banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

“থ্রিপিস” কিনছেন? জেনে নিন প্রয়োজনীয় যত তথ্য

একটু কম দামে ভালো জিনিস ই বা মিলবে কোথায়? সবকিছু নিয়ে চিন্তার শেষ নেই কারোর। যারা এবার ঈদে পোশাক হিসেবে ‘থ্রি পিস’ কে বেছে নেবেন ভাবছেন, তাদের জন্যই আজকের এই আয়োজন। জেনে নিন কোথায় পাবেন কী ধরণের থ্রি পিস। দরদামই বা হবে কেমন!

গুছিয়ে নিন আপনার বাজেট আর সময়
তাড়াহুড়া করার চেয়ে একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে কেনাকাটা করাটা বুদ্ধিমতীর কাজ। তাই প্রথমেই গুছিয়ে নিন সবকিছু। এই যেমন কতগুলো পোশাক কিনতে চান, কী রঙের কিনতে চান, কী উপাদানের থ্রিপিস কিনতে চান এসব ঠিক করে ফেলুন প্রথমে। সব ঠিক হলে বের হয়ে যান কেনাকাটা করার জন্য।

পাইকারি পোশাকের বাজার ‘ইসলামপুর’
হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে চলে যান পুরান ঢাকার ইসলামপুরে। আপনার পছন্দের যে কোন পোশাকই কম দামে পেয়ে যাবেন এখানে। পাকিস্তানি লন এর থ্রি পিস গুলো পাবেন ৮০০ – ১৬০০টাকার ভেতর। সুতি লন ও পাবেন আবার শিফনের হাতা আর ওড়নার লন ও পাবেন। এম্ব্রোয়ডারি করা থ্রিপিসগুলো পাবেন ১০০০-১২০০ এর মধ্যে। খুব জমকালো পোশাক ইসলামপুরে পাওয়া যায় না, তবে বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় কাপড় পাওয়া যায়। ৬০ – ২০০০টাকার মাঝে দরদাম উঠা নামা করে। গজ কাপড় কিনে থ্রি পিস বানাতে চাইলে কোন রকম দ্বিধা না করে এখান থেকে পছন্দের রঙের, পছন্দের গজ কাপড় কিনে ফেলতে পারেন।

ঘরের কাছের নিউমার্কেট, চাঁদনি চক
রাজধানীর নারীদের কেনাকাটার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নিউমার্কেট। নিন্মবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সকলেরই আনাগোনা রয়েছে এখানে। নানারঙের নানা ঢঙের থ্রিপিস পাবেন এখানে। সুতি থ্রিপিসগুলোর দাম ৫০০টাকা থেকে শুরু করে ২০০০টাকা পর্যন্ত। কাপড়ের মান ভেদে দাম উঠানামা করে। ব্লকের থ্রিপিস কিনতে চাইলে চাদনিচকে পাবেন বেশ বাহারি ডিজাইনে। দাম ৬০০টাকা থেকে ১৫০০টাকার ভেতর।

ঈদ উপলক্ষে একটু জমকালো পোশাক কিনতে চাইলেও এখানে পাবেন। সেগুলোর দাম ৩হাজার থেকে শুরু। নিউমার্কেট, চাদনি চক এলাকায় অবশ্য পোশাকের দাম উঠানামা করে নিজের উপর। মানে আপনি চাইলে ২৫০০টাকা দাম বলা পোশাক ও দরদাম করে হাজার টাকায় কিনে ফেলতে পারেন।

গজ কাপড় কিন্তু ভরপুর নিউ মার্কেট এলাকায়। ২০০টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০টাকা অব্দি গজ কাপড় পাবেন এখানে। একরঙা, প্রিন্ট, সুতি, জর্জেট সব ধরনের কাপড় ই পাবেন।

শাহবাগে আছে আজিজ সুপার মার্কেট
একটু সময় করে চলে যেতে পারেন আজিজ সুপার মার্কেটে। মধ্যবিত্ত এবং কলেজ/ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রীদের পছন্দ ও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এখানকার পোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। দামও হাতের নাগালেই বলা চলে। মোটামুটি কম দামে ভালোমানের পোশাক পাবেন এখানে। সুতি থ্রিপিস গুলো ৪০০ থেকে শুরু করে ৩হাজার পর্যন্ত রয়েছে। ভারী কাজের থ্রি পিস পাবেন ২৫০০ থেকে ৫হাজার টাকার ভেতর।

এম্ব্রোয়ডারির জন্য আছে ‘প্রিয়াঙ্গন’
ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব মোড়েই প্রিয়াঙ্গন শপিং মল। তুলনামূলক কম টাকায় ভালো এম্রোয়ডারি করাতে চাইলে চলে যেতে পারেন এখানে। ডিজাইনের উপর দরদাম নির্ভর করবে। হালকা ডিজাইন থেকে শুরু করে খুব ভারী কাজ করাতে পারেন আপনি। ৫০০ থেকে শুরু করে ৬০০০টাকা খরচ হবে ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। আমার পছন্দের ডিজাইনের ছবি দেখালেই তাঁরা হবুহু অমন করে এম্ব্রোয়ডারি করে দিতে পারবে আপনাকে।

আরো কিছু শপিং মল
ইস্টার্ন প্লাজা, সুভাস্তু টাওয়ার, মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেট, মিরপুর ১০ এর শাহ আলি মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ১ এর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এগুলোতেও ঢু মেরে দেখতে পারেন। কমদামে ভালোমানের থ্রিপিস পেয়ে যাবেন এসব জায়গায়। তবে নিউমার্কেট বা ইসলামপুরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হবে।

জেনে নিলেন তো প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য। এবার দেরী না করে তাড়াতাড়ি বের হয়ে পড়ুন নতুন থ্রিপিস কিনতে। নিজেকে রাঙিয়ে নিন প্রিয় রঙে।

 

কান ফোঁড়ানোর আগে ও পরে ?

