banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

রোজাদারের সুস্থতায় ইসুবগুল ভুসি

তীব্র গরমের এই দিনে একমাস রোজা রাখা প্রতিটি মুমিনের জন্য জোরতর ঈমানের পরীক্ষা। এসময় অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী রোজা রাখতে সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এসময় পরিশ্রমী বা স্পর্শকাতর যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অথচ সব সমস্যা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রোজা রাখার প্রধান সহায়ক হতে পারে ইসুবগুল ভুসির শরবত। রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে প্রাণবন্ত রাখতে এই শরবতের তুলনা নেই। শুধু পানিশূন্যতা দূর নয় ইসুবগুলের আছে আরও নানা গুণ। আসুন জেনে নেয়া যাক।

– ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

– পাকস্থলী শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

– কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

– পেটব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায় একগ্লাস ইসুবগুল শরবতে।

– পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

– হজমের সমস্যা দূর করতেও ইসুবগুলের তুলনা নেই।

– পেটে সমস্যা দেখা দিলে তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, তারা দিনে তিনবারও খেতে পারেন।

– প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

– প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসব গুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

– ডায়েবেটিস রোগিদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।

 

দুস্থ মহিলাদের কোনো পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে

বর্তামানে দেশে দুস্থ মহিলাদের প্রকৃত পরিসংখ্যান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সংরক্ষিত নেই বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

শনিবার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

তিনি বলেন, ‘দুস্থ মহিলাদের প্রকৃত পরিসংখ্যান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সংরক্ষিত না থাকলেও ভবিষ্যতে বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে দেশের দুস্থ মহিলাদের সংখ্যা নির্ণয় করা যেতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের গ্রামীণ দুস্থ ও অসহায় মহিলাদের কর্মসংস্থান ও তাদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তার পরিকল্পনা অনুযায়ী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতের আওতায় সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে।’

তিনি জানান, ‘ময়মনসিংহ জেলায় বেশ কিছু কার্যক্রম গৃহিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ভিজিডি কর্মসূচি, মার্তৃত্বকালীন ভাতা কর্মসূচি, অনুদান বিতরণ, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ, মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল, দুস্থ মহিলা ও শিশু সাহায্য তাহবিল ইত্যাদি।’