বনশ্রী, ধানমণ্ডি, মিরপুর-১, উত্তরা, ওয়ারী, বেইলি রোড, যমুনা ফিউচার পার্ক, পুলিশ প্লাজা কনকর্ড ও বসুন্ধরা সিটিসহ নারায়ণগঞ্জ এবং সিলেট শোরুমগুলোতে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট  থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে যে কেউ খুব সহজে পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করতে পারবেন। অনলাইনে লা রিভ পণ্য কিনতে ভিজিট করতে পারেন-www.lerevecraze.com

 

রোজা থেকে গ্যাসের সমস্যা এড়াতে

রোজা রেখে অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এমনকি যাদের সাধারণ সময়ে গ্যাসের সমস্যা নেই তাদেরও এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। রোজার সময় গ্যাসের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াকে। গ্যাসের ব্যথার কারণে রোজা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হন। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হন।

রোজার সময় সুস্থ থাকতে ইফতারে যতটা সম্ভব ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। শরীরের উপযোগী ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে ফলমূল জাতীয় খাবার। যাদের দুধে গ্যাস হয় না তারা দুধ চিড়া খেতে পারেন। এছাড়া হজমের সমস্যা দূর করার জন্য ইসুবগুলের ভুসির শরবত খেতে পারেন।

সেহরিতে এমন খাবার খাওয়া উচিৎ যা থেকে গ্যাসের কোনো ভয় থাকবে না। সেহরিতে শাক, ডাল, ডিম এই জাতীয় তরকারি যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলা ভালো। ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বিশেষ করে দই, শসা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া সেহরিতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি মেনে চলা প্রয়োজন তা হল পর্যাপ্ত পানি পান করা। একমাত্র পানি আপনাকে সারাদিন সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পারে। তাই সেহরিতে প্রধান খাবার গ্রহণের পরে তিন থেকে চার গ্লাস পানি পান করুন।

অনেকেই আছেন যারা সেহরিতে খাবার খান না। আবার অনেকেই আছেন সেহরিতে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। সেহরিতে খুব বেশি খাওয়াও যেমন ঠিক না তেমনি সেহরি একেবারে না খাওয়াও ঠিক না। খুব বেশি খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় আবার সেহরিতে একেবারে কিছু না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। বেশি সময় পেট খালি থেকেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই এমনভাবে খেতে হবে যেন শারীরিক কোনো অসুস্থতা না দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পুরো পেট ভরে না খেয়ে একটু ক্ষুধা রেখে খেতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ পর পানি খেতে হবে। প্রতিবেলার খাবার হতে হবে সহজপাচ্য, পরিমিত ও শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী।

এসময় চিনি যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। কেননা এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ে এবং ওজনও বাড়ে।

রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে যাদের ওষুধ খাওয়ার নিয়মের সমস্যা হয় বা অনেকেই আছেন খাওয়ার আগে ওষুধ খেতে ভুলে যান তারা রেবিপ্রাজল ২০ এমজি (বাজারে রেব , রেবিজল ,ফিনিক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) খেতে পারেন। এই ওষুধের একটি বিশেষ সুবিধা হল আপনি যদি খাবার আগে ওষুধ খেতে ভুলেও যান, খাবার পরেও এই ওষুধটি খেতে পারেন।

 

নারী ও শিশুনির্যাতন প্রতিরোধে আসছে মোবাইল অ্যাপস

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার বর্তমানে একটি মোবাইল অ্যাপস প্রবর্তন করতে যাচ্ছে।

নির্যাতনের শিকার হতে যাচ্ছে অথবা হয়েছে এরকম নারী ও শিশুদের সহায়তা করবে এই অ্যাপস। আগামী ৮ আগস্ট এই অ্যাপস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নারী ও শিশুর উন্নয়নে গৃহীত ও বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উপর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমের জন্য ঘটনা ঘটার সময় প্রয়োজনীয় সাহায্য চাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অপরাধ প্রমাণ করাও দুঃসাধ্য হয়। এই সকল সমস্যার সমাধানে স্মার্ট ফোনে ব্যবহারযোগ্য ‘জয় : নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে একটি আইসিটি ভিত্তিক টুল’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্ভাবন করা হয়েছে।

এই অ্যাপসে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের ৩টি মোবাইল নম্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (১০৯২১), নিকটস্থ থানা এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নম্বর সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো নারী সমস্যার মধ্যে পড়ে, তাহলে তিনি মোবাইলে অ্যাপসের আইকনে স্পর্শ করলে এটি সংরক্ষিত নম্বরসমূহে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠাবে। হেল্পলাইন সেন্টার এবং পুলিশের নিকট জিপিএস লোকেশনসহ এই বার্তাটি যাবে। ফলে পুলিশ, হেল্পলাইন সেন্টার এবং ভিকটিমের আত্মীয়রা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’

এই অ্যাপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাপচারিতা সংরক্ষণ করবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ছবি তুলবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সকল তথ্য মোবাইলে সংরক্ষিত থাকবে। যদি ব্যবহারকারী অনলাইনে থাকেন তাহলে তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টারের সার্ভারে প্রেরিত হবে। এসব তথ্য পরবর্তীতে অপরাধ প্রমাণে সহায়তা করবে। নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার সম্পর্কিত তথ্য বাংলা ও ইংরেজিতে এই অ্যাপসে দেয়া থাকবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলট ভিত্তিতে পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কার্যক্রমের আওতায় কমলাপুর ও কাওরান বাজার উন্মুক্ত পথশিশু স্কুলে শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

পথশিশু পুনর্বাসনের আওতাধীন উন্মুক্ত পথশিশু স্কুল কমলাপুরে এ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত মোট ২৪৬ জন শিশু তালিকাভুক্ত হয় এবং কাওরান বাজার এলাকায় মোট ২২১ জন শিশু তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ওই শিশুদের জন্য সকাল, দুপুর ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুদের রাত্রিযাপনের জন্য শেল্টার হোমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মেহের আফরোজ চুমকি।