আদরের সোনামণিটা কানে পরবে বাহারি দুল। আর তার জন্য যে চাই কান ফোঁড়ানো। তাই তো ছোট থাকতেই কান ফোঁড়ানো হয় বাচ্চাদের। আগেরদিনে নানী দাদীরা সোনামুখী সুঁই দিয়ে বাচ্চাদের কান ফুঁড়িয়ে দিতেন বাড়িতেই। কিন্তু আধুনিক যুগে সে দায়িত্ব নিয়েছে পার্লারগুলো। অনেকে খুব ছোটবেলায় কান ফুঁড়িয়ে থাকে। এখন দিন বদলের সাথে সেই সময়টিও বদলে গেছে। “আগে ৬ মাসের বাচ্চাদেরও কান ফোঁড়ানো হত। কিন্তু এখন কিছুটা বড় হওয়ার পর কান ফোঁড়ানো হয়। সাধারণত ১০ বছরের আগে কান না ফোঁড়ানো ভাল।”-এভাবেই প্রিয়.কম কে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল হতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও বর্তমানে ধানমণ্ডির নাজিনূর হাসপাতালে কর্মরত ত্বক বিশেষজ্ঞ নার্গিস সুলতানা।

কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত

কান ফোঁড়ানোর সময় আমাদের কিছু কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।

  • -প্রথমে যার কান ফোঁড়ানো হবে তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেজন্য একটু বড় হওয়ার পর কান ফোঁড়ানো উচিত।
  • -কান ফোঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই কানে গোল্ড প্লেটেড বা ইমিটেশনের কানের দুল না পরানোই ভাল।
  • -পার্লারে যে মেশিন দিয়ে কান ফোঁড়ানো হবে তা যেন জীবাণুমুক্ত হয়। আর যদি ঘরে কান ফোঁড়ানো হয় তবে যে সুঁই দিয়ে কান ফোঁড়ানো হবে তা যেন অব্যশই গরম পানিতে সিদ্ধ করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। কান ফোঁড়ানোর সতর্কতা বিষয়ে প্রিয়.কম কে বলেন ত্বক বিশেষজ্ঞ নার্গিস সুলতানা
  • -যেদিন কান ফোঁড়ানো হবে তার আগে শরীরে কোন ইনফেকশন আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। যদি কোন ইনফেকশন থাকে তবে সেদিন কান না ফোঁড়ানোই উচিত না। সুস্থ হলে তারপর কান ফোঁড়াতে হবে।

কান ফোঁড়ানোর পর যা যা করণীয়

  • -কান বারবার স্পর্শ করা যাবে না। কান স্পর্শ করার পূর্বে হাত ভাল করে ধুয়ে তারপর স্পর্শ করতে হবে।
  • -রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কানের দুল কান থেকে খুলে রাখতে হবে। যাতে কানে চাপ পড়ে কান পেকে না যায়।
  • -দিনে দুবার কানের সুতা বা দুল ঘোরান। যাতে করে কানের ফোঁটাটা বড় হয়। এতে কানের ফোঁটা বন্ধ হবে না।
  • -চেষ্টা করুন সেভলন বা ডেটল দিয়ে কানের ফোঁটার চারপাশে ভাল করে মুছে দিতে। এটি দিনে একবার করুন। তাহলে কান ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • -কান ফোঁড়ানোর পরে লেবু, কমলার মতো ভিটামিন সি আছে এমন খাবার খেলে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যায়।
  • -যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব একেবারেই খাওয়া যাবে না।
  • -ফোঁড়ানোর স্থানে নিজে বা অন্য কেউ হাত দেওয়ার আগে অব্যশই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

ইনফেকশনে হলে কী করণীয়

অনেক সময় কান ফোঁড়ানো স্থানে ইনফেকশন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ত্বক বিশেষজ্ঞ নার্গিস সুলতানা বলেন, “ আমাদের শরীরের সবচেয়ে নরম অংশ হল কানের লতি। এতে কোন হাড় নেই। তাই এখানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশী থাকে। যদি কানের লতিতে ইনফেকশন হয় তবে অ্যান্টিব্যাক্টোরিয়াল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন”। ঘরোয়া উপায় হিসাবে তিনি বলেন “ সরিষার তেল গরম করে কানে লাগানো যেতে পারে”। এটি দিনে দুবার করার জন্য পরামর্শ দেন।

খুব বেশী ইনফেকশন হলে তিনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে বলেন।

আরও তথ্য সুত্র